দিমা মুসা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

দিমা মুসা (আরবী: ديما موسى; জন্ম ১৯৭৮) একজন সিরিয় আইনজীবী, নারীবাদী এবং রাজনীতিবিদ। তিনি ২০১৮ সালের মে মাসে সিরিয়ার বিপ্লবী ও বিরোধী দলের জাতীয় জোটের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা[সম্পাদনা]

মুসা আলেপ্পোতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তার পরিবার মূলত হোমসের অদিবাসী।[১][২] তিনি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী।[৩][৪] হাফেজ আল-আসাদের শাসন আমলে তিনি ১৯৯০-এর দশকে তার বাবা-মায়ের সাথে সিরিয়ায় ছেড়ে চলে যান।[৫] সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলাকালে সরকারী বাহিনী আল-হামিদিয়াহ খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে বোমা বর্ষণ শুরু করার পূর্ব পর্যন্ত তার পরিবারের সদস্যরা হমস-এ বসবাস করত, কিন্তু বোমা বর্ষণ শুরু হলে ২০২১২ সালে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান।[৬]

ক্যারিয়ার[সম্পাদনা]

মুসা পেশায় একজন আইনজীবী ছিলেন এবং তিনি "উদার নারীবাদী" বলে পরিচিত ছিলেন।[৭] তিনি আরব নারীর অধিকারের উপর মনোযোগ নিবদ্ধ করে ডেপল বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবাধিকার আইন ইনস্টিটিউটের সাথে কাজ করেন।[৮] ২০১১ সালে সিরিয়ার বিদ্রোহের পর তিনি সিরিয়ার একটিভিস্টদের সাথে কাজ শুরু করেন এবং সেই বছর পরের বছর তিনি সিরিয়ার বিরোধী দলের সদস্য হন।<[৯][১০] ২০১১ সালে, তিনি হোমসের বিপ্লবী কাউন্সিলের মুখপাত্র ছিলেন।[১১]

মুসা সিরিয়ার জাতীয় পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। ২০১৪ সালে, হমস কোয়ার্টার ইউনিয়নের একজন মুখপাত্র ছিলেন, তিনি শহরে অবরোধের সময় ক্ষুধার কারণে মৃত্যুর কথা বলছেন এবং ২০১২ সালের ডিসেম্বরে থেকে শহরটিতে কোন ধররে মানবতাবাদী সাহায্য পৌঁছেনি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অক্টোবর ২০১৬ সালে মুসা সিরিয়ার বিপ্লবী ও বিরোধী দলগুলোর ন্যাশনাল কোয়ালিশনে যোগ দেন[১০] এবং অক্টোবর ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত সিরিয়ান উইমেনের রাজনৈতিক আন্দোলনের সাধারণ সচিবালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।[৫][১০] মে ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছে ৩৪ জন স্বাক্ষরকারীর স্বাক্ষরযুক্ত প্রেরিত একটি চিঠিতর একজন স্বাক্ষরকারী ছিলেন তিনি। চিঠিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জঙ্গিদের দমনে সাহায্য করার আহবান জানানো হয় এবং আলেপ্পোর নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানানো হয়।[১২]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

মুসা আরবি, ইংরেজি এবং অ্যাসিরিয় ভাষায় কথা বলতে পারেন।[৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Fordham, Alice (৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২)। "Over 200 reported killed in Syrian attack on Homs"The Washington Post। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  2. "Russia, China block U.N. Syria resolution"। UPI। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  3. "Syrian Expatriates Examine the Roles of Women and Minorities in Uprising"। United States Institute of Peace। ১৫ মার্চ ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  4. "Dima Moussa call for the Syrian Christian in Washington DC rally"। ২৩ জুলাই ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  5. Köksal, Nil (১ ডিসেম্বর ২০১৭)। "Syrian feminists fight for say in postwar peace talks"। CBC Radio Canada। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  6. Sherlock, Ruth (৮ এপ্রিল ২০১২)। "Syria: Easter cancelled in Homs after churches bombed"The Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  7. "Coalition Elections: Syrians Not Interested and Not Surprised Either"The Syrian Observer। ৮ মে ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  8. "Voices from the Front Lines: Update on the Syrian Opposition"। United States Institute of Peace। ১৩ অক্টোবর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  9. "Dima Moussa"। Eye to the Future। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৯ 
  10. "Dima Moussa"। National Coalition of Syria। 
  11. "2 French journalists safely out of Syria"। CNN। ১ মার্চ ২০১২। 
  12. "Syrians Tell Obama: Enforce the Ceasefire to Save Syrian Lives"। Save Our Syria। ৬ মে ২০১৬। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]