দিদিকে বলো
| দিদিকে বলো | |
|---|---|
 | |
| বাণিজ্যিক? | না |
| অবস্থান | পশ্চিমবঙ্গ |
| দেশ |  ভারত |
| মুখ্যমন্ত্রী | মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় |
| প্রধান ব্যক্তিত্ব | মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশান্ত কিশোর |
| প্রতিষ্ঠিত | ২০১৯ |
| অবস্থা | সচল |
| ওয়েবসাইট | www |
দিদিকে বলো হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি উদ্যোগ যার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের জনগণ সরাসরি তাদের অভিযোগ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাতে পারেন।[১] ১৩ আগস্ট ২০১৯-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ] প্রায় পাঁচ লাখ লোক তাদের অভিযোগের কথা এই মাধ্যম ব্যবহার করে জানিয়েছেন।
পটভূমি[সম্পাদনা]
সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের পর সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচনী রণকৌশল বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করে। প্রশান্ত কিশোর দলটির কয়েকবার নেতাদের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকের ফলাফল হিসেবে এই প্রকল্প সামনে আসে।[২][৩][৪]
প্রয়োগ[সম্পাদনা]
২৫০ জনের একটি দল জনগণের অভিযোগ শোনার জন্য নিয়োজিত আছে। কেউ "দিদিকে বলো" কার্যক্রমের ফোন নাম্বারে ফোন করলে তার যোগাযোগের ঠিকানা নোট করা হয় ও নোট করা হয় অভিযোগ। প্রকল্পের ওয়েবসাইট মারফতও অভিযোগ জানানো যায়। সাধারণত ৪৮ ঘণ্টার মাঝে অভিযোগকারীকে তার অভিযোগের পর গৃহীত কর্মসূচি জানিয়ে ফোন করা হয়। এই পুরো প্রক্রিয়ার তত্ত্বাবধায়নে আছে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ সেল।[৫]
প্রতিক্রিয়া[সম্পাদনা]
এই প্রচারাভিযান পশ্চিমবঙ্গের জনগণের মাঝে ভালো সাড়া জাগিয়েছে।[৪][৬] ১৩ আগস্ট ২০১৯-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ] প্রায় ৫ লাখ মানুষ এই মাধ্যম ব্যবহার করে তাদের অভিযোগের কথা জানিয়েছেন।[৫] ২০১৯ সালের আগস্টে পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরে এক ব্যক্তি স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ জানানোয় তাকে প্রহার করা হয়।[৭] দিদিকে বলোতে অভিযোগ জানানোর পর কর্ণাটকে বন্যায় আক্রান্ত বিশ বাঙালি পরিবারকে ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট উদ্ধার করা হয়।[৮][৯][১০]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Calls spur speedy action in Bengal"। The Telegraph (India)। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Will Prashant formula work?"। DNA India। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Didi Ke Bolo All you need to know about Mamata's new campaign in West Bengal"। Jagranjosh.com। ৩০ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ "Focus on Grassroots, Review Performance and Avoid Feud: Prashant Kishor's 10 Commandments for TMC"। News18। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ "TMC's Didi Ke Bolo initiative in a nutshell"। The Telegraph (India)। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Mamata Banerjee's 'Didi ke bolo' gets massive response"। The New Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Attack after Didi Ke Bolo complaint"। www.telegraphindia.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "'দিদিকে বলো'তে ফোন, বন্যা বিধ্বস্ত কর্নাটক থেকে উদ্ধার বাঙালি পরিবার!"। এই সময়। ১৪ আগস্ট ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "দিদির উদ্ধারে 'দিদিকে বলো'"। আনন্দবাজার। ১৪ আগস্ট ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "পিকে'র টিমের উদ্যোগে বানভাসি কর্ণাটকে উদ্ধার ২০টি বাঙালি পরিবার"। বর্তমান। ১৫ আগস্ট ২০১৯। ১৫ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট
- দাপ্তরিক ওয়েবসাইট (ইংরেজি)