তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ
তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ | |
---|---|
গাজীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১ অক্টোবর ২০০১ – ২৩ এপ্রিল ২০১২ | |
পূর্বসূরী | আফসার উদ্দিন আহমদ |
উত্তরসূরী | সিমিন হোসেন রিমি |
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৬ জানুয়ারী ২০০৯ – ৩১ মে ২০০৯ | |
রাষ্ট্রপতি | জিল্লুর রহমান |
প্রধানমন্ত্রী | শেখ হাসিনা |
পূর্বসূরী | লুৎফুজ্জামান বাবর |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ৫ জানুয়ারি, ১৯৭০ দরদরিয়া গ্রাম, কাপাসিয়া, গাজীপুর, পূর্ব পাকিস্তান। (বর্তমান বাংলাদেশ) |
নাগরিকত্ব | পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
পিতামাতা | তাজউদ্দীন আহমদ (বাবা) সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন (মা) |
আত্মীয়স্বজন | শারমিন আহমদ রিতি (বোন) সিমিন হোসেন রিমি (বোন) মাহজাবিন আহমদ মিমি (বোন) |
সোহেল তাজ (জন্ম ৫ জানুয়ারি, ১৯৭০) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান তিনি।[১]
প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]
তিনি গাজীপুর জেলার অন্তর্গত কাপাসিয়ার দরদরিয়া গ্রামে ১৯৭০ সালের ৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা। মা সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। ৪ ভাই বোনের মধ্যে তানজিম সবার ছোট। বড় বোন শারমিন আহমদ রিতি, মেজো বোন বিশিষ্ট লেখিকা ও কলামিস্ট এবং গাজীপুর-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি এবং ছোট বোন মাহজাবিন আহমদ মিমি।
শিক্ষা জীবন[সম্পাদনা]
তিনি সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গ্রীন হেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়াশুনা করেন এবং পরে ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে "ও" লেভেল সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন ডিগ্রি ও ২০০৮ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের গর্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]
তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনে গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখন তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৮ সালে একই আসন থেকে সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান সোহেল তাজ। একই বছরের ৩১ মে মন্ত্রিসভা থেকে ব্যক্তিগত কারণে তিনি পদত্যাগ করেন।[২] ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন সোহেল তাজ।[২] তবে প্রক্রিয়াগত ভিত্তিতে এটি তখন গ্রহণ না করা হলে, ৭ জুলাই ২০১২ তারিখে তিনি আবার পদত্যাগপত্র পেশ করেন; তখন তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়।[৩]
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
সোহেল তাজ ১৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যা নিয়ে টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘হটলাইন কমান্ডো’ করার চুক্তিবদ্ধ হন। এ অনুষ্ঠানটি ১২ পর্বে বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল আরটিভিতে সম্প্রচার হচ্ছে।[৪][৫][৬]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ শেখ সফিউদ্দিন জিন্নাহ্ (২১ অক্টোবর ২০১৬)। "আলোচনায় সোহেল তাজ"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ ক খ "এমপি পদ ছাড়লেন সোহেল তাজ"। বিবিসি বাংলা। ২৩ এপ্রিল ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন সোহেল"। bangla.bdnews24.com। ৭ জুলাই ২০১২। ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "'হটলাইন কমান্ডো' নিয়ে আসছেন সোহেল তাজ"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২০।
- ↑ BanglaNews24.com। "সোহেল তাজের 'হটলাইন কমান্ডো'"। banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২০।
- ↑ "'হটলাইন কমান্ডো' নামে আপাতবাস্তব টেলিভিশন অনুষ্ঠান নিয়ে আসছেন সোহেল তাজ | কালের কণ্ঠ"। Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২০।