তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কম্পিউটারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা আইসিটি সাধারণভাবে তথ্য প্রযুক্তির সমার্থক শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রকৃতপক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এক ধরনের একীভূত যোগাযোগ ব্যবস্থা[১] এবং টেলিযোগাযোগ, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও তৎসম্পর্কিত এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার, মিডলওয়্যার তথ্য সংরক্ষণ, অডিও-ভিডিও সিস্টেম ইত্যাদির সমন্বয়ে গঠিত এমন এক ধরনের ব্যবস্থা যার মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী খুব সহজে তথ্য গ্রহণ, সংরক্ষণ, সঞ্চালন ও বিশ্লেষণ করতে পারেন। প্রযুক্তিতে[২] আইসিটি শব্দটির ব্যবহার শুরু করে একাডেমিক গবেষকরা ১৯৮০ সালের দিকে।[৩] কিন্তু শব্দটি জনপ্রিয়তা লাভ করে ১৯৯৭ সাল থেকে। স্টিভেনসন ১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্য সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই শব্দটি উল্লেখ করেন, যা পরবর্তীতে ২০০০ সালে যুক্তরাজ্যের নতুন জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে সংযোজন করা হয়।[৪]

বর্তমান সময়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দ্বারা একক তার বা একক লিঙ্ক সিস্টেমের মাধ্যমে টেলিফোন, অডিও-ভিজুয়াল ও কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমন্বয় প্রযুক্তিকে প্রকাশ করা হয়। পূর্বে এই কাজগুলো শুধুমাত্র কম্পিউটার ব্যবহার করে করা হলেও বর্তমানে মোবাইল ও বিভিন্ন স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করে আইসিটির কাজ করা হয়।[৫] একক লিঙ্ক সিস্টেমের মাধ্যমে টেলিফোন, অডিও-ভিজুয়াল ও কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমন্বয়ের ফলে বিশাল অঙ্কের অর্থনৈতিক খরচ কমে গিয়েছে।

আইসিটি ডেভেলপমেন্ট ইন্ডেক্স বিশ্বব্যাপী আইসিটি ব্যবহার ও আইসিটি তে অংশগ্রহণ তুলনা ও বিন্যাস করে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রসমূহ[সম্পাদনা]

  • তথ্য সংরক্ষণ প্রযুক্তি।
  • তথ্য আদান-প্রদান বা তথ্য যোগাযোগ (টেলিযোগাযোগ, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট ইত্যাদি প্রযুক্তি।
  • তথ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তি
  • সঠিক তথ্য সংরক্ষণ ও সরবরাহ করন।
  • যাতায়াতের সুবিধায়। আরো বিভিন্ন কাজে ICT গুরুত্ব অপরিসীম।
  • শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রাখছে(ই-লার্নিং)।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উপকরণসমূহ[সম্পাদনা]

  • হার্ডওয়্যার
  • সফটওয়্যার
  • ডাটা
  • দক্ষ জনশক্তি
  • প্রক্রিয়া
  • নেটওয়ার্ক[৬]

বিশ্ব অর্থনীতিতে আইসিটি[সম্পাদনা]

বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী আইসিটি তে খরচের মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে ৩.৫ ট্রিলিয়ন ইউ.এস ডলার এবং প্রতি বছর তা ৫% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি ১৫ বছরে এই খরচের মূল্য দ্বিগুণ হচ্ছে।

আইসিটির বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোট বাজেট ব্যবহারের শতাংশ নিম্নরূপঃ

  • ৩১% - ব্যক্তিগত খরচ (আভ্যন্তরিন)।
  • ২৯% - সফটওয়্যার খাতে খরচ (বাহ্যিক)।
  • ২৬% - হার্ডওয়্যার খাতে খরচ (বাহ্যিক)।
  • ১৪% - বাহ্যিক সেবা সরবরাহকারী।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Cloud network architecture and ICT - Modern Network Architecture"। Itknowledgeexchange.techtarget.com। ২০১১-১২-১৮। ২০১৭-০৯-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-১৮ 
  2. "Information and Communication Technology from"। FOLDOC। ২০১৩-০৯-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-১৮ 
  3. William Melody et al., Information and Communication Technologies: Social Sciences Research and Training: A Report by the ESRC Programme on Information and Communication Technologies, আইএসবিএন ০-৮৬২২৬-১৭৯-১, 1986. Roger Silverstone et al., "Listening to a long conversation: an ethnographic approach to the study of information and communication technologies in the home", Cultural Studies, 5(2), pages 204-227, 1991.
  4. The Independent ICT in Schools Commission, Information and Communications Technology in UK Schools: An Independent Inquiry, 1997. Impact noted in Jim Kelly, What the Web is Doing for Schools ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ জুলাই ২০১১ তারিখে, Financial Times, 2000.
  5. "ICT Bangla Tutorial for HSC SSC Job"Pentanik IT (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০১-০৬। ২০২২-০১-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১২ 
  6. http://www.ta-u.net/up/uploads/files/ta-u.com-27fe6a3b984.pdf ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে | Management Information Systems: Managing the Digital Firm by Laudon, K. & Laudon, J. (2006)

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]