টাঙ্গাইল কমিউটার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

টাঙ্গাইল কমিউটার (ট্রেন নম্বর ১০৩৩/১০৩৪) বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশের একটি কমিউটার ট্রেন। এটি টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশন (বিবি ইস্ট) থেকে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে।[১]

টাঙ্গাইল কমিউটার
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
পরিষেবা ধরনকমিউটার ট্রেন
অবস্থাচালু
প্রথম পরিষেবা২০ জুলাই ২০০১; ২২ বছর আগে (2001-07-20)
বর্তমান পরিচালকবাংলাদেশ রেলওয়ে
যাত্রাপথ
শুরুবঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশন
বিরতি৬টি
শেষকমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন
পরিষেবার হারচালু আছে
রেল নং১০৩৩ এবং ১০৩৪
যাত্রাপথের সেবা
আসন বিন্যাসআছে
ঘুমানোর ব্যবস্থানেই
খাদ্য সুবিধানেই
মালপত্রের সুবিধাওভারহেড রেক
কারিগরি
ট্র্যাক গেজ১,০০০ মিলিমিটার (৩ ফুট   ইঞ্চি)
ট্র্যাকের মালিকবাংলাদেশ রেলওয়ে
রক্ষণাবেক্ষণঢাকা

সময়সূচি[সম্পাদনা]

  • টাঙ্গাইল কমিউটার বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্য ছাড়ে সকাল ০৬টা ৪০ মিনিটে, ঢাকা পৌঁছে সকাল ০৯ টা ৪৫ মিনিটে।
  • ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছাড়ে বিকেল ৬টা, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশন পৌঁছাবে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে।

যাত্রাবিরতি[সম্পাদনা]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ট্রেনটি ২০০১ সালের ২০ জুলাই টাঙ্গাইল বাসীর জন্য একটি নতুন ট্রেন উদ্বোধন করা হয়। তখন ট্রেনটি ঢাকা-টাঙ্গাইল পর্যন্ত চলাচল করত। পরে ২০০৩ সালে ট্রেনটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০০৫ সালে আবার চালু করা হয়। তখন ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত চলাচল করত। ২০০৯ সালের শেষের দিকে সিন্ধান্ত নেওয়া হয় যে ২০১০ সাল থেকে ট্রেনটি ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করবে। অবশেষে ২০১০ সালে ট্রেনটিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশন-ঢাকা রুটে "টাঙ্গাইল কমিউটার" নামে এই ট্রেনটি চালু করা হয় তুরাগ এক্সপ্রেস এর রেক দিয়ে। এতে বন্ধ করে দেওয়া হয় তুরাগ এক্সপ্রেস কে। ফলে তুরাগ এক্সপ্রেস এর অনেক যাত্রী উক্ত ট্রেন পুনরায় চালু করার জন্য মানববন্ধন করেন।

এই মানববন্ধন বন্ধ করে তুরাগ এক্সপ্রেস চালুর ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অবমুক্ত ব্রডগেজ ভ্যাকুয়াম রেক দিয়ে টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন এবং উক্ত ট্রেনের মিটারগেজ রেক দ্বারা পুনরায় তুরাগ এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল শুরু করে।

করোনার মহামারীর সময়ে টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন বন্ধ থাকায় ২০২০ সালের ১৫ই অক্টোবর এই ট্রেনের রেক দিয়ে রাজশাহী-বি.মু.সি.ই-রাজশাহী রুটে বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস নামে একটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু হয়। ফলে টাঙ্গাইল কমিউটার এর নিজস্ব কোনো রেক আপাতত না থাকলেও রেল বিভাগ জানায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ইন্দোনেশিয়ার পিটি ইনকার তৈরি নতুন আধুনিক রেক পাওয়ায় এর অবমুক্ত মিটার-গেজ ভ্যাকুয়াম রেক টাঙ্গাইল এক্সপ্রেসকে দেওয়া হবে।

অবশেষে ২০২০ সালের ১৯শে ডিসেম্বর থেকে আন্তনগর মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের অবমুক্ত ভ্যাকুয়াম রেক দ্বারা পরিচালনা শুরু করা হয়।

এই ট্রেনটিতে ২৩০০ বা ২৬০০ বা ২৭০০ বা ২৯০০ শ্রেনীর লোকোমেটিড ব্যবহার করা হচ্ছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ঢাকা-টাঙ্গাইল-ঢাকা ব্রডগেজ ট্রেন সার্ভিস চালু"যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-১৮