জ্যাক ব্রায়ান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জ্যাক ব্রায়ান
আনুমানিক ১৯২৫ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে জ্যাক ব্রায়ান
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামজন লিন্ডসে ব্রায়ান
জন্ম(১৮৯৬-০৫-২৬)২৬ মে ১৮৯৬
বেকেনহাম, কেন্ট, ইংল্যান্ড
মৃত্যু২৩ এপ্রিল ১৯৮৫(1985-04-23) (বয়স ৮৮)
ইস্টবোর্ন, সাসেক্স, ইংল্যান্ড
ডাকনামজ্যাক
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি লেগ ব্রেক
ভূমিকাউদ্বোধনী ব্যাটসম্যান
সম্পর্করনি ব্রায়ান (ভ্রাতা)
গডফ্রে ব্রায়ান (ভ্রাতা)
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯১৯ - ১৯৩২কেন্ট
১৯২১কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৬৫
রানের সংখ্যা ৮,৭০২
ব্যাটিং গড় ৩৬.২৫
১০০/৫০ ১৭/৪০
সর্বোচ্চ রান ২৩৬
বল করেছে ৮৬২
উইকেট ১৫
বোলিং গড় ৪৫.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/১৮
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৮৯/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৫ জুলাই ২০১৯

জন লিন্ডসে ব্রায়ান, এমসি (ইংরেজি: Jack Bryan; জন্ম: ২৬ মে, ১৮৯৬ - মৃত্যু: ২৩ এপ্রিল, ১৯৮৫) কেন্টের বেকেনহাম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ ক্রিকেট তারকা ও বিদ্যালয় শিক্ষক ছিলেন। প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্ট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়াও, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, দলের প্রয়োজনে ডানহাতে লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন জন ব্রায়ান নামে পরিচিত জ্যাক ব্রায়ান

ঘরোয়া ক্রিকেটে চমৎকার ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯২২ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় ভূষিত হন তিনি।

শৈশবকাল[সম্পাদনা]

লিন্ডসে ব্রায়ান ও এমিলি ব্রায়ান দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান তিনি। পিতা আইনজীবী ছিলেন। ইস্টবোর্নের সেন্ট অ্যান্ড্রুজ প্রিপারেটরি স্কুলে পড়াশোনা করেন। এখানে অবস্থানকালে বিদ্যালয় ক্রিকেট একাদশ দলের অধিনায়কত্ব করতেন। ১৯১১ সালে রাগবি স্কুলের বৃত্তি লাভ করেন।[১] আগস্ট, ১৯১৪ সালে রাগবি ক্রিকেট একাদশের নেতৃত্বে ছিলেন। লর্ডস স্কুলসের সদস্যরূপে বহিঃএকাদশের বিপক্ষে জর্জ হোয়াইটহেডকে সাথে নিয়ে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমেছিলেন। পরবর্তীতে একই মাসের শেষদিকে কেন্টের পক্ষে দুই খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।[১][২][৩]

এছাড়াও, বিদ্যালয়ে রাগবি খেলায় অংশ নিতেন ও রাগবির পক্ষে র‍্যাকেট খেলায় প্রতিনিধিত্ব করতেন। উইজডেনে মন্তব্য করা হয় যে, ‘পাবলিক স্কুলের ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনি অন্যতম প্রতিভাবান।’[৪] রাগবিতে অফিসার্স ট্রেনিং কোরের সদস্য ছিলেন।[১]

জ্যাক ব্রায়ান বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ১৯১৪ সালে কেন্টের দ্বিতীয় একাদশে খেলেন। পাশাপাশি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অন্তর্ভুক্ত হবার পূর্বে ক্লাব ও গ্রাউন্ড সাইড দলে খেলেন।[১][৫] ১৯১৯ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্ত হন। সেন্ট জোন্স কলেজে ইতিহাস ও গণিত বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯২১ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।[৬]

বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ[সম্পাদনা]

প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে অংশগ্রহণ করেন। ১৯১৮ সালে মিলিটারি ক্রস পদকে ভূষিত হন তিনি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনাকালে অনারেবল আর্টিলারি কোম্পানিতে (এইচএসি) স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যোগদান করেন। ২৬ আগস্ট, ১৯১৪ তারিখে প্রাইভেট হিসেবে যুক্ত হন। ১৯১৪ সালে ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলে এইচএসির সাথে কাজ করেন। নভেম্বর, ১৯১৪ সালে ইপ্রেসের প্রথম যুদ্ধের শেষদিকে গোলাবর্ষণে আহত হন ও ইংল্যান্ডে ফিরিয়ে আনা হয়।[৬] জানুয়ারি, ১৯১৫ সালে লন্ডনে এইচএসিতে পুনরায় যোগ দেন। ফেব্রুয়ারি মাসে ২/৫ম ম্যানচেস্টার রেজিমেন্টের সেকেন্ড লেফট্যানেন্ট হিসেবে কমিশন্ডপ্রাপ্ত হন।[৬] ঐ রেজিমেন্টে তার পিতা লেফট্যানেন্ট কর্নেল হিসেবে কাজ করেছিলেন।[৭]

মেশিন গান কোর্স প্রশিক্ষণ শেষে সেপ্টেম্বর, ১৯১৫ সাল থেকে গ্যালিপলিতে ৫ম ম্যানচেস্টারে মেশিন-গান কর্মকর্তা হিসেব নিযুক্ত ছিলেন। জন্ডিসে আক্রান্ত হবার ফলে অক্টোবর, ১৯১৫ সালে আবারো তাকে ফিরিয়ে আনা হয়। গ্যালিপলি থেকে ম্যানচেস্টার বাহিনীকে মিশরে নিয়ে আসা হয়। সেখানে আবু মেনা ও সুয়েজ খাল এলাকায় ১২৭তম ব্রিগেড মেশিন গান কোম্পানিতে জ্যাক ব্রায়ান কাজ করেন। সিনাই ও ফিলিস্তিন অভিযানের অংশ হিসেবে মিশরের এল কান্তারা থেকে এল আরিশ পর্যন্ত নির্মিত রেলওয়ে রক্ষার্থে মোতায়েন ছিলেন।[৬]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

এলজি রবিনসন একাদশের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। মে, ১৯১৯ সালে নরফোকে ওল্ড বাকেহাম হল ক্রিকেট গ্রাউন্ড সফররত অস্ট্রেলিয়ান ইম্পেরিয়াল ফোর্স একাদশের বিপক্ষে খেলেন। এরপর আগস্টের শেষদিকে গ্রেভসেন্ডের ব্যাট এন্ড বল গ্রাউন্ডে কেন্টের সদস্যরূপে ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে খেলেন।[৫]

১৯১৯ সাল থেকে ১৯৩২ সাল পর্যন্ত জ্যাক ব্রায়ানের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ইংল্যান্ডের পক্ষে কোন টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ হয়নি তার। রনি ব্রায়ান ও গডফ্রে ব্রায়ান নামীয় অপর দুই ভ্রাতার সাথে একত্রে কেন্টের পক্ষে খেলেছেন। ১৯২৪-২৫ মৌসুমে ইংল্যান্ড দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন।

১৯২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট দলের পক্ষে খেলার সুযোগ পাননি। তবে, ১৯২১ সালে দলের ১১টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ক্রিকেটে ব্লুধারী হন।[৫] এছাড়াও, ১৯২০ সালে কেন্টের ক্যাপ লাভে সক্ষম হন। ঐ মৌসুমে দলের পক্ষে ৫৫৩ রান তুলেন।[৪]

১৯২১ সালে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হন। ফলে, বিদ্যালয়ের ছুটির দিনগুলোই কেবলমাত্র খেলতে নামতেন।[৩][৬][৮] ৫০.২১ গড়ে ১৮৫৮ রান তুলেন। পাঁচ সেঞ্চুরির মধ্যে তিনটি কেমব্রিজ ও দুইটি কেন্টের পক্ষে ছিল।[৪] ওভালে সারের বিপক্ষে কেমব্রিজের সদস্যরূপে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৩১ রান করেছিলেন। এক পর্যায়ে আট খেলায় সহস্রাধিক রান তুলেছিলেন।[৪][৮] এরফলে, ১৯২২ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার সম্মাননায় ভূষিত হন।[৪][৮]

অস্ট্রেলিয়া গমন, ১৯২৪-২৫[সম্পাদনা]

১৯২২ সাল থেকে বিদ্যালয়ের ছুটির দিনগুলোয় কেন্টের পক্ষে খেলতে থাকেন। উইজডেনের ভাষ্যমতে, তার খেলার মান অত্যন্ত উচ্চমার্গীয় ছিল। ফলে, মৌসুম শুরুর পূর্বে জেন্টলম্যান বনাম প্লেয়ার্সের খেলায় তিনবার খেলার জন্যে মনোনীত হয়েছিলেন।[৩] ১৯২৪-২৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া গমনের লক্ষ্যে ইংল্যান্ড দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত হন। ফলে, ১৯২৪ সালে এ ভ্রমণের জন্যে অনুপস্থিতিজনিত ছুটি নিতে হয়েছিল।[৩][৮] সিলনে একটি প্রথম-শ্রেণীবিহীন খেলায় অংশ নেন। এরপর অস্ট্রেলিয়ান স্টেট ক্রিকেট দল ও অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিলেও টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাননি।[৩][৫][৬]

জ্যাক ব্রায়ান উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। উইজডেনের স্মরণীকায় উল্লেখ করা হয় যে, ব্যাটিং উদ্বোধনে তিনি আদর্শস্থানীয় ছিলেন। আক্রমণের পূর্বে দলকে ভিত্তি আনার দিকে তার সবিশেষ নজর ছিল।[৩] এতে তাকে সত্যিকারের মহান ক্রিকেটার হিসেবে চমৎকার ফিল্ডার এবং স্লো লেগ ব্রেক ও গুগলি বোলাররূপে তুলে ধরা হয়।[৩] প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৭ সেঞ্চুরি সহযোগে ৮,৭০০ এর অধিক রান তুলেছিলেন। ১৯২৩ সালে ক্যান্টারবারিতে হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৩৬ রান তুলেন। এ ইনিংসে তিনি কেবলমাত্র একবার আউট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন।[৩][৬] কেন্টের পক্ষে ১১৯বার, কেমব্রিজ ও জেন্টলম্যানের পক্ষে ১১বার ও এমসিসির পক্ষে আটবার খেলেন।[৫]

আগস্ট, ১৯৩২ সালে লর্ডসে মিডলসেক্সের বিপক্ষে কেন্টের সদস্যরূপে সর্বশেষ খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। এর পরের বছর ১৯৩৩ সালে ইস্টবোর্নে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে এইচ. ডি. জি. লেভেসন গাওয়ার একাদশের সদস্যরূপে আরও একটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন জ্যাক ব্রায়ান।[৫] ১৯৫০-এর দশক পর্যন্ত ইস্টবোর্নের পক্ষে ক্লাব ক্রিকেটে অংশ নিতে থাকেন ও শিক্ষকতা পেশায় ক্রিকেট কোচ হিসেবে কর্মরত থাকেন।[৬]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

জ্যাক ব্রায়ান তার প্রাক্তন স্কুল সেন্ট অ্যান্ড্রুজে ১৯২২ সাল থেকে বিদ্যালয় শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন।[৩][৬] মার্চ, ১৯২৭ সালে আইরিন পোকক নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন।[৬] এ দম্পতির এক পুত্র সন্তান ছিল। বিদ্যালয়ে ক্রিকেট প্রধান হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। এক পর্যায়ে স্বীয় স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে প্রধানশিক্ষক তাকে পদচ্যূত করেছিলেন। অবসর গ্রহণের পরও বিদ্যালয়ের সাথে তার সম্পৃক্ততা ছিল।[৩]

রনি ব্রায়ান ও গডফ্রে ব্রায়ান নামীয় তার দুই ভাই কেন্টের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। আগস্ট, ১৯২৫ সালে ডোভারে ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে কাউন্টি দলটির পক্ষে ত্রয়ীভ্রাতা একবার একত্রে খেলেছিলেন। তন্মধ্যে, জ্যাক ব্রায়ান কেন্টের অধিনায়ক হিসেবে খেলায় অংশ নেন।[৬] অন্যদিকে, রনি ব্রায়ান ১৯৩৭ সালে ব্রায়ান ভ্যালেন্টাইনের সাথে যৌথভাবে কেন্টের অধিনায়কত্ব করেন।[৯]

২৩ এপ্রিল, ১৯৮৫ তারিখে ৮৯ বছর বয়সে স্বল্পকালীন রোগে আক্রান্ত হয়ে সাসেক্সের ইস্টবোর্ন এলাকায় জ্যাক ব্রায়ানের দেহাবসান ঘটে। এ সময়ে তিনি কেন্টের বয়োজ্যেষ্ঠ জীবিত ক্রিকেটারের সম্মাননা পেয়েছিলেন। ১৯২২ সালের কেমব্রিজ দল ও ১৯২৪-২৫ মৌসুমের অস্ট্রেলিয়া সফরে ইংরেজ দলের সর্বশেষ জীবিত খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। কেমব্রিজ দলে এজি ডগার্ট, এমডি লায়ন, সিএএফ ফিডিয়ান গ্রীন, সিএস ম্যারিয়ন, এইচ অ্যাশটন, জি অ্যাশটন, জিসিএইচ গিবসন, এপিএফ চ্যাপম্যান, ইটি অ্যাশটন ও আরজি ইভান্স ছিলেন।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Lewis P (2014) For Kent and Country, pp.122–123. Brighton: Reveille Press.
  2. George Whitehead, CricketArchive. Retrieved 2017-04-06.
  3. Bryan, John Lindsay, Obituaries in 1985, Wisden Cricketers' Almanack, 1986. Retrieved 2017-04-06.
  4. JL Bryan, Cricketer of the Year - 1922, Wisden Cricketers' Almanack, 1922. Retrieved 2017-04-06.
  5. Jack Bryan, CricketArchive. Retrieved 2017-04-06.
  6. Lewis op. cit. pp.123–127.
  7. Lewis op. cit., p.129.
  8. Wilde S (2013) '1922 Five Cricketers of the Year' in Wisden Cricketers of the Year: A Celebration of Cricket's Greatest Players, pp.98–100. A&C Black.
  9. Bryan, Ronald Thurston, Obituaries in 1970, Wisden Cricketers' Almanack, 1971. Retrieved 2016-02-28.

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]