চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
জন্ম(১৮৭৭-১০-১১)১১ অক্টোবর ১৮৭৭
মৃত্যু১৭ ডিসেম্বর ১৯৩৮(1938-12-17) (বয়স ৬১)
কলকাতা পশ্চিমবঙ্গ
জাতীয়তাবৃটিশ ভারতীয়
পেশাপুস্তক প্রকাশনা, সম্পাদনা
পরিচিতির কারণরবীন্দ্র গবেষণা গ্রন্থ 'রবি-রশ্মি'
দাম্পত্য সঙ্গীরাধারানী দেবী (মৃ.১৯০০)
পদ্মাবতী দেবী
সন্তানকনক বন্দ্যোপাধ্যায়
পিতা-মাতাগোপালচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (পিতা)
মুক্তকেশী দেবী (মাতা)

চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (১১ অক্টোবর, ১৮৭৭- ১৭ ডিসেম্বর,১৯৩৮) একজন বাঙালি লেখক ও উপন্যাসিক। [১]

জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৭৭ সালের ১১ই অক্টোবর অবিভক্ত বাংলার মালদহের চাঁচলে জন্ম গ্রহণ করেন। তাদের আদি বাসস্থান ছিল বর্তমান বাংলাদেশের যশোরে। বাবা গোপালচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, মা মুক্তকেশী দেবী। ১৮৯৫ সালে বলাগড় হাই স্কুল থেকে এন্ট্রান্স, ১৮৯৬ সালে জেনারেল অ্যাসেম্ব্লিজ (বর্তমান স্কটিশ চার্চ কলেজ) থেকে এফ.এ এবং ১৮৯৯ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বি.এ. পাশ করেন। ১৮৯৬ সালে দুমকা নিবাসী রাধারাণী দেবীর সঙ্গে বিবাহ হয়। কিন্তু বিবাহের মাত্র চার বছর পরেই ১৯০০ সালে রাধারাণীর মৃত্যু হলে তিনি পদ্মাবতী দেবীর সঙ্গে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। অধ্যাপক কনক বন্দ্যোপাধ্যায় এঁদের সন্তান।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

চারুচন্দ্রের সাহিত্য জীবনের শুরু 'মেঘদূত','মাঘ' প্রভৃতি পত্রিকায় সংস্কৃত সাহিত্যের সমালোচক হিসাবে। ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস-এ যোগ দিয়ে পুস্তক প্রকাশন ব্যপারে কৃতী সম্পাদক ও অনুবাদক হিসাবে বিশেষ প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। কিছুকাল তিনি "ভারতী" পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। 'প্রবাসী'র সহ-সম্পাদক হিসাবে সমধিক পরিচিতি পান। 'প্রবাসী'তেই প্রকাশিত হয় তার প্রথম মৌলিক রচনা "মরমের কথা" ছোটগল্প। বাংলা ভাষা ও শব্দতত্ত্বে তার দক্ষতা ছিল। ১৯১৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক পদে যোগদানের জন্য তিনি ১৯২৪ সালে ঢাকা চলে যান। ১৯২৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সাম্মানিক এম.এ উপাধি লাভ করেন। ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর উল্লেখযোগ্য লেখকদের মধ্যে ইন্দিরা দেবী, অনুরূপা দেবী, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, রাজশেখর বসু এবং অন্যান্যদের সঙ্গে চারুচন্দ্রের নামও করতে হয়। ‘স্রোতের ফুল’, ‘পরগাছা’ প্রভৃতি তার রচিত ২৫টি উপন্যাসের অন্যতম। ছোটদের জন্যও তিনি লিখেছেন, বেশ কয়েকটি গ্রন্থের অনুবাদ প্রকাশ করেছেন ছোটদের উপযোগী করে। মহাকবি ভাসের 'অবিমারক' নাটকের এবং কয়েকটি উপন্যাস ও কিশোরপাঠ্য গ্রন্থের সার্থক অনুবাদ করেছেন। 'ভাতের জন্মকথা' তার একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য শিশুপাঠ্য গ্রন্থ। তবে তিনি সমধিক পরিচিত তার রবীন্দ্র-গবেষণামূলক গ্রন্থ ‘রবি-রশ্মি’র জন্য।[১]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

চারুচন্দ্রের মৃত্যু হয় ১৯৩৮ সালের ১৭ই ডিসেম্বর।

সাহিত্যকর্ম[সম্পাদনা]

☆ আগুনের ফুলকি (১৯১৪)

☆ সেরাতের ফুল (১৯১৫)

☆ পরগাছা (১৯১৭)

☆ দুই তীর (১৯১৮)

☆ হেরফের (১৯১৮)

☆ পঙ্কতিলক (১৯১৯)

☆ দোটানা (১৯২০)

☆ আলোকপাত (১৯২০)

☆ রূপের ফাঁদে (১৯২৫)

☆ কবিকঙ্কণ-চণ্ডী

• প্রথম ভাগ (পরিলেখন প্রকল্প)(১৯২৫)

☆ সুর বাঁধা (১৯৩৭)

☆ অগ্নিহোত্রী (১৯৩৮)

☆ রবিরশ্মি

☆জয়শ্রী (পরিলেখন প্রকল্প)

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬ পৃষ্ঠা ২১৭, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬