চাঁদের স্থানাঙ্ক পদ্ধতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

চাঁদের স্থানাঙ্ক পদ্ধতির মাধ্যমে পৃথিবীর প্রাকৃতিক উপগ্রহ চাঁদের পৃষ্ঠের উপর অবস্থানকে চিহ্নিত করা হয়। পৃথিবীর ন্যায় চন্দ্রপৃষ্ঠের উপর যেকোনো অবস্থানকে অক্ষাংশদ্রাঘিমাংশের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। অক্ষাংশের মাধ্যমে চাঁদের নিরক্ষরেখার উত্তর বা দক্ষিণের অবস্থান নির্দেশ করা হয়। দ্রাঘিমাংশের মাধ্যমে চাঁদের মূল মধ্যরেখার পশ্চিম বা পূর্বের অবস্থান নির্দেশ করা হয়, এবং চাঁদের মূল মধ্যরেখা বলতে পৃথিবীর দিকে সরাসরি মুখ করা উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত রেখাকে বোঝায়। একে পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান চাঁদের মধ্যবিন্দু হিসেবে ভাবা যেতে পারে। ডিগ্রি এককে উভয় স্থানাঙ্ককে প্রকাশ করা হয়।

জ্যোতির্বৈজ্ঞানিকগণ চাঁদের স্থানাঙ্ক পদ্ধতির মৌলিক অবস্থানকে একটি ছোট, থালার মতো আকৃতির ক্রেটার দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়, যার স্থানাঙ্ক হচ্ছে:

অক্ষাংশ: ৩° ১২' ৪৩.২" দক্ষিণ
দ্রাঘিমাংশ: ৫° ১২' ৩৯.৬" পশ্চিম

লুনার লেজার রেঞ্জিং এক্সপারিমেন্টের মাধ্যমে এই স্থানাঙ্ক পদ্ধতিকে আরও নিখুঁতভাবে সংজ্ঞায়িত করা সম্ভব।

৯০°পূ বা ৯০°প দ্রাঘিমাংশের বেশি দ্রাঘিমাংশের কোনো অংশ পৃথিবী থেকে দেখা সাধারণত সম্ভব নয়, তবে দোলনের জন্য পৃথিবী থেকে চাঁদের ৫৯% দেখা যায়।

দ্রাঘিমাংশ[সম্পাদনা]

দ্রাঘিমাংশের মাধ্যমে চাঁদের মূল মধ্যরেখার পশ্চিম বা পূর্বের অবস্থান নির্দেশ করা হয়। মোটামুটিভাবে চাঁদের মূল মধ্যরেখা পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান চাঁদের ফালির মাঝ বরাবর অবস্থিত। নিখুঁত কাজকর্মের জন্য চাঁদের জন্য একাধিক স্থানাঙ্ক পদ্ধতি প্রচলিত আছে, এবং প্রত্যেকের মূল মধ্যরেখা সামান্য আলাদা। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন (আইএইউ) "মিন আর্থ/পোলার অ্যাক্সিস" পদ্ধতিকে সুপারিশ করেছে,[১] যেখানে মূল মধ্যরেখা হলো চাঁদের কেন্দ্র থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রের গড় অভিমুখ।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  • "A Unified Lunar Control Network — The Near Side", Merton E. Davies, Tim R. Colvin, & Donald L. Mayer, RAND Corporation, Santa Monica, 1987.