খালিশপুর নীলকুঠি ভবন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
খালিশপুর নীলকুঠি ভবন
ধরনপ্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন
অবস্থানমহেশপুর উপজেলা
অঞ্চলঝিনাইদহ জেলা
পরিচালকবর্গবাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর
মালিকবাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর
সূত্র নংBD-D-23-70

খালিশপুর নীলকুঠি ভবন ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।[১] ইংরেজ আমলে নির্মিত এ নীলকুঠিটি উপজেলার খালিশপুর নামক গ্রামে অবস্থিত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ভারত উপমহাদেশে নীলচাষ শুরু করার পর অন্যান্য অঞ্চলের মত খালিশপুরেও এই নীলকুঠিটি নির্মাণ করেন। খালিশপুর নীলকুঠিটি ভৈরব নদের তীরে অবস্থিত। নির্মাণের পর ১৮১০ থেকে ১৮৫৮ সাল পর্যন্ত এই নীলকুঠিটি নীলচাষের জন্য ব্যবহার করা হতো।[২] উপমহাদেশে নীল বিদ্রোহের সূচনা হওয়ার পর অন্যান্য নীলকুঠির মত এ নীলকুঠিটিও ইংরেজরা রেখে চলে যান। পরবর্তীতে জমিদাররা এটি তাদের কাছারি হিসেবে ব্যবহার করতে থাকে। পরবর্তীতে ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির সময় তৎকালীন নীলকুঠির মালিক জমিদারও জায়গাটি ছেড়ে চলে যান। এরপর থেকে এটি মূলত পরিত্যক্ত।

বর্তমানে নীলকুঠি ভবন ও এর সংলগ্নজমিটি বাংলাদেশ সরকারের অধীনে রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এটিকে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা হিসেবে নথিভুক্ত করে। নীলকুটির পাশেই রয়েছে একটি আমবাগান। নীলকুটি ও আমবাগান মিলিয়ে সংলগ্ন এ জায়গাটি

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান গ্রন্থাগার