খাজা খান মুহাম্মদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
খাজা খান মুহাম্মদ
مولانا خواجہ خان محمد
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম১৯২০
মিয়াঁওয়ালী
মৃত্যু৫ মে ২০১০
ধর্মইসলাম
জাতীয়তাব্রিটিশ ভারত
পাকিস্তান
সন্তানখলিল আহমেদ
পিতামাতা
  • খাজা উমর (পিতা)
আখ্যাসুন্নি
আন্দোলনআলমি মজলিস তাহাফ্ফুজ খতমে নবুয়াত
রাজনৈতিক দলজমিয়ত উলামায়ে ইসলাম
মজলিস-ই-আহরার-ই ইসলাম
যেখানের শিক্ষার্থীখানকাহ সিরাজিয়া
জামিয়া ইসলামিয়া তালিমুদ্দিন দাভেল
দারুল উলুম দেওবন্দ
তরিকানকশবন্দি
পেশাইসলামি পণ্ডিত
৬ষ্ঠ আমীর, আলমি মজলিস তাহাফ্ফুজ খতমে নবুয়াত
কাজের মেয়াদ
১৯৭৭ – ২০১০
পূর্বসূরীমুহাম্মদ ইউসুফ বিন্নুরী
উত্তরসূরীআব্দুল মজিদ লুধিয়ানভি
প্রতিষ্ঠানখানকাহ সিরাজিয়া
মুসলিম নেতা
শিক্ষকমুহাম্মদ ইউসুফ বিন্নুরী
হুসাইন আহমদ মাদানি
পেশাইসলামি পণ্ডিত

মাওলানা খাজা খান মুহম্মদ (উর্দু: مولانا خواجہ خان محمد‎‎ ; ১৯২০-৫ মে ২০১০) একজন পাকিস্তানি ইসলামি পণ্ডিত এবং খানকাহ সিরাজিয়া কুন্ডিয়ান-এর প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং আলমি মজলিস তাহাফ্ফুজ খতমে নবুয়াত-এর আমির ছিলেন। [১][২][৩]

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা[সম্পাদনা]

খাজা খান মুহাম্মদ ১৯২০ সালে মিয়াওয়ালি জেলায় খাজা উমর সাহেবের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলে পড়াশোনা করেন। তারপর তিনি খানকাহ সিরাজিয়া কুন্ডিয়ানে কোরআন এবং প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করেন। তিনি আরও পড়াশুনার জন্য জামিয়াহ ইসলামিয়াহ তালিমুদ্দিন দাভেলে ভর্তি হন। তারপরে পড়াশোনা শেষ করতে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে যান। ইজাজ আলী আমরোহি এবং অন্যান্য বিশিষ্ট শিক্ষক ছাড়াও হুসাইন আহমদ মাদানির বিশিষ্ট ছাত্র ছিলেন। [১][৪]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৪১ সালে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পরে তিনি খানকাহ সিরাজিয়া কুন্ডিয়ায় ফিরে এসে সেখানে শিক্ষকতা শুরু করেন। তিনি খানকাহ সিরাজিয়ায় মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রায় ষাট বছর অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ১৯৭৭ সালে মুহাম্মদ ইউসুফ বানুড়ির মৃত্যুর পরে আলমি মজলিস তাহাফ্ফুজ খতমে নবুয়াতের আমিরের দায়িত্বও পালন করেছিলেন। [১] তিনি প্রায় প্রতি বছর হজ্ব পালন করতেন। তিনি প্রায় ৬৫ বার হজ করেছেন । [৫]

মৃত্যু এবং উত্তরাধিকার[সম্পাদনা]

খাজা খান মুহাম্মদ ৯০ বছরেরও বেশি বয়সী ছিলেন এবং বার্ধক্য ও দুর্বলতা ছাড়া সম্ভবত তার কোনও রোগ ছিল না, তবে শেষ কয়েক দিন ধরেই গুরুতর জন্ডিসের কারণে তিনি মুলতানে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং মাগরিবের নামাজের পর বুধবার ৫ ই মে তিনি মারা যান। তার জানাজার নামাজে তার ছেলে ও উত্তরাধিকারী খলিল আহমেদ ইমামতি করেছিলেন। এতে সারাদেশের কয়েক মিলিয়ন লোক উপস্থিত ছিলেন এবং খানকাহ সিরাজিয়া কবরস্থানে তার পরামর্শদাতা মাওলানা আবদুল্লাহ লুধিয়ানভীর পাশে তাকে দাফন করা হয়েছিল। [১] জানাজায় মাওলানা ফজলুর রেহমান, তৎকালীন ফেডারেল মন্ত্রী আতাউর রহমান, উবায়দুর রহমান জিয়া, মুহম্মদ তাকী উসমানী, সলিমুল্লাহ খান, আব্দুর রাজ্জাক ইস্কান্দার, আব্দুল গফুর হায়দারী, মুহাম্মদ রফি উসমানী, মাওলানা আমজাদ খান, হাফিজ হুসাইন আহমেদ, মুহাম্মদ হানিফ জলন্ধরী, গুল নসিব খান ও ক্বারী ফয়জুর রহমান আলভী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। তৎকালীন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ শাহবাজ শরীফের প্রতিনিধিত্ব করে পাঞ্জাব বিধানসভার সদস্য আলী হায়দার নূর খান নিয়াজী জানাজায় অংশ নিয়েছেন এবং কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন। [৬]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. مولانا مجیب الرحمن انقلابی (২২ মে ২০১৫)। "حضرت مولانا خواجہ خان محمد صاحبؒ ....پیکر رشد وہدایت"। dailypakistan.com.pk। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০২০ 
  2. Abdul Aziz Anjum। "حضرت خواجہ خان محمد"। hamariweb.com। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০২০ 
  3. "HAZRAT KHWAJA KHAN MUHAMMAD SAHIB- KHANQAH SIRAJI"। mianwali.org। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০২০ 
  4. Zahid Ur Rashdi"حضرت مولانا خواجہ خان محمدؒ"। zahidrashdi.org। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০২০ 
  5. عبدالوحید مزاج میانوالی (১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "خواجہ خواجگان حضرت مولانا خواجہ خان محمدؒ"। dunya.com.pk। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০২০ 
  6. "خواجہ خان محمد خانقاہ سراجیہ میں سپرد خاک' نماز جنازہ میں لاکھوں افراد کی شرکت"। nawaiwaqt.com। ৭ মে ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০২০