খয়েরি কাঠঠোকরা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

খয়েরি কাঠঠোকরা
Celeus brachyurus
পুরুষ খয়েরি কাঠঠোকরা,দক্ষিণ ভারত
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণীজগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: পিসিফর্মিস
পরিবার: পিসিডি
গণ: Micropternus
প্রজাতি: brachyurus
প্রতিশব্দ
  • Celeus brachyurus (Vieillot, 1818)

খয়েরি কাঠঠোকরা বা লালচে কাঠঠোকরা পিসিডি বর্গের অন্তর্গত পাখি। এরা খয়েরি কাঠকুড়ালি নামেও পরিচিত।

বিবরণ[সম্পাদনা]

লালচে কাঠঠোকরার দেহের দৈর্ঘ্য ২৫ সেন্টিমিটার ও ওজন ১০৫ গ্রাম। এদের পুরো দেহের পালক লালচে-খয়েরি, তার ওপর রয়েছে কালচে ডোরা। কাঁধ-ঢাকনি, ডানা লেজ ও বগলে আড়াআড়ি ডোরা রয়েছে। গলার পালক আঁইশের মতো দেখায়। পিঠ ও পেটে হালকা কালচে টান, ছিট ও ছোপ রয়েছে। চোখের রঙ বাদামি লাল। চোখের নিচে অর্ধচন্দ্রাকৃতির উজ্জ্বল লাল পট্টি আছে। ঠোঁট ও নখ কালো। পা ও পায়ের পাতা নীলচে-সবুজ। স্ত্রী আকারে কিছুটা ছোট এবং স্ত্রীর কান-ঢাকনি হালকা পীত বর্ণের। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখির বুক ও তলপেটে স্পষ্ট আড়াআড়ি ডোরা ও অর্ধচন্দ্রাকৃতির দাগ থাকে।[২]

শ্রেণিবিন্যাস[সম্পাদনা]

  • M. b. brachyurus (Vieillot, 1818) – জাভা[৩]
  • M. b. humei Kloss, 1918 – পশ্চিম হিমালয়ের পাশাপাশি গলা, দাগযুক্ত মাথা এবং ফ্যাকাশে মুখ রয়েছে।
  • M. b. jerdonii (Malherbe, 1849) - ভারত ও শ্রীলঙ্কা
  • M. b. phaioceps (Blyth, 1845) – মধ্য নেপাল থেকে মিয়ানমার, ইউনান এবং দক্ষিণ থাইল্যান্ড পর্যন্ত পূর্ব হিমালয়
  • M. b. fokiensis (Swinhoe, 1863) – দক্ষিণ-পূর্ব চীন এবং উত্তর ভিয়েতনাম
  • M. b. holroydi Swinhoe, 1870 – হাইনান
  • M. b. williamsoni Kloss, 1918 – দক্ষিণ থাইল্যান্ড
  • M. b. annamensis Delacour & Jabouille, 1924 – লাওস, কম্বোডিয়া এবং দক্ষিণ ভিয়েতনাম।
  • M. b. badius (Raffles, 1822) – সুমাত্রা দ্বীপ
  • M. b. badiosus (Bonaparte, 1850) – বোর্নিও দ্বীপ

বাসস্থান ও খাদ্যাভাস[সম্পাদনা]

লালচে কাঠঠোকরা আর্দ্র পাতাঝরা বন, চিরসবুজ বনসহ বন-বাগান, এমনকি লোকালয়েও বাস করে। এরা একাকী বা জোড়ায় ঘুরে বেড়ায়। ছোট পোকামাকড়, পিঁপড়া, লার্ভা, উইপোকা, বুনো ডুমুর ও ডুমুরের রস প্রিয় খাবার। এরা চমৎকার ভঙ্গিমায় গাছে ঝুলে থেকে পিঁপড়া ও পোকামাকড়ের বাসায় ঠোঁট চালায়। টসটসে উইপোকা খাওয়ার জন্য উইঢিবিতে আক্রমণ চালাতেও ছাড়ে না।

প্রজনন[সম্পাদনা]

এপ্রিল-মে প্রজননকাল। এ সময় গাছের খোঁড়ল বা গর্তের মতো জায়গায় বাসা বানায়। কখনো কখনো গেছো পিঁপড়ার বাসার ভেতরে বা ওপরেও বাসা করতে পারে। ডিম পাড়ে ২-৩টি। ডিমের রং সাদা। ১৪-১৮ দিন তা দেওয়ার পর ডিম থেকে ছানা বেরোয়। ছানারা প্রায় ২৫-২৭ দিনে উড়তে পারে। লালচে কাঠঠোকরা প্রায় পাঁচ বছর বাঁচে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. BirdLife International (২০১২)। "Micropternus brachyurus"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা (ইংরেজি ভাষায়)। আইইউসিএন2012। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩ 
  2. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "লালচে কাঠঠোকরা"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৩ 
  3. Trotman-Dickenson, D.I. (১৯৮৩)। Public Sector Economics। Elsevier। পৃষ্ঠা 171–181। আইএসবিএন 978-0-434-98584-5 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]