কেয়া চক্রবর্তী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কেয়া চক্রবর্তী
জন্ম(১৯৪২-০৮-০৫)৫ আগস্ট ১৯৪২
মৃত্যু১২ মার্চ ১৯৭৭(1977-03-12) (বয়স ৩৪)
জাতীয়তাভারতীয়
কর্মজীবন১৯৫৮–১৯৭৭
উল্লেখযোগ্য কর্ম
তিন পয়সার পালা(নাটক)
ভালোমানুষ (নাটক)
আন্তিগোনে(নাটক)'
যে যেখানে দাঁড়িয়ে
প্রণয়পাশা
জীবন যেরকম

কেয়া চক্রবর্তী ( ৫ আগস্ট, ১৯৪২ - ১২ মার্চ , ১৯৭৭) একজন প্রতিভাময়ী অপেশাদার ভারতীয় মঞ্চশিল্পী ছিলেন। [১]

জন্ম ও ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

উত্তর কলকাতার এক বনেদি পরিবারে কেয়া চক্রবর্তীর জন্ম। পিতার নাম অজিত চক্রবর্তী। তবে শিশুকাল থেকেই মায়ের কাছে মানুষ তিনি । স্কটিশ চার্চ কলেজের ভালো ছাত্রী ছিলেন। ইংরাজীতে এম.এ. পাশ করে ওই কলেজেই অধ্যাপনার কাজ নেন।

অভিনয় জীবন[সম্পাদনা]

কেয়া অভিনয় করতে ভালবাতেন। স্কটিশ চার্চ কলেজে ছাত্রাবস্থাতেই ইংরাজী ১৯৫৮, ১৯৫৯, ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে পর পরই আন্তঃকলেজ নাট্যপ্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ অভিনয়ের জন্য পুরস্কার পান। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় যুব উৎসবে দিল্লি এবং মহীশূরে আমন্ত্রিত হন। তবে বাংলা রঙ্গমঞ্চে নান্দীকার গোষ্ঠীর প্রযোজিত নাটকগুলিতে অভিনয়ের মাধ্যমে কিংবদন্তি অভিনেত্রী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। প্রথম অভিনয় ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে 'চার অধ্যায়' নাটকে। এরপর ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দ হতে নিয়মিত অভিনয়। 'তিন পয়সার পালা' অভিনয়ের পর তার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। ব্রেখটের নাটকের বাংলা সংস্করণ 'ভালো মানুষ' নাটকে তার দ্বৈত- চরিত্রের অভিনয় বিশেষ উল্লেখযোগ্য। 'আন্তিগোনে' নাটকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করে পশ্চিমবঙ্গ সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের 'শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী' র পুরস্কার পান। ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে কলেজের অধ্যাপনা ছেড়ে বিনা বেতনে নান্দীকারের সর্বক্ষণের কর্মী হন। নান্দীকার এ অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত ও কেয়া চক্রবর্তী একসাথে অভিনয় একটা স্বর্ণযুগ ছিল । তার শেষ অভিনীত নাটক 'ফুটবল'। কেয়া চক্রবর্তী ভালো অনুবাদক ছিলেন। অভিনয় করার উদ্দেশ্যে বার্নার্ড শ'র 'সেন্ট জোয়ান' নাটকটির অনুবাদ করেছিলেন। অর্থের প্রয়োজনে কখনো কখনো সিনেমায় অভিনয় করলেও তার আসল ক্ষেত্রটি নাটকে। নাট্যভাবনা নিয়ে কিছু লেখা তিনি লিখেছেন।

কেয়া চক্রবর্তীর মঞ্চাভিনয় (১৯৬১ - ১৯৭৭ )

নাটক / তাভিনয় সংখ্যা

অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায়:

১, নাট্যকারের সন্ধানে দুটি চরিত্র , 2. শের আফগান , ৩, মঞ্জরী আমের মঞ্জরী , ৪. বীতংস, ৫. অগ্নিবিষয়ক সতর্কতা ও গৌতম , ৬. হে সময়, উত্তাল সময়, ৭. শাহী বাদ , ৮. তিন পয়সার পালা, ৯. ভালােমানুষ , ১০. নীলিমা , ১২. চার অধ্যায় , ১৩. রাত্রি , ১৪. নটি বিনােদিনী , ১৫. আলাের বাইরে , ১৬. মূদ্রারাক্ষস , ১১. বৃত্ত ,

রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তর পরিচালনায়:

১. টক , ২. আন্তিগােনে , ৩. ফুটবল

অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায়

১. পূর্বরাগ

শম্ভূ মিত্রের পরিচালনায়:

১. রক্তকরবী :

শ্যামানন্দ জালানের পরিচালনায়;

১. তুঘলক

মৃত্যু[সম্পাদনা]

১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দের ১২ মার্চ সাঁকরাইলে গঙ্গার ওপর 'জীবন যে রকম' চলচ্চিত্রের বহিদৃর্শ্য গ্রহণের সময় (শুটিংয়ের সময়) অভিনয় করতে গিয়ে জলে ডুবে তার মৃত্যু ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬, পৃষ্ঠা ১৬০, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬