কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড
সংক্ষেপেকেজিডিসিএল
গঠিত২০১০
ধরনসরকারি
আইনি অবস্থাকোম্পানি
উদ্দেশ্যচট্টগ্রাম অঞ্চলে গ্যাস বিতরণ
সদরদপ্তর১৩৭/এ, সিডিএ এভিনিউ, ষোলশহর
অবস্থান
যে অঞ্চলে কাজ করে
চট্টগ্রাম
সদস্য
পেট্রোবাংলা
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলা ও ইংরেজি
ওয়েবসাইটকেজিডিসিএল

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড (অথবা, সংক্ষেপেঃ কেজিডিসিএল) বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে চট্টগ্রাম অঞ্চলে গ্যাস বিতরণ সংস্থা হিসাবে কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্যে গঠিত প্রতিষ্ঠান।[১] পেট্রোবাংলার অধীনে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর হতে চালু হওয়া এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহের কাজে নিয়োজিত রয়েছে।[২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকারের নির্বাহী আদেশে “বাংলাদেশ তেল, গ্যাস এবং খনিজ কর্পোরেশন” (বিওজিএমসি) গঠিত হয়, যা পরবর্তীতে, ১৯৭৪ সালের ২২ আগস্ট অধ্যাদেশ নং-১৫ বলে নামকরণ করা হয় পেট্রোবাংলা এবং ১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি অপর এক অধ্যাদেশ (অধ্যাদেশ নং-১১) জারীর মাধ্যমে তেল, গ্যাস ও খনিজ অনুসন্ধান ও তাদের উন্নয়ন সংক্রান্ত যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনার দায়-দায়িত্ব একে দেয়া হয়।[২] বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী ও দ্বিতীয় বৃহত্তম নগর বন্দর নগরী চট্টগ্রাম[৩] ও বৃহত্তর চট্টগ্রামের শিল্প ও বাণিজ্যিক গ্রাহকের প্রয়োজনীয় জ্বালানীর চাহিদা পূরণে এবং অধিক গ্রাহক সেবার জন্য বাংলাদেশ সরকার পেট্রোবাংলার অধীনে আলাদা একটি গ্যাস ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী গঠন করার পদক্ষেপ নেয় এবং ২০১০ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সরকারের জয়েন্ট স্টক কোম্পানী (কোম্পানী এ্যাক্ট ১৯১৩) হিসেবে কর্ণফুলী গ্যাস ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী গঠিত হয় প্রতিটি ১০.০০ টাকা হিসেবে ৩০০০টি শেয়ার বাবদ মোট অনুমোদিত মূলধন ৩০ (ত্রিশ) লক্ষ টাকা ভিত্তি ধরে।[১] যদিও ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এর উদ্ধোধন করেন কিন্তু এর সক্রিয় কার্যক্রম শুরু হয়েছিলো আরো আগে, ১৯ এপ্রিল থেকেই।[৪]

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য[সম্পাদনা]

এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য হিসাবে বলা হয়েছে[১] -

কর্ণফুলী গ্যাস ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড গঠন করার উদ্দেশ্য হল চট্টগ্রাম ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে গ্যাস সরবারহের লক্ষ্যে গ্যাস ক্রয়, বিক্রয় এবং বিতরণ করা।

কার্যক্রম[সম্পাদনা]

কেজিডিসিএল-এর অধিভূক্ত এলাকা হলো - চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানকক্সবাজার এবং গ্যাস সরবরাহের এলাকা হচ্ছে - চট্টগ্রাম শহর, সিতাকুণ্ড, মিরসরাই, হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, পটিয়া, বোয়ালখালি, আনোয়ারা, ফটিকছড়ি, কাপ্তাই এবং রাঙ্গামাটি হিল ট্র্যাকস এর কেপিএম এলাকা।[৫] ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি কাতার থেকে বাংলাদেশের প্রথম তরল প্রাকৃতিক গ্যাস চালান কিনে চট্টগ্রাম সিটিতে বিতরণ করার পরিকল্পনা করে।[৬]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "কোম্পানির ইতিহাস"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৩০ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  2. এম লুৎফর রহমান চৌধুরী এবং মুশফিকুর রহমান (জানুয়ারি ২০০৩)। "পেট্রোবাংলা"। সিরাজুল ইসলামবাংলাপিডিয়াঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশআইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  3. "Cities"worldpopulationreview.com। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯ 
  4. "এক নজরে কেজিডিসিএল"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৩০ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  5. "কেজিডিসিএল এর অধিভূক্ত এলাকা"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২১ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ 
  6. "LNG Carrying Ship Hits The Country"Energy Bangla। ২৪ এপ্রিল ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]