এস তাহের আহমেদ হত্যাকাণ্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এস তাহের আহমেদ
জন্ম
বাংলাদেশ
মৃত্যুফেব্রুয়ারি ১, ২০০৬(২০০৬-০২-০১)
মৃত্যুর কারণশ্বাসরোধে হত্যা
জাতীয়তাবাংলাদেশী
পেশাঅধ্যাপক
কর্মজীবন–২০০৬
সন্তান

এস তাহের আহমেদ হত্যাকাণ্ড বলতে বাংলাদেশের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদের হত্যাকে বোঝায়। পদোন্নতি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তাহের আহমেদ খুন হন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

এস তাহের আহমেদ ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ভূতত্ত্ব ও খনি বিভাগের অধ্যাপক।[১] তিনি সুলতানা আহমেদকে বিয়ে করেন। তাদের একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তান হয়। তাদের কন্যা শেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ পেশায় একজন আইনজীবী।[২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আবাসিক কোয়ার্টার পশ্চিম পাড়ার প২৩ নং বাড়ি থেকে আহমেদ নিখোঁজ হন। পরদিন বাড়ির পিছনে একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।[১] ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।[৩][৪][৫]

২০০৬ সালের আগস্টে, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক, ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার হাসান আজিজুল হককে হুমকি দেয় এবং তাকে নাস্তিক ও ইসলামবিরোধী বলে অভিযুক্ত করে। ২০০৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহীকে নিয়ে একটি সমাবেশ করে এবং পুলিশ সদস্যদের প্রতি তাকে তাকে গ্রেপ্তারের চ্যালেঞ্জ জানায়। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন।[৬]

অধ্যাপক তাহের একটি সাধারণ ডায়ের (জিডি) করেছিলেন, যার সূত্র ধরে তার একসময়কার ছাত্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রভাষক ডক্টর মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী, তাহেরের বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলম সহ আটজনকে গ্রেফতার করা হয়।[৭] ২০০৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি, জিজ্ঞাসাবাদে মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এই হত্যার সাথে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।[৮] জবানবন্দিতে আসামীরা জানান, সহযোগী অধ্যাপক মহিউদ্দিন অধ্যাপক পদে নিজের পদোন্নতির জন্য কমিটির সুপারিশ চেয়ে আসছিলেন। তাহের ছিলেন এই বিভাগের একাডেমিক কমিটির প্রধান, আর তিনি গবেষণায় জালিয়াতির জন্য মহিউদ্দিনের পদন্নোতি আটকে দেন।[৯] এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এই হত্যার পরিকল্পনা করেন তার সহযোগী অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর বাড়ির ভেতরে থাকা চটের বস্তায় ভরে অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ বাড়ির পেছনে নেওয়া হয়। এরপর জাহাঙ্গীরের ভাই নাজমুল আলম ও তার স্ত্রীর ভাই আবদুস সালামের সাহার্যে বাসার পেছনের ম্যানহোলে তাহেরের মরদেহ ফেলা হয়।[৫]

তাহের আহমেদের কন্যা আইনজীবি শেগুফতা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন সময়ে রাজশাহীতে জামায়াত-শিবিরের চরম দাপট ছিল। জামায়াত-শিবির কর্মীরা এ সময় তার ভাইকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখাতেন। তাকে বেশ কয়েকবার প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়।[১০]

বিচার[সম্পাদনা]

মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন
জাহাঙ্গীর আলম

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নাইম আহমেদ এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ভূমিকা রাখেন। তদন্তে তার ভূমিকার জন্য তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে তৎকালীন বিরোধী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছিলেন।

ছয় আসামিকে নিয়ে ২০০৭ সালের ১৮ জুন মামলার বিচার শুরু হয়। এইদিন তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন উপপরিদর্শক আহসানুল কবির ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।[১১] ২০০৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির আহ্বান জানান।[১২] ২০০৮ সালের ২৩ মে, রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এটিএম মেসবাউদ্দৌলা চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন; তারা হলেন মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, তাহেরের বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীরের ভাই নাজমুল আলম এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী আব্দুস সালাম।[৭][১৩] এছাড়া আদালত দুই আসামিকে খালাস দেয়; যারা ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী এবং জাহাঙ্গীরের বাবা আজিমুদ্দিন মুন্সী।[১৩] দণ্ডপ্রাপ্ত ডক্টর মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আমিনুল হকের শ্যালক।[৩]

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী শাখার সভাপতি আতাউর রহমান তার দলের ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের বেকসুর খালাস লাভের পর রায় উদযাপন করে একটি সমাবেশ করে।[৩] রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সাবেক উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এতে হতাশা প্রকাশ করে।[৩] রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও আহমেদের পরিবারের সদস্যরা বলেন, মাহবুবুল আলম সালেহীর মুক্তিতে তারা নিরাপত্তাহীন বোধ করছেন।[১৪]

২০০৮ সালে আদালতের রায়ের পর মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণের জন্য তা হাইকোর্টে উত্থাপন করা হয়। এই সময়ে আসামিরা আপিল করে। ২০১৩ সালের ১৩ মে, নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখে বাংলাদেশ হাইকোর্ট, কিন্তু আবদুস সালাম ও নাজমুলের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে স্থির করে।[১৫] তাহেরের পরিবারের সদস্যরা মাহবুবুল আলম সালেহীসহ সকলের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেন।[১৬] এরপর বিভিন্ন সময়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং শিক্ষকরা দ্রুত বিচার শেষ করার দাবি জানায়।[১৭]

পরে ২০১৩ সালের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন। এই সময়ে সাজা কমিয়ে দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ায় সেই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ এই আপিলগুলি খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে।[১৮] একই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়, যাতে বলা হয়:[১৯]

মহিউদ্দিন অধ্যাপক হওয়ার পথ পরিষ্কার করতে তাহেরকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। তাহের জীবিত থাকলে তাঁর পদোন্নতি পাওয়ার সুযোগ শূন্য, এ ধারণা থেকে তাহেরকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। অপর তিনজন আর্থিক সুবিধা, সেবা ও কম্পিউটার পেতে হত্যার অপরাধ সংঘটিত করেন।

এই রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত নাজমুল আলম বাদে অপর তিন দণ্ডিত আপিল বিভাগে পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে ২০২৩ সালের ২ মার্চ হাইকোর্ট সেই পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দেয়।[১৮] পরবর্তীতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করলে রাষ্ট্রপতি তা নাকচ করে দেন।[২০]

এরপর জাহাঙ্গীরের আটকাদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তার ভাই মো. সোহরাব হোসেন একটি রিট আবেদন করেন। ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেয়। এই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে তিনি ২০ জুলাই লিভ টু আপিল করেন। ২৫ জুলাই প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ তার লিভ টু আপিল আবেদন খারিজ করে দেন।[২১]

রায় কার্যকর[সম্পাদনা]

হত্যাকাণ্ডের ১৭ বছর পর, ২০২৩ সালের ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১ মিনিটে (বিএসটি) রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে দুই আসামীর ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।[২২] প্রথমে আসামি মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনকে এবং পরে জাহাঙ্গীর আলমকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। দুইজনকে ফাঁসিতে ঝোলানোর প্রক্রিয়ায় প্রধান জল্লাদ ছিলেন আলমগীর হোসেনের সহ মোট আটজন জল্লাদ যুক্ত ছিলেন। জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, কারা উপ-মহাপরিদর্শক মো. কামাল হোসেন, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলা সুপার আবদুল জলিল, জেলার নিজাম উদ্দিন, রাজশাহী সিভিল সার্জন ডাক্তার আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক সহ ঊর্ধ্বতন কারা কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।[১৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "অধ্যাপক তাহের হত্যা: দণ্ডিত তিন আসামির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ"দৈনিক প্রথম আলো। ২ মার্চ ২০২৩। ৭ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৩ 
  2. হক, তানজিমুল। "ড. তাহের হত্যার বিচার পেতে যেভাবে লড়েছেন মেয়ে"। রাজশাহী: দৈনিক যুগান্তর। ২৭ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৩ 
  3. আলী, আনোয়ার; কালাম, আবু (২৩ মে ২০০৮)। "RU teacher, 3 others sentenced to death"। রাজশাহী: দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৩ 
  4. রহমান, ওয়ালিউর (৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৬)। "Bangladeshi professor found dead"বিবিসি নিউজ। ৭ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৩ 
  5. "ড. তাহের হত্যার ১৭ বছর পর ২ খুনির ফাঁসি কার্যকর"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২৭ জুলাই ২০২৩। ২৭ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৩ 
  6. "Verdict in RU Prof Taher murder case today"। রাজশাহী: দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)। ২২ মে ২০০৮। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৩ 
  7. "অধ্যাপক তাহের হত্যা: মৃত্যুণ্ডপ্রাপ্ত মহিউদ্দিন চূড়ান্ত বরখাস্ত হন এক মাস আগে"। banglanews24। ৯ জুলাই ২০২৩। ১৩ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৩ 
  8. "Dr Mohiuddin admits involvement in prof Taher killing in Rajshahi"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৬। ২৭ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৩ 
  9. "রাবি অধ্যাপক তাহের হত্যা: দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর"দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০২৩ 
  10. "ড. তাহের হত্যার বিচার পেতে যেভাবে লড়েছেন মেয়ে"www.jugantor.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০২৩ 
  11. হাবিব, বুলবুল (৭ এপ্রিল ২০২২)। "বাবার হত্যার বিচার পেতে আইনজীবী মেয়ের ১৬ বছরের লড়াই"দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। ৭ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৩ 
  12. "Accused threaten witnesses"। রাজশাহী: দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮। ২৭ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৩ 
  13. "ড. তাহের হত্যার ১৭ বছর পর ২ খুনির ফাঁসি কার্যকর"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২৭ জুলাই ২০২৩। ২৭ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৩ 
  14. "Prof Taher's family, RU teachers feel insecure as Salehi released"। রাজশাহী: দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)। ২৪ মে ২০০৮। ২৭ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৩ 
  15. প্রতিবেদক, সুপ্রিম কোর্ট। "ড. তাহের হত্যামামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৭ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৩ 
  16. "মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি ও রায় কার্যকরের দাবি সহকর্মীদের"দৈনিক প্রথম আলো। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। ২৮ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৩ 
  17. প্রতিবেদক, নিজস্ব (৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলার বিচারকাজ দ্রুত শেষ করার দাবি"দৈনিক প্রথম আলো। ২৭ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৩ 
  18. "ফাঁসি কার্যকর স্থগিত চাওয়া এক আসামির আবেদন খারিজ"দৈনিক সমকাল। ২৭ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৩ 
  19. "অধ্যাপক হওয়ার পথ পরিষ্কার করতেই তাহেরকে হত্যা"দৈনিক প্রথম আলো। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৩ 
  20. "প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচের চিঠি কারাগারে, দণ্ডিত শিক্ষককে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার"দৈনিক প্রথম আলো। ৯ জুলাই ২০২৩। ১৩ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৩ 
  21. "অধ্যাপক তাহের হত্যা : ফাঁসি আটকানোর আবেদন খারিজ"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ২৫ জুলাই ২০২৩। ২৫ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৩ 
  22. "রাজশাহী কারাগারে অধ্যাপক তাহেরের দুই খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর"দৈনিক প্রথম আলো। ২৭ জুলাই ২০২৩। ২৮ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৩