এরজুরুম গ্র্যান্ড মসজিদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এরজুরুম গ্র্যান্ড মসজিদ

Erzurum Ulu Cami

মসজিদের কৌনিক দৃশ্য

অবস্থান এরজুরুম, তুরস্ক
প্রতিষ্ঠিত ১১৭৯ খ্রিষ্টাব্দ
মালিকানা নাসরদ্দিন আসলান মেহমেদ
স্থাপত্য তথ্য
ধারণক্ষমতা ১০০০০+
গম্বুজ
মিনার
ভবনের উপকরণ ইট

এরজুরুম গ্র্যান্ড মসজিদ (তুর্কি: Erzurum Ulu Cami) তুরস্কের এরজুরুমের একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। এটিকে আতাবে মসজিদও বলা হয়, কারণ সালতুকিদের "আতাবে" হিসেবে উল্লেখ করা হতো।[১]

মসজিদটি সালতুকের আমির "নাসরদ্দিন আসলান মেহমেদ" ১১৭৯ খ্রিস্টাব্দে (হিজরি: ৫৭৬) তৈরি করেন। মসজিদটি প্রাক-উসমানীয় সেলজুক যুগের ক্লাসিক আয়তাকার মডেলে তৈরি।[১]

শুক্রবার জুমার নামাজ ও পবিত্র রজনীগুলোতে মসজিদটি প্রায় ১০,০০০ মুসল্লি ধারণ করতে পারে।

কাঠামো[সম্পাদনা]

মসজিদের ছাদটি মিহরাব দেয়ালের সাথে লম্বভাবে নির্মাণ করা হয়। এটি একটি প্রশস্ত মধ্য নেভ নিয়ে গঠিত, যার উভয় পাশে তিনটি নেভসহ মোট সাতটি নেভ রয়েছে। মসজিদটি ২০টি মুক্ত "এল", "টি" এবং আয়তাকার আকৃতির স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে এবং এর পরিমাপ ৫১ × ৫৪ মিটার (১৬৭ × ১৭৭ ফু্ট)। ছাদটি ৪০টি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে, যার মধ্যে ১৬টি স্তম্ভই দেয়াল সংলগ্ন।[২][১][৩]

মসজিদটির পূর্ব দিকের প্রথম দরজার উভয় পাশে একটি বেদি রয়েছে, যেখানে ১৮৬০ সালে তৈরিকৃত শিলালিপিটিও অবস্থিত। মসজিদের প্রথম নির্মাণ অর্থাৎ সামনের মিহরাব প্রাচীরটি সূক্ষ্ম খিলানের উপর অবস্থিত বৃহৎ ঝুল বিশ্রামাগারের সাথে একটি গম্বুজ দ্বারা আচ্ছাদিত। "সোয়ালো ডোম" নামে পরিচিত এই গম্বুজটি একটি টেংড়া হিসাবে তৈরি করা হয় এবং এটি বিশ্বাস করা হয় যে, এটি ভবনটির আসল রূপ বহন করে। মসজিদের ডান পাশে গোলাকার এবং একক প্রার্থনাগারসহ একটি ইটের মিনার রয়েছে। মসজিদের ভেতর দিয়ে মিনারে পৌঁছা যায়।[২][১][৩]

সংস্কার[সম্পাদনা]

মসজিদটি পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে মেরামত করা হয়। এটি "উসমানীয় সুলতান মুরাদ চতুর্থের" সময় খাদ্য সঞ্চয়াগার হিসাবে ব্যবহৃত হত। এরজুরুমের গভর্নর "হুসেইন পাশা" ১৬৩৯ সালে এবং "আলী এফেন্দি" ১৮২৬ সালে মসজিদটি মেরামত করেন। তারপর ১৮৫৮ সালে এবং ১৮৬০ সালে মসজিদটি পুনরায় মেরামত করা হয়।[২][১][৩]

আলোকসজ্জা[সম্পাদনা]

মসজিদটি ২৮টি জানালা দ্বারা আলোকিত। দক্ষিণের দ্বিতীয় জানালায় ১৮২৬ সালের একটি মেরামতকৃত শিলালিপি রয়েছে।[২] এছাড়া দুটি গোলাকার জানালা মিহরাব প্রাচীরের কিছুটা উপরে বসে আছে। যেগুলো দুপুর এবং বিকেলে যোহর এবং আসরের নামাজের সময় নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। বামদিকের গোলাকার জানালা থেকে আসা আলো দুপুরের আগ পর্যন্ত মেঝেতে একটি ডিম্বাকৃতি তৈরি করে যা জোহরের নামাজের সময় একটি বৃত্তে পরিণত হয়। একইভাবে, আসরের নামাজের সময় ডানদিকের গোলাকার জানালা থেকে আসা আলো ডিম্বাকৃতি থেকে ক্রমান্বয়ে বৃত্তে পরিণত হয়।[১]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Erzurum Grand Mosque History,Opening Hours,Information,Locaiton,Map Turkey"imturkey.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৩ 
  2. "Grand Mosque of Erzurum, Culture Portal of Turkey"www.kulturportali.gov.tr। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-০৬ 
  3. "Archnet"www.archnet.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৩