লাল পাশা মসজিদ

স্থানাঙ্ক: ৩৬°৩৮′৪০″ উত্তর ৩৩°২৬′১০″ পূর্ব / ৩৬.৬৪৪৪৪৪° উত্তর ৩৩.৪৩৬১১১° পূর্ব / 36.644444; 33.436111
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লাল পাশা মসজিদ
ধর্ম
প্রদেশমারসিন প্রদেশ
অঞ্চলভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল
ধর্মীয় অনুষ্ঠানসুন্নি
অবস্থাসক্রিয়
অবস্থান
অবস্থানতুরস্ক মারসিন, তুরস্ক
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
সম্পূর্ণ হয়১৪৪৪ খ্রিষ্টাব্দ

লাল পাশা মসজিদ মারসিন প্রদেশের মুত শহরে অবস্থিত একটি মধ্যযুগীয় মসজিদ। এটি লাল পাশা, লায়েল পাশা এবং লালা আগা নামেও পরিচিত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

লাল পাশা আনাতোলিয়ার তুর্কমেন কারামানি সাম্রাজ্যের একজন কর্মচারী ছিলেন। তিনি তার যৌবনে কারামানের আলাউদ্দিন বের একজন ভৃত্য ছিলেন। কিন্তু আলাউদ্দিন বে তাকে প্রশিক্ষণ দান করেন এবং নিগদে ও মুতসহ কারামানের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন শহরের গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত করেন। [১] কারামানের ইবরাহিম বের নির্দেশে লাল পাশা মসজিদটি ১৪৪৪ খ্রিষ্টাব্দের দিকে লাল পাশা কতৃর্ক নির্মিত হয়। ১৪৭১ খ্রিষ্টাব্দের পর উসমানীয় সেনাপতি গেদিক আহমেদ পাশা কারামান রাজ্যের সকল এলাকা দখল করেন। যুদ্ধ চলাকালে কারামানিদের নির্মিত অনেক স্থাপত্য ধ্বংস করা হয়। কিন্তু লাল পাশা মসজিদটি অক্ষত থাকে। মসজিদে খচিত শিলালিপি অনুসারে, মসজিদটিতে অতীতে দুইবার বড় মাপের মেরামত কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পঞ্চাশ বছর পূর্বে মসজিদের মিনারটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর মিনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল।

মসজিদের নকশা[সম্পাদনা]

লাল পাশা মসজিদটি শহরের মাঝে একটি প্রাসাদ ও সরাইখানার মাঝখানে অবস্থিত। এগুলি প্রাচীনতার দিক থেকে মসজিদটির সমবয়সী। মসজিদটির নকশা বর্গাকৃতির এবং এই রীতি পরবর্তীতে উসমানীয় স্থাপত্যকলায় জনপ্রিয় শৈলীতে পরিণত হয়। মসজিদটিতে সমতল পাথর দ্বারা নির্মিত একটি বড় গম্বুজ রয়েছে। মসজিদের মূল অংশটি পাঁচটি ছোট গম্বুজ দ্বারা আচ্ছাদিত।[২] মসজিদ প্রাঙ্গণে দুইটি কোণাকৃতি সমাধি রয়েছে যাদের একটি আদিম এবং অপর একটি উসমানীয়রা সংযোজন করে। ১৭শ শতাব্দীতে তুর্কি ভ্রমণকাহিনী লেখক এভলিয়া চেলেবির বর্ণনা অনুসারে লাল পাশা মসজিদের প্রাঙ্গণের প্রথম সমাধিতে লাল পাশার কবর রয়েছে।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Mut mayor's page"। ২৬ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৬ 
  2. "মারসিন মেয়রের পাতা"। ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৬ 
  3. "Mut governor's page"। ২২ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৬