আলাপ:ভারতে ধর্মীয় সহিংসতা

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
আলোচনা যোগ করুন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাম্প্রতিক মন্তব্য: Jonoikobangali কর্তৃক ১৫ বছর পূর্বে "অসহিষ্ণুতা" অনুচ্ছেদে

"হিংসা" নামটা দ্ব্যর্থবোধক, এটা দিয়ে jealousy-ও বোঝায়। "সহিংসতা" ভাল substitution হতে পারে। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ২০:২৯, ২১ জানুয়ারি ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন

সবার মত জানার পর সরিয়ে নেওয়া যাবে। ।ধন্যবাদ সহ--জয়ন্ত (আলাপ | অবদান) ০৪:১৭, ২২ জানুয়ারি ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন
হিংসা শব্দটি conflict অর্থে ব্যবহার কম হয়ে থাকে, আর তাছাড়া এটি বেশ বিভ্রান্তিকর, কারণ jealousy অর্থও বোঝায়। অর্ণবের প্রস্তাব অনুসারে এর বদলে "সহিংসতা" ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছি। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ০৬:৪১, ২২ জানুয়ারি ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন
Jealousy বোঝাতে বাংলায় 'হিংসা' কথাটির চেয়ে 'হিংসে' কথাটিই ব্যবহৃত হয়। কথ্য বাংলাতেই তার চল বেশি। লেখ্য বাংলায় 'ঈর্ষা' কথাটিই প্রচলিত। 'হিংসা' কথাটা ভায়োলেন্স অর্থে প্রায়শই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অনেকে মনে করছেন এটি হিন্দির প্রভাবে এসেছে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের এবং পরবর্তীকালের অনেক সাহিত্যিকের রাজনৈতিক ও সামাজিক গদ্যরচনাতেও শব্দটি পাচ্ছি। তাই এটিকে হিন্দির লোন ওয়ার্ড ভাবা উচিত নয়। আজকাল তো বহুল প্রচলিত। তবে একান্ত ব্যবহারকারীদের আপত্তি থাকলে এটা বদলে দেওয়া যেতে পারে। 'সহিংসতা' কথাটি ঠিক প্রচলিত নয়। ভায়োলেন্স-এর বাংলা 'হিংসাত্মক ঘটনা' হওয়াই বাঞ্ছনীয়। ধন্যবাদ--অর্ণব দত্ত ১৬:২৮, ২২ জানুয়ারি ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন
সহিংসতা শব্দটি violence অর্থে বহুল প্রচলিত, গুগল সার্চে দেখছি যে বিবিসি বাংলা, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, ইরান রেডিও এসব স্থানে ব্যবহার করা হচ্ছে। "হিংসা" শব্দটিও যে ব্যবহার করা হচ্ছে না তা নয়, ডয়চে ভেলে, চায়না রেডিও - এদের সাইটে violence অর্থে হিংসা শব্দটি ব্যবহার হচ্ছে। হতে পারে যে, বাংলাদেশে এই শব্দটি এই অর্থে কম ব্যবহৃত হয় বলে অর্ণব জাহীন এবং আমার কাছে বেখাপ্পা ঠেকছে। এই ব্যাপারে অর্ণব জাহীনের মতামত আশা করি। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ২০:৫১, ২২ জানুয়ারি ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন
এটা মনে হয় বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গের working vocabulary-র মধ্যে পার্থক্যের আরেকটা ছোট উদাহরণ। রাগিব যেমন বলেছেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমে violence বোঝাতে প্রায় সবসময় "সহিংসতা" শব্দটা ব্যবহার করা হয়, "হিংসা" নয়। আবার অর্ণব দত্তের কথা শুনে মনে হচ্ছে "সহিংসতা" পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের কাছে বেখাপ্পা লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে মধ্যম পন্থা হিসেবে "হিংসাত্মক ঘটনা" লিখলে মনে হয় ভাল হয়। এটা মনে হয় দুই বাংলার মানুষের কানেই ঠিক শোনাবে। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৪:০২, ২৩ জানুয়ারি ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন
এই আলাপে আগের মেলটি লিখতে লিখতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। তাই শেষ না করেই উঠে যেতে হয়েছিল।

হিংসা সম্পর্কে বলি। জ্ঞানেন্দ্রমোহনের অভিধানে এই শব্দটির তিনটি অর্থ – (১) প্রাণবধ, মারন ; (২) ঈর্ষা, বিদ্বেষ, (৩) অনিষ্ট, ক্ষতি। সংসদ বা বাংলা আমাদেমির অভিধান আমার সংগ্রহে না থাকায় তাদের সংজ্ঞা দিতে পারলাম না। তবে বাংলা আকাদেমি প্রকাশিত প্রশাসন পরিভাষায় violence কথাটির যে তিনটি বাংলা পরিভাষা ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলি হল – হিংস্রতা, প্রচণ্ডতা ও হিংসা। সেই অর্থেই পশ্চিমবঙ্গে এই হিংসা কথাটা প্রচলিত।

জাহীন ভাই ঠিক যে যুক্তিতে হিংসাত্মক ঘটনার পক্ষে মত প্রকাশ করলেন, আমিও ঠিক একই কারণে সেই মত প্রকাশ করছি। তবে বিশেষত এই নিবন্ধটি যদি ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা রাখা হয়, তবে কেমন হয়। মূল ইংরেজি নিবন্ধটি পড়ে এই নামটিই এই নিবন্ধের জন্য যথোপযুক্ত বলে মনে হল।

ওয়ার্কিং ভোকাবুলারির ব্যাপারটি হয়তো ঠিক। যায়নি। দুটি দেশ আলাদা। দুটি দেশের সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় বিস্তর ফারাক। তাই পরিভাষা নির্মানে তার ছাপ পড়বেই। বাংলাদেশের কিছু কিছু পরিভাষা আমাদের পশ্চিমবঙ্গে প্রচলিত বাংলাতে একটু অন্যরকম লাগে। সেটা তো হবেই। ব্রিটিশ আর আমেরিকানদের ইংরেজিতে কি পার্থক্য হয় না? তবে আমাদের সৌভাগ্য যে আমাদের পার্থক্যটা ওদের মতো বিরাট আকার নেয়নি। এখনও বাংলা ভাষা বাংলাদেশী বাংলা আর পশ্চিমবঙ্গীয় বাংলায় ভাগ হয়ে উইকিপিডিয়াকে আন্তর্জাতিক মান দিতে হলে, আমাদের এই পরিভাষাগত ফারাকটিকে কাছাকাছি আনতে হবে। সহিংসতা বাংলাদেশে প্রচলিত, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে নয়। তার মানে এই নয় পশ্চিমবঙ্গ বা ভারত সংক্রান্ত কোনও লেখায় এটি ব্যবহার করা যাবে না। হিংসা কথাটির ব্যাপারেও একই কথা। বাক্যের সৌন্দর্য যথাসম্ভব বজায় রেখে তা করলে কোনো দোষ নেই। আমি ঠিক সেইটুকুই বলছিলাম। যদি কোনো বাক্যের গঠনে হিংসাত্মক ঘটনা অপেক্ষা সহিংসতা কথাটিকে বেশি সাবলীল লাগে তবে সেটা আকাদেমির পরিভাষা না একাডেমীর পরিভাষা তার বিচার না করাই ভাল। --অর্ণব দত্ত ০৮:০৬, ২৬ জানুয়ারি ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন

অসহিষ্ণুতা[সম্পাদনা]

অসহিষ্ণুতা তো violence নয়। কিন্তু ভারতে তো অনেক অনেক violent ঘটনাও ঘটেছে। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৫:৩৭, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন

আমার মনে হচ্ছে অসহিষ্ণুতা কথাটা থেকে violence-এর ঠিক অভিব্যক্তি প্রকাশ হচ্ছে না, পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা শব্দটা খুব প্রচলিত না হলেও একদম অচেনা নয়। আর অসহিষ্ণুতা শব্দটা violence-এর পরিভাষা বা মানেতেও আসছে না।ধন্যবাদ সহ--জয়ন্ত (আলাপ | অবদান) ০৫:৫৮, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন
অসহিষ্ণুতা দিয়ে একদিকে ভায়োলেন্সও বোঝাবে, আবার সাধারণ বিদ্বেষমূলক আচরণ, যেমন - অন্য ধর্মের বই পোড়ানো বা অন্য ধর্মাবলম্বীদের কোনো পৃথক দেবী বা দেবতার স্তব গাইতে বাধ্য করা - এই জাতীয় ঘটনাগুলিও বোঝাবে। শব্দটি আরো বৃহত্তর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়। সেই কারণেই অসহিষ্ণুতা রাখা হলো। আমার ধারণা, এটা সাধারণ নিবন্ধ। এর পর এর সাব-অর্ডিনেট হিসেবে হিংসা, দাঙ্গা বা অন্যান্য ঘটনার উপর নিবন্ধ সৃষ্টি করা যায়। সেই কারণেই এই জাতীয় নামকরণ।--অর্ণব দত্ত ০৬:০৩, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন
তাহলে ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা এবং হিংসাত্মক ঘটনা শিরোনামে রাখলে ভাল হয়। কেননা অসহিষ্ণুতা শব্দটা দিয়ে দাঙ্গা, ইত্যাদির ভয়াবহতা প্রকাশ পায় না। সাবর্ডিনেট নিবন্ধ হবার পরে আবার নাম পরিবর্তন করার ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৬:৩৯, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন
ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা এবং হিংসাত্মক কার্যকলাপও রাখা যেতে পারে।--দিব্যেন্দু ১৩:৫২, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন

বেশ তবে সকলের সঙ্গে সহমতের ভিত্তিতেই নামকরণ হোক।--অর্ণব দত্ত ১৪:২২, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন