অপূর্ব রাগাঙ্গাল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অপূর্ব রাগাঙ্গাল
ডিভিডি প্রচ্ছদ
পরিচালককৈলাস বলচন্দ
প্রযোজকভি গোবিন্দরজন
জে দুরাইস্বামী
রচয়িতাকে. বলচন্দ
শ্রেষ্ঠাংশেকমল হাসান
মেজর সুন্দররাজন
শ্রীবিদ্যা
জয়াসুধা
নাগেশ
সুরকারএম এস বিশ্বনাথান
চিত্রগ্রাহকবি এস লোকনাথ
সম্পাদকএন আর কিট্টু
প্রযোজনা
কোম্পানি
কলাকেন্দ্র মুভিজ
পরিবেশককলাকেন্দ্র মুভিজ
মুক্তি১৮ আগস্ট ১৯৭৫
স্থিতিকাল১৪৬ মিনিট
দেশভারত
ভাষাতামিল

অপূর্ব রাগাঙ্গাল (তামিল: அபூர்வ ராகங்கள், অনুবাদ 'অভূতপূর্ব গল্প') হচ্ছে ১৯৭৫ সালে মুক্তি পাওয়া একটি তামিল চলচ্চিত্র, এটি কে. বলচন্দের দ্বারা পরিচালনা করেছিলেন।[১] চলচ্চিত্রটিতে কমল হাসান, রজনীকান্ত, শ্রীবিদ্যা, নাগেশ, জয়াসুধা এবং মেজর সুন্দররাজন মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।[২] কলাকেন্দ্র ফিল্মসের ব্যানারে এই চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছিলেন ভি গোবিন্দরজন এবং জে দুরাইস্বামী। চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন এম এস বিশ্বনাথান এবং গীতিকার ছিলেন কন্নদাস[৩][৪]

এই চলচ্চিত্রটির কাহিনী বিক্রম-বেতালের একটি গল্পের উপর আধারিত হলেও অনেকে বলেন যে এটি ১৯৭৩ সালের ইংরেজি চলচ্চিত্র '৪০ ক্যারেট'-এর কাহিনী থেকে অনুপ্রাণিত।[৪] অপূর্ব রাগাঙ্গাল মুক্তি পাবার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলো কারণ এই চলচ্চিত্রটির কাহিনীতে দেখানো হয় যে একটি ২০ বছর বয়সী ছেলে চল্লিশোর্ধ্ব নারীর প্রেমে পড়ে, যেটি ভারতের সমাজের সঙ্গে মানানসই নয়। প্রসন্ন (কমল হাসান) ভৈরবী (শ্রীবিদ্যা) নামের এক সুন্দরী নারীর প্রেমে পড়েন অপরদিকে ভৈরবীর একমাত্র মেয়ে রঞ্জনী (জয়াসুধা) প্রসন্নের বাবার প্রেমে পড়ে।[৫]

১৯৭৫ সালের ১৮ আগস্ট চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়, মুক্তি পাবার পর সমালোচনা হয়েছিলো অনেক কিন্তু তারপরেও এটি ভালো মুনাফা অর্জন করতে পেরেছিলো। এটি তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত) এবং তিনটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ জিতেছিলো, তন্মধ্যে ছিলো ফিল্মফেয়ার সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কার - তামিল। অপূর্ব রাগাঙ্গাল ১৯৮৪ সালে 'এক নায়ী প্যাহেলী' নামে হিন্দি ভাষায় আত্মপ্রকাশ করে যেখানে শ্রীবিদ্যার জায়গায় হেমা মালিনী ছিলেন এবং রজনীকান্ত এর জায়গায় হিন্দি চলচ্চিত্র অভিনেতা সুরেশ ওবেরয় অভিনয় করেন, অপরদিকে কমল হাসান তার প্রসন্ন চরিত্রটিকে সন্দ্বীপ নামে পুনরায় ফুটিয়ে তোলেন।

অভিনেতা কমল হাসন অল্পবয়সে ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেতা পুরস্কার - তামিল অর্জন করেন এই চলচ্চিত্রের জন্য আর পরিচালক কৈলাস বলচন্দ শ্রেষ্ঠ পরিচালক বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার - তামিল পেয়েছিলেন।

কাহিনীইঙ্গিত[সম্পাদনা]

একদিন রাস্তায় গুন্ডাদের সঙ্গে প্রসন্ন (কমল হাসান) এর বড় ধরনের মারামারি হয়, সে আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকে, তাকে ভৈরবী (শ্রীবিদ্যা) দেখতে পেয়ে তার নিজের বাসায় এনে চিকিৎসা সেবা দেয়। প্রসন্ন এবং ভৈরবী দুইজনেই এক অপরের প্রেমে পড়ে এবং বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়, অপরদিকে ভৈরবীর সন্তান রঞ্জনী (জয়সুধা) মাহেন্দ্রানের (মেজর সুন্দররজন) প্রেমে পড়ে যে হচ্ছে প্রসন্নের বাবা। সিনেমার শেষ দিকে হঠাৎ করে ভৈরবীর হারিয়ে যাওয়া স্বামী পান্ডিয়ান (রজনীকান্ত) এসে উপস্থিত হয়।

অভিনয়ে[সম্পাদনা]

সঙ্গীত[সম্পাদনা]

চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন এম এস বিশ্বনাথন

গানের তালিকা
নং.শিরোনামকণ্ঠশিল্পী(গণ)দৈর্ঘ্য
১."আদিসায়া রাগাম"কে. জে. যেসুদাস০৪ঃ০২
২."কাই কোট্টি সিরিপারগাল"সিয়াক মোহাম্মাদ০৩ঃ০৫
৩."কেলভিয়িন নায়াগানে"বাণী জয়রাম , বি. এস. শশীরেখা০৭ঃ২৫
৪."ইয়েড়ু স্বরাঙ্গালুক্কুল"বাণী জয়রাম০৬ঃ০৮

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. K. S. Sivakumaran (২৪ আগস্ট ২০১১)। "Hollywood inspires Kollywood"Daily News Sri Lanka। ২৭ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  2. "It was a small role, but people would remember him"The Hindu। ৮ ডিসেম্বর ২০১২। ১৮ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  3. Dhananjayan 2011, পৃ. 267।
  4. Dhananjayan 2011, পৃ. 266।
  5. "Kamal Hassan turns 60: From 'Chachi 420' to 'Viswaroopam', the actor has always been a master of disguise"। CNN-IBN। ১৮ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ 

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]