ব্রহ্মচর্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৭ নং লাইন: ৭ নং লাইন:
== শব্দটির উৎস্য ==
== শব্দটির উৎস্য ==
ব্রহ্মচর্য শব্দটির দুইটি অংশ। যথা:
ব্রহ্মচর্য শব্দটির দুইটি অংশ। যথা:
# [[ব্রহ্ম]]: ব্রহ্ম মানে নিজের আত্ম, চূড়ান্ত অপরিবর্তনীয় বাস্তবতা, পরম চেতনা, [[উপনিষদ|উপনিষদে]] অনেক আলোচনা করা হয়েছে।<ref name="BondKunin2003p231">{{cite book|author1=Helen K. Bond |author2=Seth D. Kunin|author3=Francesca Murphy |title=Religious Studies and Theology: An Introduction |url=https://books.google.com/books?id=HokZ5UW5fZsC&pg=PA231 |year=2003|publisher=New York University Press |isbn=978-0-8147-9914-7 |pages=231 }}</ref><ref>{{cite book|author=William Sweet |title=Approaches to Metaphysics |url=https://books.google.com/books?id=cyCme74cZ1IC |year=2006|publisher=Springer |isbn=978-1-4020-2182-4|pages=145–147 }}</ref><ref>{{cite book|author=H. James Birx |title=Encyclopedia of Anthropology |url=https://books.google.com/books?id=8m_vBQAAQBAJ |year=2005|publisher=SAGE Publications|isbn=978-1-4522-6536-0 |pages=1279 }}</ref> [[ব্রহ্মা]]ও সৃষ্টির বৈদিক ঈশ্বর, স্বয়ং বা [[আত্মা (হিন্দু দর্শন)|আত্মার]] থেকে আলাদা নয়।
# [[ব্রহ্ম]]
# চর্য
# চর্য



০৭:১৯, ১২ জুলাই ২০২৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ব্রহ্মচর্য পালনকারী ব্রহ্মচারী

ব্রহ্মচর্য (/ˌbrɑːməˈʌrjə/; সংস্কৃত: ब्रह्मचर्य, অনু.  'শুদ্ধ আচরণ')[১] ভারতীয় ধর্মে একটি ধারণা যার আক্ষরিক অর্থ হল নিজের আত্মের মধ্যে আচরণে থাকা। যোগহিন্দুধর্মবৌদ্ধধর্ম ও জৈনধর্মে এটি  সাধারণত একটি জীবনধারাকে বোঝায় যেটি যৌন সংযম বা সম্পূর্ণ বিরত থাকার দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। অন্যদিকে ব্রহ্মচর্য বলতে আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য ইচ্ছাকৃত কৌমার্য-ব্রত বোঝায় এবং এক্ষেত্রে ব্রহ্মচর্য অর্থ হল কায়-মন-বাক্যে সর্বদা পবিত্রতা রক্ষা করা। পুরুষ ব্রহ্মচর্য পালনকারীকে ব্রহ্মচারী এবং নারী ব্রহ্মচর্য পালনকারীকে ব্রহ্মচারিনী বলে।

হিন্দু, জৈন ও বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ঐতিহ্যে, ব্রহ্মচর্য অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, যৌনতা এবং বিবাহের বাধ্যতামূলক ত্যাগকে বোঝায়।[২] এটি একজন সন্ন্যাসীর আধ্যাত্মিক অনুশীলনের জন্য প্রয়োজনীয় বলে মনে করা হয়।[৩] ধর্মীয় জীবনের পশ্চিমা ধারণা যেমন সন্ন্যাসীদের পরিবেশে অনুশীলন করা হয় এই বৈশিষ্ট্যগুলিকে প্রতিফলিত করে।

শব্দটির উৎস্য

ব্রহ্মচর্য শব্দটির দুইটি অংশ। যথা:

  1. ব্রহ্ম: ব্রহ্ম মানে নিজের আত্ম, চূড়ান্ত অপরিবর্তনীয় বাস্তবতা, পরম চেতনা, উপনিষদে অনেক আলোচনা করা হয়েছে।[৪][৫][৬] ব্রহ্মাও সৃষ্টির বৈদিক ঈশ্বর, স্বয়ং বা আত্মার থেকে আলাদা নয়।
  2. চর্য

ব্রহ্ম শব্দটির অর্থ হল স্রষ্টা বা সৃষ্টিকর্তা এবং চর্য শব্দটির অর্থ হল অনুসরনকৃত। অনেক সময় চর্য বলতে ধর্মীয় জীবন পদ্ধতিও বুঝায়। সুতরাং ব্রহ্মচর্য শব্দটি একটি ধর্মীয় বিধিসম্মত জীবনপদ্ধতি নির্দেশ করে।

বিস্তারিত

বৈদিক আশ্রম ব্যবস্থা অনুযায়ী ব্রহ্মচর্য জ়ীবনের ১ম ২০ বছর বা ২৫ বছর পর্যন্ত ব্রহ্মচর্যের অন্তর্গত। প্রাচীন হিন্দু সমাজ অনুযায়ী মানুষের জীবনকালকে ১০০ বছর কল্পনা করে ৪টি ভাগে ভাগ করা হত। এর মধ্যে প্রথম ভাগ হল ব্রহ্মচর্য। অন্য তিনটি হল যথাক্রমে গার্হস্থ্য,বানপ্রস্থ এবং সন্ন্যাস

সনাতন ধর্ম অনুসারে ব্রহ্মচর্য ভাগে একটি শিশুকে ৫ বছর বয়সে গুরুর নিকট বৈদিক জ্ঞান অর্জনের জন্য পাঠানো হত। এর পর উপনয়ন অনুষ্ঠান এর মাধ্যমে উপবীত বা পৈতা ধারণ করে সে তার গুরুগৃহে বিদ্যারম্ভ করত। সঠিক বিদ্যার্জনের পর সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সে ২৫ বছর বয়শে গুরুগৃহ ত্যাগ করত।

ব্রহ্মচর্য আশ্রমে একজন শিষ্যকে কঠোর ধর্মীয় অনুসরন করে চলতে হত। এই সময় সে তার গুরুর কাছ থেকে ধর্মীয় অনুশাসন, সদাচার, সঠিক জ়ীবন-পদ্ধতি, দায়িত্ব-কর্তব্যবোধ, ধ্যান, যোগসাধনা মানবতাবোধ ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করত। সনাতন ধর্ম অনুযায়ী ৫ বছর বয়সে ব্রহ্মচর্য শুরু হলেও জৈন ধর্মের শ্রামানিক অনুযায়ী সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক হবার পর ব্রহ্মচর্য আশ্রম শুরু হয়। বৌদ্ধ ধর্মে নির্বাণ লাভের জন্য আজীবন ব্রহ্মচর্য পালন করা বাঞ্ছনীয় ।

  1. Britannica, T. Editors of Encyclopaedia. "Brahmacharya." Encyclopedia Britannica, https://www.britannica.com/topic/brahmacharya.
  2. Carl Olson (2007), Celibacy and Religious Traditions, Oxford University Press, আইএসবিএন ৯৭৮-০১৯৫৩০৬৩২৩, page 227-233
  3. DR Pattanaik (1998), The Holy Refusal, MELUS, Vol. 23, No. 2, 113–127
  4. Helen K. Bond; Seth D. Kunin; Francesca Murphy (২০০৩)। Religious Studies and Theology: An Introduction। New York University Press। পৃষ্ঠা 231। আইএসবিএন 978-0-8147-9914-7 
  5. William Sweet (২০০৬)। Approaches to Metaphysics। Springer। পৃষ্ঠা 145–147। আইএসবিএন 978-1-4020-2182-4 
  6. H. James Birx (২০০৫)। Encyclopedia of Anthropology। SAGE Publications। পৃষ্ঠা 1279। আইএসবিএন 978-1-4522-6536-0