বিষয়বস্তুতে চলুন

বৈদ্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইতিহাস ব্রাউজ করুন
← পূর্বের পার্থক্যপরবর্তী পার্থক্য →
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
দৃশ্যমানউইকিপাঠ্য
Ekdalian (আলোচনা | অবদান)
১৯১টি সম্পাদনা
Ekdalian (আলোচনা | অবদান)
১৯১টি সম্পাদনা
→‎ইতিহাস: অনুলিপি এবং সম্পাদন
৫৭ নং লাইন: ৫৭ নং লাইন:


===সালতানাত ও মুঘল বাংলা===
===সালতানাত ও মুঘল বাংলা===
সালতানাত, মুঘল এবং নবাবী বাংলায়, বৈদ্যরা প্রায়শই চিকিৎসা ব্যতীত অন্য ক্ষেত্রগুলিতে শাখা তৈরি করে এবং অভিজাতদের একটি উল্লেখযোগ্য শতাংশে পরিণত হয়। তারা সংস্কৃতে তাদের দক্ষতার জন্য সুনাম অর্জন করেছিল, যা তাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত গ্রন্থ পড়ার প্রয়োজন ছিল। ষোড়শ শতাব্দীর শেষের দিকে, ব্রাহ্মণ ও কায়স্থদের পাশাপাশি বৈদ্যরা বাঙালি সামাজিক শ্রেণিবিন্যাসে অগ্রাধিকারের একটি অবস্থান দখল করেছিল; বৈদ্য ও কায়স্থদের মধ্যে বিবাহ ছিল সাধারণ ব্যাপার।<ref name=":0" /><ref>{{cite book|last=Inden|first=Ronald B.|url=https://books.google.com/books?id=P8b9A7J_v-UC&pg=PA28|title=Marriage and Rank in Bengali Culture: A History of Caste and Clan in Middle Period Bengal|publisher=University of California Press|year=1976|isbn=978-0-52002-569-1|pages=28–29|author-link=Ronald Inden}}</ref><ref>{{cite book|last=Mukherjee|first=S. N.|title=Elites in South Asia|publisher=Cambridge University Press|year=1970|editor1-last=Leach|editor1-first=Edmund|pages=55–56|chapter=Caste, Class and Politics in Calcutta, 1815-1838|editor2-last=Mukherjee|editor2-first=S. N.|chapter-url=https://books.google.com/books?id=2u88AAAAIAAJ&pg=PA56}}</ref><ref name=":3" /><ref name=":132" />
সালতানাত, মুঘল এবং নবাবী বাংলায়, বৈদ্যরা প্রায়শই চিকিৎসা ব্যতীত অন্য ক্ষেত্রগুলিতে শাখা তৈরি করে এবং অভিজাতদের একটি উল্লেখযোগ্য শতাংশে পরিণত হয়। তারা সংস্কৃতে তাদের দক্ষতার জন্য সুনাম অর্জন করেছিল, যা তাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত গ্রন্থ পড়ার প্রয়োজন ছিল। ষোড়শ শতাব্দীর শেষের দিকে, ব্রাহ্মণ ও কায়স্থদের পাশাপাশি বৈদ্যরা বাঙালি সামাজিক শ্রেণিবিন্যাসে অগ্রাধিকারের একটি অবস্থান দখল করেছিল; বৈদ্য ও কায়স্থদের মধ্যে বিবাহ ছিল সাধারণ ব্যাপার।<ref name=":0" /><ref>{{cite book|last=Inden|first=Ronald B|url=https://books.google.com/books?id=P8b9A7J_v-UC&pg=PA28|title=Marriage and Rank in Bengali Culture: A History of Caste and Clan in Middle Period Bengal|publisher=University of California Press|year=1976|isbn=978-0-52002-569-1|pages=28–29|author-link=Ronald Inden}}</ref><ref>{{cite book|last=Mukherjee|first=S. N.|title=Elites in South Asia|publisher=Cambridge University Press|year=1970|editor1-last=Leach|editor1-first=Edmund|pages=55–56|chapter=Caste, Class and Politics in Calcutta, 1815-1838|editor2-last=Mukherjee|editor2-first=S. N.|chapter-url=https://books.google.com/books?id=2u88AAAAIAAJ&pg=PA56}}</ref><ref name=":3" /><ref name=":132" />


পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষের দিকে, বৈদ্যরা ব্রাহ্মণদের পাশাপাশি চৈতন্য সম্প্রদায়ের সাথে জড়িত হয়ে পড়ে। মুরারি গুপ্ত, চৈতন্যের বাল্যবন্ধু, নবদ্বীপের একজন খ্যাতিমান চিকিৎসক ছিলেন এবং কৃষ্ণচৈতন্য চরিতামৃত রচনা করেছিলেন, সংস্কৃতে তাঁর প্রাচীনতম বর্তমান জীবনী। নরহরি সরকার, আরেকজন বৈদ্য ভক্ত, কৃষ্ণ ভজনামৃত রচনা করেছিলেন, একটি ধর্মতাত্ত্বিক ভাষ্য। শিবানন্দ সেনা, একজন অপরিমেয় ধনী বৈদ্য, পুরীতে চৈতন্য ভক্তদের বার্ষিক ভ্রমণের আয়োজন করে এবং তার পুত্র বেশ কিছু ভক্তিমূলক সংস্কৃত রচনা লিখেছিলেন। যেহেতু চৈতন্য সম্প্রদায় তার মৃত্যুর পর সমতার মতবাদকে পরিত্যাগ করেছিল, তাই সংশ্লিষ্ট বৈদ্যরা গৌড়ীয় বশিহ্নব গুরু হিসেবে আধা-ব্রাহ্মণীয় মর্যাদা উপভোগ করতে শুরু করে।<ref name=":3" /><ref name=":15">{{Cite book|last=Dimock|first=Edward C.|title=Caitanya Caritamrta of Krsnadasa Kaviraja: A Translation and Commentary|editor-last=Stewart|editor-first=Tony K.|series=Harvard Oriental Series: 56|location=Cambridge|pages=|chapter=Personae}}</ref> শিবানন্দ সেনা, একজন অপরিমেয় ধনী বৈদ্য, পুরীতে চৈতন্য ভক্তদের বার্ষিক ভ্রমণের আয়োজন করে এবং তার পুত্র বেশ কিছু ভক্তিমূলক সংস্কৃত রচনা লিখেছিলেন।<ref name=":15" /><ref>{{Cite book|last=Lutjeharms|first=Rembert|title=A Vaisnava Poet in Early Modern Bengal: Kavikarnapura's Splendour of Speech|publisher=Oxford University Press|year=2018|isbn=9780198827108|pages=24|chapter=On Kavikarṇapūra}}</ref>
পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষের দিকে, বৈদ্যরা ব্রাহ্মণদের পাশাপাশি চৈতন্য সম্প্রদায়ের সাথে জড়িত হয়ে পড়ে। মুরারি গুপ্ত, চৈতন্যের বাল্যবন্ধু, নবদ্বীপের একজন খ্যাতিমান চিকিৎসক ছিলেন এবং কৃষ্ণচৈতন্য চরিতামৃত রচনা করেছিলেন, সংস্কৃতে তাঁর প্রাচীনতম বর্তমান জীবনী। নরহরি সরকার, আরেকজন বৈদ্য ভক্ত, কৃষ্ণ ভজনামৃত রচনা করেছিলেন, একটি ধর্মতাত্ত্বিক ভাষ্য। শিবানন্দ সেনা, একজন অপরিমেয় ধনী বৈদ্য, পুরীতে চৈতন্য ভক্তদের বার্ষিক ভ্রমণের আয়োজন করে এবং তার পুত্র বেশ কিছু ভক্তিমূলক সংস্কৃত রচনা লিখেছিলেন। যেহেতু চৈতন্য সম্প্রদায় তার মৃত্যুর পর সমতার মতবাদকে পরিত্যাগ করেছিল, তাই সংশ্লিষ্ট বৈদ্যরা গৌড়ীয় বশিহ্নব গুরু হিসেবে আধা-ব্রাহ্মণীয় মর্যাদা উপভোগ করতে শুরু করে।<ref name=":3" /><ref name=":15">{{Cite book|last=Dimock|first=Edward C.|title=Caitanya Caritamrta of Krsnadasa Kaviraja: A Translation and Commentary|editor-last=Stewart|editor-first=Tony K.|series=Harvard Oriental Series: 56|location=Cambridge|pages=|chapter=Personae}}</ref> শিবানন্দ সেনা, একজন অপরিমেয় ধনী বৈদ্য, পুরীতে চৈতন্য ভক্তদের বার্ষিক ভ্রমণের আয়োজন করে এবং তার পুত্র বেশ কিছু ভক্তিমূলক সংস্কৃত রচনা লিখেছিলেন।<ref name=":15" /><ref>{{Cite book|last=Lutjeharms|first=Rembert|title=A Vaisnava Poet in Early Modern Bengal: Kavikarnapura's Splendour of Speech|publisher=Oxford University Press|year=2018|isbn=9780198827108|pages=24|chapter=On Kavikarṇapūra}}</ref>
৭৮ নং লাইন: ৭৮ নং লাইন:


ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত বৈদ্যরা নিঃসন্দেহে হিন্দু 'উচ্চ বর্ণের' মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল; তারা ব্রাহ্মণ ও কায়স্থদের সাথে সমসাময়িক বাংলার সর্বোচ্চ 'ধর্মনিরপেক্ষ পদমর্যাদার' ভদ্রলোক সমাজ রচনা করবে এবং ব্রিটিশ সরকারের চোখ ও কান হিসেবে কাজ করবে। বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে গণতান্ত্রিক সংস্কারের দাবিতে ভদ্রলোকেরা ভূমিকা রাখবে; ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বাংলার অধিকাংশ 'বিপ্লবী সন্ত্রাসী' এই শ্রেণী থেকে এসেছে।<ref name="CasteCulture&Hegemony" /><ref name="partition">{{Cite book|chapter-url=https://www.taylorfrancis.com/chapters/edit/10.4324/9781315686318-13/partition-mysterious-disappearance-caste-bengal-partha-chatterjee|chapter=Partition and the mysterious disappearance of caste in Bengal|date=2015-09-25|publisher=Routledge India|isbn=978-1-315-68631-8|language=en|doi=10.4324/9781315686318|title=The Politics of Caste in West Bengal|last=Chatterjee|first=Partha |editor=Uday Chandra |editor2=Geir Heierstad |editor3=Kenneth Bo Nielsen}}</ref><ref name=":9">{{Cite journal|last=O'Dell|first=Benjamin D.|title=Beyond Bengal: Gender, Education, and the Writing of Colonial Indian History|date=2014|url=https://www.jstor.org/stable/24575896|journal=Victorian Literature and Culture|volume=42|issue=3|pages=547|doi=10.1017/S1060150314000138|jstor=24575896|s2cid=96476257|issn=1060-1503}}</ref><ref>{{Cite journal|last=Chakrabarti|first=Sumit|date=2017|title=Space of Deprivation: The 19th Century Bengali Kerani in the Bhadrolok Milieu of Calcutta|url=https://www.jstor.org/stable/44508277|journal=Asian Journal of Social Science|volume=45|issue=1/2|pages=56|doi=10.1163/15685314-04501003|jstor=44508277|issn=1568-4849}}</ref><ref name=":9" /><ref>{{Cite web|date=2021-04-01|title=The return of caste to Bengal|url=https://indianexpress.com/article/opinion/columns/west-bengal-assembly-elections-2021-caste-politics-bjp-tmc-7253385/|access-date=2021-07-25|website=The Indian Express|language=en}}</ref><ref>{{Citation|last=Heehs|first=Peter|title=Revolutionary Terrorism in British Bengal|date=2009|url=https://onlinelibrary.wiley.com/doi/abs/10.1002/9781444310085.ch6|work=Terror and the Postcolonial|pages=165|publisher=John Wiley & Sons, Ltd|language=en|doi=10.1002/9781444310085.ch6|isbn=978-1-4443-1008-5|access-date=2021-07-29}}</ref>
ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত বৈদ্যরা নিঃসন্দেহে হিন্দু 'উচ্চ বর্ণের' মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল; তারা ব্রাহ্মণ ও কায়স্থদের সাথে সমসাময়িক বাংলার সর্বোচ্চ 'ধর্মনিরপেক্ষ পদমর্যাদার' ভদ্রলোক সমাজ রচনা করবে এবং ব্রিটিশ সরকারের চোখ ও কান হিসেবে কাজ করবে। বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে গণতান্ত্রিক সংস্কারের দাবিতে ভদ্রলোকেরা ভূমিকা রাখবে; ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বাংলার অধিকাংশ 'বিপ্লবী সন্ত্রাসী' এই শ্রেণী থেকে এসেছে।<ref name="CasteCulture&Hegemony" /><ref name="partition">{{Cite book|chapter-url=https://www.taylorfrancis.com/chapters/edit/10.4324/9781315686318-13/partition-mysterious-disappearance-caste-bengal-partha-chatterjee|chapter=Partition and the mysterious disappearance of caste in Bengal|date=2015-09-25|publisher=Routledge India|isbn=978-1-315-68631-8|language=en|doi=10.4324/9781315686318|title=The Politics of Caste in West Bengal|last=Chatterjee|first=Partha |editor=Uday Chandra |editor2=Geir Heierstad |editor3=Kenneth Bo Nielsen}}</ref><ref name=":9">{{Cite journal|last=O'Dell|first=Benjamin D.|title=Beyond Bengal: Gender, Education, and the Writing of Colonial Indian History|date=2014|url=https://www.jstor.org/stable/24575896|journal=Victorian Literature and Culture|volume=42|issue=3|pages=547|doi=10.1017/S1060150314000138|jstor=24575896|s2cid=96476257|issn=1060-1503}}</ref><ref>{{Cite journal|last=Chakrabarti|first=Sumit|date=2017|title=Space of Deprivation: The 19th Century Bengali Kerani in the Bhadrolok Milieu of Calcutta|url=https://www.jstor.org/stable/44508277|journal=Asian Journal of Social Science|volume=45|issue=1/2|pages=56|doi=10.1163/15685314-04501003|jstor=44508277|issn=1568-4849}}</ref><ref name=":9" /><ref>{{Cite web|date=2021-04-01|title=The return of caste to Bengal|url=https://indianexpress.com/article/opinion/columns/west-bengal-assembly-elections-2021-caste-politics-bjp-tmc-7253385/|access-date=2021-07-25|website=The Indian Express|language=en}}</ref><ref>{{Citation|last=Heehs|first=Peter|title=Revolutionary Terrorism in British Bengal|date=2009|url=https://onlinelibrary.wiley.com/doi/abs/10.1002/9781444310085.ch6|work=Terror and the Postcolonial|pages=165|publisher=John Wiley & Sons, Ltd|language=en|doi=10.1002/9781444310085.ch6|isbn=978-1-4443-1008-5|access-date=2021-07-29}}</ref>

===আধুনিক বাংলা===
আধুনিক বাংলায়, বর্ণ-শ্রেণীবিন্যাসে বৈদ্যদের স্থান ব্রাহ্মণদের অনুসরণ করে — তারা পবিত্র সুতো পরে, ধর্মগ্রন্থে প্রবেশাধিকার পায় এবং সাধারণ উপাধি ব্যবহার করে কিন্তু পুরোহিত সেবা পরিচালনা করতে পারে না। তাদের বর্ণ পদ - শুদ্র হোক বা না হোক - বিতর্কিত এবং ব্রাহ্মণ মর্যাদার দাবি অব্যাহত রয়েছে। তবে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ব্রাহ্মণদের প্রতিদ্বন্দ্বী। 1960 সালের দিকে, শহুরে শিক্ষিত 'দ্বিজ' ব্রাহ্মণ, বৈদ্য এবং কায়স্থদের মধ্যে আন্তঃবিবাহ ছিল বেশ সাধারণ এবং ক্রমবর্ধমান।<ref>{{Citation|last=Roy Chowdhury|first=Sunandan|title=Western University, Indian Nationalisms|date=2017|url=https://doi.org/10.1007/978-981-10-5056-5_3|work=Politics, Policy and Higher Education in India|pages=48|editor-last=Roy Chowdhury|editor-first=Sunandan|place=Singapore|publisher=Springer|language=en|doi=10.1007/978-981-10-5056-5_3|isbn=978-981-10-5056-5|access-date=2021-07-28}}</ref><ref>{{Cite book|last=Ray|first=Saumyajit|title=Multiculturalism: Public Policy and Problem Areas in Canada and India|publisher=Manak Publications|year=2009|editor-last=Raj|editor-first=Christopher S.|location=Canada|pages=90|chapter=Understanding Indian Multiculturalism|editor-last2=McAndrew|editor-first2=Marie}}</ref><ref name="McLean1998">{{cite book | author = Malcolm McLean | date = 1998 | title = Devoted to the Goddess: The Life and Work of Ramprasad | publisher = SUNY Press | pages = 163– | isbn = 978-1-4384-1258-0 | url = https://books.google.com/books?id=gXMgCATFplUC&pg=PA163}}</ref><ref name="BasileMukhopadhyay2009">{{cite book | author=Mario Prayer|editor1 = Elisabetta Basile | editor2= Ishita Mukhopadhyay | chapter=The social context of Politics in Rural West Bengal (1947-92)|date = 1 July 2009 | title = The Changing Identity of Rural India: A Socio-Historic Analysis | publisher = Anthem Press | pages = 203– | isbn = 978-1-84331-823-1 | chapter-url = https://books.google.com/books?id=A5LiM-BR1EsC&pg=PA203}}</ref><ref name="Heierstad2017">{{cite book | author = Geir Heierstad | date = 2 January 2017 | title = Caste, Entrepreneurship and the Illusions of Tradition: Branding the Potters of Kolkata | publisher = Anthem Press | pages = 45–46 | isbn = 978-1-78308-519-4 | url = https://books.google.com/books?id=BcxRDwAAQBAJ&pg=PT46}}</ref><ref name="Khare2010">{{cite book|author=D. Shyam Babu and R.S Khare|title=Caste in Life: Experiencing Inequalities|url=https://books.google.com/books?id=KHg8BAAAQBAJ&pg=PA175|year=2010|publisher=PEARSON INDIA|isbn=978-93-325-0655-8|page=175}}</ref><ref>{{Cite book|last=Lochan|first=Kanjiv|url=https://books.google.com/books?id=dkmmmlClm5wC&dq=Baidya+bengali+sarasvata&pg=PA110|title=Medicines of Early India: With Appendix on a Rare Ancient Text|date=2003|publisher=Chaukhambha Sanskrit Bhawan|isbn=978-81-86937-66-2|pages=110|language=en}}</ref><ref>{{Cite book|last=Lipner|first=Julius|url=https://books.google.com/books?id=qv3fCgAAQBAJ&pg=PA133|title=Hindus: Their Religious Beliefs and Practices|date=2012-10-02|publisher=Routledge|isbn=978-1-135-24061-5|pages=133|language=en|author-link=Julius J. Lipner}}</ref><ref name="RudolphRudolph1984">{{cite book|author1=Lloyd I. Rudolph|url=https://books.google.com/books?id=7guY1ut-0lwC&pg=PA124|title=The Modernity of Tradition: Political Development in India|author2=Susanne Hoeber Rudolph|date=15 July 1984|publisher=University of Chicago Press|isbn=978-0-226-73137-7|pages=124–|quote=And Ronald Inden confirms, after spending 1964 and part of 1965 in Bengal preparing a dissertation on Kayasthas, that intermarriage is becoming increasingly frequent among the urban sections of the Kayasthas, Brahmans, and Vaidyas, that is, among those Western-ized and educated twice-born castes dominating the modern, better-paying, and more prestigious occupations of metropolitan Calcutta and constituting perhaps half of the city's population}}</ref>


== গোত্র ==
== গোত্র ==

০৯:২৫, ১২ জুলাই ২০২২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বাঙালি বৈদ্য
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল
পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ
ভাষা
বাংলা
ধর্ম
হিন্দুধর্ম

বৈদ্য বঙ্গের হিন্দু সম্প্রদায় বিশেষ। বৈদ্যরা, আয়ুর্বেদিক চিকিত্সকদের একটি বর্ণ (জাতি), দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণ এবং কায়স্থ-দের পাশাপাশি সমাজে প্রাধান্য অর্জন করেছে। ঔপনিবেশিক যুগে, এই তিন উচ্চবর্ণ থেকে মূলত ভদ্রলোক শ্রেণি গড়ে ওঠে, যারা পশ্চিমবঙ্গে এখনো যৌথ আধিপত্য বজায় রেখেছে।[১][২][৩][৪][৫]


ব্যুৎপত্তি

বাংলা ও সংস্কৃত ভাষায় বৈদ্য শব্দের অর্থ একজন চিকিৎসক। বাংলাই একমাত্র জায়গা যেখানে তারা একটি জাতি গঠন করেছিল।[৬]

বাঙালি বৈদ্যরা বাংলা ভাষায় কথা বলে, যে ভাষাটি ইন্দো-অ্যারিয়ান ভাষার পরিবারভুক্ত। বাঙালি বৈদ্যরা মূলত হিন্দু দর্শনের অন্তর্গতশৈব, শাক্ত ও বৈষ্ণব মতবাদের অনুসারী[৭][৮]।

পদবি

সেনগুপ্ত / দাশগুপ্ত / গুপ্ত / গুপ্তশর্মা / চৌধুরী(সবাই নয়) / দত্তগুপ্ত / করগুপ্ত/ধরগুপ্ত / বক্সি / মজুমদার(সবাই নয়) / মল্লিক(সবাই নয়) / রায়(সবাই নয়) / রায়চৌধুরী(সবাই নয়) / সেন / সেন চৌধুরী / সেনশর্মা /

উৎপত্তি

বৈদ্যদের উৎপত্তি বিভিন্ন ধরণের তত্ত্ব এবং কখনও কখনও পরস্পরবিরোধী মিথ/শ্রুতি দ্বারা বেষ্টিত এবং অধিকাংশ সময় প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হয়। দুটি বংশবৃত্তান্ত এবং উপপুরাণ বাদ দিয়ে প্রাক-আধুনিক বাংলা সাহিত্যে বর্ণের উৎপত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়নি; এই অঞ্চলের বাইরের কোনো সাহিত্যও তাদের নিয়ে আলোচনা করে না। সম্প্রদায়টি আধা-কিংবদন্তি অম্বোস্থ-র বংশোদ্ভূত বলে দাবি করে - বেশিরভাগই হিন্দু ধর্মগ্রন্থে যারা ক্ষত্রিয় বংশোদ্ভূত বলে ধরা হয়[৯] — কিন্তু এই ধরনের সংযোগ ক্ষীণ।[১০]

উপপুরাণ

উপপুরাণগুলি বাংলার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল: তারা আর্যাবর্তের এতদিনের অশুদ্ধ প্রান্তে ব্রাহ্মণ্য আদর্শের প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করেছিল এবং জনগণের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের জন্য স্থানীয় সংস্কৃতির উপাদানগুলিকে স্থান দিয়েছিল।[১১]

কুলঞ্জি

কুলঞ্জি — বাংলায় স্থানীয় সাহিত্যের একটি রূপ — মূলত বংশগত নিবন্ধ ছিল কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, সমসাময়িক সমাজকে প্রতিফলিত করে প্রবাহিত পাঠ্য; তারা প্রাথমিকভাবে অন্যদের তুলনায় সামাজিক শ্রেণিবিন্যাস প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছিল।[৯]

দুটি বিদ্যমান প্রাক-আধুনিক বৈদ্য কুলঞ্জির মধ্যে, চন্দ্রপ্রভা (17 শতকের শেষের দিকে) অনুসারে আধা-কিংবদন্তি অ্যাম্বোস্থো-এর একটি শাখা বৈদ্য।[১২] যেখানে সামান্য পুরানো সদ্বৈদ্যকুলাপঞ্জিকা তা উল্লেখ করে না।[১৩] উভয়ই আদিসুর এবং বল্লাল সেনাকে নিজেদের বলে দাবি করে; কিছু ব্রাহ্মণ কুলঞ্জিদের দ্বারা এটি একমত হলেও কায়স্থদের দ্বারা প্রত্যাখ্যান করা হয়।[১৪] চন্দ্রপ্রভা অনুসারে, বৈদ্যরা যথাসময়ে তাদের সদাচারের (ভাল আচরণ) জন্য কুলীন মর্যাদা অর্জন করেছিল যখন সদ্বৈদ্যকুলাপঞ্জিকা কুলীন মর্যাদা প্রদানের বল্লাল সেনের জনপ্রিয় ঐতিহ্যের পুনরাবৃত্তি করেছিল।[২][১০] সেনারা বৈদ্যদেরকে তাদের বসবাসের স্থানের উপর নির্ভর করে অসংখ্য উপ-বর্ণে বিভক্ত করেছে বলেও মনে করা হয়।[১০]

শিলালিপি

সম্ভবত দক্ষিণ ভারতের বৈদ্যদের সঙ্গে বৈদ্যদের কিছু যোগসূত্র ছিল; সেনাদের শিলালিপিতে কর্নাট এবং অন্যান্য স্থান থেকে অভিবাসনের উল্লেখ রয়েছে।[১০] বাংলার বাইরে, এই শব্দের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় নেদুঞ্জেলিয়ান 1 (আনুমানিক 270 খ্রিস্টপূর্বাব্দ) এর তিনটি দক্ষিণ ভারতীয় শিলালিপিতে - একজন বৈদ্য প্রধান যিনি যুদ্ধ-জেনারেল এবং প্রধানমন্ত্রীর দ্বৈত ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং বৈদ্য-কুল (ব্রাহ্মণ হিসেবেও বিবেচিত) সঙ্গীত ও শাস্ত্রে দক্ষতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন।[১৪]

ইতিহাস

গুপ্ত সাম্রাজ্যের বাংলা (400 খ্রিস্টাব্দ - 550 খ্রিস্টাব্দ)

বাংলার পশ্চিম অঞ্চলে 1000 খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে কৃষিজীবী সমাজ গঠিত হয়েছিল। যা ধীরে ধীরে নগর কেন্দ্রের চারপাশে একত্রিত হয়। এই অঞ্চলটি দীর্ঘকাল ধরে ব্রাহ্মণ্যবাদের প্রভাবের বাইরে ছিল, যাকে "অশুদ্ধের দেশ" হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল এমনকি 200 খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত। গুপ্তদের উত্থানের সাথে রাজ্যগুলির বৃদ্ধি মোটামুটি একযোগে ছিল এবং ততদিনে উত্তর ভারতের সাথে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বিকশিত হয়েছিল। গুপ্তদের পূর্ববর্তী লিখিত রেকর্ড টিকে নেই।[১৫]

গুপ্ত যুগের কপার প্লেটের শিলালিপিগুলি একটি জটিল সমাজের দিকে ইঙ্গিত করে যেখানে বিভিন্ন পেশাজীবী শ্রেণির সামান্য আর্থ-সামাজিক একতা রয়েছে। এই শ্রেণীর অনেকেরই ডিফারেনশিয়াল ভূ-স্থানিক স্তর বা অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নিজস্ব শ্রেণিবিন্যাস ছিল কিন্তু আন্তঃশ্রেণি শ্রেণিবিন্যাসের কোনো প্রমাণ নেই; শ্রেণীগুলি প্রায়ই স্থানীয় স্তরে জমি বিক্রি, নিয়ন্ত্রণ বাজার ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করতে সহযোগিতা করত৷ এটা দেখা যায় না যে বর্ণ সমাজে কোনও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল - ব্রাহ্মণরাই একমাত্র গোষ্ঠী ছিল যাকে তাদের বর্ণ-পরিচয় দ্বারা উল্লেখ করা হয়েছিল এবং সম্মান করা হয়েছিল৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত কৃষক জমিদার শ্রেণির মধ্যে অন্যতম।[১৫]

মধ্যযুগীয় বাংলা (600 খ্রিস্টাব্দ - 1400 খ্রিস্টাব্দ)

বঙ্গ, রাঢ় এবং পুন্ড্রবর্ধনকে কেন্দ্র করে সার্বভৌম রাজত্বের উত্থানের ফলে, জমিদার শ্রেণীর মধ্যে তুলনামূলকভাবে সচ্ছল অংশগুলি বিশিষ্টতা অর্জন করে এবং অর্থনৈতিক শক্তির উপর নির্ভর করে কয়েকটি উপ-শ্রেণীতে বিভক্ত হয়। শিলালিপিতে এই শ্রেণীর লোকেদের গ্রামগুলির পাশাপাশি তাদের মালিকানাধীন এবং অন্যান্য পেশাদার শ্রেণীর উপরে উল্লেখ করা হয়েছে - এইভাবে, বর্ণের পরিবর্তে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এই সমাজে অপারেটিং আদর্শ বলে মনে হয়। উত্তর-পূর্ব বাংলা যেখানে ব্রাহ্মণদের রাজকীয় বন্দোবস্তের মাধ্যমে উপজাতীয় অঞ্চলের উপর আক্রমণাত্মক আগ্রাসন দেখেছিল একটি কম সমতাবাদী সমাজের সাক্ষী ছিল; তথাপি, শাসকদের ব্রাহ্মণ বংশের দাবি করা সত্ত্বেও, শিলালিপিতে সামাজিক গোষ্ঠীগুলির বর্ণের সাথে কিছু করার ছিল না।[১৫]

পালা অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান নগরায়নের সাথে, স্তরবিন্যাস সামাজিক কাঠামোর মধ্যে আবদ্ধ হয়ে পড়ে এবং ব্রাহ্মণরা - সম্ভবত রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় - শীর্ষে উঠেছিল, ল্যান্ডিং ম্যাগনেটদের ছাপিয়ে। পাল অনুদান প্রায়শই 'ব্রাহ্মণ' থেকে 'চন্ডাল' পর্যন্ত একটি বিশদ সামাজিক শ্রেণিবিন্যাসের তালিকাভুক্ত করেন, যা অনেক পেশাজীবী শ্রেণিকে অন্তর্ভুক্ত করে। বিপরীতে, চন্দ্রদের দ্বারা শাসিত পূর্বের বৃহত্তর-কৃষি সমাজগুলি এই ধরনের কোন মৌলিক উন্নয়ন প্রদর্শন করেনি যদিও পদের প্রাথমিক ধারণাগুলি বিকাশের অধীনে ছিল। শ্রী চন্দ্রের পশ্চিমভাগ তাম্রশাসনের শিলালিপি বৈদ্যদের জন্য বরাদ্দ করে সবচেয়ে বেশি ভূমি প্রতি-এমনকি ব্রাহ্মণদেরও ছাড়িয়ে- বর্ণের এখনও-তুচ্ছ ভূমিকার প্রতি ইঙ্গিত করে।[১৫]

11 শতকের শুরুতে, আত্মীয়তা ভিত্তিক সংগঠনটি সমস্ত শ্রেণীর মধ্যে ক্রমবর্ধমানভাবে স্পষ্ট হয়ে উঠছিল - ব্রাহ্মণদের সম্প্রদায়গুলি তাদের পূর্বপুরুষদের প্রসিদ্ধতা থেকে প্রাপ্ত বৃহত্তর কর্তৃত্ব দাবি করেছিল এবং নিজেদের মধ্যে নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল, শিক্ষিত শ্রেণীগুলি এন্ডোগ্যামি অনুশীলনে প্রবেশ করেছিল ইত্যাদি। শিলালিপিগুলি ক্রমবর্ধমানভাবে বংশগত প্রকৃতির দিকে ইঙ্গিত করে। বণিক থেকে খোদাইকারী থেকে লেখক পর্যন্ত পেশার পরিসর। ফুরুইয়ের কথায়, এই স্প্যান জুড়ে প্রোটো-জাতিরা গড়ে উঠছিল যা উপপুরাণ প্রভৃতি দ্বারা ব্রাহ্মণ্য সমাজ ব্যবস্থায় বৈধতা পাবে। ভাটেরার তাম্রফলকে বৈদ্য বংশের রাজা ইসন্দেবের (আনুমানিক 1050) অক্ষপাতালিকা উল্লেখ করা হয়েছে। যার পরামর্শে মৃত রাজকুমারের পরিবারকে জমির একটি পার্সেল দেওয়া হয়েছিল। কুমকুম চ্যাটার্জি মনে করেন যে বৈদ্যরা সম্ভবত সুলতানি শাসনের অনেক আগে একটি জাতিতে রূপান্তরিত হয়েছিল, এই সময়ের কাছাকাছি কোনো এক সময়।[১৫][১৬][১৭][৯] যাইহোক, আর.সি. মজুমদার এবং আর.সি. হাজরা একটি 'করণ' পরিবারকে 11 এবং 12 শতকের বাংলায় রাজকীয় চিকিত্সক হিসাবে কাজ করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন।[১৪]

সালতানাত ও মুঘল বাংলা

সালতানাত, মুঘল এবং নবাবী বাংলায়, বৈদ্যরা প্রায়শই চিকিৎসা ব্যতীত অন্য ক্ষেত্রগুলিতে শাখা তৈরি করে এবং অভিজাতদের একটি উল্লেখযোগ্য শতাংশে পরিণত হয়। তারা সংস্কৃতে তাদের দক্ষতার জন্য সুনাম অর্জন করেছিল, যা তাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত গ্রন্থ পড়ার প্রয়োজন ছিল। ষোড়শ শতাব্দীর শেষের দিকে, ব্রাহ্মণ ও কায়স্থদের পাশাপাশি বৈদ্যরা বাঙালি সামাজিক শ্রেণিবিন্যাসে অগ্রাধিকারের একটি অবস্থান দখল করেছিল; বৈদ্য ও কায়স্থদের মধ্যে বিবাহ ছিল সাধারণ ব্যাপার।[১৭][১৮][১৯][৯][১২]

পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষের দিকে, বৈদ্যরা ব্রাহ্মণদের পাশাপাশি চৈতন্য সম্প্রদায়ের সাথে জড়িত হয়ে পড়ে। মুরারি গুপ্ত, চৈতন্যের বাল্যবন্ধু, নবদ্বীপের একজন খ্যাতিমান চিকিৎসক ছিলেন এবং কৃষ্ণচৈতন্য চরিতামৃত রচনা করেছিলেন, সংস্কৃতে তাঁর প্রাচীনতম বর্তমান জীবনী। নরহরি সরকার, আরেকজন বৈদ্য ভক্ত, কৃষ্ণ ভজনামৃত রচনা করেছিলেন, একটি ধর্মতাত্ত্বিক ভাষ্য। শিবানন্দ সেনা, একজন অপরিমেয় ধনী বৈদ্য, পুরীতে চৈতন্য ভক্তদের বার্ষিক ভ্রমণের আয়োজন করে এবং তার পুত্র বেশ কিছু ভক্তিমূলক সংস্কৃত রচনা লিখেছিলেন। যেহেতু চৈতন্য সম্প্রদায় তার মৃত্যুর পর সমতার মতবাদকে পরিত্যাগ করেছিল, তাই সংশ্লিষ্ট বৈদ্যরা গৌড়ীয় বশিহ্নব গুরু হিসেবে আধা-ব্রাহ্মণীয় মর্যাদা উপভোগ করতে শুরু করে।[৯][২০] শিবানন্দ সেনা, একজন অপরিমেয় ধনী বৈদ্য, পুরীতে চৈতন্য ভক্তদের বার্ষিক ভ্রমণের আয়োজন করে এবং তার পুত্র বেশ কিছু ভক্তিমূলক সংস্কৃত রচনা লিখেছিলেন।[২০][২১]

একাধিক বৈদ্য লেখক মঙ্গলকাব্য ঐতিহ্যে অংশ নিয়েছিলেন, যার মধ্যে সর্বাগ্রে ছিলেন বিজয় গুপ্ত (15 শতকের শেষের দিকে)। এছাড়া জয়নারায়ণ সেন (১৭৫০ সালের দিকে) এবং মুক্তারমা সেন (১৭৭৪) দ্বারা দুটি চণ্ডী মঙ্গলকাব্য, ষষ্ঠীবর দত্তের দুটি মনসা মঙ্গলকাব্য (১৭ শতকের শেষের দিকে) এবং একটি দ্বারিক দাস লিখেছেন। ভারতমল্লিকা (আনুমানিক 1650), একজন চিকিত্সক এবং একটি টোলের একজন প্রশিক্ষক, অমরকোষের মতো সংস্কৃত গ্রন্থে অসংখ্য ভাষ্য লিখেছেন এবং ব্যাকরণ ও অভিধানের উপর বিবিধ রচনা তৈরি করেছেন।[২২][২৩]

জাতিগত অবস্থা এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা

আনন্দ ভাটের বল্লাল চরিত বৈদ্যদেরকে 'সতশুদ্র'-এর মধ্যে শ্রেণীবদ্ধ করেছে, যাদের মধ্যে কায়স্থদেরকে সর্বোচ্চ বলে গণ্য করা হয়েছে। মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর চণ্ডীমঙ্গল (আনুমানিক 16 শতকের মাঝামাঝি) বৈদ্যদের বৈশ্যদের নীচে কিন্তু কায়স্থদের উপরে রেখেছে, আবার শূদ্র মর্যাদা নির্দেশ করে।[২৪][২৫][১২]

1653 খ্রিস্টাব্দে, রমাকান্ত দাস সবচেয়ে পুরানো পাওয়া বৈদ্য কুলঞ্জি — সদ্বৈদ্যকুলাপঞ্জিকা লিখেছিলেন। কয়েক বছর পরে, ভারতমল্লিকা চন্দ্রপ্রভা (1675 খ্রিস্টাব্দ) এবং রত্নপ্রভা, পূর্ববর্তী পাঠের সারাংশ লিখবেন। ভরত বৈদ্যদের জন্য একটি মিশ্র-বর্ণ/বৈশ্য মর্যাদা দাবি করেছেন যেখানে দাস এই ধরনের আলোচনা এড়িয়ে গেছেন। বৈদ্য কৃষ্ণদাস কবিরাজের চৈতন্য চরিতামৃতে, একজন চন্দ্রশেখরকে বৈদ্য এবং একজন শূদ্র হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।[১০][২৩][২][২৬]

ঔপনিবেশিক বাংলা

অষ্টাদশ, ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে বৈদ্যদের বর্ণের মর্যাদা নিয়ে তীব্র বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। 1750 সালের দিকে, রাজা বল্লভ তার আচার-অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণদের দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন; তিনি বৈশ্য মর্যাদা চেয়েছিলেন এবং তাঁর নিজের সমাজের বৈদ্যদের জন্য পবিত্র সুতো পরার অধিকার দাবি করেছিলেন। অন্যান্য বৈদ্য জমিদারদের বিরোধিতার মুখোমুখি হয়ে, যারা এটিকে বৈদ্য নেতা হিসাবে ট্রান্স-সমাজের গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের প্রচেষ্টা বলে মনে করেছিলেন এবং বিক্রমপুরের ব্রাহ্মণ পণ্ডিতরা, যারা একচেটিয়া ক্ষতির বিরুদ্ধে বিরক্ত ছিলেন, বল্লভ বেনারস, কনৌজ, নবদ্বীপ থেকে 131 জন ব্রাহ্মণকে আমন্ত্রণ জানান। , এবং ন্যায়শাস্ত্রে দক্ষতা সহ অন্যান্য অঞ্চল। তাদের সকলেই তার পক্ষে রায় দিয়েছেন, আনুষ্ঠানিক খরচ 5 লক্ষ টাকা।[৯][২৩][২৭][১২][২৮][২৯][৩০][১৭][২৮][২৯]

শীঘ্রই, বৈদ্যরা ব্রাহ্মণদের সাথে সমতা কামনা করে এবং নিজেদেরকে 'গৌন ব্রাহ্মণ' বলে দাবি করে, সম্প্রতি উপনয়নের অধিকারকে কাজে লাগিয়ে। একই সময়ে, তারা নিম্ন বর্ণের জাতিকে তাদের পদে অনুপ্রবেশ করা থেকে বিরত রাখতে এবং তাদের সামাজিক বিশুদ্ধতার উপর জোর দেওয়ার প্রচেষ্টা বিনিয়োগ করেছিল; 1840-এর দশকে ঢাকায় গুটিবসন্তের মহামারীতে, বৈদ্যরা জনসাধারণকে টিকা দিতে অস্বীকার করত এবং নিম্ন শ্রেনীর নাপিত ও মালা প্রস্তুতকারকদের কাছে এই ধরনের ন্যূনতম কাজগুলি অর্পণ করত। 1822 সালের শুরুতে, ব্রাহ্মণ এবং বৈদ্য পণ্ডিতরা একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক বিতর্কমূলক প্রচারপত্র তৈরি করেছিলেন এবং 1831 সালে, শ্রেণী স্বার্থ রক্ষার জন্য নেটিভ মেডিকেল ইনস্টিটিউশনের শিক্ষক ক্ষুদিরাম বিশারদ দ্বারা বৈদ্য সমাজ (বৈদ্য সোসাইটি) গঠিত হয়েছিল। এই সমাজের একজন সদস্য গঙ্গাধর রায় বৈদ্যরা ব্রাহ্মণদের বংশধর বলে দাবী করার জন্য বিশাল সাহিত্য রচনা করেছিলেন। বিনোদলাল সেন পরে ভারতমল্লিকার বংশবৃত্তান্ত মুদ্রণে প্রকাশ করেন। কায়স্থদের সাথে শত্রুতা, যারা পরবর্তীতে নিকৃষ্ট বলে বিবেচিত হবে, এই আলোচনার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে; বৈবাহিক জোটগুলিকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল, একটি অনমনীয়, অন্তঃবিবাহী জাতিগোষ্ঠীর উত্থানকে উত্সাহিত করেছিল।[১২][১৭][৯][৩১][৩২][৩৩][৯][২৩][১২] যাইহোক, বৈদ্যরা পূর্ববঙ্গে কায়স্থদের বিয়ে করতে থাকে যার ফলে মর্যাদা হ্রাস পায়।[১০]

1893 সালে, জ্ঞানেন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত ব্রাহ্মণদের মতো অম্বাস্থদের সন্ন্যাসে নিযুক্ত হওয়ার শাস্ত্রীয় অনুমোদন ছিল প্রমাণ করার প্রয়াসে বৈদ্যজাতির বৈশিষ্ট লিখেছিলেন; সেনগুপ্ত বিংশ শতাব্দীর প্রথম ত্রৈমাসিক জুড়ে বৈদ্য কারণের জন্য একজন বিশিষ্ট লেখক হয়ে থাকবেন। 1901 সালে, ঔপনিবেশিক নৃতাত্ত্বিক হার্বার্ট হোপ রিসলে বৈদ্যরা শূদ্রদের উপরে কিন্তু ব্রাহ্মণদের নীচে বলে উল্লেখ করেছিলেন। উমেশ চন্দ্র গুপ্ত এবং দীনেশ চন্দ্র সেনের মতো বৈদ্য সামাজিক ইতিহাসবিদরা পরিমাপিত সংশয় নিয়ে রিসলির অ-শূদ্র অবস্থা পর্যবেক্ষণকে সমর্থন করেছিলেন এবং কুলঞ্জি থেকে উদ্ভূত সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ইতিহাস তৈরি করতে গিয়েছিলেন। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ুর্বেদ অনুষদের প্রথম ডিন গণনাথ সেন কলকাতায় একটি "বৈদ্য ব্রাহ্মণ সমিতি" খোলেন; এখন বৈদ্যরা নিছক ব্রাহ্মণদের সমান নয়, অভিন্ন। এটাও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল যে সমস্ত বৈদ্য তাদের উপাধি পরিবর্তন করে শর্মা, একজন ব্রাহ্মণ পৃষ্ঠপোষক। 1915 এবং 1916 সালে, কুলদাকিঙ্করা রায় বৈদ্যকুলাপঞ্জিকা প্রকাশ করেন যে বৈদ্যরা কেবল ব্রাহ্মণদের মতোই নয় বরং তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ। 1922 সালে বসন্তকুমার সেন একই বিষয়বস্তু নিয়ে বৈদ্য জাতি ইতিহাস রচনা করেন। প্যাসকেল হাগ উল্লেখ করেছেন যে গতিশীলতা অর্জনের এই প্রচেষ্টাগুলি ব্রাহ্মণ সমাজের দ্বারা গ্রহণযোগ্যতা ছাড়া আংশিকভাবে সফল হত না, যার প্রতিক্রিয়াগুলি অধ্যয়ন করা বাকি রয়েছে।[৩৪][৩৫][৯][২৩][৩৪]

গতিশীলতা অর্জনের এই প্রচেষ্টাগুলি ঊনবিংশ শতাব্দী জুড়ে আয়ুর্বেদের আধুনিকীকরণের সাথে ব্যাপকভাবে জড়িত ছিল। বিনোদলাল সেন ঘোষণা করেছিলেন যে কেউ একটি নির্দিষ্ট মূল্যের উপরে ওষুধ কিনেছেন এবং বৈদ্য ওষুধ বিতরণকারীদের প্রায়শই সংশোধনবাদী জাত-ইতিহাস বিক্রি করতে দেখা গেছে তাদের জন্য বংশগত রচনাগুলি বিনামূল্যে হবে। মুখার্জি বলেছেন, ঔপনিবেশিক আধুনিকতার উপাদানগুলি - শরীরবিদ্যা এবং চিকিৎসা যন্ত্রের পাশ্চাত্য ধারণাগুলি -কে আধুনিক ব্রাহ্মণ হিসাবে বৈদ্যদের সাজানোর জন্য আয়ুর্বেদের সাথে "বিনুনিবদ্ধ" করা হয়েছিল। শাস্ত্রীয় পদমর্যাদার এইসব প্রতিদ্বন্দ্বিতা সত্ত্বেও, বৈদ্যদের বস্তুগত আধিপত্য ঔপনিবেশিক শাসনে নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত ছিল যখন তারা সক্রিয়ভাবে শিক্ষার পশ্চিমা রূপগুলি গ্রহণ করেছিল এবং সরকারি চাকরি, অভিজাত পেশা এবং জমির মালিকানায় অসম পরিমাণে অংশ নিয়েছিল। 1881 সালের আদমশুমারিতে নথিভুক্ত হিসাবে বৈদ্যদের পুরুষ এবং মহিলা সাক্ষরতার হার বাংলার অন্যান্য সমস্ত বর্ণের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ছিল - যা বর্ণভিত্তিক সাক্ষরতার তথ্য রেকর্ড করা প্রথম ছিল।[৯][৩৬][৩৭][৩৮]

ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত বৈদ্যরা নিঃসন্দেহে হিন্দু 'উচ্চ বর্ণের' মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল; তারা ব্রাহ্মণ ও কায়স্থদের সাথে সমসাময়িক বাংলার সর্বোচ্চ 'ধর্মনিরপেক্ষ পদমর্যাদার' ভদ্রলোক সমাজ রচনা করবে এবং ব্রিটিশ সরকারের চোখ ও কান হিসেবে কাজ করবে। বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে গণতান্ত্রিক সংস্কারের দাবিতে ভদ্রলোকেরা ভূমিকা রাখবে; ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বাংলার অধিকাংশ 'বিপ্লবী সন্ত্রাসী' এই শ্রেণী থেকে এসেছে।[১][৩৯][৪০][৪১][৪০][৪২][৪৩]

আধুনিক বাংলা

আধুনিক বাংলায়, বর্ণ-শ্রেণীবিন্যাসে বৈদ্যদের স্থান ব্রাহ্মণদের অনুসরণ করে — তারা পবিত্র সুতো পরে, ধর্মগ্রন্থে প্রবেশাধিকার পায় এবং সাধারণ উপাধি ব্যবহার করে কিন্তু পুরোহিত সেবা পরিচালনা করতে পারে না। তাদের বর্ণ পদ - শুদ্র হোক বা না হোক - বিতর্কিত এবং ব্রাহ্মণ মর্যাদার দাবি অব্যাহত রয়েছে। তবে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ব্রাহ্মণদের প্রতিদ্বন্দ্বী। 1960 সালের দিকে, শহুরে শিক্ষিত 'দ্বিজ' ব্রাহ্মণ, বৈদ্য এবং কায়স্থদের মধ্যে আন্তঃবিবাহ ছিল বেশ সাধারণ এবং ক্রমবর্ধমান।[৪৪][৪৫][৪৬][৪৭][৪৮][৪৯][৫০][৫১][৫২]

গোত্র

বৈদ্যরা নিম্নপ্রকার গোত্রভুক্ত হয়ে থাকে।

  • আত্রেয়া
  • আদ্যঋষি
  • কাশ্যপ
  • কৃষ্ণাত্রেয়
  • কৌশিকি
  • ধন্বন্তরি
  • পরাশর
  • বৈশ্বানর
  • ভরদ্বাজ
  • মৌদ্গল্য
  • যামদগ্নি
  • শক্তিঋষি
  • শক্ত্রি
  • শান্ডিল্য
  • সত্ত্বরী
  • সপ্তঋষি
  • সালংক্রায়ন
  • অলাদি (অথর্ব বেদের অলাদ এবং পৈপ্পঅলাদ বেদশাখা অধ্যায়নকারী)
  • অগ্নি
  • মৃগঋষি
  • বিন্ধ্যশক্তি

তথ্যসূত্র

  1. ↑ ক খ Bandyopādhyāẏa, Śekhara (২০০৪)। Caste, Culture and Hegemony: Social Dominance in Colonial Bengal। SAGE। পৃষ্ঠা 24,25, 240। আইএসবিএন 978-0-76199-849-5। 
  2. ↑ ক খ গ Dutt, Nripendra Kumar (১৯৬৮)। Origin and growth of caste in India, Volume 2। Firma K. L. Mukhopadhyay। পৃষ্ঠা 69–70। 
  3. ↑ McDermott, Rachel Fell (২০০১-০৬-২৮)। Mother of My Heart, Daughter of My Dreams: Kali and Uma in the Devotional Poetry of Bengal (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 132। আইএসবিএন 978-0-19-803071-3। 
  4. ↑ Bandyopadhyay, Sekhar (২০০৪-০৭-০১)। Caste, Culture and Hegemony: Social Dominance in Colonial Bengal (ইংরেজি ভাষায়)। SAGE Publications India। পৃষ্ঠা 20। আইএসবিএন 978-81-321-0407-0। 
  5. ↑ Mukharji, Projit Bihari (২০১১)। Nationalizing the Body: The Medical Market, Print and Daktari Medicine (ইংরেজি ভাষায়)। Anthem Press। পৃষ্ঠা 4। আইএসবিএন 978-0-85728-935-3। 
  6. ↑ Seal, Anil (১৯৬৮), "Glossary", The Emergence of Indian Nationalism: Competition and Collaboration in the Later Nineteenth Century, Cambridge University Press, পৃষ্ঠা 374, আইএসবিএন 978-0-521-09652-2, সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-৩০ 
  7. ↑ "হিন্দুধর্ম কি?", পৃ নং ২৭
  8. ↑ "The Home and the World", রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পৃ নং ৩২০
  9. ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ Mukharji, Projit Bihari (২০১৬-১০-১৪)। "A Baidya-Bourgeois World: The Sociology of Braided Sciences"। Doctoring Traditions: Ayurveda, Small Technologies, and Braided Sciences (ইংরেজি ভাষায়)। University of Chicago Press। আইএসবিএন 978-0-226-38182-4। ডিওআই:10.7208/9780226381824-003 (নিষ্ক্রিয় ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২)। 
  10. ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Chattopadhyaya, Annapurna (১৯৬০)। The People And Culture Of Bengal: A Study In Origins। 2। Kolkata: Firma KLM। পৃষ্ঠা 868–908। 
  11. ↑ Sengupta, Saswati (২০২১)। "Invoking the Goddesses"। Mutating Goddesses: Bengal's Laukika Hinduism and Gender Rights। Oxford University Press। 
  12. ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Sircar, D. C. (১৯৫৯)। Studies in the Society and Administration of Ancient and Medieval India। 1। Firma KLM। পৃষ্ঠা 19, 115। 
  13. ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :10 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  14. ↑ ক খ গ উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :11 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  15. ↑ ক খ গ ঘ ঙ Furui, Ryosuke (২০১৮)। "Social Life: Issues of Varṇa-Jāti System"। Chowdhury, Abdul Momin; Chakravarti, Ranabir। History of Bangladesh: Early Bengal in Regional Perspectives (up to c. 1200 CE) (ইংরেজি ভাষায়)। 2: Society, Economy & Culture। Dhaka: Asiatic Society of Bangladesh। 
  16. ↑ Furui, Ryosuke (২০১৯-০৭-০৪)। Land and Society In Early South Asia: Eastern India 400-1250 AD (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। পৃষ্ঠা 73, 199, 236, 256। আইএসবিএন 978-1-138-49843-3। 
  17. ↑ ক খ গ ঘ Chatterjee, Kumkum (২০১০-১০-০১)। "Scribal elites in Sultanate and Mughal Bengal"। The Indian Economic & Social History Review (ইংরেজি ভাষায়)। 47 (4): 445–472। আইএসএসএন 0019-4646। এসটুসিআইডি 143802267। ডিওআই:10.1177/001946461004700402। 
  18. ↑ Inden, Ronald B (১৯৭৬)। Marriage and Rank in Bengali Culture: A History of Caste and Clan in Middle Period Bengal। University of California Press। পৃষ্ঠা 28–29। আইএসবিএন 978-0-52002-569-1। 
  19. ↑ Mukherjee, S. N. (১৯৭০)। "Caste, Class and Politics in Calcutta, 1815-1838"। Leach, Edmund; Mukherjee, S. N.। Elites in South Asia। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 55–56। 
  20. ↑ ক খ Dimock, Edward C.। "Personae"। Stewart, Tony K.। Caitanya Caritamrta of Krsnadasa Kaviraja: A Translation and Commentary। Harvard Oriental Series: 56। Cambridge। 
  21. ↑ Lutjeharms, Rembert (২০১৮)। "On Kavikarṇapūra"। A Vaisnava Poet in Early Modern Bengal: Kavikarnapura's Splendour of Speech। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 24। আইএসবিএন 9780198827108। 
  22. ↑ Smith, William L. (১৯৮০)। The One-eyed Goddess: A Study of the Manasā Maṅgal (ইংরেজি ভাষায়)। Stockholm: Almqvist & Wiksell International। পৃষ্ঠা 35। আইএসবিএন 978-91-22-00408-0। 
  23. ↑ ক খ গ ঘ ঙ Haag, Pascale (২০১২)। "I Wanna Be a Brahmin Too. Grammar, Tradition and Mythology as Means for Social Legitimisation among the Vaidyas in Bengal"। Watanabe, Chikafumi; Honda, Yoshichika। Sanskrit Sadhuta: Goodness of Sanskrit : Studies in Honour of Professor Ashok Aklujkar। Delhi: DK Printworld। পৃষ্ঠা 273–296। আইএসবিএন 9788124606315। 
  24. ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :7 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  25. ↑ Yazijian, Edward M. (২০০৭)। From performance to literature: The "Candīman˙gala" of Kavikan˙kana Mukundarāma Cakravarti (গবেষণাপত্র)। University of Chicago। পৃষ্ঠা 25, 27, 233–234। 
  26. ↑ Dimock, Edward C.। "Adi Lila"। Stewart, Tony K.। Caitanya Caritamrta of Krsnadasa Kaviraja: A Translation and Commentary। Harvard Oriental Series: 56। Cambridge। পৃষ্ঠা 239। 
  27. ↑ Kochhar, Rajesh (২০০৮)। "Seductive Orientalism: English Education and Modern Science in Colonial India"। Social Scientist। 36 (3/4): 49–50। আইএসএসএন 0970-0293। জেস্টোর 27644269। 
  28. ↑ ক খ Dasgupta, Ratan (২০১১-১২-০১)। "Maharaja Krishnachandra: Religion, Caste and Polity in Eighteenth Century Bengal"। Indian Historical Review (ইংরেজি ভাষায়)। 38 (2): 225–242। আইএসএসএন 0376-9836। এসটুসিআইডি 144331664। ডিওআই:10.1177/037698361103800204। 
  29. ↑ ক খ Wright, Samuel (২০২১-০৪-০১)। "Scholar Networks and the Manuscript Economy in Nyāya-śāstra in Early Colonial Bengal"। Journal of Indian Philosophy (ইংরেজি ভাষায়)। 49 (2): 323–359। আইএসএসএন 1573-0395। এসটুসিআইডি 225131874। ডিওআই:10.1007/s10781-020-09449-8। 
  30. ↑ Curley, David L. (২০০৮)। Poetry and History: Bengali Maṅgal-kābya and Social Change in Precolonial Bengal। Collection of Open Access Books and Monographs। CEDAR, University of Washington। পৃষ্ঠা 33–34। 
  31. ↑ Ehrlich, Joshua (জুন ২০১৯)। "Empire and Enlightenment in Three Letters from Sir William Jones to Governor-General John Macpherson"। The Historical Journal (ইংরেজি ভাষায়)। 62 (2): 541–551। আইএসএসএন 0018-246X। এসটুসিআইডি 159473645। ডিওআই:10.1017/S0018246X1800050X। 
  32. ↑ Bayly, C. A. (১০ নভেম্বর ২০১১)। Recovering Liberties: Indian Thought in the Age of Liberalism and Empire। পৃষ্ঠা 144–145। আইএসবিএন 9781139505185। 
  33. ↑ Nicholas, Ralph W. (১৯৮১)। "The Goddess Śītalā and Epidemic Smallpox in Bengal"। The Journal of Asian Studies। 41 (1): 28। আইএসএসএন 0021-9118। এসটুসিআইডি 8709682। জেস্টোর 2055600। ডিওআই:10.2307/2055600। পিএমআইডি 11614704। 
  34. ↑ ক খ Basu, Hena (২০০৪)। Castes in Bengal: Some Bengali Publications: 1840 - 1940। Kolkata: Basu Research and Documentation Service। পৃষ্ঠা 1–3। 
  35. ↑ Mitra, A. (১৯৫৩)। "Vaidyas"। The Tribes and Castes of West Bengal (প্রতিবেদন)। Census 1951। Land and Land Revenue Department, Government of West Bengal। পৃষ্ঠা 37। 
  36. ↑ Rai, Saurav Kumar (২০১৮)। "Review of Doctoring Traditions: Ayurveda, Small Technologies and Braided Sciences, MukharjiProjit Bihari"। Social Scientist। 46 (7–8): 79–80। আইএসএসএন 0970-0293। জেস্টোর 26530819। 
  37. ↑ Bhattacharya, Sabyasachi (২০১৪-০৫-২৭)। The Defining Moments in Bengal: 1920–1947 (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-19-908934-5। 
  38. ↑ Chandra, Uday; Heierstad, Geir; Nielsen, Kenneth Bo (২০১৫-০৯-২৫)। The Politics of Caste in West Bengal (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। আইএসবিএন 978-1-317-41477-3। 
  39. ↑ Chatterjee, Partha (২০১৫-০৯-২৫)। "Partition and the mysterious disappearance of caste in Bengal"। Uday Chandra; Geir Heierstad; Kenneth Bo Nielsen। The Politics of Caste in West Bengal (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge India। আইএসবিএন 978-1-315-68631-8। ডিওআই:10.4324/9781315686318। 
  40. ↑ ক খ O'Dell, Benjamin D. (২০১৪)। "Beyond Bengal: Gender, Education, and the Writing of Colonial Indian History"। Victorian Literature and Culture। 42 (3): 547। আইএসএসএন 1060-1503। এসটুসিআইডি 96476257। জেস্টোর 24575896। ডিওআই:10.1017/S1060150314000138। 
  41. ↑ Chakrabarti, Sumit (২০১৭)। "Space of Deprivation: The 19th Century Bengali Kerani in the Bhadrolok Milieu of Calcutta"। Asian Journal of Social Science। 45 (1/2): 56। আইএসএসএন 1568-4849। জেস্টোর 44508277। ডিওআই:10.1163/15685314-04501003। 
  42. ↑ "The return of caste to Bengal"। The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৪-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৫। 
  43. ↑ Heehs, Peter (২০০৯), "Revolutionary Terrorism in British Bengal", Terror and the Postcolonial (ইংরেজি ভাষায়), John Wiley & Sons, Ltd, পৃষ্ঠা 165, আইএসবিএন 978-1-4443-1008-5, ডিওআই:10.1002/9781444310085.ch6, সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৯ 
  44. ↑ Roy Chowdhury, Sunandan (২০১৭), Roy Chowdhury, Sunandan, সম্পাদক, "Western University, Indian Nationalisms", Politics, Policy and Higher Education in India (ইংরেজি ভাষায়), Singapore: Springer, পৃষ্ঠা 48, আইএসবিএন 978-981-10-5056-5, ডিওআই:10.1007/978-981-10-5056-5_3, সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৮ 
  45. ↑ Ray, Saumyajit (২০০৯)। "Understanding Indian Multiculturalism"। Raj, Christopher S.; McAndrew, Marie। Multiculturalism: Public Policy and Problem Areas in Canada and India। Canada: Manak Publications। পৃষ্ঠা 90। 
  46. ↑ Malcolm McLean (১৯৯৮)। Devoted to the Goddess: The Life and Work of Ramprasad। SUNY Press। পৃষ্ঠা 163–। আইএসবিএন 978-1-4384-1258-0। 
  47. ↑ Mario Prayer (১ জুলাই ২০০৯)। "The social context of Politics in Rural West Bengal (1947-92)"। Elisabetta Basile; Ishita Mukhopadhyay। The Changing Identity of Rural India: A Socio-Historic Analysis। Anthem Press। পৃষ্ঠা 203–। আইএসবিএন 978-1-84331-823-1। 
  48. ↑ Geir Heierstad (২ জানুয়ারি ২০১৭)। Caste, Entrepreneurship and the Illusions of Tradition: Branding the Potters of Kolkata। Anthem Press। পৃষ্ঠা 45–46। আইএসবিএন 978-1-78308-519-4। 
  49. ↑ D. Shyam Babu and R.S Khare (২০১০)। Caste in Life: Experiencing Inequalities। PEARSON INDIA। পৃষ্ঠা 175। আইএসবিএন 978-93-325-0655-8। 
  50. ↑ Lochan, Kanjiv (২০০৩)। Medicines of Early India: With Appendix on a Rare Ancient Text (ইংরেজি ভাষায়)। Chaukhambha Sanskrit Bhawan। পৃষ্ঠা 110। আইএসবিএন 978-81-86937-66-2। 
  51. ↑ Lipner, Julius (২০১২-১০-০২)। Hindus: Their Religious Beliefs and Practices (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। পৃষ্ঠা 133। আইএসবিএন 978-1-135-24061-5। 
  52. ↑ Lloyd I. Rudolph; Susanne Hoeber Rudolph (১৫ জুলাই ১৯৮৪)। The Modernity of Tradition: Political Development in India। University of Chicago Press। পৃষ্ঠা 124–। আইএসবিএন 978-0-226-73137-7। And Ronald Inden confirms, after spending 1964 and part of 1965 in Bengal preparing a dissertation on Kayasthas, that intermarriage is becoming increasingly frequent among the urban sections of the Kayasthas, Brahmans, and Vaidyas, that is, among those Western-ized and educated twice-born castes dominating the modern, better-paying, and more prestigious occupations of metropolitan Calcutta and constituting perhaps half of the city's population 
'https://bn.wikipedia.org/w/index.php?title=বৈদ্য&oldid=5974308' থেকে আনীত