ভলান্টারি সার্ভিস ওভারসিজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
(কোনও পার্থক্য নেই)
|
০৬:৫৪, ১৫ জুলাই ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
Voluntary Service Overseas (VSO) | |
গঠিত | ১৯৫৮ |
---|---|
প্রতিষ্ঠাতা | অ্যালেক ও মোরা ডিকিন্সন |
ধরন | আন্তর্জাতিক উন্নয়নমূলক দাতব্য সংস্থা |
অবস্থান |
|
স্বেচ্ছাকর্মী | ৮০,০০০ |
ওয়েবসাইট | www |
ভলান্টারি সার্ভিস ওভারসিজ (সংক্ষেপে ভিএসও) (ইংরেজি: Voluntary Service Overseas; VSO) একটি আন্তর্জাতিক অলাভজনক উন্নয়নমূলক দাতব্য সংস্থা। এই সংস্থাটির লক্ষ্য "স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে টেকসই পরিবর্তন" এবং উদ্দেশ্য "সকলের জন্য ন্যায্য পৃথিবী তৈরি"।[১] ভিএসও গঠনতান্ত্রিক উন্নয়ন ও ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তন সাধনের জন্য সম্প্রদায়ভিত্তিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়োজিত করে।[২] ২০১৮–১৯ সালের মধ্যে ভিএসও এশিয়া ও আফ্রিকার ২৩টি দেশে কাজ করেছে।[৩]
ভলান্টারি সার্ভিস ওভারসিজ নিম্নলিখিত তিনটি মূল কর্মসূচি নিয়ে কাজ করে:
- অংশগ্রহণমূলক শিক্ষা
- স্বাস্থ্য এবং
- জীবিকা
মূল তিনটি কর্মসূচির সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য ক্ষেত্রগুলো হলো:
- লিঙ্গ ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তি
- সামাজিক দায়বদ্ধতা ও
- সহনশীলতা
দাতব্য সংস্থাটি তরুণ জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্র করে কর্মসূচি পরিচালনা করে, যাতে এই জনগোষ্ঠী সামাজিক পরিবর্তনে প্রধান ভূমিকা পালনের পাশাপাশি পরিবর্তনের ব্যাপক সুবিধা ভোগ করতে পারে।
গঠন ও পরিচালনা
ভলান্টারি সার্ভিস ওভারসিজ একটি সীমাবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। এর আন্তর্জাতিক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে শাখা কার্যালয়ের ওপর নির্ভরশীল। এর মধ্যে ব্যতিক্রম হলো:
- ভলান্টারি সার্ভিস ওভারসিজ আয়ারল্যান্ড; মূল প্রতিষ্ঠানের পরিপূরক হিসেবে কাজ করা আয়ারল্যান্ডীয় দাতব্য শাখা।
- ভলান্টারি সার্ভিস ওভারসিজ ভারত; "ভিএসও ইন্ডিয়া ট্রাস্ট" নামক স্বায়ত্তশাসিত দাতব্য সংস্থা চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করে। এই চুক্তির মাধ্যমে ভিএসও ইন্ডিয়া ট্রাস্ট মূল প্রতিষ্ঠানের ট্রেডমার্ক বহন করার পাশাপাশি কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।
- স্টিশটিং ভিএসও নেদারল্যান্ড; এটিও চুক্তিভিত্তিক টেডমার্কবাহী ওলন্দাজ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে এই সংস্থার সমস্ত হিসাব মূল সংস্থার সাথে একীভূত করা হয়।
- ভলান্টারি সার্ভিস ওভারসিজ যুক্তরাষ্ট্র; ২০১৮ সালের মার্চে গঠন করা হয়।
ভলান্টারি সার্ভিস ওভারসিজের বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিচালনা পর্ষদ ৯ সদস্য বিশিষ্ট। দুইজন তরুণ উপদেষ্টা এই পর্ষদের অন্তর্ভুক্ত থাকেন। সংস্থার নিয়মিত পরিচালনা এই পর্ষদ দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয়। এছাড়াও পর্ষদের দায়িত্ব হলো সংস্থার বৈশ্বিক কর্মকাণ্ড দেখভাল করা। পরিচালনা পর্ষদের প্রতিটি সদস্য সংস্থার বিভিন্ন দিক, যেমন জনশক্তি, কর্মসূচি, ব্যবসায়িক উন্নয়ন ও অর্থতহবিল ইত্যাদির জন্য দায়বদ্ধ।
ইতিহাস
১৯৫৮ সালে লন্ডন ভিত্তিক সংবাদপত্র দ্য সানডে টাইমসে একজন বিশপ প্রাথমিকভাবে সদ্য বিদ্যালয় পাশ পুরুষ সদস্যদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পূর্বে শিক্ষা অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য একটি স্বচ্ছাসেবী দল গঠনের আহ্বান জানান। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে অ্যালেক ও মোরা ডিকিন্সন ভলান্টিয়ারিং সার্ভিস ওভারসিজ গঠন করেন।[৪] অনভিজ্ঞ স্বেচ্ছাসেবীরা প্রাথমিকভাবে খরচ ও বাসস্থানের বিনিময়ে স্বেচ্ছাসেবা দিত। ১৯৬২ সালে বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকদের নিয়ে স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রম শুরু হয়।[৫]
১৯৮০ সালের দিকে অনভিজ্ঞ স্বেচ্ছাসেবীদের সম্পূর্ণভাবে বাদ দিয়ে স্বেচ্ছাসেবার মেয়াদ দুই বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। [৬] এতে সক্রিয় স্বেচ্ছাসেবীদের সংখ্যা ৭৫০-এ নেমে এলেও ২০০৩ নাগাদ আবার ১৪০০ পর্যন্ত উঠে যায়। ২০০৪ সাল থেকে কমপক্ষে দুই বছর কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ২০ থেকে ৭৫ বছর বয়সের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবী নেওয়া হতে থাকে।
১৯৯০ সালের শুরুর দিকে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও দক্ষ সেচ্ছাসেবীদের চাহিদা অনুভূত হলে কানাডা, নেদারল্যান্ড, কেনিয়া/উগান্ডা (ভিএসও জিটলি) ও ফিলিপাইন (ভিএসও বাহাগিনান) প্রভৃতি দেশে সহযোগী সংগঠন গড়ে তোলে।[৭] ২০০৪ সালে ভারতীয় বেসরকারি সংস্থা মিত্রা'র স্বেচ্ছাসেবী অঙ্গসংগঠন আইভলান্টিয়ারের সাথে "আইভলান্টিয়ার ওভারসিজ" নামে সংস্থা গড়ে তোলে। আয়ারল্যান্ড, চীন, ভারত ও উপরোল্লিখিত দেশসমূহে কর্মকাণ্ড বিস্তারের জন্য ভিএসও'র গঠনতন্ত্রকে আন্তর্জাতিকীকরণ করা হয়।[৮] এই সমস্ত দেশ থেকে আন্তর্জাতিকভাবে নিয়োগ করা স্বেচ্ছাসেবীরা যেকোনো দেশে যেকোনো কর্মসূচিতে কাজ করতে পারে (যেমন একজন আয়ারল্যান্ডীয় স্বেচ্ছাসেবী নেপালে কিংবা উগান্ডান স্বেচ্ছাসেবী তাজিকিস্তানের কাজ করতে পারে।[৯]
২০১১ সালে ভিএসও যুক্তরাজ্য সরকারের আন্তর্জাতিক নাগরিক সেবা কর্মসূচিতে ১৮ থেকে ২০ বছরের স্বচ্ছাসেবী যোগানের জন্য সংঘ প্রতিষ্ঠা করে।[১০] ইউকে এইডের অর্থায়নকৃত এই কর্মসূচিতে বর্তমানে রেলেই ইন্টারন্যাশনাল ও রেস্টলেস ডেভেলপমেন্ট প্রভৃতি দাতব্য সংস্থাও যুক্ত। ২০১৬-১৭ সালে আন্তর্জাতিক নাগরিক সেবা কর্মসূচিতে প্রায় ৩,০৯০ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করেন।[১১]
২০১৭ সালে যুক্তরাজ্য সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ (ইউকে এইড) ভিএসও'র "উন্নয়নের জন্য স্বেচ্ছাসেবা" প্রকল্পের জন্য ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যমানের পুরস্কার প্রদান করে। ত্রিবার্ষিক এই প্রকল্প দরিদ্র ও অরক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা খাতের উন্নতি ও সবার অন্তর্ভুক্তি এবং সেই সাথে জীবিকা উপার্জনের সুযোগ দেয়ার লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে। সারা বিশ্ব ২ মিলিয়নের বেশি দরিদ্র ও প্রান্তীয় জনগোষ্ঠীকে এই প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্যে ভিএসও কাজ করছে। ইউকে এইডের এই অনুদান ভিএসও'র কর্মসূচির প্রধান অংশ, বিশেষ করে মূল তিনটি কর্মসূচির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। প্রকল্পের প্রথম বছরেই আন্তর্জাতিকভাবে ৬০৬ জন ও জাতীয়ভাবে ৯২০ জন সেচ্ছাসেবী লক্ষ্যমাত্রা অর্জনএ কাজ করে।[১২]
বর্তমান প্রেক্ষাপট
ভলান্টারি সার্ভিস ওভারসিজ বর্তমানে নিম্নলিখিত কর্মসূচিতে কাজ করছে:
- ভিএসও বিভিন্ন দেশে সমন্বিত ও ব্যাপক-পরিসরের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জীবিকা কর্মসূচির পৃষ্ঠপোষক। ২০১৭-১৮ সাল নাগাদ ১.৪ মিলিয়ন মানুষ এই কর্মসূচির আওতায় আসে।[১৩]
- বাংলাদেশ, নেপাল, ফিলিপাইন ও সিয়েরা লিয়নে দুর্যোগ-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করছে। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা মোকাবেলায় গৃহভিত্তিক শিশুসেবা ও শিক্ষা (ইসিসিই) কর্মসূচি পরিচালনা করছে।[১৪]
- সম্প্রদায় ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের নীতিগত সংলাপে তথ্য সরবরাহ করে। সাম্প্রতিককালে আফ্রিকান ইউনিয়নের লিঙ্গনীতি ও কেনিয়ায় বিশেষায়িত শিক্ষা চাহিদা নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখে।
- যুক্তরাজ্যের কন্যা শিশুর শিক্ষা চ্যালেঞ্জের অংশ হিসেবে নেপালের অংশগ্রহণমূলক শিক্ষা কার্যক্রমে ১০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যমানের পুরস্কার প্রদান করে। কিশোরী মেয়েদের সহায়তার জন্য এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ তহবিল। প্রান্তীয় মেয়ে শিশুদের জন্য পরিচালিয় ভগিনীর জন্য ভগিনীর শিক্ষা কার্যক্রম নেপালের প্রথম সমকক্ষীয় শিক্ষা কর্মসূচি।[১৫]
- Citizen Led Monitoring is now a key element of VSOs work. In 2017/18 over 20,000 people in Nepal and Uganda were mobilized for awareness raising and accountability on the delivery of the sustainable development goals [১৬]
- VSO is supporting the creation of national youth platforms in 7 of its countries of operation [১৭]
- It is playing a leading part in the development of a global standard for responsible and impactful volunteering as part of the Forum for International Volunteering in Development.
অংশীদারিত্ব
VSO works with local partners in the communities they work with, placing volunteers with these partners to help increase their impact and effectiveness. VSO also works with corporate partners, such as Accenture,[১৮] and Randstad.[১৯] and Syngenta with whom it is working to build the livelihoods of poor and marginalised farmers in Bangladesh [২০]
আরও দেখুন
- CUSO
- Doctors Without Borders
- EU Aid Volunteers
- European Voluntary Service
- Fredskorpset
- International Citizen Service
- Peace Corps
- United Nations Volunteers
তথ্যসূত্র
- ↑ https://www.vsointernational.org/sites/default/files/VSOannual%20report1819.pdf
- ↑ https://www.vsointernational.org/sites/default/files/VSO-Annual-Report17-18.pdf
- ↑ https://www.vsointernational.org/sites/default/files/VSOannual%20report1819.pdf
- ↑ Critical Perspectives on Service-Learning in Higher Education। পৃষ্ঠা ১৬। আইএসবিএন 9781137383259।
- ↑ "Volunteering"। ব্রেডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ "Good to meet you… Tom Jackson"। দ্য গার্ডিয়ান। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ "Putting children first: transforming education in Cambodia"। ভিএসও বাহাগিনান। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ "Dublin doctor helping Africans most in need"। দ্য আইরিশ টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ "History Voluntary Service Overseas (VSO)"। প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ https://www.volunteerics.org/sites/default/files/inline-files/Final%20ICS%20Report%202016-2017%20PDF_0.PDF
- ↑ https://www.volunteerics.org/sites/default/files/inline-files/Final%20ICS%20Report%202016-2017%20PDF_0.PDF
- ↑ https://www.volunteerics.org/sites/default/files/inline-files/Final%20ICS%20Report%202016-2017%20PDF_0.PDF
- ↑ https://www.vsointernational.org/sites/default/files/VSO-Annual-Report17-18.pdf
- ↑ home-based early childhood care and education (ECCE) in emergencies
- ↑ "Equality in education for girls"। VSO (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৩-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-২৩।
- ↑ https://www.vsointernational.org/sites/default/files/VSO-Annual-Report17-18.pdf
- ↑ https://www.vsointernational.org/sites/default/files/VSO-Annual-Report17-18.pdf
- ↑ "VSO Business Partnership Program"। Accenture। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ "VSO (Voluntary Service Overseas)"। Randstad Holding। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ https://www.vsointernational.org/sites/default/files/VSO-Annual-Report17-18.pdf
আরও পড়ুন
- "How a Kenyan VSO volunteer is helping the health crisis in Malawi", The Nation, Malawi, 26 May 2006
- "Mica's Lost His family - I Wept For Him", Sunday Mirror, 21 May 2006
- "VSO focuses on senior teachers", Education Guardian, January 10, 2006
- "Eight Ways to Change the World", The Guardian, 7 September 2005
- "Women lead as overseas volunteers", Guardian March 20, 2001
- "Brian Deer investigates VSO", London Sunday Times, April 26, 1998
- "Meet the VSO Volunteers" Grasya, July 2011