১৯৭৫ ইন্দিরা–শেখ চুক্তি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
→‎প্রসঙ্গ: তথ্যসূত্র
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
কাশ্মীরি রাজনীতিবিদ [[শেখ আবদুল্লাহ]] এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী [[ইন্দিরা গান্ধী]]র মধ্যে '''১৯৭৫ সালের ইন্দিরা–শেখ চুক্তি''' ২২ বছর পরে আবারও জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার অনুমতি দেয়।<ref>[http://www.deccanherald.com/content/298279/whats-mystery-indira-abdullah-accord.html What's the mystery of the Indira-Abdullah accord?], Deccan Herald, 13 December 2012.</ref><ref>[http://www.business-standard.com/article/pti-stories/indira-sheikh-accord-a-milestone-event-vohra-113102700304_1.html Indira-Sheikh accord a milestone event: Vohra], Business Standard, 27 October 2013.</ref>
কাশ্মীরি রাজনীতিবিদ [[শেখ আবদুল্লাহ]] এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী [[ইন্দিরা গান্ধী]]র মধ্যে '''১৯৭৫ সালের ইন্দিরা–শেখ চুক্তি''' ২২ বছর পরে আবারও জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার অনুমতি দেয়।<ref>[http://www.deccanherald.com/content/298279/whats-mystery-indira-abdullah-accord.html What's the mystery of the Indira-Abdullah accord?], Deccan Herald, 13 December 2012.</ref><ref>[http://www.business-standard.com/article/pti-stories/indira-sheikh-accord-a-milestone-event-vohra-113102700304_1.html Indira-Sheikh accord a milestone event: Vohra], Business Standard, 27 October 2013.</ref>
==প্রসঙ্গ==
==প্রসঙ্গ==
১৯৭১-এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ভারতের জয়ের পরে উপমহাদেশে ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তনের ফলে শেখ আবদুল্লাহ এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন যে ভারত দ্বারা নির্ধারিত শর্তাবলী অনুসরণ করা ছাড়া তাঁর আর বিকল্প উপায় ছিল না। [৩] [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]] [[ভারত|ভারতের]] বিজয় [[ইন্দিরা গান্ধী]]র ভারতে প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদা বাড়িয়ে তোলে এবং তিনি গণভোট জন্য [[কাশ্মীরি]]দের দাবিতে ভারী আচরণ করেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে [[কাশ্মীর]] ও [[ভারত|ভারতের]]মধ্যে ১৯৫৩-এর পূর্ববর্তী সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের শেখ আবদুল্লাহর দাবি মেনে নেওয়া অসম্ভাব্য, কারণ "এইভাবে ঘড়ির কাঁটা পিছিয়ে দেওয়া যায় না"। [৪] ১৯৭৫ সালে শেখ আবদুল্লাহ কাশ্মীরের জনগণকে স্ব-সংকল্পের অধিকার দেওয়ার দাবি ছেড়ে দেন। ১৯৫৩ সাল থেকে আবদুল্লাহ জনপ্রিয়তা ভারতের বিরোধিতা থেকে উঠেছিল, তিনি চুক্তির পাঁচ বছর আগেও এই জাতীয় শর্তাদিতে সম্মত হননি। [৫]
১৯৭১-এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ভারতের জয়ের পরে উপমহাদেশে ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তনের ফলে শেখ আবদুল্লাহ এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন যে ভারত দ্বারা নির্ধারিত শর্তাবলী অনুসরণ করা ছাড়া তাঁর আর বিকল্প উপায় ছিল না।<ref>{{cite book|author=Sumantra Bose|title=Kashmir: Roots of Conflict, Paths to Peace|url=https://books.google.com/books?id=3ACMe9WBdNAC|date=June 2009|publisher=Harvard University Press|isbn=978-0-674-02855-5|page=89|quote=He probably also calculated that after Pakistan's defeat and dismemberment in the December 1971 Bangladesh war, the regional balance of power had swung decisively in India's favor, leaving him with little alternative to accepting terms dictated by New Delhi.}}</ref> [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]] [[ভারত|ভারতের]] বিজয় [[ইন্দিরা গান্ধী]]র ভারতে প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদা বাড়িয়ে তোলে এবং তিনি গণভোট জন্য [[কাশ্মীরি]]দের দাবিতে ভারী আচরণ করেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে [[কাশ্মীর]] ও [[ভারত|ভারতের]]মধ্যে ১৯৫৩-এর পূর্ববর্তী সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের শেখ আবদুল্লাহর দাবি মেনে নেওয়া অসম্ভাব্য, কারণ "এইভাবে ঘড়ির কাঁটা পিছিয়ে দেওয়া যায় না"।<ref>{{cite book|author=N. Khan|title=The Life of a Kashmiri Woman: Dialectic of Resistance and Accommodation|url=https://books.google.com/books?id=i9jiAwAAQBAJ&pg=PT103|date=25 June 2014|publisher=Springer|isbn=978-1-137-46329-6|pages=103–|quote=The consummate victory of the Indian military bolstered Indira Gandhi's position as premier of India, and she dealt with the demand for plebiscite in Jammu and Kashmir with a heavy hand. She declared that the Sheikh's insistence on restoring the pre-1953 constitutional relationship between the state and the Indian Union, which would afford greater autonomy and freedoms to the state, was inconceivable because, 'the clock could not be put back in this manner'.}}</ref> ১৯৭৫ সালে শেখ আবদুল্লাহ কাশ্মীরের জনগণকে স্ব-সংকল্পের অধিকার দেওয়ার দাবি ছেড়ে দেন। ১৯৫৩ সাল থেকে আবদুল্লাহ জনপ্রিয়তা ভারতের বিরোধিতা থেকে উঠেছিল, তিনি চুক্তির পাঁচ বছর আগেও এই জাতীয় শর্তাদিতে সম্মত হননি।<ref>{{cite book|author=Sumantra Bose|title=Kashmir: Roots of Conflict, Paths to Peace|url=https://books.google.com/books?id=3ACMe9WBdNAC|date=June 2009|publisher=Harvard University Press|isbn=978-0-674-02855-5|pages=88|quote=In 1975 Sheikh Abdullah finally abandoned his self-determination platform. This was not a settlement Abdullah would have accepted or even considered -twenty, ten or even five years earlier. His politics and popularity since 1953 had been based on defiance of New Delhi's authoritarianism.}}</ref>


==চুক্তি==
==চুক্তি==

০৭:০০, ১০ আগস্ট ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

কাশ্মীরি রাজনীতিবিদ শেখ আবদুল্লাহ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মধ্যে ১৯৭৫ সালের ইন্দিরা–শেখ চুক্তি ২২ বছর পরে আবারও জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার অনুমতি দেয়।[১][২]

প্রসঙ্গ

১৯৭১-এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ভারতের জয়ের পরে উপমহাদেশে ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তনের ফলে শেখ আবদুল্লাহ এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন যে ভারত দ্বারা নির্ধারিত শর্তাবলী অনুসরণ করা ছাড়া তাঁর আর বিকল্প উপায় ছিল না।[৩] বাংলাদেশে ভারতের বিজয় ইন্দিরা গান্ধীর ভারতে প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদা বাড়িয়ে তোলে এবং তিনি গণভোট জন্য কাশ্মীরিদের দাবিতে ভারী আচরণ করেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে কাশ্মীরভারতেরমধ্যে ১৯৫৩-এর পূর্ববর্তী সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের শেখ আবদুল্লাহর দাবি মেনে নেওয়া অসম্ভাব্য, কারণ "এইভাবে ঘড়ির কাঁটা পিছিয়ে দেওয়া যায় না"।[৪] ১৯৭৫ সালে শেখ আবদুল্লাহ কাশ্মীরের জনগণকে স্ব-সংকল্পের অধিকার দেওয়ার দাবি ছেড়ে দেন। ১৯৫৩ সাল থেকে আবদুল্লাহ জনপ্রিয়তা ভারতের বিরোধিতা থেকে উঠেছিল, তিনি চুক্তির পাঁচ বছর আগেও এই জাতীয় শর্তাদিতে সম্মত হননি।[৫]

চুক্তি

চুক্তি, যার শর্তাবলী ভারতের কাছে "আত্মসমর্পণ" এর পরিমাণ হিসাবে বর্ণনা করা হয়, ১৯৫৩ সাল থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের ভারতে একীভূত হওয়ার শর্ত পুনরুদ্ধার করে "স্পষ্টভাবে ভণ্ডামিযুক্ত ধারা" দিয়ে প্রশাসন ৩৭০ ধারা এর অধীনে রাজ্যটির রক্ষণাবেক্ষণ করবে। পণ্ডিত সুমন্ত্র বসু উল্লেখ করেছেন যে ১৯৭০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ভারতীয় ইউনিয়নে রাজ্যকে একীভূত করার জন্য ২৩ টি সাংবিধানিক আদেশ ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছিল এবং ২৬২ ইউনিয়ন আইনও ইতিমধ্যে রাজ্যে প্রয়োগ করা হয়েছিল। []] ধারা ৩৭০ ধরে রাখার পরেও, রাজ্যটিকে ভারতীয় ইউনিয়নের "একটি উপাদান ইউনিট" বলা হত। ভারতীয় সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার লক্ষ্যে প্রত্যাখ্যান কার্যক্রম সম্পর্কিত আইন তৈরি করে ভারত সরকার "সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলি" নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছিল। []] চুক্তি কেবল রাজ্য সরকারকে সেই আইনগুলি পর্যালোচনা করার অধিকার দিয়েছিল, যা বিশেষত কেন্দ্র এবং রাজ্যের ১৯৫৩ সালের পরে রাজ্যকে বাড়ানো "সমবর্তী শক্তিগুলির" তালিকাভুক্ত ছিল। শুধুমাত্র এই আইনগুলি সংশোধন বা বাতিল করার জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে। চুক্তি কল্যাণ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমস্যা এবং মুসলিমদের ব্যক্তিগত আইন সম্পর্কিত বিষয়গুলিতে আইন করার রাজ্যের অধিকারকে "পৃষ্ঠপোষকতার সাথে" স্বীকৃতিও দিয়েছে। [৮]

ইন্দিরা–শেখ চুক্তির পাঠ্য

স্বাক্ষরকারী

আবদুল্লাহর পক্ষে মির্জা মোহাম্মদ আফজাল বেগ এবং ভারত সরকারের পক্ষে (প্রধানমন্ত্রী গান্ধীর নেতৃত্বে) জি পার্থসারথির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। []]

প্রতিক্রিয়া এবং ফলাফল

পূর্ববর্তী ভাষ্যকার এবং ভারত ভেবেছিল যে স্ব-সংকল্পের জন্য কাশ্মীরি আন্দোলন চুক্তির মাধ্যমে শেষ হবে। [১০] রাজ্যের মধ্যে মিরওয়াইজ মৌলভী ফারুক চুক্তির প্রতিবাদ করে, যারা এটিকে কাশ্মীরি জনগণের স্ব-স্থিরতার ত্যাগ হিসাবে দেখেছে। আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি এবং প্লাইবিসাইট ফ্রন্টের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জম্মু থেকে বিক্ষোভও হয়েছিল, যেখানে জন সংঘের সমর্থকরা ৩৭০ ধারা বাতিল এবং ভারতের সাথে সম্পূর্ণ একীকরণের আহ্বান জানিয়েছিল। [১১]

সুমন্ত্র বসুর সাথে একটি সাক্ষাত্কারে, ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রবীণ আবদুল কাইয়ুম জার্গার, যিনি মির্জা আফজাল বেগের ব্যক্তিগত সচিবও ছিলেন, বলেছিলেন যে চুক্তির শর্তগুলি "গভীরভাবে অজনপ্রিয়" এবং কেবল শেখ আবদুল্লাহর গ্রহণযোগ্যতার কারণে শুধুমাত্র "তিক্ত বড়ি হিসাবে গিলেছেন"। যাইহোক, সবাই চুক্তির সাথে একমত পোষণ করেননি। শাব্বির শাহ নামে এক তরুণ কর্মী আত্মনিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য পিপলস লিগ তৈরি করেছিলেন। [12] নাইলা আলী খানের মতে শেখ আবদুল্লাহর সরকার "বন্দীত্ব" সমালোচকরা ভারত সরকারের কাছে কাশ্মীরি রাজ্যের "বিস্তৃত শক্তি" ভুলে যায়। [১৩] চুক্তি সমাপ্ত হওয়ার পরেও শেখ আবদুল্লাহর মনে হয়েছিল যে কাশ্মীরি মুসলমানরা "গান্ধী ও নেহেরুর ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে সুরক্ষিত ছিল না"। [১৪]

সুমন্ত্র বসু উন্নয়নের বর্ণনা দিয়েছেন, এর মাধ্যমে দিল্লী আবদুল্লাহর প্রত্যাবর্তনকে কাশ্মীরের বিরোধের "চতুর ফাঁকি" হিসাবে "স্থিতিশীল সমাধান" না বলে অভিহিত করেছিল। তবে বসু মনে করেন যে আবদুল্লাহর প্রত্যাবর্তন রাজ্যে প্রথম "প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতির প্রতীক" তৈরি হয়েছিল। [১৫] চুক্তির বিরোধিতা করে আবদুল্লাহর শাসনে রয়ে গেলেন। ১]]

তথ্যসূত্র

  1. What's the mystery of the Indira-Abdullah accord?, Deccan Herald, 13 December 2012.
  2. Indira-Sheikh accord a milestone event: Vohra, Business Standard, 27 October 2013.
  3. Sumantra Bose (জুন ২০০৯)। Kashmir: Roots of Conflict, Paths to Peace। Harvard University Press। পৃষ্ঠা 89। আইএসবিএন 978-0-674-02855-5He probably also calculated that after Pakistan's defeat and dismemberment in the December 1971 Bangladesh war, the regional balance of power had swung decisively in India's favor, leaving him with little alternative to accepting terms dictated by New Delhi. 
  4. N. Khan (২৫ জুন ২০১৪)। The Life of a Kashmiri Woman: Dialectic of Resistance and Accommodation। Springer। পৃষ্ঠা 103–। আইএসবিএন 978-1-137-46329-6The consummate victory of the Indian military bolstered Indira Gandhi's position as premier of India, and she dealt with the demand for plebiscite in Jammu and Kashmir with a heavy hand. She declared that the Sheikh's insistence on restoring the pre-1953 constitutional relationship between the state and the Indian Union, which would afford greater autonomy and freedoms to the state, was inconceivable because, 'the clock could not be put back in this manner'. 
  5. Sumantra Bose (জুন ২০০৯)। Kashmir: Roots of Conflict, Paths to Peace। Harvard University Press। পৃষ্ঠা 88। আইএসবিএন 978-0-674-02855-5In 1975 Sheikh Abdullah finally abandoned his self-determination platform. This was not a settlement Abdullah would have accepted or even considered -twenty, ten or even five years earlier. His politics and popularity since 1953 had been based on defiance of New Delhi's authoritarianism. 

বহিঃসংযোগ