সামিয়া আল আমৌদি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সামিয়া আল আমৌদি
২০০৭ সালে ওয়াশিংটনে পলা দব্রিয়ানস্কির সাথে সামিয়া আল-আমৌদি
জন্ম (1957-04-12) ১২ এপ্রিল ১৯৫৭ (বয়স ৬৭)

সামিয়া আল আমৌদি হলেন সৌদি আরবের একজন ধাত্রীবিদ্যা ও গাইনিরোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি শেখ মোহামেদ হুসেইন আল-আমৌদি সেন্ট্রাল অব এক্সেলেন্সের স্তন ক্যান্সার বিভাগের প্রধান। তিনি দেশটিতে স্তন ক্যান্সার বিষয়ক সচেতনতা তৈরিতে অবদান রেখেছেন। তিনি নিজেও একসময়ে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি উপসাগরীয় অঞ্চলভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর প্রথম নারী হিসেবে ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার লাভ করেছিলেন।[১][২]

জীবনী[সম্পাদনা]

সামিয়া আল-আমৌদি ১৯৫৭ সালের ১২ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮১ সালে তিনি বাদশাহ আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডাক্তারি পাস করেন।[৩]

২০০৬ সালে তিনি স্তন ক্যান্সার বিষয়ক চিকিৎসা গ্রহণ শুরু করেন।[৩] তিনিই প্রথম সৌদি নারী, যিনি নিজের স্তন ক্যান্সার বিষয়ক অভিজ্ঞতার কথা জনসম্মুখে প্রকাশ করেছিলেন। তিনি দেশটির আল মদিনা সংবাদপত্রে তার অভিজ্ঞতা বিষয়ক ধারাবাহিক প্রতিবেদন লিখেছিলেন।[৪] এছাড়াও, টিভি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজের স্তন ক্যান্সার বিষয়ক অভিজ্ঞতার কথা সবাইকে জানিয়েছেন।[৩]

২০১২ সালে তিনি তার স্তন ক্যান্সার বিষয়ক চিকিৎসা শেষ করেন। তিনি দেশটির শেখ মোহামেদ হুসেইন আল-আমৌদি সেন্ট্রাল অব এক্সেলেন্সের স্তন ক্যান্সার বিভাগের প্রধান। এছাড়াও তিনি যুক্ত আছেন বাদশাহ আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে, যুক্ত আছেন জিই হেলথকেয়ারের সাথেও।[২]

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

তিনি ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার লাভ করেন।[১][২] ২০১০ সালে তাকে ১০০ প্রভাবশালী আরবের তালিকায় পাঁচ নম্বরে রেখেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাপ্তাহিক পত্রিকা অ্যারাবিয়ান বিজনেস[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Secretary of State Confers the First International Women of Courage Awards" (পিডিএফ)। ৭ মার্চ ২০০৭। ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৩ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২, ২০১৩ 
  2. "Meet Samia Al-Amoudi, #GetFit Saudi Arabia Ambassador | GE Healthcare The Pulse"। Newsroom.gehealthcare.com। ২০১২-০৯-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০২-০৪ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "Power 100"। ArabianBusiness.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০২-০৪ 
  4. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৯