সদৌ আসাম ছাত্র সংস্থা
সংক্ষেপে | AASU |
---|---|
গঠিত | ৮ আগস্ট ১৯৬৭ |
ধরন | ছাত্র সংগঠন |
সদরদপ্তর | গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয় |
যে অঞ্চলে কাজ করে | আসাম, ভারত |
সভাপতি | দীপঙ্ক কুমার নাথ |
প্রধান উপদেষ্টা | সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য |
সাধারণ সম্পাদক | লুরিনজ্যোতি গগৈ |
প্রাক্তন নাম | সদৌ অসম ছাত্র সংগঠন |
সদৌ আসাম ছাত্র সংস্থা (ইংরেজি: All Assam Students Union) সংক্ষিপ্ত রুপ AASU (আসু) ভারতের আসাম রাজ্যের একটি বৃহৎ ছাত্র সংগঠন।[১] অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীর বিরুদ্ধে সংঘটিত আসাম আন্দোলনের নেতৃত্ব সদৌ অসম ছাত্র সন্থা বহন করেছিল। ১৯৮৫ সনে অসম চুক্তি সাক্ষরিত হওয়ার পর সদৌ অসম ছাত্র সন্থার নেতারা অসম গণ পরিষদ নামক একটি রাজনৈতিক দলের গঠন করেছিলেন। অসম গণ পরিষদ ১৯৮৫ সন ও ২০০১ সনে অসমে সরকার গঠন করিতে সক্ষম হয়েছিলে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৪০ সনে অসম ছাত্র সন্মিলনী (ইংরেজি: Assam Students Association) নামক একটি ছাত্র সংগঠন বিভাজিত হয়ে হয়ে সদৌ অসম ছাত্র ফেডারেশন (ইংরেজি:All Assam Student' Federation) ও সদৌ অসম ছাত্র কংগ্রেশ(ইংরেজি:Assam Students' Congress) নামক ২টি ছাত্র সংগঠন গঠন করেছিল। প্রায় এক দশকের পর এই দুইটি ছাত্র সংগঠন একত্রিত হয়ে সদৌ অসম ছাত্র সংগঠন(ইংরেজি: All Assam Student' Association) নামক ছাত্র সংগঠনের গঠন করেছিল। ১৯৬৭ সনের জানুয়ারি মাসে এই সংগঠন সদৌ অসম ছাত্র সন্থা নামে পুননামকরন করা হয়।[১][২]
সদৌ অসম ছাত্র সন্থার ভূমিকা
[সম্পাদনা]১৯৭৯ সনে সদৌ অসম ছাত্র সন্থা অসম সাহিত্য সভা ও পূর্বাঞ্চলীয় গণ পরিষদের প্রতিনিধিত্বে সদৌ অসম গণ সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেছিল। জাতীয়তাবাদী সল, অসম যুবক সমাজ ও যুব অধিবক্তা ফরাম অসম গণ সংগ্রাম পরিষদে যোগদান করেছিল। সেই সময়ে মূখ্য নির্বাচন আয়োগ পুর্বের ভোটের তালিকা মতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য নির্দেশ দেন কিন্তু সদৌ অসম ছাত্র সন্থা ভোটার তালিকা সংশোধন না করা পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ জানায়। কেন্দ্রীয় ও রাজ্যিক সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ছাত্র সন্থা আন্দোলনের সৃষ্টি করে। ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের মত এই আন্দোলন তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল। দৈনিক হাজার হাজার লোক আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেছিল। এই আন্দোলন আসাম আন্দোলন নামে পরিচিত। ৬ বৎসর ব্যাপী এই আন্দোলন চলেছিল। আসাম আন্দোলন কিছু কিছু স্থানে হিংসাত্মক রূপ ধারণ করেছিল। এই আন্দোলনে স্থানীয় লোকেরা পূর্নসমর্থন করেছিলেন। আসাম আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশী ব্যক্তিকে অসম থেকে বহিষ্কার করা। আসাম আন্দোলন ধর্ম নির্বিশেষে বিদেশী বহিষ্কারের জন্য করা হয়েছিল এই কথা সদৌ অসম ছাত্র সন্থা স্পষ্ট করে দিয়েছিল। নেপাল থেকে হওয়া অনুপ্রবেশকারীর বিরুদ্ধে সদৌ অসম ছাত্র সন্থা আন্দোলন করেছিল। সদৌ অসম ছাত্র সন্থার আন্দোলনের ফলে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর বিরুদ্ধে কেন্দীয় সরকার অসম চুক্তি সাক্ষর করেছিল ফলে বিদেশী সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া সম্ভব হয়েছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ Karna, Mahendra Narain (১৯৯৮)। Social Movements in North-East India। New Delhi: Indus Publishing। আইএসবিএন 8173870837।
- ↑ Deka, Meeta (১৯৯৬)। Student Movements in Assam। New Delhi: Vikas Pub. House। আইএসবিএন 0706998820।