লুডভিগ বোলৎসমানের দর্শন
মূলধারার দর্শনে লুডভিগ বোলৎসমানের কোন যুগান্তকারী অবদান নেই, কারণ তিনি ছিলেন মূলত গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানী। কিন্তু দর্শন বিষয়ে তিনি বিস্তর পড়াশোনা করেছিলেন এবং একটি নিজস্ব দার্শনিক চিন্তাধারার জন্মও দিয়েছিলেন। দার্শনিক দিক দিয়ে তিনি ছিলেন পুরোদস্তুর বাস্তববাদী এবং বস্তুবাদী। অবশ্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মূলেই রয়েছে এই বাস্তববাদ। তার দার্শনিক চিন্তাধারা লিপিবদ্ধ আছে তার লেখা জনগণের প্রতি নামক বইটিতে।[১] ১৯০৩ সালের দিকে ভিয়েনায় দার্শনিক হিসেবেও তিনি স্বীকৃত ছিলেন, যার প্রমাণ পাওয়া যায় আর্নস্ট মাখের অবসর গ্রহণের পর বিজ্ঞানের দর্শন বিষয়ক একটি পদে তাকে নিয়োগদান।[২]
বাস্তববাদ
[সম্পাদনা]জ্ঞানতত্ত্ব
[সম্পাদনা]বোলৎসমানের মতে দর্শনের কেন্দ্রীয় বিষয় হচ্ছে অস্তিত্ব এবং জ্ঞানের মধ্যে সম্পর্কে, ইংরেজিতে এই সম্পর্ক বিষয়ক অধ্যয়নকে বলা হয় নসিওলজি (Gnoseology) বা এপিস্টেমোলজি (Epistemology), বাংলায় জ্ঞানতত্ত্ব।[৩] এ নিয়ে তিনি কতটা ভাবতেন তার প্রমাণ পাওয়া যায় তার ক্যালিফোর্নিয়া ভ্রমণ বিষয়ক রচনাটিতে। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলি ঘুরে এসে তিনি লিখেছিলেন, "বার্কলি একজন বিখ্যাত ব্রিটিশ দার্শনিকের নাম যিনি দর্শনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্বুদ্ধিতার জন্ম দিয়েছিলেন বলা যায়, তিনি এমন একটি দার্শনিক আদর্শিকতার জন্ম দিয়েছিলেন যা বস্তু জগতের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করে।"
বৈজ্ঞানিক বিপ্লব
[সম্পাদনা]বোলৎসমান বৈজ্ঞানিক বিপ্লব বিষয়ে কথা বলেছিলেন। পরবর্তীতে মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী ও দার্শনিক টমাস কুন এই ধারণার সার্থক বিকাশ ঘটান যেজন্য তাকে বৈজ্ঞানিক বিপ্লব ধারণাটির জনক বলা হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ লুডভিগ বোলৎসমান (১৯০৫). Populiire Schriften, বার্থ, লাইপৎসিগ
- ↑ Carlo Cercignani, Politecnico di Milano, Ludwig Boltzmann The Man Who Trusted Atoms, Chapter 10 - Boltzmann as a Philosopher; অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। প্রথম প্রকাশ - ১৯৯৮।
- ↑ L. Boltzmann (1974). Theoretical physics and philosophical problems [জনগণের প্রতি-এর আংশিক ইংরেজি অনুবাদ], ed. B. McGuinness. Reidel, Dordrecht.