ভ্যালেন্টাইন মোগাদাম

ভ্যালেন্টাইন মোগাদাম (জন্ম ১৯৫২) একজন নারীবাদী পণ্ডিত, সমাজবিজ্ঞানী, কর্মী এবং লেখক। তিনি মধ্যপ্রাচ্যে উন্নয়ন, বিশ্বায়ন, নারীবাদী নেটওয়ার্ক এবং মহিলাদের কর্মসংস্থান বিষয়ে নারীদের নিয়ে কাজ করেন।

তিনি উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গবেষণা শিখিয়েছেন এবং সম্পাদন করেছেন। সম্প্রতি সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং উত্তর-পূর্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিষয়ক পরিচালক হিসাবে তিনি কাজ করছেন। এর আগে তিনি পারডু বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন্স স্টাডিজ প্রোগ্রামের পরিচালকের পদে ছিলেন, যেখানে তিনি সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপকও ছিলেন। সেই নিয়োগের আগে মোগালাম লিঙ্গ সমতা এবং উন্নয়নের প্রধান হিসাবে জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থার হয়ে কাজ করেছিলেন।

তার প্রকাশনা গ্লোবালাইজিং উইমেন: ট্রান্সন্যাশনাল ফেমিনিস্ট নেটওয়ার্কস বিশ্বায়নকে একটি লিঙ্গভিত্তিক প্রক্রিয়া হিসাবে পরীক্ষা করে এবং ট্রান্সন্যাশনাল ফেমিনিস্ট নেটওয়ার্কস (টিএফএন) কে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করে। মোগাদামে তার প্রস্তাবনায় লিখেছেন, "বিশ্বায়ন-উপর থেকে-উপরে' 'বিশ্বায়ন-থেকে-নীচে', একটি গতিশীল এবং আন্তর্জাতিক নারী আন্দোলন তৈরি করেছে যা নিওলিবারেল পুঁজিবাদ এবং পিতৃতান্ত্রিক মৌলবাদের মুখোমুখি হয়েছে"।

জীবনের প্রথমার্ধ

ভ্যালেন্টাইন মোগাডাম ১৯৫২ সালে ইরানের তেহরানের একটি আসিরীয় পরিবারে একটি "শহুরে, অভিজাত পরিবারে" জন্মগ্রহণ করেন। একটি আন্তর্জাতিক বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা লাভের পর, তিনি তার প্রথম দুই বছর একটি প্রধান দৈনিক সংবাদপত্র কায়হানে নিযুক্ত কর্মশক্তিতে কাটিয়েছিলেন। সংবাদপত্রে তার সময় অনুসরণ করে, মোগাদম ইম্পেরিয়াল এয়ার ফোর্স ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুলে ইংরেজি পড়াতেন। এই প্রাথমিক কাজের অভিজ্ঞতার পর, ভ্যালেন্টাইন মোগাডাম, তার পিতামাতার সহায়তায়, পশ্চিমে একটি কলেজ শিক্ষা চেয়েছিলেন।

শিক্ষা

ভ্যালেন্টাইন মোগাডাম প্রথম ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ে (অন্টারিও, কানাডা) পড়াশোনা করেন, যেখানে তিনি "ইরানের ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেন এবং বামপন্থী কর্মী হন"। স্নাতক হিসেবে তিনি ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মেজর হন এবং ১৯৭৮ সালে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। মোগাদামের ওয়াশিংটন ডিসি আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানে এমএ (১৯৮৩) এবং পিএইচডি (১৯৮৬) অর্জন করেন।

ক্যারিয়ার

১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ভিজিটিং অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে মোগাডাম সমাজবিজ্ঞান, নারী এবং উন্নয়ন সম্পর্কে বেশ কয়েকটি কোর্স পড়ান। পরের বছর ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের পেমব্রোক সেন্টার ফর টিচিং অ্যান্ড রিসার্চ অন উইমেন-এর অধীনে মোগাডাম পোস্টডক্টরাল ফেলো হিসেবে গবেষণা শেষ করেন। ১৯৮৯ সালের পতনে তিনি রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য স্টাডিজ প্রোগ্রামে ভিজিটিং অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসেবেও শিক্ষকতা করেন। ১৯৯০ সালের পতনে ভিজিটিং লেকচারার এবং ১৯৯২ সালের পতনে ভিজিটিং সিনিয়র লেকচারার হিসেবে মোগাডাম হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। এরপর, ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিতে জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াইরডিআর ইনস্টিটিউটে নারী ও উন্নয়ন গবেষণা কার্যক্রমের সিনিয়র গবেষক ও সমন্বয়কারী হিসেবে গবেষণা সম্পন্ন করেন। ২০০৪ সালের মে থেকে ২০০৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোগালাম ফ্রান্সের প্যারিসে ইউনেস্কোর সামাজিক ও মানব সেবা খাতে লিঙ্গ সমতা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করেন। ২০০৭ সালের জানুয়া মোগাডাম পারডু বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ অফ লিবারেল আর্টস উইমেন্স স্টাডিজ প্রোগ্রামের পরিচালক নিযুক্ত হন, যেখানে তিনি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপকও হন। সম্প্রতি, তিনি সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং উত্তর-পূর্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিভাগের পরিচালক পদ গ্রহণ করেছেন।

আরও পড়া

• মোগদাম, ভ্যালেন্টাইন। নারীদের বিশ্বায়ন: আন্তর্জাতিক নারীবাদী নেটওয়ার্ক । বাল্টিমোর: জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি প্রেস, ২০০৫।
• মোগদাম, ভ্যালেন্টাইন। আইডেন্টিটি পলিটিক্স অ্যান্ড উইমেন: ইন্টারন্যাশনাল পার্সপেক্টিভে কালচারাল রিসারসেন্স অ্যান্ড ফেমিনিজমস । বোল্ডার: ওয়েস্টভিউ প্রেস, ১৯৯৪।
• মোগদাম, ভ্যালেন্টাইন। নারীদের আধুনিকীকরণ: মধ্যপ্রাচ্যে লিঙ্গ ও সামাজিক পরিবর্তন । বোল্ডার: এল। রিয়েনার, ১৯৯৩
• মোগদাম, ভ্যালেন্টাইন। মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায় নারী, কাজ এবং অর্থনৈতিক সংস্কার । বোল্ডার: লিন রিয়েনার পাবলিশার্স, ১৯৯৮.