শিন-ইচিরো তোমোনাগা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Alexbot (আলোচনা | অবদান)
রোবট যোগ করছে: pnb:سن اتیرو ٹوموناگا
Xqbot (আলোচনা | অবদান)
রোবট পরিবর্তন সাধন করছে: pl:Shin'ichirō Tomonaga
৪৮ নং লাইন: ৪৮ নং লাইন:
[[nl:Shinichiro Tomonaga]]
[[nl:Shinichiro Tomonaga]]
[[oc:Sin-Itiro Tomonaga]]
[[oc:Sin-Itiro Tomonaga]]
[[pl:Shinichiro Tomonaga]]
[[pl:Shin'ichirō Tomonaga]]
[[pnb:سن اتیرو ٹوموناگا]]
[[pnb:سن اتیرو ٹوموناگا]]
[[pt:Shin'ichiro Tomonaga]]
[[pt:Shin'ichiro Tomonaga]]

১৭:০৮, ১ মার্চ ২০১০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

সিন-ইতিরো তোমোনাগা

সিন-ইতিরো তোমোনাগা (জাপানি: 朝永 振一郎) (মার্চ ৩১, ১৯০৬ - জুলাই ৮, ১৯৭৯) একজন জাপানী পদার্থবিজ্ঞানী। কোয়ান্টাম তড়িৎগতিবিজ্ঞানের উন্নয়নে তিনি বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। কোয়ান্টাম তড়িৎগতিবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণা এবং মৌলিক কণাসমূহের পদার্থবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল উপপাদনের কারণেই তিনি অপর দুই বিজ্ঞানী জুলিয়ান শুইঙার এবং রিচার্ড ফিলিপ্‌স ফাইনম্যানের সাথে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

জীবনী

তোমোনাগা জন্মগ্রহণ করেন জাপানের টোকিও শহরে ১৯০৬ সালে। তিনি জাপানী দার্শনিক সানজুরো তোমোনাগার দ্বিতীয় সন্তান এবং জ্যেষ্ঠ্য পুত্র। ১৯২৬ সালে কিয়োটো ইম্পেরিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। স্নাতক শিক্ষার সময় অপর জাপানী নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী হিদেকি ইউকাওয়া তার সহপাঠী ছিলেন। একি শিক্ষাঙ্গণের স্নাতক স্কুলে অধ্যয়নের পাশাপাশি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী হিসেবে কাজ করেন। স্নাতক হবার পর রিকেনের ইয়োশিও নিশিনা'র গ্রুপে চাকরিতে যোগ দেন। ১৯৩৭ সালে লিপজিগে কাজ করার সময় তিনি ভের্নার কার্ল হাইজেনবের্গের গবেষণা দলকে সহযোগিতা করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবার পর তিনি জাপানে ফিরে আসেন। কিন্তু লিপজিগে থাকার সময় নিউক্লীয় পদার্থের অধ্যয়ন বিষয়ে যে অভিসন্দর্ভের উপর তিনি কাজ করছিলেন তার কথা ভুলে যাননি। তিনি ডক্টরেট শিক্ষা শেষ করেন।

জাপানে তিনি "টোকিও ইউনিভার্সিটি অফ এডুকেশনে" (পূর্বতন নাম: সুকুবা বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপনার কাজে নিযুক্ত হন। বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়েই তিনি ম্যাগনেট্রন, মেসন তত্ত্ব এবং নিজস্ব "সুপার-মেনি-টাইম তত্ত্ব" নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যান। ১৯৪৮ সালে তিনি নিজের ছাত্রদের নিয়ে সিডনি ড্যানকফের একটি গবেষণাপত্রের পুনঃনিরীক্ষা করেন। ১৯৩৯ সালে প্রকাশিত এই গবেষণাপত্রে প্রমাণ করতে চেষ্টা করা হয়েছিল, কোয়ান্টাম তড়িৎগতিবিজ্ঞানে যে অসীম গুণগুলোর আবির্ভাব ঘটে সেগুলো একে অন্যের সাথে মিলে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় তথা একটি আরেকটি বাতিল করে দেয়; অবশ্য ড্যানকফ এটি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তোমোনাগা নিজের সুপার-মেনি-টাইম তত্ত্ব এবং পাউলি ও ফিয়ার্জের অ-আপেক্ষিকতাভিত্তিক পদ্ধতি প্রয়োগ করে সে সংক্রান্ত গণনাকে বিপুল মাত্রায় এগিয়ে নিয়ে গিয়ে তা ব্যাখ্যা করার প্রয়াস নেন। তিনি এবং তার ছাত্ররা দেখতে পান, ড্যানকফ তার গবেষণায় উত্তেজিত ধারার একটি টার্ম এড়িয়ে গেছেন। এই টার্ম যোগ করলে তত্ত্ব থেকে সসীম ফল পাওয়া যায়। এভাবেই তোমোনাগা রিনরমালাইজেশন প্রক্রিয়া আবিষকার করেন। একই সাথে তিনি ল্যাম্ব অপসরণ সহ অন্যান্য ভৌত টার্ম নির্ণয় করতে সমর্থ হন।

পরবর্তী বছর রবার্ট ওপেনহাইমার তাকে প্রিন্সটন শহরে ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডবান্সড স্টাডিস-এ অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান। সেখানে তিনি একটি কোয়ান্টাম-যান্ত্রিক পদ্ধতির সমন্বিত স্পন্দনের বহু-বস্তু সমস্যা নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। এর পরের বছর আবার জাপানে ফিরে এসে তোমোনাগা-লুটিঙার তরল প্রস্তৃতির প্রস্তাব করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে জাপানের টোকিওতে মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র

  • Schweber, Sylvan S., 1994. QED and the men who made it : Dyson, Feynman, Schwinger, and Tomonaga. Princeton Univ. Press.
  • Tomonaga's Nobel Prize Lecture

বহিঃসংযোগ