মানিক সরকার (শিল্পী): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
"Manick Sorcar" পাতাটি অনুবাদ করে তৈরি করা হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{তথ্যছক ব্যক্তি
{{তথ্যছক ব্যক্তি
| name = Manick Sorcar
| name = মানিক সরকার
| image =
| image =
| image_size =
| image_size =
| caption =
| caption =
| birth_date = {{Birth date and age|1944|11|29}}
| birth_date = {{Birth date and age|1944|11|29}}
| birth_place = [[Tangail]], [[Mymensingh]],<BR>[[British India]]
| birth_place = [[টাঙ্গাইল]], [[ময়মনসিংহ]] [[বৃটিশ ভারত]]
| nationality = [[United States]]
| nationality = [[যুক্তরাষ্ট্র]]
| alma_mater = [[কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়| কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের]] [[ভারতীয় প্রযুক্তিক প্রতিষ্ঠান]]</br> [[ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ইন সেন্ট লুইস| ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়]]
| alma_mater = [[Indian Institute of Technology, BHU]], [[University of Washington]]
| occupation = আলোক শিল্পী, অ্যানিমেটর, ইঞ্জিনিয়ার এবং লেজারশিল্পী
| occupation = Artist, animator, laserist, engineer
| spouse = Shikha Devi
| spouse = শিখা দেবী
| children = পিয়া সরকার (কন্যা)</br> পায়েল সরকার (কন্যা)
| children = [[Piya Sorcar]], Payal Sorcar
| parents =[[প্রতুল চন্দ্র সরকার]](পিতা)</br> বাসন্তী দেবী (মাতা)
| parents = [[P.C. Sorcar]], Basanti Devi
}}
}}


'''মানিক সরকার''' ( আসল নাম প্রফুল্লচন্দ্র সরকার - পি সি সরকার ) হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন আলোক শিল্পী, অ্যানিমেটর, ইঞ্জিনিয়ার এবং লেজারিশিল্পী <ref name="indiatimes">[http://www.twfindia.com/peopleDetail2_01.01.04.asp The Animator] (Trans World Features, Interview, 2004)
'''মানিক সরকার''' ( আসল নাম প্রফুল্লচন্দ্র সরকার - পি সি সরকার ) হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন আলোক শিল্পী, অ্যানিমেটর, ইঞ্জিনিয়ার এবং লেজার শিল্পী <ref name="indiatimes">[http://www.twfindia.com/peopleDetail2_01.01.04.asp The Animator] (Trans World Features, Interview, 2004)
</ref> তিনি চারুকলা, কার্টুন, অ্যানিমেশন, লেসার আর্ট শিল্পী এবং সারা বিশ্বের প্রেক্ষাগৃহে লেসার সহযোগে প্রাণবন্ত প্রদর্শনীর মাধ্যমে তাঁর শিল্পীসত্তার পরিচয় উপস্থাপন করেন।  তাঁর এনিমেটেড সমস্ত চিত্রগুলি ভারতের শিশুদের গল্প আধারিত এবং সেগুলি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে  মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের সম্মানিত। বিগত পঁচিশ বৎসর ধরে সেগুলি সরকারী প্রচার মাধ্যমে  সম্প্রচারিত হচ্ছে <ref name="pbs">[http://issuu.com/pravasitoday/docs/pravasi__today_january_2010_issue Manick's Animation Films on US TV Stations] (Pravasi Today, 2010)</ref> <ref name="coloradogov">[https://www.india.com/the-indian-diaspora/state-of-colorado-honors-manick-sorcar-for-animation-shows-270329/ Colorado Governor Honors Manick Sorcar] (India.com, 2015)</ref>তাঁর লেসার আর্ট এবং বিভিন্ন ধরনের এনিমেশন পরিবেশনা ইন্টারন্যাশনল লেসার ডিসপ্লে  অ্যাসোসিয়েশনের  বৈশ্বিক পুরস্কার লাভ করেছে।
</ref> তিনি চারুকলা, কার্টুন, অ্যানিমেশন, লেসার আর্ট শিল্পী এবং সারা বিশ্বের প্রেক্ষাগৃহে লেসার সহযোগে প্রাণবন্ত প্রদর্শনীর মাধ্যমে তাঁর শিল্পীসত্তার পরিচয় উপস্থাপন করেন। তাঁর এনিমেটেড সমস্ত চিত্রগুলি ভারতের শিশুদের গল্প আধারিত এবং সেগুলি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের সম্মানিত। বিগত পঁচিশ বৎসর ধরে সেগুলি সরকারী প্রচার মাধ্যমে সম্প্রচারিত হচ্ছে <ref name="pbs">[http://issuu.com/pravasitoday/docs/pravasi__today_january_2010_issue Manick's Animation Films on US TV Stations] (Pravasi Today, 2010)</ref> <ref name="coloradogov">[https://www.india.com/the-indian-diaspora/state-of-colorado-honors-manick-sorcar-for-animation-shows-270329/ Colorado Governor Honors Manick Sorcar] (India.com, 2015)</ref>তাঁর লেসার আর্ট এবং বিভিন্ন ধরনের এনিমেশন পরিবেশনা ইন্টারন্যাশনাল লেসার ডিসপ্লে অ্যাসোসিয়েশনের বৈশ্বিক পুরস্কার লাভ করেছে।


== জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন==
== প্রাথমিক জীবন এবং পটভূমি ==
মানিক সরকার বৃটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দের ২৯ শে নভেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন। <ref name="worldbook">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=World of Manick Sorcar: Where Art Becomes Magic|শেষাংশ=Sur|প্রথমাংশ=Roma|বছর=2009|প্রকাশক=Galaxylight Books|সংস্করণ=First}}</ref> তিনি কিংবদন্তি ভারতীয় জাদুকর [[প্রতুল চন্দ্র সরকার]] ও বাসন্তী দেবীর  জ্যেষ্ঠপুত্র. তাঁর দুই জ্যেষ্ঠা ভগিনীরা  হলেন ইলা ও গীতা এবং কনিষ্ঠ দুই ভ্রাতা হলেন প্রদীপ চন্দ্র সরকার বা [[ পি সি সরকার জুনিয়র]] ও প্রভাস চন্দ্র সরকার বা পি সি সরকার ইয়ং। এরা দুজনেই জাদুকর। তিনি শিখা দেবীকে বিবাহ করেন এবং তাঁদের দুই কন্যারা হলেন পিয়া ও পায়েল।
মানিক সরকার বৃটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দের ২৯ শে নভেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন। <ref name="worldbook">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=World of Manick Sorcar: Where Art Becomes Magic|শেষাংশ=Sur|প্রথমাংশ=Roma|বছর=2009|প্রকাশক=Galaxylight Books|সংস্করণ=First}}</ref> তিনি কিংবদন্তি ভারতীয় জাদুকর [[প্রতুল চন্দ্র সরকার]] ও বাসন্তী দেবীর জ্যেষ্ঠপুত্র। তাঁর দুই জ্যেষ্ঠা ভগিনীরা হলেন ইলা ও গীতা এবং কনিষ্ঠ দুই ভ্রাতা হলেন প্রদীপ চন্দ্র সরকার বা [[ পি সি সরকার জুনিয়র]] ও প্রভাস চন্দ্র সরকার বা পি সি সরকার ইয়ং। এরা দুজনেই জাদুকর। তিনি শিখা দেবীকে বিবাহ করেন এবং তাঁদের দুই কন্যারা হলেন পিয়া ও পায়েল।


যুবা বয়সে তিনি সারা বিশ্বে ভ্রমণকারী পিতার মঞ্চে সহকারী হিসাবে কাজ করতেন। পিতার মঞ্চের দৃশ্যপট অঙ্কন, মঞ্চটিকে আলোর নক্সায় সজ্জিত করতে, আলোকসম্পাতের পরিকল্পনা করতেন প্রায়ই। তবে  তিনি জাদুবিদ্যাকে পেশা করতে চাননি বরং আলো ও কলার মাঝে যে জাদু  তিনি দেখেছেন, তাকে লেসারে পরিস্ফুট করতে আগ্রহী হলেন <ref name="worldbook">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=World of Manick Sorcar: Where Art Becomes Magic|শেষাংশ=Sur|প্রথমাংশ=Roma|বছর=2009|প্রকাশক=Galaxylight Books|সংস্করণ=First}}<cite class="citation book cs1" data-ve-ignore="true" id="CITEREFSur2009">Sur, Roma (2009). ''World of Manick Sorcar: Where Art Becomes Magic'' (First&nbsp;ed.). Galaxylight Books.</cite></ref>
যুবা বয়সে তিনি সারা বিশ্বে ভ্রমণকারী পিতার মঞ্চে সহকারী হিসাবে কাজ করতেন। পিতার মঞ্চের দৃশ্যপট অঙ্কন, মঞ্চটিকে আলোর নক্সায় সজ্জিত করতে, আলোকসম্পাতের পরিকল্পনা করতেন প্রায়ই। তবে তিনি জাদুবিদ্যাকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করতে চাননি বরং আলো ও শিল্পকলার মাঝে যে জাদু তিনি দেখেছেন, তাকে লেসারে পরিস্ফুট করতে আগ্রহী হলেন <ref name="worldbook">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=World of Manick Sorcar: Where Art Becomes Magic|শেষাংশ=Sur|প্রথমাংশ=Roma|বছর=2009|প্রকাশক=Galaxylight Books|সংস্করণ=First}}<cite class="citation book cs1" data-ve-ignore="true" id="CITEREFSur2009">Sur, Roma (2009). ''World of Manick Sorcar: Where Art Becomes Magic'' (First&nbsp;ed.). Galaxylight Books.</cite></ref>


[[কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়| কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের]] [[ভারতীয় প্রযুক্তিক প্রতিষ্ঠান]] থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ প্রথম শ্রেণীতে  স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর, উচ্চ  শিক্ষার্থে ও আলোক প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে  শিল্পকলাচর্চা করতে [[যুক্তরাষ্ট্র| মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে]] যান। [[ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ইন সেন্ট লুইস| ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। <ref name="thehindu">[https://web.archive.org/web/20060715033214/http://www.hindu.com/mag/2006/06/04/stories/2006060400160700.htm Animate Magic] ([[The Hindu]], 2006)</ref>
[[কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়| কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের]] [[ভারতীয় প্রযুক্তিক প্রতিষ্ঠান]] থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ প্রথম শ্রেণীতে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর, উচ্চ  শিক্ষার্থে ও আলোক প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে  শিল্পকলাচর্চা করতে [[যুক্তরাষ্ট্র| মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে]] যান। [[ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ইন সেন্ট লুইস| ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। <ref name="thehindu">[https://web.archive.org/web/20060715033214/http://www.hindu.com/mag/2006/06/04/stories/2006060400160700.htm Animate Magic] ([[The Hindu]], 2006)</ref>


== কর্মজীবন ==
== ক্যারিয়ার ==


=== ইঞ্জিনিয়ারিং ===
=== প্রকৌশল ===
মানিক সরকার তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন কলোরাডোর  ডেনেভারের হাওয়ার্ডের ডব্লু বাটাররেক অ্যান্ড কোম্পানিতে ইলেকট্রিক্যাল কনসালটিং ইন্জিনিয়ার হিসাবে। <ref name="denverpostmonks">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.denverpost.com/news/ci_23885647/lasers-and-monks-arvada-engineer-artist-illuminates-great|শিরোনাম=Of lasers and monks: Arvada engineer, artist illuminates a great soul|প্রকাশক=[[The Denver Post]]|সংগ্রহের-তারিখ=7 July 2014}}</ref> দু-বছর পরে সংস্থাটির এক অংশীদার হন এবং নাম পরিবর্তিত হয় - বাটাররেক সরকার ইন্জিনিয়ারিং এবং শেষে সরকার ইনিজিনিয়ারিং। চল্লিশ বৎসরের বেশি সময়ে তাঁর ব্যবস্থাপনায়  সংস্থাটির উন্নতি হয়েছে এবং ডেনেভারের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কলোরাডো কনভেনশন সেন্টার, জাপান ও সৌদি আরবের  বহু ক্রীড়াঙ্গনসহ অসংখ্য বহু মিলিয়ন-ডলারের প্রকল্পের কাজ শেষ করেন।  এই সময়ে মানিক সরকার আলোকসজ্জার উপর তিনটি বই রচনা করেন। এগুলি পাঠ্যপুস্তক হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ও ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে বহুল গৃহীত হয়েছে।
মানিক সরকার তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন কলোরাডোর ডেনেভারের হাওয়ার্ডের ডব্লু বাটাররেক অ্যান্ড কোম্পানিতে ইলেকট্রিক্যাল কনসালটিং ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে। <ref name="denverpostmonks">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.denverpost.com/news/ci_23885647/lasers-and-monks-arvada-engineer-artist-illuminates-great|শিরোনাম=Of lasers and monks: Arvada engineer, artist illuminates a great soul|প্রকাশক=[[The Denver Post]]|সংগ্রহের-তারিখ=7 July 2014}}</ref> দু-বছর পরে সংস্থাটির এক অংশীদার হন এবং নাম পরিবর্তিত হয় - বাটাররেক সরকার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং শেষে সরকার ইঞ্জিনিয়ারিং। চল্লিশ বৎসরের বেশি সময়ে তাঁর ব্যবস্থাপনায় সংস্থাটির উন্নতি হয়েছে এবং ডেনেভারের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কলোরাডো কনভেনশন সেন্টার, জাপান ও সৌদি আরবের বহু ক্রীড়াঙ্গনসহ অসংখ্য বহু মিলিয়ন-ডলারের প্রকল্পের কাজ শেষ করেন। এই সময়ে মানিক সরকার আলোকসজ্জার উপর তিনটি বই রচনা করেন। এগুলি পাঠ্যপুস্তক হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ও ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে গৃহীত হয়েছে।


=== লেজার আর্ট এবং অ্যানিমেশন ===
=== লেজার আর্ট এবং অ্যানিমেশন ===
মানিক সরকারের প্রথম যে খ্যাতি আসে সেটি ছিল -   দুটি মেয়ে ও তার সাথে এনিমেটেড গরু ছাগল আর পাখি নিয়ে   “ভারতের এক রূপকথা : দীপা ও রূপা” ছবিটি এত প্রাণবন্ত হয়েছিল যে , ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে সেটি শিকাগো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে সোনার থালা বা ফলক পেয়েছিল এবং  ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন টেলিভিশনের [[এমি পুরস্কার| এমি পুরস্কারের]] জন্য মনোনীত হয়ে। <ref>[https://www.awn.com/news/colorado-ring-new-year-animation-india Colorado to Ring in New Year with Animation of India] (AWN, January 1, 2006)</ref> এবং ভারতের ঋষি ও মুষিকের অতি পরিচিত পন্চতন্ত্রের উপর নির্মিত পরের ছবি  “দ্য সাগা অ্যান্ড দ্য সেজ” ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে  নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে সোনার পদক লাভ করে কাঠুরের মেয়েকে নিয়ে তৈরি তাঁর অপর এনিমেটেড ছবি “দ্য উডকাটার্স ডটার” যেটি নিউ ইয়র্কের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছিল। আবেলতাবোলের “গন্ধবিচার” -এর উপর ভিত্তি করে তৈরি <nowiki>''</nowiki>Sniff<nowiki>''</nowiki> ( স্নিফ ) সোনার ঈগল লাভ করেছিল। কলম্বাস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে “দ্য রুল অফ টোয়েন্টি-ফোর” ব্রোন্জ ফলক পেয়েছিল।
মানিক সরকারের প্রথম যে খ্যাতি আসে সেটি ছিল -  দুটি মেয়ে ও তার সাথে এনিমেটেড গরু ছাগল আর পাখি নিয়ে “ভারতের এক রূপকথা : দীপা ও রূপা” নামক ছবি থেকে। ছবিটি এত প্রাণবন্ত হয়েছিল যে, ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে সেটি শিকাগো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সোনার থালা বা ফলক পেয়েছিল এবং  ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন টেলিভিশনের [[এমি পুরস্কার| এমি পুরস্কারের]] জন্য মনোনীত হয়েছিল। <ref>[https://www.awn.com/news/colorado-ring-new-year-animation-india Colorado to Ring in New Year with Animation of India] (AWN, January 1, 2006)</ref> এবং ভারতের ঋষি ও মুষিকের অতি পরিচিত পন্চতন্ত্রের উপর নির্মিত পরের ছবি -“দ্য সাগা অ্যান্ড দ্য সেজ” ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সোনার পদক লাভ করে। কাঠুরের মেয়েকে নিয়ে তৈরি তাঁর অপর এনিমেটেড ছবি “দ্য উডকাটার্স ডটার” যেটি নিউ ইয়র্কের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছিল। আবেলতাবোলের “গন্ধবিচার”-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি ''Sniff' (স্নিফ) সোনার ঈগল লাভ করেছিল। কলম্বাস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে “দ্য রুল অফ টোয়েন্টি-ফোর” ব্রোঞ্জ ফলক পেয়েছিল।


১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দ হতে লেসার প্রযুক্তি ব্যবহার করে এনিমেশন ছবি তৈরি করতে শুরু করেন তিনি। কলকাতাতেই নিয়ে তৈরি “ক্যালকাটা ফরএভার: এ লেসার ফ্যান্টাসি” - লেসার প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম তথ্যচিত্র প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হয়েছিল। ২০০০ খ্রিস্টাব্দে দেশাত্মবোধে উজ্জীবিত লেসার প্রদর্শনী “ড্যান্সিং উইথ মাই সেন অ্যান্ড ইন্ডিয়া ফরএভার”-র জন্য নিউ জার্সির ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ইন্দো-আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে পান “এক্সসেলেন্স ইন আর্ট প্লেক” <ref>[http://www.laserist.org/laserist2008/2008-08%20Laserist.pdf The Laserist Interview: Manick Sorcar] (Laserist Cover Story, 2008)</ref> সানফ্রানসিকোতে ২০১০ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে জানুয়ারী ভারতীয় কনসুলেট জেনারেল ৬১তম প্রজাতন্ত্র দিবসের আয়োজন করলে তিনি ৩৩০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকে স্বাধীনতা প্রাপ্তি পর্যন্ত দীর্ঘ সময়কালের ইতিহাস নিয়ে লেসার তথ্যচিত্র “আওয়ার রিপাবলিক বার্থ” প্রদর্শন করেন ক্যালিফোর্নিয়ার সানফ্রান্সিকোর ঐতিহাসিক প্যালেস অব ফাইন আর্টসে। <ref name="indiawest">[http://www.indiawest.com/readmore.aspx?id=1761&Sid=1 India Republic Day 2010] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110713025832/http://www.indiawest.com/readmore.aspx?id=1761&Sid=1|তারিখ=2011-07-13}} (India West, January 2010)</ref>
১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দ হতে লেসার প্রযুক্তি ব্যবহার করে এনিমেশন ছবি তৈরি করতে শুরু করেন তিনি। কলকাতাকে নিয়ে তৈরি “ক্যালকাটা ফরএভার: এ লেসার ফ্যান্টাসি” - লেসার প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম তথ্যচিত্র প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হয়েছিল। ২০০০ খ্রিস্টাব্দে দেশাত্মবোধে উজ্জীবিত লেসার প্রদর্শনী “ড্যান্সিং উইথ মাই সোল অ্যান্ড ইন্ডিয়া ফরএভার”-র জন্য নিউ জার্সির ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ইন্দো-আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে পান “এক্সসেলেন্স ইন আর্ট প্লেক” <ref>[http://www.laserist.org/laserist2008/2008-08%20Laserist.pdf The Laserist Interview: Manick Sorcar] (Laserist Cover Story, 2008)</ref> সানফ্রানসিকোতে ২০১০ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে জানুয়ারী ভারতীয় কনসুলেট জেনারেল ৬১তম প্রজাতন্ত্র দিবসের আয়োজন করলে তিনি ৩৩০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকে স্বাধীনতা প্রাপ্তির সময় পর্যন্ত দীর্ঘ সময়কালের ইতিহাস নিয়ে লেসার তথ্যচিত্র “আওয়ার রিপাবলিক বার্থ” প্রদর্শন করেন ক্যালিফোর্নিয়ার সানফ্রান্সিকোর ঐতিহাসিক প্যালেস অব ফাইন আর্টসে। <ref name="indiawest">[http://www.indiawest.com/readmore.aspx?id=1761&Sid=1 India Republic Day 2010] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110713025832/http://www.indiawest.com/readmore.aspx?id=1761&Sid=1|তারিখ=2011-07-13}} (India West, January 2010)</ref>


২০১২ খ্রিস্টাব্দে [[স্বামী বিবেকান্দ| স্বামী বিবেকানন্দর]] উপর তৈরি ঘন্টাখানেকের লেসার তথ্যচিত্র - “স্বামীজি” এত নিখুঁত ভাবে তৈরি করা হয়েছিল যে,[[রামকৃষ্ণ মিশন| রামকৃষ্ণ মিশনের]],[[বেদান্ত সোসাইটি|বেদান্ত সোসাইটিরসহ]] সমালোচকদের কাছ থেকে প্রশংসা অর্জন করেন।<ref>[https://littleindia.com/manick-sorcar-man-laser-touch/ Manick Sorcar, the Man with the Laser Touch] (Little India, September 19, 2017)</ref> ২০১৪ ,খ্রিস্টাব্দের ৩১ শে জানুয়ারি বেলুড় মঠ  ক্যাম্পাসে এটি প্রদর্শিত হলে  ভারতের বেলুড়মঠের [[রামকৃষ্ণ মিশন| রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের]] পক্ষে বলা হয় - স্বামীজির জীবনকথা যে ত্রি-মাত্রিক প্রভাবে পরিস্ফুট হচ্ছিল, যেন  উপস্থিত ১৫০০০ মানুষের দুজোড়া চোখের সামনে যেন সুচারুরূপে আঁকা হচ্ছে। <ref name="telegraph">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.telegraphindia.com/1140207/jsp/howrah/story_17907291.jsp#.U5VMLhbxW7I|শিরোনাম=Laser show on Swamiji|সংগ্রহের-তারিখ=7 July 2014|সংবাদপত্র=[[The Telegraph (Calcutta)|The Telegraph]]}}</ref>
২০১২ খ্রিস্টাব্দে [[স্বামী বিবেকানন্দ| স্বামী বিবেকানন্দর]] উপর তৈরি ঘন্টাখানেকের লেসার তথ্যচিত্র - “স্বামীজি” এত নিখুঁত ভাবে তৈরি করা হয়েছিল যে, ছবিটি [[রামকৃষ্ণ মিশন| রামকৃষ্ণ মিশনের]],[[বেদান্ত সোসাইটি|বেদান্ত সোসাইটির]]সহ সমালোচকদের কাছ থেকে প্রশংসা অর্জন করে।<ref>[https://littleindia.com/manick-sorcar-man-laser-touch/ Manick Sorcar, the Man with the Laser Touch] (Little India, September 19, 2017)</ref> ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের ৩১ শে জানুয়ারি বেলুড় মঠ ক্যাম্পাসে এটি প্রদর্শিত হলে ভারতের বেলুড়মঠের [[রামকৃষ্ণ মিশন| রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের]] পক্ষে বলা হয় - স্বামীজির জীবনকথা যে ত্রি-মাত্রিক প্রভাবে পরিস্ফুট হচ্ছিল, যেন উপস্থিত ১৫,০০০ মানুষের দুজোড়া চোখের সামনে যেন সুচারুরূপে আঁকা হচ্ছে। <ref name="telegraph">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.telegraphindia.com/1140207/jsp/howrah/story_17907291.jsp#.U5VMLhbxW7I|শিরোনাম=Laser show on Swamiji|সংগ্রহের-তারিখ=7 July 2014|সংবাদপত্র=[[The Telegraph (Calcutta)|The Telegraph]]}}</ref>


== সন্মান ও পুরষ্কার ==
== সন্মান ও পুরষ্কার ==
মানিক সরকার ইন্টারন্যাশনাল লেসার ডিসপ্লে অ্যাসোসিয়েশনের শৈপ্লিক পুরস্কার  তিন বার লাভ করেন এবং তিনিই প্রথম ভারতীয় বংশোদভূত মার্কিন নাগরিক। তিনি প্রথম পুরস্কার পান ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে প্রেক্ষাগৃহে লেসার সহযোগে  ত্রি-মাত্রিক প্রভাবে  "এনলাইটেনমেন্ট অব বুদ্ধ" বুদ্ধের জীবন লেসারে চিত্রায়িত করার জন্য <ref name="buddhistchannel">[http://www.buddhistchannel.tv/index.php?id=2,2503,0,0,1,0 Prestigious award for creator of Buddha laser show] (The Buddhist Channel, 2006)</ref> তার ''বুদ্ধির আলোকিত করার'' জন্য জিতেছিলেন, যা লাইফ-সাইজ লেজার অ্যানিমেশন এবং মঞ্চে ত্রি-মাত্রিক ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের সাথে লাইভ-পারফরম্যান্স মিশ্রিত করে এবং 2005 আন্তর্জাতিক লেজার ডিসপ্লে অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে। তার দ্বিতীয় জয় 2008 সালে, <ref name="laserfocusworld">[http://www.laserfocusworld.com/display_article/324418/12/none/none/INDUS/ILDA-honors-LaserLight-Magic-photography-with-2007-Artistic-Awar ILDA honors LaserLight Magic photography with 2007 Artistic Award] (LaserFocusWorld, 2008)</ref> তার লেজার-আর্ট ''রিফ্লেকশনের'' লেজার ফটোগ্রাফির জন্য, যা 2007 ILDA পুরস্কার প্রতিযোগিতায় লেজার ফটোগ্রাফির জন্য প্রথম স্থান অর্জন করে। তার তৃতীয় জয় ছিল ''শাওয়ার মহাসাগরে'' তার প্রযোজনা লাইট আর্টে লেজারের উদ্ভাবনী প্রয়োগের জন্য, যা ২০১৫ সালের আইএলডিএ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিল। তার 2017 লেজার অ্যানিমেশন, ''বিউটিফুল মেস'', অ্যাকোলেড গ্লোবাল ফিল্ম কম্পিটিশনে মেরিট পুরস্কার জিতেছে। <ref>[https://www.indiawest.com/news/global_indian/denver-colorado-based-laserist-and-animator-manick-sorcar-wins-award/article_147ab29c-7627-11e7-82de-7fdaf5d5e53c.html Denver, Colorado-based Laserist and Animator Manick Sorcar Wins Award at Global Film Contest] (India West, July 31, 2017)</ref>
মানিক সরকার ইন্টারন্যাশনাল লেসার ডিসপ্লে অ্যাসোসিয়েশনের শৈপ্লিক পুরস্কার তিন বার লাভ করেন এবং তিনিই প্রথম ভারতীয় বংশোদভূত মার্কিন নাগরিক হিসাবেই অর্জন করেন। তিনি প্রথম পুরস্কার পান ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে প্রেক্ষাগৃহে লেসার সহযোগে ত্রি-মাত্রিক প্রভাবে হিসাবেই "এনলাইটেনমেন্ট অব বুদ্ধ" বুদ্ধের জীবন লেসারে চিত্রায়িত করার জন্য এবং প্রথম স্থান অধিকার করে। <ref name="buddhistchannel">[http://www.buddhistchannel.tv/index.php?id=2,2503,0,0,1,0 Prestigious award for creator of Buddha laser show] (The Buddhist Channel, 2006)</ref> তার দ্বিতীয় জয় ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে। <ref name="laserfocusworld">[http://www.laserfocusworld.com/display_article/324418/12/none/none/INDUS/ILDA-honors-LaserLight-Magic-photography-with-2007-Artistic-Awar ILDA honors LaserLight Magic photography with 2007 Artistic Award] (LaserFocusWorld, 2008)</ref> তার লেজার-আর্ট ''রিফ্লেকশনের'' লেজার ফটোগ্রাফির জন্য, যা ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে ILDA পুরস্কার প্রতিযোগিতায় লেজার ফটোগ্রাফির জন্য প্রথম স্থান অর্জন করে। তার তৃতীয় জয় ছিল ''শাওয়ার মহাসাগরে'' তার প্রযোজনা লাইট আর্টে লেজারের উদ্ভাবনী প্রয়োগের জন্য, যা ২০১৫ সালের আইএলডিএ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিল। তার 2017 লেজার অ্যানিমেশন, ''বিউটিফুল মেস'', অ্যাকোলেড গ্লোবাল ফিল্ম কম্পিটিশনে মেরিট পুরস্কার জিতেছে। <ref>[https://www.indiawest.com/news/global_indian/denver-colorado-based-laserist-and-animator-manick-sorcar-wins-award/article_147ab29c-7627-11e7-82de-7fdaf5d5e53c.html Denver, Colorado-based Laserist and Animator Manick Sorcar Wins Award at Global Film Contest] (India West, July 31, 2017)</ref>


২০১১ খ্রিস্টাব্দের একুশতম বার্ষিক [[প্রবাসী ভারতীয় দিবস| প্রবাসী ভারতীয় দিবসের]] অনুষ্ঠানে ভারত সম্মান পুরস্কারসহ বহু সম্মানে  ভূষিত হয়েছেন। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে [[যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়]] মানিক সরকার লেসার এনিমেশন ল্যাবরেটরি গঠন করে। তিনি এরজন্য এক লক্ষ মার্কিন ভলারের লেসার ল্যাবের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দান করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম লেসার এনিমেশন কোর্সের শুভ সূচনা করেন।<ref>[http://www.telegraphindia.com/1110321/jsp/calcutta/story_13740322.jsp Wizard of light brings magic of laser to JU] ([[The Telegraph (Kolkata)|The Telegraph]], 2011)</ref>
২০১১ খ্রিস্টাব্দের একুশতম বার্ষিক [[প্রবাসী ভারতীয় দিবস| প্রবাসী ভারতীয় দিবসের]] অনুষ্ঠানে ভারত সম্মান পুরস্কারসহ বহু সম্মানে  ভূষিত হয়েছেন। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে [[যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়]] মানিক সরকার লেসার এনিমেশন ল্যাবরেটরি গঠন করে। তিনি এরজন্য এক লক্ষ মার্কিন ভলারের লেসার ল্যাবের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দান করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম লেসার এনিমেশন কোর্সের শুভ সূচনা করেন।<ref>[http://www.telegraphindia.com/1110321/jsp/calcutta/story_13740322.jsp Wizard of light brings magic of laser to JU] ([[The Telegraph (Kolkata)|The Telegraph]], 2011)</ref>


November নভেম্বর, ২০১ On তারিখে, জার্মানির অ্যালেন -এ , আন্তর্জাতিক লেজার ডিসপ্লে অ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে ''সাংস্কৃতিক জ্ঞানের জন্য বিশেষ অর্জন পুরস্কার লাভ করা'' হয়, যা ভারতের heritageতিহ্য উদযাপনের জন্য লেজার ডিসপ্লে ব্যবহারে ব্যতিক্রমী যোগ্যতার জন্য এবং পরবর্তী প্রজন্মকে প্রস্তুত করার জন্য একটি কোর্স চালু করে। [[যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়|লেজার আর্ট এবং অ্যানিমেশন এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে]] মানিক সোর্কার লেজার অ্যানিমেশন ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা। <ref name="timesaward">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://timesofindia.indiatimes.com/nri/us-canada-news/Indian-American-honored-for-laser-displays-of-Indian-heritage/articleshow/26750892.cms|শিরোনাম=Indian-American honored for laser displays of Indian heritage|সংগ্রহের-তারিখ=7 July 2014|সংবাদপত্র=[[The Times of India]]}}</ref>
২০১৩ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর জার্মানির অ্যালেন -এ, আন্তর্জাতিক লেজার ডিসপ্লে অ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে ''সাংস্কৃতিক জ্ঞানের জন্য বিশেষ অর্জন পুরস্কার লাভ করেন। হয়, যা ভারতের ঐতিহ্য উদযাপনের জন্য লেজার ডিসপ্লে ব্যবহারে ব্যতিক্রমী যোগ্যতার জন্য এবং পরবর্তী প্রজন্মকে প্রস্তুত করার জন্য একটি কোর্স চালু করে। [[যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়|লেজার আর্ট এবং অ্যানিমেশন এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে]] মানিক সরকার লেজার অ্যানিমেশন ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা। <ref name="timesaward">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://timesofindia.indiatimes.com/nri/us-canada-news/Indian-American-honored-for-laser-displays-of-Indian-heritage/articleshow/26750892.cms|শিরোনাম=Indian-American honored for laser displays of Indian heritage|সংগ্রহের-তারিখ=7 July 2014|সংবাদপত্র=[[The Times of India]]}}</ref>


২ May মে, [[নতুন দিল্লি|২০১ New]] তারিখে, ভারতের নয়াদিল্লিতে, তিনি ''আইআইটি-বিএইচইউ অ্যালামনাই লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন'' সায়েন্স অ্যান্ড আর্টসের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক ও জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য। <ref name="statesmanaward">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.thestatesman.net/news/58022-alumni-award.html|শিরোনাম=Alumni Award|প্রকাশক=[[The Statesman (India)|The Statesman]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140714155617/http://www.thestatesman.net/news/58022-alumni-award.html|আর্কাইভের-তারিখ=14 July 2014|ইউআরএল-অবস্থা=dead|সংগ্রহের-তারিখ=7 July 2014}}</ref>
২ May মে, [[নতুন দিল্লি|২০১ New]] তারিখে, ভারতের নয়াদিল্লিতে, তিনি ''আইআইটি-বিএইচইউ অ্যালামনাই লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন'' সায়েন্স অ্যান্ড আর্টসের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক ও জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য। <ref name="statesmanaward">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.thestatesman.net/news/58022-alumni-award.html|শিরোনাম=Alumni Award|প্রকাশক=[[The Statesman (India)|The Statesman]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20140714155617/http://www.thestatesman.net/news/58022-alumni-award.html|আর্কাইভের-তারিখ=14 July 2014|ইউআরএল-অবস্থা=dead|সংগ্রহের-তারিখ=7 July 2014}}</ref>
৪৮ নং লাইন: ৪৮ নং লাইন:


== আরও পড়া ==
== আরও পড়া ==
Sorcar এর শিল্প এবং অ্যানিমেশন অসংখ্য নিবন্ধ, একাডেমিক গবেষণা পত্র, এবং বইয়ের বিষয় হয়েছে। <ref name="research">[http://www.siliconindia.com/shownews/Indian_animators_works_get_unusual_tribute__-nid-28386.html NRI animator's works get unusual tribute] (Silicon India, 2005)</ref> ''শিল্প ও বিজ্ঞানে তার যুগপৎ অবদানের জন্য, ভয়েস অব কলোরাডো: পার্সপেকটিভস অফ এশিয়ান আমেরিকানস'' বইয়ে তিনি "আমাদের সময়ের রেনেসাঁ ম্যান" হিসেবে প্রশংসিত হন ({{আইএসবিএন|0615202136}} ) Nestor Mercado, Elnora Minoza-Mercado, এবং Alok Sarwal দ্বারা।
মানিক সরকার শিল্পকলা এবং অ্যানিমেশন সম্পর্কে অসংখ্য নিবন্ধ, একাডেমিক গবেষণা পত্র, এবং গ্রন্থ রচনা করেছেন।<ref name="research">[http://www.siliconindia.com/shownews/Indian_animators_works_get_unusual_tribute__-nid-28386.html NRI animator's works get unusual tribute] (Silicon India, 2005)</ref> ''শিল্প ও বিজ্ঞানে তার যুগপৎ অবদানের জন্য, ভয়েস অব কলোরাডো: পার্সপেকটিভস অফ এশিয়ান আমেরিকানস'' বইয়ে তিনি "আমাদের সময়ের রেনেসাঁ পুরুষ" হিসেবে প্রশংসিত হন ({{আইএসবিএন|0615202136}} ) Nestor Mercado, Elnora Minoza-Mercado, এবং Alok Sarwal দ্বারা।


'''Sorcar উপর বই'''
'''মানিক সরকার উপর বই'''


* ''মানিক সোর্কারের বিশ্ব: যেখানে শিল্প জাদু হয়ে ওঠে'' (রোমা সুর, ২০০,,{{আইএসবিএন|1607252899}} ) <ref name="romasur">[http://www.laserist.org/manicksorcar-book.htm Laser Art Book: World of Manick Sorcar: Where Art Becomes Magic] ([[International Laser Display Association]], 2008)</ref>
* ''ওয়ার্ল্ড অব মানিক সরকার : হোয়্যার আর্ট বিকাম্স ম্যাজিক'' (রোমা সুর, ২০০৯,,{{আইএসবিএন|1607252899}} ) <ref name="romasur">[http://www.laserist.org/manicksorcar-book.htm Laser Art Book: World of Manick Sorcar: Where Art Becomes Magic] ([[International Laser Display Association]], 2008)</ref>
* ''ইস্ট মিটস ওয়েস্ট: দ্য অ্যানিমেশন অব মানিক সোর্কার'' (ওয়েন্ডি লুনা, ২০১০,{{আইএসবিএন|0578054043}} ) <ref name="wendyluna">[http://www.newkerala.com/news/fullnews-139648.html US writer pens book on India-born animator] (New Kerala, 2010)</ref>
* ''ইস্ট মিটস ওয়েস্ট: দ্য অ্যানিমেশন অব মানিক সরকার'' (ওয়েন্ডি লুনা, ২০১০,{{আইএসবিএন|0578054043}} ) <ref name="wendyluna">[http://www.newkerala.com/news/fullnews-139648.html US writer pens book on India-born animator] (New Kerala, 2010)</ref>


== আরো দেখুন ==
== আরো দেখুন ==


* [[প্রতুল চন্দ্র সরকার|পিসি Sorcar]]
* [[প্রতুল চন্দ্র সরকার|প্রতুল চন্দ্র সরকার]]
* [[বাঙালিদের তালিকা|বাঙালির তালিকা]]
* [[বাঙালিদের তালিকা|বাঙালির তালিকা]]
* ভারতীয় আমেরিকানদের তালিকা
* ভারতীয় আমেরিকানদের তালিকা
* [[কলকাতার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের তালিকা|কলকাতার মানুষের তালিকা]]
* [[কলকাতার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের তালিকা|কলকাতার মানুষের তালিকা]]


== তথ্যসূত্র ==


== বহিঃসংযোগ==
== বাহ্যিক লিঙ্ক ==


* [http://www.manicksorcar.com অফিসিয়াল সাইট]
* [http://www.manicksorcar.com অফিসিয়াল সাইট]
৭০ নং লাইন: ৬৯ নং লাইন:
* [http://www.sorcarengineering.com Sorcar ইঞ্জিনিয়ারিং]
* [http://www.sorcarengineering.com Sorcar ইঞ্জিনিয়ারিং]
* [http://www.indianmagicians.com/ ভারতীয় জাদুকরদের ওয়েব সাইট]
* [http://www.indianmagicians.com/ ভারতীয় জাদুকরদের ওয়েব সাইট]
== তথ্যসূত্র ==
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৪৪-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৪৪-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি হিন্দু]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি হিন্দু]]

১২:২০, ৩ আগস্ট ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মানিক সরকার
জন্ম (1944-11-29) ২৯ নভেম্বর ১৯৪৪ (বয়স ৭৯)
জাতীয়তাযুক্তরাষ্ট্র
মাতৃশিক্ষায়তন কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় প্রযুক্তিক প্রতিষ্ঠান
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাআলোক শিল্পী, অ্যানিমেটর, ইঞ্জিনিয়ার এবং লেজারশিল্পী
দাম্পত্য সঙ্গীশিখা দেবী
সন্তানপিয়া সরকার (কন্যা)
পায়েল সরকার (কন্যা)
পিতা-মাতাপ্রতুল চন্দ্র সরকার(পিতা)
বাসন্তী দেবী (মাতা)

মানিক সরকার ( আসল নাম প্রফুল্লচন্দ্র সরকার - পি সি সরকার ) হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন আলোক শিল্পী, অ্যানিমেটর, ইঞ্জিনিয়ার এবং লেজার শিল্পী [১] তিনি চারুকলা, কার্টুন, অ্যানিমেশন, লেসার আর্ট শিল্পী এবং সারা বিশ্বের প্রেক্ষাগৃহে লেসার সহযোগে প্রাণবন্ত প্রদর্শনীর মাধ্যমে তাঁর শিল্পীসত্তার পরিচয় উপস্থাপন করেন। তাঁর এনিমেটেড সমস্ত চিত্রগুলি ভারতের শিশুদের গল্প আধারিত এবং সেগুলি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের সম্মানিত। বিগত পঁচিশ বৎসর ধরে সেগুলি সরকারী প্রচার মাধ্যমে সম্প্রচারিত হচ্ছে [২] [৩]তাঁর লেসার আর্ট এবং বিভিন্ন ধরনের এনিমেশন পরিবেশনা ইন্টারন্যাশনাল লেসার ডিসপ্লে অ্যাসোসিয়েশনের বৈশ্বিক পুরস্কার লাভ করেছে।

জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন

মানিক সরকার বৃটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দের ২৯ শে নভেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন। [৪] তিনি কিংবদন্তি ভারতীয় জাদুকর প্রতুল চন্দ্র সরকার ও বাসন্তী দেবীর জ্যেষ্ঠপুত্র। তাঁর দুই জ্যেষ্ঠা ভগিনীরা হলেন ইলা ও গীতা এবং কনিষ্ঠ দুই ভ্রাতা হলেন প্রদীপ চন্দ্র সরকার বা পি সি সরকার জুনিয়র ও প্রভাস চন্দ্র সরকার বা পি সি সরকার ইয়ং। এরা দুজনেই জাদুকর। তিনি শিখা দেবীকে বিবাহ করেন এবং তাঁদের দুই কন্যারা হলেন পিয়া ও পায়েল।

যুবা বয়সে তিনি সারা বিশ্বে ভ্রমণকারী পিতার মঞ্চে সহকারী হিসাবে কাজ করতেন। পিতার মঞ্চের দৃশ্যপট অঙ্কন, মঞ্চটিকে আলোর নক্সায় সজ্জিত করতে, আলোকসম্পাতের পরিকল্পনা করতেন প্রায়ই। তবে তিনি জাদুবিদ্যাকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করতে চাননি বরং আলো ও শিল্পকলার মাঝে যে জাদু তিনি দেখেছেন, তাকে লেসারে পরিস্ফুট করতে আগ্রহী হলেন [৪]

কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় প্রযুক্তিক প্রতিষ্ঠান থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ প্রথম শ্রেণীতে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর, উচ্চ  শিক্ষার্থে ও আলোক প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে  শিল্পকলাচর্চা করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। [৫]

কর্মজীবন

ইঞ্জিনিয়ারিং

মানিক সরকার তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন কলোরাডোর ডেনেভারের হাওয়ার্ডের ডব্লু বাটাররেক অ্যান্ড কোম্পানিতে ইলেকট্রিক্যাল কনসালটিং ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে। [৬] দু-বছর পরে সংস্থাটির এক অংশীদার হন এবং নাম পরিবর্তিত হয় - বাটাররেক সরকার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং শেষে সরকার ইঞ্জিনিয়ারিং। চল্লিশ বৎসরের বেশি সময়ে তাঁর ব্যবস্থাপনায় সংস্থাটির উন্নতি হয়েছে এবং ডেনেভারের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কলোরাডো কনভেনশন সেন্টার, জাপান ও সৌদি আরবের বহু ক্রীড়াঙ্গনসহ অসংখ্য বহু মিলিয়ন-ডলারের প্রকল্পের কাজ শেষ করেন। এই সময়ে মানিক সরকার আলোকসজ্জার উপর তিনটি বই রচনা করেন। এগুলি পাঠ্যপুস্তক হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ও ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে গৃহীত হয়েছে।

লেজার আর্ট এবং অ্যানিমেশন

মানিক সরকারের প্রথম যে খ্যাতি আসে সেটি ছিল -  দুটি মেয়ে ও তার সাথে এনিমেটেড গরু ছাগল আর পাখি নিয়ে “ভারতের এক রূপকথা : দীপা ও রূপা” নামক ছবি থেকে। ছবিটি এত প্রাণবন্ত হয়েছিল যে, ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে সেটি শিকাগো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সোনার থালা বা ফলক পেয়েছিল এবং  ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন টেলিভিশনের এমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল। [৭] এবং ভারতের ঋষি ও মুষিকের অতি পরিচিত পন্চতন্ত্রের উপর নির্মিত পরের ছবি -“দ্য সাগা অ্যান্ড দ্য সেজ” ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সোনার পদক লাভ করে। কাঠুরের মেয়েকে নিয়ে তৈরি তাঁর অপর এনিমেটেড ছবি “দ্য উডকাটার্স ডটার” যেটি নিউ ইয়র্কের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছিল। আবেলতাবোলের “গন্ধবিচার”-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি Sniff' (স্নিফ) সোনার ঈগল লাভ করেছিল। কলম্বাস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে “দ্য রুল অফ টোয়েন্টি-ফোর” ব্রোঞ্জ ফলক পেয়েছিল।

১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দ হতে লেসার প্রযুক্তি ব্যবহার করে এনিমেশন ছবি তৈরি করতে শুরু করেন তিনি। কলকাতাকে নিয়ে তৈরি “ক্যালকাটা ফরএভার: এ লেসার ফ্যান্টাসি” - লেসার প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম তথ্যচিত্র প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হয়েছিল। ২০০০ খ্রিস্টাব্দে দেশাত্মবোধে উজ্জীবিত লেসার প্রদর্শনী “ড্যান্সিং উইথ মাই সোল অ্যান্ড ইন্ডিয়া ফরএভার”-র জন্য নিউ জার্সির ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ইন্দো-আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে পান “এক্সসেলেন্স ইন আর্ট প্লেক” [৮] সানফ্রানসিকোতে ২০১০ খ্রিস্টাব্দের ২৬শে জানুয়ারী ভারতীয় কনসুলেট জেনারেল ৬১তম প্রজাতন্ত্র দিবসের আয়োজন করলে তিনি ৩৩০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকে স্বাধীনতা প্রাপ্তির সময় পর্যন্ত দীর্ঘ সময়কালের ইতিহাস নিয়ে লেসার তথ্যচিত্র “আওয়ার রিপাবলিক বার্থ” প্রদর্শন করেন ক্যালিফোর্নিয়ার সানফ্রান্সিকোর ঐতিহাসিক প্যালেস অব ফাইন আর্টসে। [৯]

২০১২ খ্রিস্টাব্দে স্বামী বিবেকানন্দর উপর তৈরি ঘন্টাখানেকের লেসার তথ্যচিত্র - “স্বামীজি” এত নিখুঁত ভাবে তৈরি করা হয়েছিল যে, ছবিটি রামকৃষ্ণ মিশনের,বেদান্ত সোসাইটিরসহ সমালোচকদের কাছ থেকে প্রশংসা অর্জন করে।[১০] ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের ৩১ শে জানুয়ারি বেলুড় মঠ ক্যাম্পাসে এটি প্রদর্শিত হলে ভারতের বেলুড়মঠের রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের পক্ষে বলা হয় - স্বামীজির জীবনকথা যে ত্রি-মাত্রিক প্রভাবে পরিস্ফুট হচ্ছিল, যেন উপস্থিত ১৫,০০০ মানুষের দুজোড়া চোখের সামনে যেন সুচারুরূপে আঁকা হচ্ছে। [১১]

সন্মান ও পুরষ্কার

মানিক সরকার ইন্টারন্যাশনাল লেসার ডিসপ্লে অ্যাসোসিয়েশনের শৈপ্লিক পুরস্কার তিন বার লাভ করেন এবং তিনিই প্রথম ভারতীয় বংশোদভূত মার্কিন নাগরিক হিসাবেই অর্জন করেন। তিনি প্রথম পুরস্কার পান ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে প্রেক্ষাগৃহে লেসার সহযোগে ত্রি-মাত্রিক প্রভাবে হিসাবেই "এনলাইটেনমেন্ট অব বুদ্ধ" বুদ্ধের জীবন লেসারে চিত্রায়িত করার জন্য এবং প্রথম স্থান অধিকার করে। [১২] তার দ্বিতীয় জয় ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে। [১৩] তার লেজার-আর্ট রিফ্লেকশনের লেজার ফটোগ্রাফির জন্য, যা ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে ILDA পুরস্কার প্রতিযোগিতায় লেজার ফটোগ্রাফির জন্য প্রথম স্থান অর্জন করে। তার তৃতীয় জয় ছিল শাওয়ার মহাসাগরে তার প্রযোজনা লাইট আর্টে লেজারের উদ্ভাবনী প্রয়োগের জন্য, যা ২০১৫ সালের আইএলডিএ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিল। তার 2017 লেজার অ্যানিমেশন, বিউটিফুল মেস, অ্যাকোলেড গ্লোবাল ফিল্ম কম্পিটিশনে মেরিট পুরস্কার জিতেছে। [১৪]

২০১১ খ্রিস্টাব্দের একুশতম বার্ষিক প্রবাসী ভারতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে ভারত সম্মান পুরস্কারসহ বহু সম্মানে  ভূষিত হয়েছেন। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মানিক সরকার লেসার এনিমেশন ল্যাবরেটরি গঠন করে। তিনি এরজন্য এক লক্ষ মার্কিন ভলারের লেসার ল্যাবের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দান করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম লেসার এনিমেশন কোর্সের শুভ সূচনা করেন।[১৫]

২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ৬ ই নভেম্বর জার্মানির অ্যালেন -এ, আন্তর্জাতিক লেজার ডিসপ্লে অ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে সাংস্কৃতিক জ্ঞানের জন্য বিশেষ অর্জন পুরস্কার লাভ করেন। হয়, যা ভারতের ঐতিহ্য উদযাপনের জন্য লেজার ডিসপ্লে ব্যবহারে ব্যতিক্রমী যোগ্যতার জন্য এবং পরবর্তী প্রজন্মকে প্রস্তুত করার জন্য একটি কোর্স চালু করে। লেজার আর্ট এবং অ্যানিমেশন এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মানিক সরকার লেজার অ্যানিমেশন ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা। [১৬]

২ May মে, ২০১ New তারিখে, ভারতের নয়াদিল্লিতে, তিনি আইআইটি-বিএইচইউ অ্যালামনাই লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন সায়েন্স অ্যান্ড আর্টসের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক ও জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য। [১৭]

In 2015, during the Silver Jubilee celebration for the 25th anniversary of his animation broadcast on PBS, the Governor of Colorado John Hickenlooper congratulated Sorcar by writing:[৩]

"For a quarter of a century, your animation films have taken children on a special journey to the lands of India where they have learned more of her culture and people. These films have taught that diversity is an asset and what brings us together is our common thread of humanity irrespective of where we grow up...your work continues to make Colorado, the United States, and India proud."

আরও পড়া

মানিক সরকার শিল্পকলা এবং অ্যানিমেশন সম্পর্কে অসংখ্য নিবন্ধ, একাডেমিক গবেষণা পত্র, এবং গ্রন্থ রচনা করেছেন।[১৮] শিল্প ও বিজ্ঞানে তার যুগপৎ অবদানের জন্য, ভয়েস অব কলোরাডো: পার্সপেকটিভস অফ এশিয়ান আমেরিকানস বইয়ে তিনি "আমাদের সময়ের রেনেসাঁ পুরুষ" হিসেবে প্রশংসিত হন (আইএসবিএন ০৬১৫২০২১৩৬ ) Nestor Mercado, Elnora Minoza-Mercado, এবং Alok Sarwal দ্বারা।

মানিক সরকার উপর বই

আরো দেখুন


বহিঃসংযোগ

তথ্যসূত্র

  1. The Animator (Trans World Features, Interview, 2004)
  2. Manick's Animation Films on US TV Stations (Pravasi Today, 2010)
  3. Colorado Governor Honors Manick Sorcar (India.com, 2015)
  4. Sur, Roma (২০০৯)। World of Manick Sorcar: Where Art Becomes Magic (First সংস্করণ)। Galaxylight Books।  উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "worldbook" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  5. Animate Magic (The Hindu, 2006)
  6. "Of lasers and monks: Arvada engineer, artist illuminates a great soul"The Denver Post। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৪ 
  7. Colorado to Ring in New Year with Animation of India (AWN, January 1, 2006)
  8. The Laserist Interview: Manick Sorcar (Laserist Cover Story, 2008)
  9. India Republic Day 2010 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১১-০৭-১৩ তারিখে (India West, January 2010)
  10. Manick Sorcar, the Man with the Laser Touch (Little India, September 19, 2017)
  11. "Laser show on Swamiji"The Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৪ 
  12. Prestigious award for creator of Buddha laser show (The Buddhist Channel, 2006)
  13. ILDA honors LaserLight Magic photography with 2007 Artistic Award (LaserFocusWorld, 2008)
  14. Denver, Colorado-based Laserist and Animator Manick Sorcar Wins Award at Global Film Contest (India West, July 31, 2017)
  15. Wizard of light brings magic of laser to JU (The Telegraph, 2011)
  16. "Indian-American honored for laser displays of Indian heritage"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৪ 
  17. "Alumni Award"The Statesman। ১৪ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৪ 
  18. NRI animator's works get unusual tribute (Silicon India, 2005)
  19. Laser Art Book: World of Manick Sorcar: Where Art Becomes Magic (International Laser Display Association, 2008)
  20. US writer pens book on India-born animator (New Kerala, 2010)