আফগান উইমেন্স নেটওয়ার্ক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন
সংশোধন
৪৭ নং লাইন: ৪৭ নং লাইন:
== তথ্যসূত্রসমূহ ==
== তথ্যসূত্রসমূহ ==


[[বিষয়শ্রেণী:আফগান উইমেন্স নেটওয়ার্ক]]

[[বিষয়শ্রেণী:Category:আফগানিস্তানে ১৯৯৬-এর প্রতিষ্ঠানসমূহ]]
[[বিষয়শ্রেণী:আফগানিস্তানে ১৯৯৬-এর প্রতিষ্ঠানসমূহ]]
[[বিষয়শ্রেণী:Category:আফগানিস্তানের নারী সংগঠন]]
[[বিষয়শ্রেণী:আফগানিস্তানের নারী সংগঠন]]

১৬:১০, ২৭ নভেম্বর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আফগান উইমেন্স নেটওয়ার্ক (এডব্লিউএন) (বাংলায়: আফগান নারীদের সমন্বয় বিন্যাস) হল ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে আফগান নারীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটা বেসরকারি সংস্থা (এনজিও), যেটা বেইজিংয়ের মহিলা বিষয়ক বিশ্ব সম্মেলনের অনুসরণে তৈরি হয়েছিল এবং "নারীদের ক্ষমতায়ন এবং আফগান সমাজে তাঁদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়ে কাজ করে।"[১]

পরিচয়

আফগান উইমেন্স নেটওয়ার্ক এরকম এক আফগানিস্তানের সমাজে বসবাস করার দৃষ্টিভঙ্গি টিকিয়ে রেখেছে যে সমজে নারী ও পুরুষ ন্যায়বিচার পাবে এবং সেটা বৈষম্যমুক্ত হবে। আফগান উইমেন্স নেটওয়ার্কের নজর দেওয়ার মতো কেন্দ্রবিন্দুগুলো হল:[২] [৩]

  • নারী, শান্তি এবং সুরক্ষা।
  • নারীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ এবং নেতৃত্বদান।
  • নারীদের সামাজিক এবং আইনানুগ সুরক্ষা।

আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা অন্যান্য বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সমর্থন জোগানোর একটা ভিত্তি হিসেবে আফগান উইমেন্স নেটওয়ার্ক কাজ করে। এই সংস্থা যেসব দাতা সংস্থার কাছ থেকে তহবিলের অর্থ সংগ্রহ করে সেগুলো হল: ফরাসি দূতাবাস, অ্যাকশনএইড, জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার এবং রোল্যান্ড বার্গার ফাউন্ডেশন। এডব্লিউএন-এর কাজকর্ম চালু আছে কাবুল, হার্ত, বালখ, কান্দাহার, বামিয়ান, পাকতিয়া, নানগরহর এবং কুন্দুজ ... এইসব জায়গায়; এর ব্যক্তিগত সদস্য আছে (কেবলমাত্র নারী) ৩৫০০ সংখ্যারও অধিক এবং সদস্যপদ সমেত ১২৫ সংখ্যক নারী সংগঠন এর সঙ্গে যুক্ত।[৪]

আফগান উইমেন্স নেটওয়ার্কে নির্বাহী পর্ষদ সদস্য হিসেবে যুক্ত হয়েছেন মনিঝা ওয়াফেক[৫] এবং বর্তমান নির্বাহী পরিচালক হলেন হাসিনা সফি।[৬]

ইতিহাস

১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে আফগান উইমেন্স নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। চিনের বেইজিং শহরে অনুষ্ঠিত ইউনাইটেড নেশন্স ফোর্থ ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অন উইমেন সভায় যে সমস্ত নারী অংশগ্রহণ করেছিলেন, তাঁরা আফগান নারীদের জন্যে একটা নেটওয়ার্ক তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।[৩]

২০১৩ খ্রিস্টাব্দে মানবাধিকারের স্বপক্ষে প্রস্তুত করা লেসলি থমাস কৃত শিল্পকর্ম "উইমেন বিটুইন পিস অ্যান্ড ওয়ার: আফগানিস্তান" শীর্ষক প্রদর্শনী পরিচালনার ব্যাপারে এডব্লিউএন সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল।[৭]

আফগান উইমেন্স নেটওয়ার্ক ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের মার্চে হেনরিখ বোয়েল ফাউন্ডেশন সংস্থার সহায়তায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সরকারি সংবাদপত্র "আফগান উইমেন ভিশন ২০২৪" চালু করেছিল।[৮] ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে ওএনজি বলেছে যে, প্রতি বছর আফগানিস্তানে ১৫০ সংখ্যক অনার কিলিং (সম্ভ্রমের জন্যে হত্যা) সংঘটিত হয়ে থাকে।[৯] আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনীর প্রগতিশীল প্রত্যাহারের ওপর, বাহিনী থাকাকালীন নারীরা যে প্রকৃত সুবিধে পেয়েছিল সেগুলো বজায় রাখার ব্যাপারে এডব্লিউএন জোর দিয়েছিল।[১০]

২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারিতে এডব্লিউএন রাষ্ট্রপতি আসরফ ঘানিকে তাঁরই কথার পরিপ্রেক্ষিতে লিঙ্গ সমতা বজায় রেখে চার মহিলা মন্ত্রণালয়ের নাম ঘোষণার জন্যে চাপ দিতে পদযাত্রাগুলিতে অংশ নিয়েছিল।[১১] ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে আফগানিস্তানে তালিবানদের উচ্চ প্রভাবের সময়ে ওএনজি সরকারি কার্যধারায় নারীদের পুনরাবির্ভাবের কথা বলেছিল।[১২]


পরিচালনা

পরিচালনা পর্ষদ
[১৩]
  • ফেব্রুয়ারি ২০১৬ - ফেব্রুয়ারি ২০১৮: শাহলা ফরিদ, জার্কা ইয়াফতালি, নূরিয়া সফি, সামিরা হামিদি, রোশন সিরন, মারি আক্রামি, শফিকা হাবিবি।
  • ফেব্রুয়ারি ২০১৪ - ফেব্রুয়ারি ২০১৬: মারি আক্রামি, গুল মকাই সিয়াওয়াশ, মারিয়াম রহমানি, শাহলা ফরিদ, আরেজু কোয়ানি, সামিরা হামিদি, জার্কা ইয়াফতালি।
  • ফেব্রুয়ারি ২০১২ - ফেব্রুয়ারি ২০১৪: নাসিমা ওমারি, হাসফেইনা সফি, মাহবুবা সিজ, শিঙ্কাজ, লিডা নাদেরি হেদায়াত, মনিঝা ওয়াফিক, রুকিয়া আজিজি।
  • ফেব্রুয়ারি ২০১০ - ফেব্রুয়ারি ২০১২: হোমা আলিজোই, হাজিনা সফি, নাজিলা আয়ুবি, শাহলা ফরিদ, সেলে গফর।


ব্যবস্থাপনা দল
[১৪]
  • কার্যকরী পরিচালক: মিসেস হাসিনা সফি
  • অ্যাডমিন/এইচ আর ব্যবস্থাপক: মিস ওয়াঝমা পোপাল
  • নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থাপক: মিসেস রোশনা মাশাল
  • উকিল/আইন ব্যবস্থাপক: মিসেস রোবিনা হামদর্দ

আরো দেখুন

তথ্যসূত্রসমূহ

  1. "Web site of The Afghan Women's Network"। Afghanwomennetwork.af। ২০১১-০৮-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-০৬ 
  2. "Afghan Women's Network."www.awn-af.net (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-১৬ 
  3. "Insight on Conflict"Insight on Conflict (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-২৬ 
  4. "AWN History"www.awn-af.net (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-১৬ 
  5. "Kardan University"www.kardan.edu.af। ২০১৬-১২-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-২৩ 
  6. Filippini, Simone (৯ মার্চ ২০১৫)। "Time To Fund Women's Role in the Cause of Peace"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ 
  7. James Kochien (৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "Photos/Interview: Arresting Images Capture Afghan Women 'Between Peace and War'"Asiasociety.org। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৭ 
  8. "Afghan Women Vision 2024"Boell.de। ১০ মার্চ ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৭ 
  9. Rod Nordland (৩ মে ২০১৪)। "In Spite of the Law, Afghan 'Honor Killings' of Women Continue"Nytimes.com। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৭ 
  10. Anne Steele (৬ জানুয়ারি ২০১৫)। "Afghanistan: Women's rights make big gains"Csmonitor.com। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৭ 
  11. Sune Engel Rasmussen (৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "Afghan women protest at absence of female ministers in new cabinet"Theguardian.com। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৭ 
  12. Mari Shibata (১৬ মে ২০১৬)। "The Taliban Is Publicly Executing Women Again"Vice.com। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৭ 
  13. "AWN Board of Directors"www.awn-af.net (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-১৬ 
  14. "AWN Management Team"www.awn-af.net (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-১৬