দ্য মুসলমান (সংবাদপত্র): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
→বহিঃসংযোগ: বিষয়শ্রেণী যোগ |
সংশোধন |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{Infobox Newspaper |
{{Infobox Newspaper |
||
|name=The Musalman (দ্য মুসলমান) |
|name= The Musalman (দ্য মুসলমান) |
||
|editor=সৈয়দ আরিফুল্লাহ |
|editor= সৈয়দ আরিফুল্লাহ |
||
|type=দৈনিক [[সংবাদপত্র]] |
|type= দৈনিক [[সংবাদপত্র]] |
||
|format=[[ব্রডশিট]] |
|format= [[ব্রডশিট]] |
||
|foundation=১৯২৭ |
|foundation= ১৯২৭ |
||
|language=[[উর্দু]] |
|language= [[উর্দু]] |
||
|headquarters=[[চেন্নাই]] |
|headquarters= [[চেন্নাই]] |
||
|circulation=২২,০০০ |
|circulation= ২২,০০০ |
||
|image=|caption=|ceased publication= |
|image= |
||
|caption= |
|||
|ceased publication= |
|||
|price=৭৫ [[পয়সা]] |
|price= ৭৫ [[পয়সা]] |
||
|publisher=||chiefeditor=|assoceditor=|maneditor=|staff=|political=|sister newspapers=|oclc=|ISSN= |
|publisher= |
||
| |
|||
|chiefeditor= |
|||
|assoceditor= |
|||
|maneditor= |
|||
|staff= |
|||
|political= |
|||
|sister newspapers= |
|||
|oclc= |
|||
|ISSN= |
|||
|website= |
|||
}} |
|||
''''' |
'''''দ্য মুসলমান''''' [[ভারত|ভারতের]] [[চেন্নাই]] থেকে প্রকাশিত [[উর্দু]]-ভাষার প্রাচীনতম দৈনিক সংবাদপত্র।<ref name="ToI_Each">{{সংবাদ উদ্ধৃতি| ইউআরএল= http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2008-04-30/chennai/27749690_1_evening-paper-newspaper-office-urdu| title = Each page of this Urdu newspaper is handwritten by 'katibs' |লেখক=Kamini Mathai |সংবাদপত্র=[[The Times of India]]| তারিখ=৩০ এপ্রিল ২০০৮| সংগ্রহের-তারিখ=৩০ এপ্রিল ২০০৮}}</ref> এটি চার পৃষ্ঠা বিশিষ্ট সান্ধ্য পত্রিকা, ছাপাখানায় ছাপানোর পূর্বে যেটির সকল পাতা [[চারুলিপি|হস্তলিপিকার]]দের দ্বারা হাতে লিখিত হতো।<ref name="Wired_Future">{{ওয়েব উদ্ধৃতি| ইউআরএল= http://archive.wired.com/culture/lifestyle/news/2007/07/last_calligraphers| শিরোনাম= A Handwritten Daily Paper in India Faces the Digital Future| লেখক= Scott Carney| প্রকাশক= [[Wired News|Wired]]| তারিখ=৭ জুন ২০০৭| সংগ্রহের-তারিখ= ১৭ অক্টোবর ২০১৫}} (Also on [http://abcnews.go.com/Technology/Story?id=3352037&page=1 ABC News])</ref> ''[[দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া|দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া]]'' এবং ''[[ওয়াইয়ার্ড (ম্যাগাজিন)|ওয়্যারড ম্যাগাজিন]]'' অনুযায়ী, ''দ্য মুসলমান'' সম্ভবত বিশ্বে টিকে থাকা একমাত্র হস্তলিখিত সংবাদপত্র।<ref name="ToI_Each"/><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| ইউআরএল= http://archive.wired.com/culture/lifestyle/multimedia/2007/07/gallery_calligraphers| শিরোনাম= India's News Calligraphers Do It on Deadline| লেখক= Scott Carney| প্রকাশক= [[Wired News|Wired]] | তারিখ=৭ জুন ২০০৭| সংগ্রহের-তারিখ= ১৭ অক্টোবর ২০১৫}}</ref> পত্রিকাটির |
||
বর্তমান সম্পাদক সৈয়দ আরিফুল্লাহ।<ref name="আ">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.thehindu.com/society/the-worlds-only-handwritten-newspaper-is-91-and-sells-at-75-paise/article23528891.ece| শিরোনাম=The world’s only handwritten newspaper is 91 and sells at 75 paise| শেষাংশ=Krishna| প্রথমাংশ=Navmi| তারিখ=১৪ এপ্রিল ২০১৮| কর্ম=The Hindu| সংগ্রহের-তারিখ=৮ জানুয়ারি ২০১৯| ভাষা=en-IN| issn=0971-751X}}</ref> |
বর্তমান সম্পাদক সৈয়দ আরিফুল্লাহ।<ref name="আ">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.thehindu.com/society/the-worlds-only-handwritten-newspaper-is-91-and-sells-at-75-paise/article23528891.ece| শিরোনাম=The world’s only handwritten newspaper is 91 and sells at 75 paise| শেষাংশ=Krishna| প্রথমাংশ=Navmi| তারিখ=১৪ এপ্রিল ২০১৮| কর্ম=The Hindu| সংগ্রহের-তারিখ=৮ জানুয়ারি ২০১৯| ভাষা=en-IN| issn=0971-751X}}</ref> |
||
== ইতিহাস == |
== ইতিহাস == |
||
সংবাদপত্রটি সৈয়দ আজমতউল্লাহ (Syed Azmathullah) |
সংবাদপত্রটি সৈয়দ আজমতউল্লাহ (Syed Azmathullah) ১৯২৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন।<ref name="ToI_Each" /> এটি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস-এর মাদ্রাজ সেশনের প্রেসিডেন্ট ডাঃ [[মুখতার আহমেদ আনসারি]] উদ্বোধন করেন।<ref name="Hindu_nurtures">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.hinduonnet.com/thehindu/fr/2007/11/02/stories/2007110250930700.htm|শিরোনাম=Newspaper nurtures art|লেখক=Suganthy Krishnamachari|প্রকাশক=[[The Hindu]]|তারিখ=2007-11-02|সংগ্রহের-তারিখ=2008-04-30|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080714034524/http://www.hinduonnet.com/thehindu/fr/2007/11/02/stories/2007110250930700.htm|আর্কাইভের-তারিখ=২০০৮-০৭-১৪|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> সংবাদ পত্রটির কার্যালয় চেন্নাইয়ের ট্রিপলিকেন হাই রোডে অবস্থিত। |
||
সৈয়দ আজমতউল্লাহ-এর মৃত্যুর পরে, সংবাদপত্রটি সৈয়দ ফাজুল্লাহ (Syed Fazullah)-এর দ্বারা প্রকাশিত |
সৈয়দ আজমতউল্লাহ-এর মৃত্যুর পরে, সংবাদপত্রটি সৈয়দ ফাজুল্লাহ (Syed Fazullah)-এর দ্বারা প্রকাশিত হয়।<ref name="ToI_Each" /> ২০০৭ সালে, ফাজুল্লাহ আশঙ্কা করে যে তাঁর মৃত্যুর পর চারুলিপির এই সংস্কৃতিও হারিয়ে যাবে, যেহেতু তাঁর পুত্রগণ এই সংস্কৃতিতে আগ্রহী ছিলেন না।<ref>[http://archive.wired.com/culture/lifestyle/multimedia/2007/07/gallery_calligraphers?slide=7&slideView=5 Image 7 of 22]. ''India's News Calligraphers Do It on Deadline''. [[Wired News|Wired]].</ref> ফাজুল্লাহের পুত্র, সৈয়দ নাসরুল্লাহ, বলেন যে তিনি [[ক্যালিগ্রাফি]]-তে আগ্রহী নন, এবং যখন তিনি ক্ষমতায় আসবেন, তখন "কিছু বদলও আসবে"।<ref name="Wired_Future" /> কিন্তু এখনও পত্রিকাটি হাতে লেখা হয় ও এপ্রিল ২০১৮-তে ৯২ বছরে পা দেয় পত্রিকাটি।<ref name="আ" /> |
||
== দল == |
== দল == |
||
লিপিবিশারদগণ, যারা কাতিব নামেও পরিচিত, ৮০০ ফিটের একটি ছোট এক-ঘর |
লিপিবিশারদগণ, যারা কাতিব নামেও পরিচিত, ৮০০ ফিটের একটি ছোট এক-ঘর কার্যালয়ের এক কোণে কাজ করেন। তাদের কাছে বিশেষ সুবিধা থাকে না, শুধু দুইটি দেওয়াল পাখা, তিনটি বাতি এবং একটি ফ্লুরোসেন্ট বাতি। প্রত্যেকটি পৃষ্ঠায় প্রায় ৩ ঘন্টা সময় লাগে। চার পাতার দৈনিকের কাজ শুরু হয় সকাল ১০টায়। দু’জন অনুবাদক খবরগুলো [[উর্দু ভাষা]]<nowiki/>য় লিখে দেন। ঘণ্টা দু’য়েক ধরে অনুবাদের কাজ চলে। তারপর চারুলিপি ও মূল কাগজ লেখার কাজ শুরু হয়। মূল কপি তৈরি হওয়ার পর প্রায় দুপুর ১টায় প্রিন্টের মাধ্যমে ও ফটো নেগেটিভে প্রসেস হয়ে বাকি কপিগুলো তৈরি হয়। সন্ধ্যার মধ্যে খবরের কাগজ পৌঁছে যায় প্রায় ২২ হাজার পাঠকের হাতে। |
||
এই দৈনিকটির তিনজন কাতিব।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.ntvbd.com/world/5516/%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8--%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A7%AE%E0%A7%AE-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0|শিরোনাম=দ্য মুসলমান: হাতে লিখেই ৮৮ বছর|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=০৫ এপ্রিল ২০১৫|ওয়েবসাইট=NTV|সংগ্রহের-তারিখ=২৫ জুন ২০১৮}}</ref> প্রধান কাতিবের নাম রাহমান হোসেইনি। ১৯৮০ সালে তিনি এ পত্রিকায় যোগ দেন। মাস শেষে বেতন পান আড়াই হাজার রুপি। এখানে কাতিব হিসেবে লেখার কাজ করেন শাবানা বেগম ও খুরশিদ বেগম। প্রতি পৃষ্ঠার জন্য প্রতিদিন ৬০ ভারতীয় টাকা করে আয় করেন উভয়ে। চিন্নাস্বামী বালাসুব্রামোনিয়াম প্রধান প্রতিবেদক, যিনি সংবাদপত্রটির সঙ্গে আছেন প্রায় ২০ বছর। দৈনিকটির ক্রেতা সারা ভারতে আছে, [[নয়া দিল্লী]], [[কলকাতা]] ও [[হায়দরাবাদ, ভারত|হায়দরাবাদ]] অন্তর্গত।<ref name="ToI_Each">{{সংবাদ উদ্ধৃতি| ইউআরএল= http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2008-04-30/chennai/27749690_1_evening-paper-newspaper-office-urdu| title = Each page of this Urdu newspaper is handwritten by 'katibs' |লেখক=Kamini Mathai |সংবাদপত্র=[[The Times of India]]| তারিখ=৩০ এপ্রিল ২০০৮| সংগ্রহের-তারিখ=৩০ এপ্রিল ২০০৮}}</ref> |
এই দৈনিকটির তিনজন কাতিব।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.ntvbd.com/world/5516/%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8--%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A7%AE%E0%A7%AE-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0|শিরোনাম=দ্য মুসলমান: হাতে লিখেই ৮৮ বছর|শেষাংশ=|প্রথমাংশ=|তারিখ=০৫ এপ্রিল ২০১৫|ওয়েবসাইট=NTV|সংগ্রহের-তারিখ=২৫ জুন ২০১৮}}</ref> প্রধান কাতিবের নাম রাহমান হোসেইনি। ১৯৮০ সালে তিনি এ পত্রিকায় যোগ দেন। মাস শেষে বেতন পান আড়াই হাজার রুপি। এখানে কাতিব হিসেবে লেখার কাজ করেন শাবানা বেগম ও খুরশিদ বেগম। প্রতি পৃষ্ঠার জন্য প্রতিদিন ৬০ ভারতীয় টাকা করে আয় করেন উভয়ে। চিন্নাস্বামী বালাসুব্রামোনিয়াম প্রধান প্রতিবেদক, যিনি সংবাদপত্রটির সঙ্গে আছেন প্রায় ২০ বছর। দৈনিকটির ক্রেতা সারা ভারতে আছে, [[নয়া দিল্লী]], [[কলকাতা]] ও [[হায়দরাবাদ, ভারত|হায়দরাবাদ]] অন্তর্গত।<ref name="ToI_Each">{{সংবাদ উদ্ধৃতি| ইউআরএল= http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2008-04-30/chennai/27749690_1_evening-paper-newspaper-office-urdu| title = Each page of this Urdu newspaper is handwritten by 'katibs' |লেখক=Kamini Mathai |সংবাদপত্র=[[The Times of India]]| তারিখ=৩০ এপ্রিল ২০০৮| সংগ্রহের-তারিখ=৩০ এপ্রিল ২০০৮}}</ref> |
১৮:০৮, ১৫ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ধরন | দৈনিক সংবাদপত্র |
---|---|
ফরম্যাট | ব্রডশিট |
সম্পাদক | সৈয়দ আরিফুল্লাহ |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯২৭ |
ভাষা | উর্দু |
সদর দপ্তর | চেন্নাই |
প্রচলন | ২২,০০০ |
দ্য মুসলমান ভারতের চেন্নাই থেকে প্রকাশিত উর্দু-ভাষার প্রাচীনতম দৈনিক সংবাদপত্র।[১] এটি চার পৃষ্ঠা বিশিষ্ট সান্ধ্য পত্রিকা, ছাপাখানায় ছাপানোর পূর্বে যেটির সকল পাতা হস্তলিপিকারদের দ্বারা হাতে লিখিত হতো।[২] দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং ওয়্যারড ম্যাগাজিন অনুযায়ী, দ্য মুসলমান সম্ভবত বিশ্বে টিকে থাকা একমাত্র হস্তলিখিত সংবাদপত্র।[১][৩] পত্রিকাটির বর্তমান সম্পাদক সৈয়দ আরিফুল্লাহ।[৪]
ইতিহাস
সংবাদপত্রটি সৈয়দ আজমতউল্লাহ (Syed Azmathullah) ১৯২৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন।[১] এটি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস-এর মাদ্রাজ সেশনের প্রেসিডেন্ট ডাঃ মুখতার আহমেদ আনসারি উদ্বোধন করেন।[৫] সংবাদ পত্রটির কার্যালয় চেন্নাইয়ের ট্রিপলিকেন হাই রোডে অবস্থিত।
সৈয়দ আজমতউল্লাহ-এর মৃত্যুর পরে, সংবাদপত্রটি সৈয়দ ফাজুল্লাহ (Syed Fazullah)-এর দ্বারা প্রকাশিত হয়।[১] ২০০৭ সালে, ফাজুল্লাহ আশঙ্কা করে যে তাঁর মৃত্যুর পর চারুলিপির এই সংস্কৃতিও হারিয়ে যাবে, যেহেতু তাঁর পুত্রগণ এই সংস্কৃতিতে আগ্রহী ছিলেন না।[৬] ফাজুল্লাহের পুত্র, সৈয়দ নাসরুল্লাহ, বলেন যে তিনি ক্যালিগ্রাফি-তে আগ্রহী নন, এবং যখন তিনি ক্ষমতায় আসবেন, তখন "কিছু বদলও আসবে"।[২] কিন্তু এখনও পত্রিকাটি হাতে লেখা হয় ও এপ্রিল ২০১৮-তে ৯২ বছরে পা দেয় পত্রিকাটি।[৪]
দল
লিপিবিশারদগণ, যারা কাতিব নামেও পরিচিত, ৮০০ ফিটের একটি ছোট এক-ঘর কার্যালয়ের এক কোণে কাজ করেন। তাদের কাছে বিশেষ সুবিধা থাকে না, শুধু দুইটি দেওয়াল পাখা, তিনটি বাতি এবং একটি ফ্লুরোসেন্ট বাতি। প্রত্যেকটি পৃষ্ঠায় প্রায় ৩ ঘন্টা সময় লাগে। চার পাতার দৈনিকের কাজ শুরু হয় সকাল ১০টায়। দু’জন অনুবাদক খবরগুলো উর্দু ভাষায় লিখে দেন। ঘণ্টা দু’য়েক ধরে অনুবাদের কাজ চলে। তারপর চারুলিপি ও মূল কাগজ লেখার কাজ শুরু হয়। মূল কপি তৈরি হওয়ার পর প্রায় দুপুর ১টায় প্রিন্টের মাধ্যমে ও ফটো নেগেটিভে প্রসেস হয়ে বাকি কপিগুলো তৈরি হয়। সন্ধ্যার মধ্যে খবরের কাগজ পৌঁছে যায় প্রায় ২২ হাজার পাঠকের হাতে।
এই দৈনিকটির তিনজন কাতিব।[৭] প্রধান কাতিবের নাম রাহমান হোসেইনি। ১৯৮০ সালে তিনি এ পত্রিকায় যোগ দেন। মাস শেষে বেতন পান আড়াই হাজার রুপি। এখানে কাতিব হিসেবে লেখার কাজ করেন শাবানা বেগম ও খুরশিদ বেগম। প্রতি পৃষ্ঠার জন্য প্রতিদিন ৬০ ভারতীয় টাকা করে আয় করেন উভয়ে। চিন্নাস্বামী বালাসুব্রামোনিয়াম প্রধান প্রতিবেদক, যিনি সংবাদপত্রটির সঙ্গে আছেন প্রায় ২০ বছর। দৈনিকটির ক্রেতা সারা ভারতে আছে, নয়া দিল্লী, কলকাতা ও হায়দরাবাদ অন্তর্গত।[১]
ধরণ
দৈনিকটির চারটি পৃষ্ঠা থাকে। প্রথম পাতায় থাকে দেশ ও বিদেশের নানা খবর। দ্বিতীয় পাতায় সম্পাদকীয়। পরের পাতা দুটিতে স্থানীয় খবর, খেলা ও বিজ্ঞাপন। সম্পাদক বলেন, সাধারণত এই দৈনিকে ব্রেকিং নিউজ থাকে না। তবে ব্রেকিং নিউজের জন্য প্রথম পাতার নীচের ডানদিকে কিছু জায়গা ফাঁকা রাখা হয়। সোমবারে কোরান ও ইসলাম সংক্রান্ত খবর বেশি প্রাধান্য পায় অন্যান্য খবরের থেকে।
এপ্রিল ২০১৮ অনুসারে, প্রতিটি খবরের কাগজের দাম ৭৫ পয়সা (ভারতীয়) এবং দৈনিকটির প্রায় ২১ থেকে ২২ হাজার ক্রেতা আছে।[৪]
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Kamini Mathai (৩০ এপ্রিল ২০০৮)। "Each page of this Urdu newspaper is handwritten by 'katibs'"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০০৮।
- ↑ ক খ Scott Carney (৭ জুন ২০০৭)। "A Handwritten Daily Paper in India Faces the Digital Future"। Wired। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০১৫। (Also on ABC News)
- ↑ Scott Carney (৭ জুন ২০০৭)। "India's News Calligraphers Do It on Deadline"। Wired। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ ক খ গ Krishna, Navmi (১৪ এপ্রিল ২০১৮)। "The world's only handwritten newspaper is 91 and sells at 75 paise"। The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ Suganthy Krishnamachari (২০০৭-১১-০২)। "Newspaper nurtures art"। The Hindu। ২০০৮-০৭-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৪-৩০।
- ↑ Image 7 of 22. India's News Calligraphers Do It on Deadline. Wired.
- ↑ "দ্য মুসলমান: হাতে লিখেই ৮৮ বছর"। NTV। ০৫ এপ্রিল ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৮। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য)
বহিঃসংযোগ
- হাতে লেখা দৈনিক দ্য মুসলমান, বাংলাদেশের খবর (১৮ এপ্রিল ২০১৮)
- দ্য মুসলমান: হাতে লিখেই ৮৮ বছর, এনটিভি (০৫ এপ্রিল ২০১৫)
- হাতে লিখেই ৯১ বছর পার করল উর্দু দৈনিক 'দ্য মুসলমান', আনন্দবাজার পত্রিকা (১৮ এপ্রিল ২০১৮)