পিতল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Shimul212-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Al Riaz Uddin Ripon-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
Shimul212 (আলোচনা | অবদান)
বিষয়বস্তু যোগ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
পিতলের পুরা নাম হচ্ছে নাজমুল হোসেন পিতল।ধারনা করা যায় ছেলেটি ১৯৯৯ কি 2000 সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার নামকরণ করেন প্রধানত ধামরাইয়ের সেই দুর্দান্ত ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক। সেই থেকে নাজমুল। পিতল নামে পরিচিত।এখন সবাই থাকে এক নামে পিতল বলে চিনে। তবে বর্তমানে তাকে বড় গেদা নামে সকলেই চিনে এবং সে এই নামে পরিচিত লাভ করেছে সে তার নামের উপর ভিত্তি করে একটা কবিতা লিখা হয়।
[[চিত্র:Brass.jpg|right|thumb|250px|পিতলের তৈরি নকশাকৃত পেপারওয়েট (বামে)।]]

'''পিতল''' এক প্রকারের সংকর ধাতু যা [[দস্তা]] ও [[তামা|তামার]] সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়। পিতলে তামা ও দস্তার পরিমাণে তারতম্য ঘটতে পারে এবং এর ফলে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের বিভিন্ন ধরনের পিতল তৈরি সম্ভব। চীনে খ্রীষ্টপূর্ব ৫০০ অব্দ পূর্বেও পিতলের ব্যবহার দেখা যায়।
কবিতার নাম পিতল
লিখেছেন আমি সাদেকুল

পিতল পিতল ডাক পাড়ি
পিতল গেল কার বাড়ি
আই পিতল ঘরে আয়
হাতের বাড়ি খেয়ে যা।


== উৎপাদন ==
== উৎপাদন ==

১৩:৪৩, ৩ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

পিতলের পুরা নাম হচ্ছে নাজমুল হোসেন পিতল।ধারনা করা যায় ছেলেটি ১৯৯৯ কি 2000 সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার নামকরণ করেন প্রধানত ধামরাইয়ের সেই দুর্দান্ত ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক। সেই থেকে নাজমুল। পিতল নামে পরিচিত।এখন সবাই থাকে এক নামে পিতল বলে চিনে। তবে বর্তমানে তাকে বড় গেদা নামে সকলেই চিনে এবং সে এই নামে পরিচিত লাভ করেছে সে তার নামের উপর ভিত্তি করে একটা কবিতা লিখা হয়।

কবিতার নাম পিতল লিখেছেন আমি সাদেকুল

পিতল পিতল ডাক পাড়ি পিতল গেল কার বাড়ি আই পিতল ঘরে আয় হাতের বাড়ি খেয়ে যা।

উৎপাদন

তামার গলনাংক ১০৮৩ ডিগ্রী সেলশিয়াস, অন্যদিকে দস্তার স্ফুটণাংক ৯০৭ ডিগ্রী সেলশিয়াস, তাই প্রথমে ক্রুসবলে উচ্চ তাপ প্রয়োগে তামা গলানো হয়। অতঃপর তরল তামায় যথাযথ অনুপাতে দস্তা যোগ করা হয়। এ পর্যায়ে কিছু দস্তা বাষ্পাকারে নষ্ট হতে পারে। দস্তা মেশানোর পর প্রয়োজন হলে অন্য কোন ধাতু মেশানো যেতে পারে, যেমন সীসা বা অ্যালুমিনিয়াম। অতঃপর তরল মিশ্রণকে যথাযথ আকৃতির ছাঁচে ঢেলে পিতলের বিলেট বা স্ল্যাব তৈরী করা হয়। কোল্ড-রোলিং পদ্ধতিতে পিতলের পাত তৈরী করা হয়।

গঠন

পিতল এবং ব্রোঞ্জ একই পদার্থ নয়। পিতল হল তামা ও দস্তার সংকর। সাধারণত পিতলে ৬৭ শতাংশ তামা এবং ৩৩ শতাংশ দস্তা থাকে। তবে এতে ৫৫ থেকে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত তামা থাকতে পারে। অন্যদিকে দস্তার পরিমাণ ৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। তামার পরিমাণ বেশী হলে স্বর্ণালী পিতলে গোলাপী আভা দেখা দেয়। অন্যদিকে দস্তার অনুপাত বাড়ানো হলে রূপালী আভা দেখা দেয়। পিতলের সংকরায়নে সাধারণত কিছু সীসা যুক্ত করা যেতে পারে। পিতলে প্রায় ২ শতাংশ সীসা যুক্ত হতে পারে। সীসা যুক্ত করা হলে পিতলের যান্ত্রিক উপযোগিতা বৃদ্ধি পায়। [১] সীসা ছাড়াও পিতলে অন্য ধাতু বা মৌল হিসেবে সামান্য সিলিকন, ম্যাঙ্গানিজ, আর্সেনিক, ফসফরাসঅ্যালুমিনিয়াম থাকতে পারে।

ধর্ম

পিতল একটি ধাতব পদার্থ। এর ঘনত্ব কমবেশী ৮.৫ গ্রাম/কিউবিক সেন্টিমিটার। পিতলে সহজে অক্সিডেশন হয় না ও ক্ষয় প্রাপ্ত হয় না। এটি ব্যাক্টেরিয়া প্রতিরোধকও বটে। তাই থালা-বাসন তৈরীতে এটির ব্যবহার সুপ্রচুর। ব্রোঞ্জ বা দস্তার চেয়ে এর গলনাংক উচ্চতর। পিতলের গলনাংক ৯০০ থেকে ৯৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। চুম্বক দ্বারা পিতল আকৃষ্ট হয় না। ঘর্ষণে সহজে বিদ্দুচ্চমক সৃষ্টি হয় না। এটি তাপ সুপরিবাহী। [২]

ব্যবহার

ধারণা করা হয় পিতল প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মূর্তিপূজকরা পিতলের মূর্তি তৈরী করে মন্দিরে এবং ঘরে রাখে। বুদ্ধের অনেক মূর্তি পিতল দিয়ে তৈরী। সোনার মত উজ্জ্বল দেখতে বলে পিতলকে অলঙ্করণে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া স্বল্প ঘর্ষণের বস্তু যেমন তালা, গিয়ার, বেয়ারিং, দরজার হাতল, গুলির খোসা ও ভাল্বে, পিতল দিয়ে বারা তৈরী করা হয়। বাদ্যযন্ত্রে এবং বিদ্যুতের ও পানির লাইনের কাজে এটিকে ব্যবহার করা হয়।

তথ্যসূত্র

  1. পিতল কী
  2. পিতল