জোঁক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Leech_blutegel.jpg কে চিত্র:Leech_in_water.jpg দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, কারণ: File renamed: misleading name: it is not clear, to which genus or species this... |
বিষয়বস্তু যোগ ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
২২ নং লাইন: | ২২ নং লাইন: | ||
আদিকাল থেকে রক্তচোষা জোঁকেদের (যেমন ''হিরুডো মেডিসিনালিস'') রক্ত জমাট বাঁধা (blood cloting) বন্ধ করার জন্য চিকিৎসায় ব্যবহার হয়েছে। |
আদিকাল থেকে রক্তচোষা জোঁকেদের (যেমন ''হিরুডো মেডিসিনালিস'') রক্ত জমাট বাঁধা (blood cloting) বন্ধ করার জন্য চিকিৎসায় ব্যবহার হয়েছে। |
||
তঞ্চন বন্ধ করার জন্য রক্তচোষা জোঁকের লালায় [[হিরুডিন]] নামক [[রক্ত জমাট রোধক]](anticoagulant) পেপটাইড ক্ষরিত হয়। |
তঞ্চন বন্ধ করার জন্য রক্তচোষা জোঁকের লালায় [[হিরুডিন]] নামক [[রক্ত জমাট রোধক]](anticoagulant) পেপটাইড ক্ষরিত হয়। |
||
বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষায় এগুলোকে "খেউরা জোঁক" বা " চীনা জোঁক" বলে। স্যাঁতসেতে ভিজেমাটি এদের পছন্দনীয় আবাস্থল। মাঝারি ও ছোট আকারের গবাদিপশু'র রক্তশূন্যতার কারণ এই জোঁক। একটি ছোটবাচ্চাকে যদি তিন/চারটি জোঁক একত্রে ধরে, তবে সেই বাচ্চাটি রক্তশূন্যতার জন্য মারাও যেতে পারে। বগুড়া জেলার সমগ্র দক্ষিনাঞ্চল জুড়ে এই জোঁক প্রচুর দেখা যায়। আমাদের গাঁড়ল-দুম্বা'র পায়ের খুর ও ঘাস খাওয়ার সময় নাকের ভেতরে ঢুকে পড়ে এগুলো। ত্বকে ছিদ্র করে রক্ত শুষতে থাকে, যতক্ষন না এগুলোর পেট ফেটে যাওয়ার উপক্রম হয়ে নিজ থেকেই পড়ে যায়। এরা যেটুকু রক্ত খায় তাতে কোন সমস্যা হয়না। কিন্তু রক্ত খেতে যে ছিদ্রটি করে, সেই ছিদ্র দিয়ে অনেকটা রক্ত বেরিয়ে যায়। গ্রামবাংলায় পশুপালনের বড় অন্তরায় এই রাবারসদৃশ প্রাণিটি। এদের উৎপত্তি স্থল হলো গণচীন। ধারনা করা হয়, অনেককাল পূর্বে কয়লার মাধ্যমে এই জোঁক বাংলাদেশে আসে।(অরণ্য তপু) |
|||
== দেহ থেকে জোঁক অপসারন == |
== দেহ থেকে জোঁক অপসারন == |
০৭:০৮, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
জোঁক | |
---|---|
Hirudo medicinalis | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণী জগৎ |
পর্ব: | Annelida |
শ্রেণী: | Clitellata |
উপশ্রেণী: | Hirudinea Lamarck, 1818 |
Infraclasses | |
Acanthobdellidea |
রক্তচোষা জোঁক ও তাদের জাতভাইরা কেঁচোর মত এনিলিডা পর্বের জীব। এরা এনিলিডা পর্বের হিরুডিনিয়া উপপর্ব গঠন করে।
কেঁচোর মত এদেরও ক্লাইটেলাম আছে ও গমনাঙ্গ সিটে (setae)।
আদিকাল থেকে রক্তচোষা জোঁকেদের (যেমন হিরুডো মেডিসিনালিস) রক্ত জমাট বাঁধা (blood cloting) বন্ধ করার জন্য চিকিৎসায় ব্যবহার হয়েছে। তঞ্চন বন্ধ করার জন্য রক্তচোষা জোঁকের লালায় হিরুডিন নামক রক্ত জমাট রোধক(anticoagulant) পেপটাইড ক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষায় এগুলোকে "খেউরা জোঁক" বা " চীনা জোঁক" বলে। স্যাঁতসেতে ভিজেমাটি এদের পছন্দনীয় আবাস্থল। মাঝারি ও ছোট আকারের গবাদিপশু'র রক্তশূন্যতার কারণ এই জোঁক। একটি ছোটবাচ্চাকে যদি তিন/চারটি জোঁক একত্রে ধরে, তবে সেই বাচ্চাটি রক্তশূন্যতার জন্য মারাও যেতে পারে। বগুড়া জেলার সমগ্র দক্ষিনাঞ্চল জুড়ে এই জোঁক প্রচুর দেখা যায়। আমাদের গাঁড়ল-দুম্বা'র পায়ের খুর ও ঘাস খাওয়ার সময় নাকের ভেতরে ঢুকে পড়ে এগুলো। ত্বকে ছিদ্র করে রক্ত শুষতে থাকে, যতক্ষন না এগুলোর পেট ফেটে যাওয়ার উপক্রম হয়ে নিজ থেকেই পড়ে যায়। এরা যেটুকু রক্ত খায় তাতে কোন সমস্যা হয়না। কিন্তু রক্ত খেতে যে ছিদ্রটি করে, সেই ছিদ্র দিয়ে অনেকটা রক্ত বেরিয়ে যায়। গ্রামবাংলায় পশুপালনের বড় অন্তরায় এই রাবারসদৃশ প্রাণিটি। এদের উৎপত্তি স্থল হলো গণচীন। ধারনা করা হয়, অনেককাল পূর্বে কয়লার মাধ্যমে এই জোঁক বাংলাদেশে আসে।(অরণ্য তপু)
দেহ থেকে জোঁক অপসারন
দেহ থেকে জোঁক অপসারনের সবচেয়ে ভাল উপায় হল হাতের দুই আঙ্গুল ব্যবহার করে জোঁকের মুখের চোষক অংশের সিল ভেঙে দেওয়া।
জোঁক অপসারনের জন্য সাধারণত এর গায়ে সিগারেটের ছ্যাকা, খাবার লবন, ভিনেগার, সাবান, ক্ষারীয় রাসায়নিক পদার্থ, লেবুর রস বা কিছু কার্বনেট পানীয় ব্যবহৃত হয়। তবে এ সব পদ্ধতি চিকিৎসকরা ব্যবহার করতে নিষেধ করেন। কারণ এসব ব্যবহার করলে জোঁক তার পাকস্থলীর সব কিছু বমি করে দেয়, যা কিনা মানব দেহের ক্ষতস্থানে রোগের সংক্রমণ করতে পারে।[১] হাত দিয়ে টেনে জোঁক অপসারন করাও ঠিক নয়।
তথ্যসূত্র
- ↑ Victorian Poisons Information Centre: Leeches Victorian Poisons Information Centre. Retrieved on 2007-07-28.
বহিঃসংযোগ
- Medicinal Leech
- Leech fact sheet, Australian Museum
- North American leeches
- Leeches Turkey
- How to remove a leech
- Biotherapy with leeches and maggots
- চিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস।
- Leeches in Reconstructive Surgery