তুঘরিল বেগ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
TaxuxTo (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
TaxuxTo (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১৬ নং লাইন: ১৬ নং লাইন:
|coronation =
|coronation =
|predecessor=''[[মিকাইল বেগ]]''
|predecessor=''[[মিকাইল বেগ]]''
|successor =[[আল্প আরসালান]]
|successor =[[আল্প আরসালান|আল্প আরসালান বেগ]]
|birth_date =৯৯০
|birth_date =৯৯০
|birth_place=
|birth_place=

০৮:৩৬, ২২ আগস্ট ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

তুঘরিল বেগ (ফার্সি: السلطان رکنالدین ابوطالب طغرلبک محمد بن میکائیل بن سلجوق یمینی امیرالمومنین; [১] পূর্ণ নাম: সুলতান রুকনুদ্দিন আবু তালিব তুঘরুল-বেগ মুহাম্মদ ইবনে মিকাইল ইবনে সেলজুক) তুঘরুল আল্প, তুগ্রিল, তওগ্রিল, তুগরুল বা টোগ্রিল বেগ[২] (তুর্কি: তুগ্রুল) জন্ম (৯৯০ - ৪ সেপ্টেম্বর, ১০৬৩) সেলজুক সাম্রাজ্য এর তুর্কি প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন,যিনি ১০৩৭ থেকে ১০৬৩ পর্যন্ত সাম্রাজ্যটি শাসন করেন। তুঘরিল গ্রেট ইউরেশিয়ান স্ট্যাফিজের তুর্কি যোদ্ধাদের একত্রিত করেছিলেন এই উপজাতিরা তাদের পূর্বপুরুষকে একটি একক খলিফা হিসেবে পূর্বপুরুষকে সেলজুক নামে অভিহিত করেছিল, এবং তাদের সাহায্যে পূর্ব ইরানে বিজয় অর্জন করেন। পরে তিনি পারস্য জয় করে ১০৫৫ সালে বুভেয়হী রাজবংশ থেকে আব্বাসীয় রাজধানী বাগদাদ পূনঃদখল করেন এবং তুঘরিল আব্বাসীয় খলিফা এর কাছে রাজধানী বাগদাদ ন্যস্ত করেন ।তিনি বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে এবং ফাতিমদ খিলাফতের বিরুদ্ধে নিজ বাহিনীতে খলিফার সৈন্যগুলো ব্যবহার করেনইসলামী বিশ্বকে একত্রিত করার প্রচেষ্টায় সফল হন।সেলজুকদের নেতা তুঘরিল বেগ, বুভেয়হীদের রাষ্ট্রকে হিজরি ৪৪৭ সালে উচ্ছেদ করে এই অঞ্চল থেকে ফিতনা দূরীভূত করতে সক্ষম হন। যারা মসজিদের দরজায় সাহাবীদেরকে গালী দিয়ে বিভিন্ন ধরনের লেখা টাঙাত তাদেরকে তিনি সমুলে উৎখাত করতে সক্ষম হন। এই ব্যাপারে সব চেয়ে বেশি সীমা লঙ্ঘন কারী রাফেজি আবু আব্দুল্লাহ আল জ্বালাবীকে তিনি হত্যা করেন। বাগদাদের আব্বাসী খলিফার উপর এই বুভেয়হীদের প্রচণ্ড চাপ ছিল। সেলজুকগণ এই বুভেয়হী রাষ্ট্রের বিলুপ্তি ঘটিয়ে তাদেরকে বাগদাদ থেকে অপসারণ করে। সেলজুকের সুলতান তুঘরিল বেগ, আব্বাসী খিলাফতের রাজধানী বাগদাদে গেলে তৎকালীন আব্বাসী খলিফা কাইম বি আমরিল্লাহ তাকে সাদর সম্ভাষণ জানান এবং তাকে সুলতান রুকুনুদ্দীন নামক উপাধীতে ভূষিত করেন। তাকে তার নিজের আসনের পাশে বসান এবং অনেক সম্মানে ভূষিত করেন। তার নামে মুদ্রাঙ্কিত করেন এবং বাগদাদ সহ অন্যান্য অঞ্চলের মসজিদে খুতবার সময় তার নাম উল্লেখ করা হয়। এইভাবে সেলজুকদের মান-মর্যাদা আরও অনেক বেড়ে যায়। সেই সময়ের পর থেকে সেলজুকরা, বূভেয়হীদের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠা আব্বাসী খলিফাদেরকে সব চেয়ে বড় সাহায্য করেন এবং খলিফা সহজে তার কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম হন। সুলতান তুঘরিল বেগ, একজন ব্যক্তিত্ত্বশালী , অসাধারণ মেধাবী এবং সাহসী একজন সেনাপতি ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন দীনদার এবং আবেদ। আর এই কারনেই তিনি তার জাতীর কাছ থেকে অনেক বড় সমর্থন এবং সাহায্য পেয়েছিলেন। তিনি ‘’সুলজুকি তুর্ক’’ নামক শক্তিশালী একটি সেনাবাহিনী গঠন করেন এবং ‘’শক্তিশালী রাষ্ট্র’’ এই শ্লোগান দিয়ে এগিয়ে যান। আব্বাসী খলিফা কাইম বি আমরিল্লাহর সাথে পরবর্তীতে সুলতান তুউরুল সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পায় এবং এই সম্পর্কের জের ধরে খলিফা সুলতান তুঘরিলের বড় ভাই চাগরি বেগ সাহেবের মেয়েকে বিয়ে করেন। হিজরি ৪৪৮ সালে (১০৫৬ খ্রিঃ) এই বিবাহ সংগঠিত হয়। পরবর্তিতে হিজরি ৪৫৪ সালে সুলতান তুঘরিল খলিফার মেয়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু এঁর পর সুলতান তুঘরিল বেগ বেশী দ্বীন হায়াত পাননি। হিজরী ৪৫৫ সালে পবিত্র রমজান মাসের শুক্রবার রাতে ৭০ বছর বয়সে মৃত্যুবরন করেন। সুলতান তুঘরিলের মৃত্যুর পর সেলজুকগন, খোরাসান, ইরান, উত্তর – পূর্ব ইরাক অঞ্চলে তার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি তার খিলাফতের(সাম্রাজ্যে) সীমানা সম্প্রসারণ করে দক্ষ কূটনৈতির মাধ্যমে পৃথিবীর অর্ধ-ভূখন্ড তার শাসন বলয়ের মধ্য রাখতে সক্ষম হন।

তুঘরিল বেগ
বেগ, অথবা বে
সেলজুক সাম্রাজ্যের সুলতান
রাজত্ব১০৩৭ – ৪ সেপ্টেম্বর ১০৬৩
পূর্বসূরিমিকাইল বেগ
উত্তরসূরিআল্প আরসালান বেগ
জন্ম৯৯০
মৃত্যু৪ সেপ্টেম্বর ১০৬৩ (৭৩ বছর)
দাম্পত্য সঙ্গীআকা, ইউসুফ কাদির-খানের কন্যা
আলতুন জান খাতুন
সাইয়েদাহ ফাতিমা
বংশধরনাই
পূর্ণ নাম
লাকাব: রুকন আদ-দীন (সংক্ষিপ্ত)
কুনিয়াত: আবু তালেব
দেওয়া নাম: মোহাম্মদ
পিতামিকাইল বেগ ইবনে সেলজুক
ধর্মসুন্নি ইসলাম

তথ্যসূত্র