নিল্‌স হেনরিক আবেল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Ratulhasan14789 (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''নিল্‌স হেনরিক আবেল''' ([[নরওয়েজীয় ভাষা|নরওয়েজীয়]]: Niels Henrik Abel) ([[আগস্ট ৫]], [[১৮০২]] - [[এপ্রিল ৬]], [[১৮২৯]]) একজন [[নরওয়ে|নরওয়েজীয়]] গণিতবিদ। তিনি [[নরওয়ে|নরওয়ের]] ফিন্ডোতে দরিদ্র এক ধর্মযাজকের কুঁড়েঘরে জন্মগ্রহণ করেন।
'''নিল্‌স হেনরিক আবেল''' ([[নরওয়েজীয় ভাষা|নরওয়েজীয়]]: Niels Henrik Abel) ([[আগস্ট ৫]], [[১৮০২]] - [[এপ্রিল ৬]], [[১৮২৯]]) একজন [[নরওয়ে|নরওয়েজীয়]] গণিতবিদ। তিনি [[নরওয়ে|নরওয়ের]] ফিন্ডোতে দরিদ্র এক ধর্মযাজকের কুঁড়েঘরে জন্মগ্রহণ করেন।


[[১৮২২]] সালে আবেল [[ক্রিস্টিয়ানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়|ক্রিস্টিয়ানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে]] যোগ দেন। কিন্তু সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে গণিত অধ্যয়ন করেন। তাঁর অগ্রজ হোল্মবোয়ে তাঁর মধ্যে সম্ভাবনা দেখতে পেয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হবার পর তিনি [[বার্লিন]] ও [[প্যারিসে]] অধ্যয়ন করেন। আ ক্রেলে-র সাথে বার্লিনে সাক্ষাৎ হয়। ক্রেলে-র কাছ থেকে তিনি প্রভূত সহায়তা পান ও তাঁর সাথে মিলে ''Journal für die Reine und Angewandte Mathematik'' নামের গবেষণা পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেন। প্যারিসে থাকাকালীন অবস্থায় অসাধারণ কৃতিত্বের পরিচয় দিলেও সে অনুযায়ী সুনাম পাননি। ১৮২৭-এর মে-তে নরওয়েতে ফিরে আসেন। স্বদেশে ফিরে তিনি কোন চাকরি পাননি, তাই দরিদ্রতার সাথে যুদ্ধ করেই গবেষণা চালিয়ে যান। ২৬ বছর বয়সে [[যক্ষ্মা|যক্ষ্মায়]] আক্রান্ত হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করেন। বার্লিন থেকে তাঁর কাছে অধ্যাপনার চাকুরির নিয়োগপত্র আসে, কিন্তু তার কিছুদিন আগেই তিনি মারা যান।
[[১৮২২]] সালে আবেল [[ক্রিস্টিয়ানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়|ক্রিস্টিয়ানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে]] যোগ দেন। কিন্তু সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে গণিত অধ্যয়ন করেন। তাঁর অগ্রজ হোল্মবোয়ে তাঁর মধ্যে সম্ভাবনা দেখতে পেয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হবার পর তিনি [[বার্লিন]] ও [[প্যারিস|প‍্যারিসে]] অধ্যয়ন করেন। আ ক্রেলে-র সাথে বার্লিনে সাক্ষাৎ হয়। ক্রেলে-র কাছ থেকে তিনি প্রভূত সহায়তা পান ও তাঁর সাথে মিলে ''Journal für die Reine und Angewandte Mathematik'' নামের গবেষণা পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেন। প্যারিসে থাকাকালীন অবস্থায় অসাধারণ কৃতিত্বের পরিচয় দিলেও সে অনুযায়ী সুনাম পাননি। ১৮২৭-এর মে-তে নরওয়েতে ফিরে আসেন। স্বদেশে ফিরে তিনি কোন চাকরি পাননি, তাই দরিদ্রতার সাথে যুদ্ধ করেই গবেষণা চালিয়ে যান। ২৬ বছর বয়সে [[যক্ষ্মা|যক্ষ্মায়]] আক্রান্ত হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করেন। বার্লিন থেকে তাঁর কাছে অধ্যাপনার চাকুরির নিয়োগপত্র আসে, কিন্তু তার কিছুদিন আগেই তিনি মারা যান।


আবেলের গবেষণার বিখ্যাত ফলাফলগুলো নিম্নরূপ:
আবেলের গবেষণার বিখ্যাত ফলাফলগুলো নিম্নরূপ:

১৪:২৭, ৩ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

নিল্‌স হেনরিক আবেল

নিল্‌স হেনরিক আবেল (নরওয়েজীয়: Niels Henrik Abel) (আগস্ট ৫, ১৮০২ - এপ্রিল ৬, ১৮২৯) একজন নরওয়েজীয় গণিতবিদ। তিনি নরওয়ের ফিন্ডোতে দরিদ্র এক ধর্মযাজকের কুঁড়েঘরে জন্মগ্রহণ করেন।

১৮২২ সালে আবেল ক্রিস্টিয়ানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। কিন্তু সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে গণিত অধ্যয়ন করেন। তাঁর অগ্রজ হোল্মবোয়ে তাঁর মধ্যে সম্ভাবনা দেখতে পেয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হবার পর তিনি বার্লিনপ‍্যারিসে অধ্যয়ন করেন। আ ক্রেলে-র সাথে বার্লিনে সাক্ষাৎ হয়। ক্রেলে-র কাছ থেকে তিনি প্রভূত সহায়তা পান ও তাঁর সাথে মিলে Journal für die Reine und Angewandte Mathematik নামের গবেষণা পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেন। প্যারিসে থাকাকালীন অবস্থায় অসাধারণ কৃতিত্বের পরিচয় দিলেও সে অনুযায়ী সুনাম পাননি। ১৮২৭-এর মে-তে নরওয়েতে ফিরে আসেন। স্বদেশে ফিরে তিনি কোন চাকরি পাননি, তাই দরিদ্রতার সাথে যুদ্ধ করেই গবেষণা চালিয়ে যান। ২৬ বছর বয়সে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করেন। বার্লিন থেকে তাঁর কাছে অধ্যাপনার চাকুরির নিয়োগপত্র আসে, কিন্তু তার কিছুদিন আগেই তিনি মারা যান।

আবেলের গবেষণার বিখ্যাত ফলাফলগুলো নিম্নরূপ:

  • পঞ্চম বা তার বেশি মাত্রার বীজগণিতীয় সমীকরণসমূহ সাধারণভাবে বীজগণিতীয় পদ্ধতিতে সমাধান করা সম্ভব নয়। আবেল মাত্র ১৯ বছর বয়সে এটি প্রমাণ করেন। এটি আবেল-রুফিনি উপপাদ্য হিসেবে পরিচিত।
  • আবেলীয় সমীকরণসমূহ বীজগণিতীয় পদ্ধতিতে সমাধান করা সম্ভব।
  • ধারা সম্পর্কিত সাধারণ তত্ত্ব, বিশেষ করে দ্বিপদী ধারা সংক্রান্ত তত্ত্ব।
  • বীজগণিতীয় ফাংশন সংক্রান্ত তত্ত্ব, বিশেষ করে উপবৃত্তাকার ফাংশন সংক্রান্ত তত্ত্ব।
  • আবেলীয় যোগজ
  • আবেলের উপপাদ্য

বীজগণিত ও গাণিতিক বিশ্লেষণ নিয়ে আবেলের কাজ ছিল সুপাঠ্য এবং তাঁর সময়কার সর্বোচ্চ মানের গাণিতিক গবেষণা হিসেবে পরিগণিত।

বহিঃসংযোগ