অযৌন প্রজনন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Ripan Mondal (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
Ripan Mondal (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
৪ নং লাইন: | ৪ নং লাইন: | ||
মিওসিস প্রক্রিয়ায় জনন কোশ বা গ্যামেট তৈরি এবং দুটি ভিন্ন লিঙ্গের গ্যামেটের মিলন ব্যতিরেকে একটিমাত্র জীবদেহ থেকে স্বতন্ত্র অপত্য তৈরি হওয়ার ঘটনাকে অযৌন জনন বলে। এই প্রক্রিয়ার প্রজননে একটি একক জীব নিজের অবিকল প্রতিলিপি বা ক্লোন তৈরি করে। জনিতৃ কোষ এবং প্রতিলিপিত নতুন কোষে জিনের গঠন সম্পূর্ণ অপরিবর্তিত থাকে। |
মিওসিস প্রক্রিয়ায় জনন কোশ বা গ্যামেট তৈরি এবং দুটি ভিন্ন লিঙ্গের গ্যামেটের মিলন ব্যতিরেকে একটিমাত্র জীবদেহ থেকে স্বতন্ত্র অপত্য তৈরি হওয়ার ঘটনাকে অযৌন জনন বলে। এই প্রক্রিয়ার প্রজননে একটি একক জীব নিজের অবিকল প্রতিলিপি বা ক্লোন তৈরি করে। জনিতৃ কোষ এবং প্রতিলিপিত নতুন কোষে জিনের গঠন সম্পূর্ণ অপরিবর্তিত থাকে। |
||
এককোষী জীবদেহে ([[মনেরা]] ও [[ প্রোটিস্টা]]) অযৌন জনন সর্বাধিক পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া বিবর্তনগতভাবে অনুন্নত জীবেরাও অযৌন পদ্ধতিতে জনন ক্রিয়া সম্পন্ন করে। মেরুদণ্ডী এবং উন্নত অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের ক্ষেত্রে অযৌন জনন ঘটে না। |
|||
অযৌন প্রজননের প্রধান প্রক্রিয়া হল [[মাইটোসিস]]। এটি কিছু এককোষী জীবে সর্বদা ঘটে, যেমন অ্যামিবা। অনেক উদ্ভিদও অযৌন প্রক্রিয়ায় বংশবৃদ্ধি করে। |
|||
বিপুল বৈচিত্র্যময় জীবজগতে প্রতিটি জীব তার নিজস্ব জনন পদ্ধতিতে বিবর্তিত হয়েছে। জীবের বাসস্থান, আভ্যন্তরীণ শারীরিক গঠন এবং আরও অন্যান্য নিয়ামক দ্বারা জীবের প্রজনন পদ্ধতি নির্ধারিত হয়। |
|||
==অযৌন জননের সুবিধা ও অসুবিধা== |
==অযৌন জননের সুবিধা ও অসুবিধা== |
||
*'''সুবিধাঃ''' |
*'''সুবিধাঃ''' |
১১:০৪, ২৭ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
অযৌন প্রজনন (ইংরেজি: Asexual reproduction) হল যৌনতাবিহীন বংশবৃদ্ধি প্রক্রিয়া[১]।
মিওসিস প্রক্রিয়ায় জনন কোশ বা গ্যামেট তৈরি এবং দুটি ভিন্ন লিঙ্গের গ্যামেটের মিলন ব্যতিরেকে একটিমাত্র জীবদেহ থেকে স্বতন্ত্র অপত্য তৈরি হওয়ার ঘটনাকে অযৌন জনন বলে। এই প্রক্রিয়ার প্রজননে একটি একক জীব নিজের অবিকল প্রতিলিপি বা ক্লোন তৈরি করে। জনিতৃ কোষ এবং প্রতিলিপিত নতুন কোষে জিনের গঠন সম্পূর্ণ অপরিবর্তিত থাকে।
এককোষী জীবদেহে (মনেরা ও প্রোটিস্টা) অযৌন জনন সর্বাধিক পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া বিবর্তনগতভাবে অনুন্নত জীবেরাও অযৌন পদ্ধতিতে জনন ক্রিয়া সম্পন্ন করে। মেরুদণ্ডী এবং উন্নত অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের ক্ষেত্রে অযৌন জনন ঘটে না।
বিপুল বৈচিত্র্যময় জীবজগতে প্রতিটি জীব তার নিজস্ব জনন পদ্ধতিতে বিবর্তিত হয়েছে। জীবের বাসস্থান, আভ্যন্তরীণ শারীরিক গঠন এবং আরও অন্যান্য নিয়ামক দ্বারা জীবের প্রজনন পদ্ধতি নির্ধারিত হয়।
অযৌন জননের সুবিধা ও অসুবিধা
- সুবিধাঃ
- একটিমাত্র জীবই প্রজননের মাধ্যমে অপত্য তৈরি করতে পারে, ফলে সঙ্গীর প্রয়োজন হয় না।
- অযৌন জনন সরল মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
- অযৌন জনন অপেক্ষাকৃত কম সময়সাপেক্ষ।
- অযৌন জননের মাধ্যমে একটিমাত্র জীব বিপুল সংখ্যক অপত্য তৈরিতে সক্ষম।
- অযৌন জননে সৃষ্ট অপত্যরা জিনগতভাবে তাদের জনিতৃর অনুরূপ হয়।
- অসুবিধাঃ
- অযৌন জননে সম প্রজাতির দুটি জীবের জিনের সংমিশ্রণ ঘটে না, ফলে জনিতৃ ও অপত্যে কোন ভেদ বা প্রকরণ সৃষ্টি হয় না।
- যেহেতু অযৌন জননে ভেদ তৈরি হয় না, তাই বিবর্তনে অযৌন জননের কোন ভূমিকা নেই।
- দ্রুত জ্যামিতিক হারে বংশবৃদ্ধি হওয়ার কারণে সংখ্যাধিক্য ঘটে।
- অযৌন জননে সৃষ্ট অপত্যদের পরিবর্তিত পরিবেশে অভিযোজিত হওয়ার ক্ষমতা কম।
তথ্যসূত্র
- ↑ Dawson KJ (অক্টোবর ১৯৯৫)। "The Advantage of Asexual Reproduction: When is it Two-fold?"। Journal of Theoretical Biology। 176 (3): 341–347। ডিওআই:10.1006/jtbi.1995.0203।