প্রবর্তক সংঘ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
তথ্য
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
হটক্যাট
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
প্রবর্তক সংঘ একটি হিন্দু সামাজিক জাতীয়তাবাদী প্রতিষ্ঠান যার প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতা সংগ্রামী মতিলাল রায়। ভারতোয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে প্রবর্তক সংঘ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে।
'''প্রবর্তক সংঘ''' একটি হিন্দু সামাজিক জাতীয়তাবাদী প্রতিষ্ঠান যার প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতা সংগ্রামী মতিলাল রায়। [[ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন|ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের]] ইতিহাসে প্রবর্তক সংঘ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে।


== প্রতিষ্ঠা ==
== প্রতিষ্ঠা ==
১৯২০ সালে হুফলীর চন্দনগরে [[মতিলাল রায়]] প্রবর্তক সংঘ স্থাপন করেন। ফরাসী অধ্যুষিত চন্দননগরে ভারতীয় বিপ্লবীদের অন্যপ্তম আশ্রয়স্থল ছিল প্রবর্তক সংঘ। মতিলাল ঋষি অরবিন্দ প্রভাবিত ছিলেন। স্বাধীনতা আআন্দোলনের সসময় এই সংঘে আশ্রয় নিয়েছেন শতাধিক বিপ্লবী।
১৯২০ সালে [[হুগলী জেলা]]<nowiki/>র চন্দননগরে [[মতিলাল রায়]] প্রবর্তক সংঘ স্থাপন করেন। ফরাসী অধ্যুষিত [[চন্দননগর|চন্দননগরে]] ভারতীয় বিপ্লবীদের অন্যতম আশ্রয়স্থল ছিল প্রবর্তক সংঘ। মতিলাল ঋষি অরবিন্দ প্রভাবিত ছিলেন। ১৯২৫ সালে তিনি সংঘগুরু ও সংস্থার প্রধান আধ্যাত্মিক ব্যক্তি হয়ে ওঠেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের সসময় এই সংঘে আশ্রয় নিয়েছেন শতাধিক বিপ্লবী। ১৯২৭ খৃষ্টাব্দের মে মাসে [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]] এই সংঘের প্রার্থনা ঘরের ভিত্তিপপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।


== কর্মকান্ড ==
== কর্মকান্ড ==
প্রবর্তক সংঘ একটি সামাজিক ও জনকল্যাণকর প্রতিষ্ঠান। দেশবাসীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা প্রদান, পত্রিকা প্রকাশ, কুটর শিল্প ও ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপন, এই সংঘের কাজ। প্রবর্তক সংঘের একাধিক শাখা প্রতিষ্ঠা হয় নানা জায়গায়। ময়মনসিংহ চট্টগ্রাম, বর্ধমান এমনকি বর্মার রেংগুনেও এর শাখা ছিল। প্রবর্তক ব্যাংক ও ইনসুরেন্স কোম্পানী, পাট কারখানা, খাদি বস্ত্র বয়ন স্ব নির্ভর প্রকল্প ইত্যাদির সাতগে যযুক্ত চছিলেন পপ্রবর্তক সসংঘেত নেতারা। মন্দির, গ্রন্থাগার, ছাপাখানা স্থাপন করা হয় এই সংস্থার নামে। সারা বাংলা জুড়ে ২১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে প্রবর্তক সংঘ। লাভজনক ব্যবসারর আয় থেকে এই বিদ্যালয় গুলির ব্যয় বহন হতো।
প্রবর্তক সংঘ একটি সামাজিক ও জনকল্যাণকর প্রতিষ্ঠান। দেশবাসীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা প্রদান, পত্রিকা প্রকাশ, কুটীর শিল্প ও ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপন, এই সংঘের কাজ। প্রবর্তক সংঘের একাধিক শাখা প্রতিষ্ঠা হয় নানা জায়গায়। ময়মনসিংহ [[চট্টগ্রাম]], বর্ধমান এমনকি [[বার্মা]]<nowiki/>র রেংগুনেও এর শাখা ছিল। প্রবর্তক ব্যাংক ও ইনসুরেন্স কোম্পানী, পাট কারখানা, খাদি বস্ত্র বয়ন স্ব নির্ভর প্রকল্প ইত্যাদির সাগে যুক্ত ছিলেন প্রবর্তক সংঘেত নেতারা। মন্দির, গ্রন্থাগার, ছাপাখানা স্থাপন করা হয় এই সংস্থার নামে। সারা বাংলা জুড়ে ২১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে প্রবর্তক সংঘ। সংঘের লাভজনক ব্যবসার আয় থেকে এই বিদ্যালয় গুলির ব্যয় বহন হতো।


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

১৬:৩৯, ৫ মে ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

প্রবর্তক সংঘ একটি হিন্দু সামাজিক জাতীয়তাবাদী প্রতিষ্ঠান যার প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতা সংগ্রামী মতিলাল রায়। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে প্রবর্তক সংঘ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে।

প্রতিষ্ঠা

১৯২০ সালে হুগলী জেলার চন্দননগরে মতিলাল রায় প্রবর্তক সংঘ স্থাপন করেন। ফরাসী অধ্যুষিত চন্দননগরে ভারতীয় বিপ্লবীদের অন্যতম আশ্রয়স্থল ছিল প্রবর্তক সংঘ। মতিলাল ঋষি অরবিন্দ প্রভাবিত ছিলেন। ১৯২৫ সালে তিনি সংঘগুরু ও সংস্থার প্রধান আধ্যাত্মিক ব্যক্তি হয়ে ওঠেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের সসময় এই সংঘে আশ্রয় নিয়েছেন শতাধিক বিপ্লবী। ১৯২৭ খৃষ্টাব্দের মে মাসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই সংঘের প্রার্থনা ঘরের ভিত্তিপপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।

কর্মকান্ড

প্রবর্তক সংঘ একটি সামাজিক ও জনকল্যাণকর প্রতিষ্ঠান। দেশবাসীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা প্রদান, পত্রিকা প্রকাশ, কুটীর শিল্প ও ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপন, এই সংঘের কাজ। প্রবর্তক সংঘের একাধিক শাখা প্রতিষ্ঠা হয় নানা জায়গায়। ময়মনসিংহ চট্টগ্রাম, বর্ধমান এমনকি বার্মার রেংগুনেও এর শাখা ছিল। প্রবর্তক ব্যাংক ও ইনসুরেন্স কোম্পানী, পাট কারখানা, খাদি বস্ত্র বয়ন স্ব নির্ভর প্রকল্প ইত্যাদির সাগে যুক্ত ছিলেন প্রবর্তক সংঘেত নেতারা। মন্দির, গ্রন্থাগার, ছাপাখানা স্থাপন করা হয় এই সংস্থার নামে। সারা বাংলা জুড়ে ২১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে প্রবর্তক সংঘ। সংঘের লাভজনক ব্যবসার আয় থেকে এই বিদ্যালয় গুলির ব্যয় বহন হতো।

তথ্যসূত্র