বড় সোনা মসজিদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
cat, heading
Sam jhang (আলোচনা | অবদান)
বিষয়শ্রেণী শুদ্ধকরণ
৩৫ নং লাইন: ৩৫ নং লাইন:
[[Category:স্থাপত্য]]
[[Category:স্থাপত্য]]
[[Category:মুসলিম স্থাপত্য]]
[[Category:মুসলিম স্থাপত্য]]
[[Category:বাংলাদেশের মসজিদ]]

১৬:৫০, ৬ জানুয়ারি ২০০৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ভারতের গৌড়ে অবস্থিত মুসলিম যুগের স্থাপত্য নিদর্শন। গৌড়ের সবচেয়ে বড় মসজিদ হলো বড় সোনা মসজিদ। এটি হোসেন-শাহ স্থাপত্য রীতিতে তৈরী। স্থাপনাটি ইট দ্বারা নির্মিত এবং বাইরের অংশ পাথর দ্বারা আবৃত ছিল।

নির্মাণকাল

এ মসজিদটির নির্মানকাল সঠিক ভাবে জানা যায় না। মেজর ফ্রাঙ্কলিন মসজিদটির কাছে একটি শিলালিপি খুজে পান, ধারণা করা হত এটিই এই মসজিদটির শিলালিপি। এতে তারিখ ছিলো ৯৩২ হিজরী সন (১৫২৬ খৃষ্টাব্দ), এটি অনুসারে মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন সুলতান হোসেন শাহের পুত্র সুলতান নাসিরুদ্দিন নুসরত শাহ। পরে মসজিদের ঠিক বাইরে উত্তর-পশ্চিম কোণে আরেকটি শিলালিপি পাওয়া যায় যা এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছে। এতে ৯৩০ হিজরী সনে (১৫২৩ খৃষ্টাব্দ) নুসরত শাহ কতৃক একটি তোরণ নির্মাণের বর্ণনা পাওয়া যায়। যেহেতু এ শিলালিপিটি মসজিদের অধিক কাছে পাওয়া গেছে, তাই এটি মসজিদের তোরণটির শিলালিপি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আর স্বাভাবিকভাবেই এ ধরনের ভবনের তোরণ মূল ভবনের আগে নির্মাণ করা হয় না। মেজর ফ্রাঙ্কলিন প্রাপ্ত শিলালিপিটির তারিখ এ শিলালিপির পরের। তাই সেটি মসজিদের শিলালিপি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
তাছাড়া নুসরত শাহ কতৃক নির্মিত বাঘা মসজিদের স্থাপত্য শৈলীর সাথে এর কোনো মিল খুজে পাওয়া যায় না। এর ফ্যাসাদগুলোতে অলংকরণ খুবই কম, নেই বললেই চলে। তবে মিহরাব গুলোতে অলংকরণ রয়েছে। বরঞ্চ, আলাউদ্দিন হোসেন শাহের শাসনামলের প্রথমার্ধে নির্মিত ছোটো সোনা মসজিদের সাথে এর স্থাপত্য শৈলীর মিল খুজে পাওয়া যায়। স্থাপত্যশৈলীর এই মিল এবং পরে প্রাপ্ত শিলালিপিটির তারিখ থেকে এটা মনে হয়া অসম্ভব নয় যে মসজিদটি আলাউদ্দিন হোসেন শাহের শাসনামলের শেষের দিকে নির্মিত হয়েছিলো।

নামকরণ

এ মসজিদের গম্বুজগুলোর উপর সোনালী রঙ এর আস্তরণ ছিলো। এ থেকে মসজিদটির নাম হয় সোনা মসজিদগৌড় নগরীর উপকন্ঠে ফিরোজপুর গ্রামে সোনালী রঙের আস্তরণ যুক্ত আরেকটি সোনা মসজিদ ছিলো। সেটি ছিলো আকারে ছোট। তাই এ মসজিদটিকে বলা হত বড় সোনা মসজিদ, আর ফিরোজপুরেরটিকে বলা হত ছোট সোনা মসজিদ। আবিদ আলীর রেকর্ড থেকে জানা যায়, এ মসজিদটি মূলত বারদুয়ারী নামে পরিচিত ছিলো, অর্থাৎ যে স্থাপনার বারটি দরজা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে মসজিদটির সম্মুখ ফ্যাসাদে এগারটি দরজা রয়েছে। আবিদ আলী বর্ণনা করেছেন, বারদুয়ারী শব্দটির অর্থ সাধারণভাবে বড় হলরুম। মসজিদের সামনে অবস্থিত বড় উদ্যানটির কারণে এই নাম ব্যবহার করা হত।

প্রবেশ তোরণ

মসজিদটি ২০০ ফিটx২০০ ফিট পরিমাপের চতুষ্কোণ একটি উদ্যানের (courtyard) পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত। এর উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্বে পার্শ্বের মাঝ বরাবর খিলানযুক্ত তোরণ ছিলো। বর্তমানে কেবল উত্তর ও পূর্বের তোরণ দুটি অবশিষ্ট আছে। এ তোরণের মাপ ৩৮.৫ ফিটx১৩.৫ ফিট। একসময় এটি পাথর আবৃত ছিলো। এতে সাদা, নীল, সবুজ, হলুদ ও কমলা রঙ এর কাঁচের টাইলের (glazed tile) উপর ফুল সদৃশ অলংকরণ ছিল।

বহির্ভাগ

মসজিদ ভবনটির চারপাশে চারটি এবং মূল প্রার্থণালয় ও করিডোর এর সংযোগস্থলে দুটি- মোট ছটি টারেট আছে। প্রতিটিই অষ্টকোণাকৃতি। মসজিদটির বাইরের পরিমাপ ১৬৮ ফিটx ৭৬ফিট। এর উচ্চতা ২০ ফিট। সম্মুখ ফ্যাসাদটি ধনুকের মত উপরদিকে ঈষৎ বাঁকানো।

অন্তর্ভাগ

মসজিদ ভবনটির মূল প্রার্থনালয়ের সামনে একটি করিডোর আছে। করিডোরটি ১৫০ ফিট লম্বা। করিডোরের পূর্বদিকে এগারটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিকে একটি করে খিলানযুক্ত দরজা আছে। প্রার্থণালয়টি পাথর নির্মিত চতুষ্কোণ স্তম্ভ দ্বারা উত্তর-দক্ষিণে তিনটি আইলে ও পূর্ব-পশ্চিমে এগারটি সারিতে (bay) বিভক্ত। তিনটি আইলের উভয় দিকে তিনটি করে দরজা আছে। করিডোরের এগারটি দরজা বরাবর পসছিম দেয়ালে এগারটি মিহরাব আছে। সর্ব উত্তর পার্শ্বের তিনটি সারির উপর জেনানা মহল অবস্থিত। উত্তর পাশ থেকে সিঁড়ি আছে যা দিয়ে এতে ওঠা যেত। প্রার্থণালয়ের ওপর ৩৩টি ও করিডোরের ওপর ১১টি- মোট ৪৪টি গম্বুজ ছিলো এ মসজিদে। বর্তমানে কেবল করিডোরের ওপরের ১১টি টিকে আছে। বাকিগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে।

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

তথ্যসূত্র

  • Architecture in India (Islamic Period) - Percy Brown
  • Muslim Architecture in Bengal