নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অসম্পাদনা সারাংশ নেই |
ব্যাপক সম্পাদনা, তথ্য সংযোজন প্রয়োজন |
||
১০ নং লাইন: | ১০ নং লাইন: | ||
}} |
}} |
||
'''নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী''' ([[১৯ অক্টোবর]] [[১৯২৪]]-) একজন বাঙ্গালি কবি। আধুনিক বাংলা কবিদের অন্যতম। |
'''নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী''' ([[১৯ অক্টোবর]] [[১৯২৪]]-) একজন ভারতীয় বাঙ্গালি কবি। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে আবির্ভুত আধুনিক বাংলা কবিদের অন্যতম। [[উলঙ্গ রাজা]] তাঁর অন্যতম বিখ্যাত কাব্যগ্রন্হ। এই কাব্যগ্রন্হ লেখার জন্য তিনি ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে [[সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার]] লাভ করেন। কবি পশ্চিমবঙ্গে বাংলা আকাদেমির সাথে দীর্ঘকাল যুক্ত। |
||
==== শৈশব ও কৈশোর ==== |
==== শৈশব ও কৈশোর ==== |
||
তাঁর শৈশবের পুরোটাই কেটেছে [[পূর্ববঙ্গে]] যা বর্তমান [ [বাংলাদেশ]], ঠাকুরদা আর ঠাকুমার কাছে। কবির ঠাকুরদা কর্মজীবন কাটিয়েছেন কলকাতায়। কর্মজীবন শেষে ৫০ বছর বয়সে কলকাতার পাট চুকিয়ে [[বাংলাদেশের]] [[ফরিদপুর]] বাড়ি [[চান্দ্রা]] গ্রামে চলে আসেন। তার বাবা কলকাতাতেই ছিলেন। কলকাতার একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে কাজ করতেন। দুই বছর বয়সে কবির মা বাবার কর্মস্থল কলকাতায় চলে যান। কবি থেকে যান ঠাকুরদার নাম লোকনাথ চক্রবর্তীর কাছে। গ্রামে কাটিয়েছেন মহা স্বাধীনতা—ইচ্ছেমতো দৌড়ঝাঁপ করে। কখনো গাছে উঠছেন; কখনো আপন মনে ঘুরেছে গ্রামের এই প্রাপ্ত থেকে অন্যপ্রাপ্তে। চার বছর বয়সে কবির কাকিমা বলছিলেন, 'তুই তো দেখছি কবিদের মতোন কথা বলছিস!' সেই সময়েই মুখস্থ করেছিল গ্রামে কবিয়ালরা, কবিগান,রামায়ণ গান। গ্রামের দিনগুলো খুব সুন্দর কেটেছেন তাই তিনি এ গ্রামের বাড়ি ছেড়ে কলকাতায় যেতে চাইতেন না। তবে ঠাকুরদার মৃত্যুর পর গ্রাম ছেড়ে কলকাতায় চলে যান। এখন তিনি কলকাতায় থাকেন। |
|||
শৈশবের পুরোটাই কেটেছে [[পূর্ববঙ্গে]] বর্তমান[ [বাংলাদেশ]], ঠাকুরদা আর ঠাকুমার কাছে। কবির ঠাকুরদা কর্মজীবন কাটিয়েছেন কলকাতায়। |
|||
কর্মজীবন শেষে ৫০ বছর বয়সে কলকাতার পাট চুকিয়ে [[বাংলাদেশের]] [[ফরিদপুর]] বাড়ি [[চান্দ্রা]] গ্রামে চলে আসেন। তার বাবা কলকাতাতেই ছিলেন। কলকাতার একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে কাজ করতেন। |
|||
দুই বছর বয়সে কবির মা বাবার কর্মস্থল কলকাতায় চলে যান। কবি থেকে যান ঠাকুরদার নাম লোকনাথ চক্রবর্তীর কাছে। |
|||
গ্রামে কাটিয়েছেন মহা স্বাধীনতা—ইচ্ছেমতো দৌড়ঝাঁপ করে। কখনো গাছে উঠছেন; কখনো আপন মনে ঘুরেছে গ্রামের এই প্রাপ্ত থেকে অন্যপ্রাপ্তে। |
|||
চার বছর বয়সে কবির কাকিমা বলছিলেন, 'তুই তো দেখছি কবিদের মতোন কথা বলছিস!' সেই সময়েই মুখস্থ করেছিল গ্রামে কবিয়ালরা, কবিগান,রামায়ণ গান। |
|||
গ্রামের দিনগুলো খুব সুন্দর কেটেছেন তাই তিনি এ গ্রামের বাড়ি ছেড়ে কলকাতায় যেতে চাইতেন না। তবে ঠাকুরদার মৃত্যুর পর গ্রাম ছেড়ে কলকাতায় চলে যান। এখন তিনি কলকাতায় থাকেন। |
|||
=== জনপ্রিয় কবিতা === |
=== জনপ্রিয় কবিতা === |
||
<poem style="margin-left: 2em"> |
<poem style="margin-left: 2em"> |
||
৪১ নং লাইন: | ৩৭ নং লাইন: | ||
== বহিঃসংযোগ == |
== বহিঃসংযোগ == |
||
*[http://www.prothom-alo.com/art_and_literature/article/189739/%E2%80%98%E0%A6%9B%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6_%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE_%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B_%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%81_%E0%A6%9B%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF_%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B_%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E2%80% |
*[http://www.prothom-alo.com/art_and_literature/article/189739/%E2%80%98%E0%A6%9B%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6_%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE_%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B_%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%81_%E0%A6%9B%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF_%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B_%E0%A6%A8%E0%A7%9F%E2%80%99 নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সাক্ষাৎকার] |
||
* |
*[http://www.milansagar.com/kobi-nirendranathchakraborty.html নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কবিতা] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:১৯২৪-এ জন্ম]] |
[[বিষয়শ্রেণী:১৯২৪-এ জন্ম]] |
১৭:৫৫, ১১ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী | |
---|---|
জন্ম | ২ কার্ত্তিক ১৩৩১,১৯ অক্টোবর ১৯২৪ |
পেশা | কবি, গল্পকার |
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (১৯ অক্টোবর ১৯২৪-) একজন ভারতীয় বাঙ্গালি কবি। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে আবির্ভুত আধুনিক বাংলা কবিদের অন্যতম। উলঙ্গ রাজা তাঁর অন্যতম বিখ্যাত কাব্যগ্রন্হ। এই কাব্যগ্রন্হ লেখার জন্য তিনি ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। কবি পশ্চিমবঙ্গে বাংলা আকাদেমির সাথে দীর্ঘকাল যুক্ত।
শৈশব ও কৈশোর
তাঁর শৈশবের পুরোটাই কেটেছে পূর্ববঙ্গে যা বর্তমান [ [বাংলাদেশ]], ঠাকুরদা আর ঠাকুমার কাছে। কবির ঠাকুরদা কর্মজীবন কাটিয়েছেন কলকাতায়। কর্মজীবন শেষে ৫০ বছর বয়সে কলকাতার পাট চুকিয়ে বাংলাদেশের ফরিদপুর বাড়ি চান্দ্রা গ্রামে চলে আসেন। তার বাবা কলকাতাতেই ছিলেন। কলকাতার একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে কাজ করতেন। দুই বছর বয়সে কবির মা বাবার কর্মস্থল কলকাতায় চলে যান। কবি থেকে যান ঠাকুরদার নাম লোকনাথ চক্রবর্তীর কাছে। গ্রামে কাটিয়েছেন মহা স্বাধীনতা—ইচ্ছেমতো দৌড়ঝাঁপ করে। কখনো গাছে উঠছেন; কখনো আপন মনে ঘুরেছে গ্রামের এই প্রাপ্ত থেকে অন্যপ্রাপ্তে। চার বছর বয়সে কবির কাকিমা বলছিলেন, 'তুই তো দেখছি কবিদের মতোন কথা বলছিস!' সেই সময়েই মুখস্থ করেছিল গ্রামে কবিয়ালরা, কবিগান,রামায়ণ গান। গ্রামের দিনগুলো খুব সুন্দর কেটেছেন তাই তিনি এ গ্রামের বাড়ি ছেড়ে কলকাতায় যেতে চাইতেন না। তবে ঠাকুরদার মৃত্যুর পর গ্রাম ছেড়ে কলকাতায় চলে যান। এখন তিনি কলকাতায় থাকেন।
জনপ্রিয় কবিতা
অমলকান্তি
অমলকান্তি আমার বন্ধু,
ইস্কুলে আমরা একসঙ্গে পড়তাম।
রোজ দেরি করে ক্লাসে আসত, পড়া পারত না,
শব্দরূপ জিজ্ঞেস করলে
এমন অবাক হয়ে জানলার দিকে তাকিয়ে থাকতো যে,
দেখে ভারী কষ্ট হত আমাদের।
আমরা কেউ মাষ্টার হতে চেয়েছিলাম, কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল।
অমলকান্তি সে সব কিছু হতে চায়নি।
সে রোদ্দুর হতে চেয়েছিল !
ক্ষান্তবর্ষণ কাক-ডাকা বিকেলের সেই লাজুক রোদ্দুর,
জাম আর জামরূলের পাতায়
যা নাকি অল্প-একটু হাসির মতন লেগে থাকে।