বিষয়বস্তুতে চলুন

পুরাতন বিশ্বের চুটকি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

পুরাতন বিশ্বের চুটকি
দোয়েল, Copsychus saularis
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: Passeriformes
উপবর্গ: Passeri
পরিবার: Muscicapidae
Vigors, 1825
গণ

নিবন্ধ দেখুন

মাসসিকাপিডি (Muscicapidae) গোত্রের অন্তর্গত সকল পাখি পুরাতন বিশ্বের চুটকি নামে পরিচিত। পুরাতন বিশ্ব বলতে ইউরোপ, আফ্রিকাএশিয়া মহাদেশকে বোঝানো হয়েছে। এসব পাখির অধিকাংশই আকারে ছোট, পতঙ্গভূক ও বেশ ভাল গান গাইতে পারে। মাসসিকাপিডি গোত্র ও এতে অন্তর্ভুক্ত প্রজাতিগুলোর অবস্থান নিয়ে পক্ষীবিদদের মাঝে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে।[]

বিবরণ

[সম্পাদনা]

চুটকিদের মধ্যে আকার ও গঠনে বেশ বৈসাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। এরা আকারে ছোট বা মাঝারি; দৈর্ঘ্যে ৯ থেকে ২২ সেমি পর্যন্ত লম্বা হয়।[] অধিকাংশ প্রজাতির দেহ রঙচঙে নয়, তবে অল্প কিছু প্রজাতির পুরুষ সদস্যদের দেহ উজ্জ্বল বর্ণের।[] বেশিরভাগ প্রজাতির ঠোঁট প্রশস্ত ও চ্যাপ্টা যাতে পোকামাকড় ধরে খেতে সুবিধা হয়। তবে যেসব প্রজাতি মাটিতে খাদ্য খুঁজে বেড়ায় তাদের ঠোঁট চোখা।[]

যেসব জায়গায় মোটামুটি গাছপালা আছে, সাধারণত সেসব জায়গায় পুরাতন বিশ্বের চুটকিরা নিজেদের সহজে মানিয়ে নেয়। তবে উন্মুক্ত তৃণভূমি, গ্রামীণ বন ও গ্রীষ্মমণ্ডলীয় গহীন অরণ্য এদের আদর্শ আবাসস্থল। শীতপ্রধান অঞ্চলের চুটকিরা শীতকালে দক্ষিণে খাদ্যের সন্ধানে পরিযান করে।[]

প্রজাতিভেদে এদের প্রজনন প্রক্রিয়ায় ভিন্নতা দেখা যায়। গাছের কোটরে কিংবা বড় গাছ, ঝোপঝাড় ও পাহাড়ের খাঁজে পেয়ালার মত মজবুত বাসা বানায়। যেসব প্রজাতি কোটরে বাসা করে তারা আটটা পর্যন্ত ডিম দিতে পারে। ডালে বাসা করা প্রজাতিরা দুই থেকে পাঁচটি ডিম পাড়ে।[]

শ্রেণিবিন্যাস

[সম্পাদনা]

গোত্র মাসসিকাপিডি

টিকেলের নীলচুটকি Cyornis tickelliae ভারত
দেশি রবিন Saxicoloides fulicata

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Sy Montgomery। "Muscicapidae"। Encyclopaedia Britannica। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৩ 
  2. del Hoyo, J.; Elliot, A. & Christie D. (editors). (2006). Handbook of the Birds of the World. Volume 11: Old World Flycatchers to Old World Warblers. Lynx Edicions. আইএসবিএন ৮৪-৯৬৫৫৩-০৬-X.
  3. "Old World Flycatchers Muscicapidae"artfullbirds.com। জুলাই ৭, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ৩, ২০১০ 
  4. Perrins, C. (১৯৯১)। Forshaw, Joseph, সম্পাদক। Encyclopaedia of Animals: Birds। London: Merehurst Press। পৃষ্ঠা 194–195। আইএসবিএন 1-85391-186-0 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]