পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র
পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র | |
---|---|
দেশ | বাংলাদেশ |
অবস্থান | পায়রা, কলাপাড়া উপজেলা, পটুয়াখালী জেলা, বাংলাদেশ |
অবস্থা | সক্রিয় |
মালিক | বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড |
পরিচালক | বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড |
বাংলাদেশ-এর পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার পায়রায় নির্মিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি হলো পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি যৌথভাবে চীনের চায়না মেশিনারিজ কোম্পানি এবং বাংলাদেশের নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড নির্মাণ করছে। আন্ধারমানিক নদীর তীরের ধানখালী গ্রামে ১ হাজার একর জমির উপর নির্মিত হয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। [১]
কেন্দ্রের সক্ষমতা
[সম্পাদনা]এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ৬শ ৬০ মেগাওয়াট এর মোট ২টি ইউনিট নির্মাণ করা হয়, যার ফলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মোট উৎপাদন ক্ষমতা ১৩২০ মেগাওয়াট। এই কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রতিদিন ১২ হাজার টনের বেশি কয়লা পোড়ানো হয়। ২০২৩ এর মে মাস পর্যন্ত প্রতিদিন এই কেন্দ্রে ১ হাজার থেকে ১২শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।[২] ৫ জুন ২০২৩ এ কয়লা সংকটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। [৩][৪][৫] পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার ২০ দিন পর ২৫ জুলাই ২৩ আবারও চালু হয় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।[৬]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]২০১৪ সালে পায়রা বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের জন্য নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড(এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চায়না মেশিনারিজ কোম্পানি (সিএমসি) এর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।[৭] চুক্তি অনুযায়ী এই দুই কোম্পানি যৌথভাবে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) প্রতিষ্ঠা করে। ২০১৬ সালে এই প্রকল্প পরিবেশগত ছাড়পত্র পায়। ২০১৭ সালে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১২ জানুয়ারি ২০২০ এই কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে। ২১ মার্চ ২০২২ প্রধানমন্ত্রী এ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।[৮] মোট প্রকল্প ব্যয় ২শত ৪৮ কোটি মার্কিন ডলার।
আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরী করা হয়েছে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। পরিবেশ রক্ষায় যে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কয়লাভিত্তিক প্রকল্পের ক্ষয়-ক্ষতি কমিয়ে আনা হয়, তাকে আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি বলা হয়। এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১৩তম। এশিয়ায় ভারত, চীন, তাইওয়ান, জাপান ও মালয়েশিয়ায় আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে।[৯]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "বৃহত্তম পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে যে পাঁচটি তথ্য জেনে রাখতে পারেন"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২২।
- ↑ "বৃহত্তম পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে যে পাঁচটি তথ্য জেনে রাখতে পারেন"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২২।
- ↑ সংবাদদাতা, নিজস্ব; সাভার (২০২৩-০৬-০৩)। "কয়লা সংকটে ৫ জুনের পর সাময়িক বন্ধ থাকবে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র: সাফা"। দ্য ডেইলি স্টার Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-০৫।
- ↑ "কয়লা সংকটে পুরোপুরি বন্ধ হলো পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র"। বাংলা ট্রিবিউন। ৫ জুন ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০২৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "বন্ধ হলো পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাড়তে পারে লোডশেডিং"। দেশ রূপান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-০৫।
- ↑ "২০ দিন পর মধ্যরাত থেকে পায়রাতে ফের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু"। www.jugantor.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-২৯।
- ↑ "Deal on Payra power plant today"। The Daily Star। BSS। ২৮ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-১৪।
- ↑ "পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২১।
- ↑ "বৃহত্তম পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে যে পাঁচটি তথ্য জেনে রাখতে পারেন"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২২।