পাঞ্জাবী বস্ত্রাদি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
১৮৯০'এর সময়কার পাঞ্জাবী পোশাক, লাহোর।

পাঞ্জাবী বস্ত্রাদি বলতে মূলত পাঞ্জাব অঞ্চলের অধিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী পরিধেয় পোশাককে নির্দেশ করা হয়। প্রাচীন পাঞ্জাব অঞ্চলের মানুষ সুতির পোশাক পরতেন। নারী-পুরুষ উভয়ের ঊর্ধ্বাংশের বস্ত্রই হাঁটু পর্যন্ত দীর্ঘ ছিলো। একটি স্কার্ফ নেয়া হতো যেটি বাম কাঁধে উপর হতে ডান দিকের নিচে আসতো। অপর একটি আলগা কাপড়খণ্ড কাঁধ হতে হাঁটু পর্যন্ত ঝুলে থাকতো। নারী-পুরুষ উভয়েই কোমরের উপর ধুতি পরতেন।[১] আধুনিক পাঞ্জাবী পোশাকে এই সাজ-সরঞ্জাম অপরিবর্তিত রয়েছে; কিন্তু দীর্ঘ ইতিহাসে এতে আরো অন্যান্য কিছু উপাদান যুক্ত হয়েছে।

পাঞ্জাব অঞ্চলে উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে সুতি বস্ত্র শিল্প একটি বিকাশমান শিল্প ছিল যখন বিভিন্ন ধরনের লুঙ্গি, খিস, দাতাহি, চাদর, শার্টের কাপড়, পর্দা, সুষি, দুরিস, গামছা ইত্যাদি তুলার তৈরি কাপড় হোসিয়ারপুর, গুরুদাসপুর, পেশোয়ার, লাহোর, মুলতান, অমৃতসর, লুধিয়ানা, জং, শাহপুর, জলন্ধর, দিল্লি, গুরগাঁও, রোহতক, কার্নাল, রেওয়ারী, পানিপথ ইত্যাদি স্থানে উৎপাদিত হতো।[২] এই বস্ত্র শিল্প পাঞ্জাবকে পোশাকের ক্ষেত্রে ঐশ্বর্যশালী করে তোলে যা তার সমৃদ্ধ এবং স্পন্দনশীল সংস্কৃতির প্রদর্শন হিসাবে পরিগণিত হয়।[৩][৪][৫] বিভিন্ন ধরনের পাঞ্জাবী উৎসব, স্থানীয় ঘটনা এবং অনুষ্ঠান উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের পোশাক পরিধান করা হয়।

এছাড়াও বিভিন্ন ঐতিহ্যগত পোশাকের সাথে বিশেষ ধরনের অলঙ্কারও সাধারণত পরা হয়।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Mohinder Singh Randhawa. (1960) Punjab: Itihas, Kala, Sahit, te Sabiachar aad.Bhasha Vibhag, Punjab, Patiala.
  2. Parshad, Gopal (2007) Industrial development in Northern India: a study of Delhi, Punjab and Haryana, 1858-1918 [১]
  3. "Punjabi Dressing"। Coloursofpunjab.com। ২০১৫-০৫-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৫-১৭ 
  4. "Baisakhi Dress,Bhangra Dress,Gidda Dress,Dress for Baisakhi Festival"। Baisakhifestival.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৫-১৭ 
  5. "Baisakhi Dress | Baisakhi Costume | Bhangra Dress"Baisakhi Festival (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৩-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-২৭ 
  6. "Traditional Dresses of Punjab | Traditional Punjabi Attire"। Discoveredindia.com। ২০১৫-০৯-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৫-১৭