পাঁচকড়ি দে

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাহিত্যিক পাঁচকড়ি দে
পাঁচকড়ি দের স্বাক্ষর

পাঁচকড়ি দে (১৮৭৩ ― ১৯৪৫) ছিলেন একজন বাঙালি সাহিত্যিক। তিনি বাংলায় ভাষায় গোয়েন্দা কাহিনির আদি যুগের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

পাঁচকড়ি দে ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম কেদারনাথ দে। পাঁচকড়ি কলকাতার ভবানীপুরে একটি স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন। যদিও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা খুব বেশি পাননি।[১]

সাহিত্য[সম্পাদনা]

বাংলা সাহিত্যে গোয়েন্দাকাহিনির ইতিহাসে তিনি ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় লেখক। তার লেখা মায়াবী, ‘মায়াবিনী’, ‘নীল বসনা সুন্দরী’, ‘হত্যাকারী কে?’, ‘জীবন্মৃত রহস্য’ ইত্যাদি বই তৎকালীন পাঠকদের মধ্যে বিপুল পরিচিতি পায়। তাঁর গোয়েন্দার নাম দেবেন্দ্রবিজয়।[২] তিনি বিদেশি সাহিত্যিকদের লেখা থেকে উপাদান নিলেও দেশীয় ধাঁচে তা রচনা করতেন। তিনি প্রধানত উইল্কি কলিন্স ও এমিল গাবোরিয়র-এর ধারা অনুসরণ করলেও, পরে আর্থার কোনান ডয়েলের লেখা থেকে প্রচুর উপাদান সংগ্রহ করেছিলেন। তার অনেক লেখা অন্যান্য ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করা হয়।[৩] জীবন্মৃত রহস্য বইটি তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উৎসর্গ করেছিলেন। পাল ব্রাদার্স নামে একটি বইয়ের দোকান ও তার নিজস্ব মালিকানায় কলকাতায় বাণী প্রেস নামে একটি ছাপাখানা ছিল।

গ্রন্থাবলি[সম্পাদনা]

তার রচিত গ্রন্থ গুলির মধ্যে রয়েছে:

  • জীবন্মৃত রহস্য
  • হত্যা রহস্য
  • প্রতিজ্ঞা-পালন
  • নীলবসনা সুন্দরী
  • মনোরমা
  • মায়াবী
  • হত্যাকারী কে?
  • মায়াবিনী
  • পরিমল
  • গোবিন্দরাম
  • লক্ষটাকা
  • জয় পরাজয়

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. এডিশন নেক্সট। "রহস্য, রোমাঞ্চ, গোয়েন্দা গল্প সংগ্রহ"। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  2. "খলনায়িকা থেকে গোয়েন্দা মেয়েরা কম যায়নি কিছুতেই"www.anandabazar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-০৩ 
  3. "পাঁচকড়ি দে - উইকিসংকলন একটি মুক্ত পাঠাগার"bn.wikisource.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৮