ওয়ারশ স্মৃতিসৌধ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ওয়ারস স্মৃতিসৌধ, ২০০৮

ওয়ারশ স্মৃতিসৌধ পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ শহরের কেন্দ্রে স্থাপিত একটি দর্শনীয় স্মৃতিসৌধ। "ওয়ারশ জাগরণ"-এর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে এই সৌধটি নির্মাণ করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের নির্দেশে নাৎসি বাহিনী ওয়ারসো নগরীকে ধুলিস্মাৎ করে দেয়। এসময় সাধারণ মানুষ জেগে ওঠে এবং যুদ্ধ করে। পোলিশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পোল্যাণ্ডের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। এই ঘটনাই ইতিহাসে "ওয়ারসো জাগরণ" হিসেবে উল্লিখিত। এই স্মৃতিসৌধটি শহরের ক্রসিনস্কি চত্বরে অবস্থিত। তবে এই স্মৃতিসৌধটি নিয়ে কিছুটা বির্তকও আছে কেননা সোভিয়েত সেনাবাহিনীর ভূমিকার স্বরূপ নিয়ে স্বচ্ছতা ছিল না।[১]

স্মৃতিসৌধের মূর্তিগুলো দুভাগে ভাগে করা যায়। এক ভাগে 'ইনসার্জেন্ট ইউনিট' যাতে পোলিশ সেনাবাহিনীর যেসব সদস্য যুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন এবং যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তাদের স্মৃতি তর্পণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় অংশটি হলো ‘এক্সোডাস গ্রুপ’ যাতে নাৎসী বাহিনীকে রুখে দাঁড়ানো সাধারণ মানুষদের স্মৃতি তর্পণ করা হয়েছে।[১] ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে যখন নাৎসি বাহিনীর হাতে ধ্বংস অনিবার্য হয়ে উঠে তখন ভূগর্ভস্থ পয়ঃপ্রণালীর মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়ে অতর্কিতে হামলা চালায় পোলিশ বাহিনী। যোগ দেয় সাধারণ মানুষ। ৬৩ দিন ধরে চলে প্রবল যুদ্ধ। পোলিশদের সম্বল সাধারণ রাইফেল, মলোটভ ককটেল আর তলোয়ার। নাৎসিদের ছিল ট্যাংক, সাজোঁয়া বাহিনী এবং বিমানবহর। পোলিশদের পরাজয় ছিল অবধারিত। নাৎসিদের নিধনযজ্ঞে প্রায় ৫ লক্ষ পোলিশ নিহত হয়। এসময় নদীর অপর পার্শ্বে সোভিয়েত বাহিনী নিষ্ক্রীয় হয়ে অপেক্ষায় ছিল।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ওয়ারসো স্মৃতিসৌধ[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], দৈনিক প্রথম আলো, ৩ মার্চ ২০১২ তারিখে ঢাকা থেকে প্রকাশিত। সংগ্রহের তারিখ: ৬ এপ্রিল ২০১২।