এম ডি বালসাম্মা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এম ডি বালসাম্মা
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামমানাতুর দেবাশিয়া বালসাম্মা
জাতীয়তাভারতীয়
জন্ম (1960-10-21) ২১ অক্টোবর ১৯৬০ (বয়স ৬৩)
ওত্তাথাই, কন্নুর, কেরালা, ভারত
ক্রীড়া
দেশভরত
ক্রীড়াট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড
বিভাগ৪০০মিটার হার্ডলস
সাফল্য ও খেতাব
ব্যক্তিগত সেরা১০০ মিটার হার্ডলস: ১৪.০২ (জাকার্তা ১৯৮৫)
৪০০ মিটার হার্ডলস: ৫৭.৮১ (১৯৮৫)
পদকের তথ্য
ওমেন্স অ্যাথলেটিক্স
 ভারত-এর প্রতিনিধিত্বকারী
এশিয়ান গেমস
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান ১৯৮২ নয়াদিল্লি ৪০০ মিটার হার্ডলস
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান ১৯৮৬ সিওল ৪x৪০০ মিটার রিলে
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান ১৯৮২ নয়াদিল্লি ৪x৪০০ মিটার রিলে
এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপস
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান ১৯৮৫ জাকার্তা ৪০০ মিটার হার্ডলস
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান ১৯৮৫ জাকার্তা ৪x৪০০ মিটার রিলে
ব্রোঞ্জ পদক - তৃতীয় স্থান ১৯৮১ টোকিয়ো ৪x৪০০ মিটার রিলে
সাউথ এশিয়ান গেমস
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান ১৯৮৯ ইসলামাবাদ ৪x৪০০ মিটার রিলে
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান ১৯৮৯ ইসলামাবাদ ৪০০ মিটার হার্ডলস
ব্রোঞ্জ পদক - তৃতীয় স্থান ১৯৮৯ ইসলামাবাদ ১০০ মি

মানাতুর দেবাশিয়া বালসাম্মা (জন্ম ২১ অক্টোবর ১৯৬০) হলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় অ্যাথলিট। তিনি এশিয়ান গেমসে ব্যক্তিগত স্বর্ণপদক বিজয়ী দ্বিতীয় ভারতীয় মহিলা এবং এই বিজয় ছিল ভারতীয় মাটিতে প্রথম।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

বালসাম্মা ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দের ২১ অক্টোবর অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন কেরালা রাজ্যের কন্নুর জেলার ওত্তাথাইয়ে। তিনি স্কুলে পড়াশোনা করার সময় থেকেই তার অ্যাথলেটিক্স কর্মজীবন শুরু করেছিলেন, যদিও তিনি এটা আরো বেশি গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করেছিলেন, যখন তিনি উচ্চ শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে মার্সি কলেজে[১] পড়ার জন্যে পালাক্কাড গিয়েছিলেন। ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে তার প্রথম পদক ছিল কেরলের হয়ে 100 মিটারে হার্ডলস এবং পেন্টাথলনে প্রতিযোগিতায় পুনেতে এ ইন্টার-ইউনিভার্সিটি চ্যাম্পিয়নশিপে। সাউদার্ন রেলওয়েতে (ভারত) তার নাম নথিভুক্ত হয়েছিল এবং এ কে কুট্টি তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে বেঙ্গালুরুতে আন্তঃরাজ্য সাক্ষাৎকারে তিনি পাঁচটা স্বর্ণ পদক জিতে এক মহান প্রভাব সৃষ্টি করেছিলেন; ১০০ মিটার এবং ৪০০ মিটারের হার্ডলস, এর সঙ্গে যে খেলাগুলো যুক্ত ছিল, সেগুলো হল: ৪০০ মিটার ফ্ল্যাট এবং ৪০০ মিটার এবং ১০০ মিটার রিলেগুলো। এম ডি বালসাম্মার এই প্রদর্শন তার রেলওয়ে এবং জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তি সহজ করেছিল এবং ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ৪০০ মিটারের ওপর হার্ডলসে এক নতুন রেকর্ড সহ জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন, যেটা ছিল আবার এশিয়ান রেকর্ডের চেয়ে বেশি।

পেশাদার অ্যাথলিট কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৮২ এশিয়ান গেমসে জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে এম ডি বালসাম্মা ৪০০ মিটার হার্ডলসে দেশের দর্শকদের সামনে স্বর্ণ পদক জিতেছিলেন ৫৮.৪৭ সেকেন্ড সময়ের একটা ভারতীয় এবং এশীয় রেকর্ড করে। এই প্রদর্শন তাকে ভারতের হয়ে এশিয়ান গেমসে স্বর্ণ পদক বিজয়ী দ্বিতীয় মহিলা হিসেবে প্রতিপন্ন করেছিল; প্রথম মহিলা ছিলেন কমলজিৎ সান্ধু (৪০০ মিটার-১৯৭৪)। পরবর্তীকালে তিনি ৪x৪০০ মিটার রিলে রেশের বিজয়ী দলের একজন হয়েছিলেন। ভারত সরকার তাকে ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে অর্জুন পুরস্কার এবং ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে এবং কেরালা সরকারের পক্ষ থেকে জি ভি রাজা নগদ পুরস্কার পেয়েছিলেন।

ইতিহাসে প্রথম বারের জন্যে ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে ভারতীয় মহিলা দল লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক্স ফাইনালে উঠেছিল এবং সপ্তম স্থানে খেলা শেষ করেছিল। বালসাম্মা ১০০ মিটার হার্ডলসে খুব বেশি মনঃসংযোগ করতে শুরু করেন। তিনি ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম জাতীয় ক্রীড়ায় ১০০ মিটার হার্ডলসে নতুন জাতীয় রেকর্ড সৃষ্টি করে একটা সোনা জিতেছিলেন।

বালসাম্মা আরো যেসব খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন, সেগুলো হল: ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে মস্কো শহরে স্পার্তাকিয়াড, সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন (সাফ) গেমস ইসলামাবাদ ১০০ মিটারে পেয়েছিলেন তার ব্রোঞ্জ, কোয়ার্টার মাইলে একটা রুপো এবং ৪x৪০০ মিটার রিলেতে সোনা জিতেছিলেন।

প্রায় ১৫ বছরের বিস্তৃত কর্মজীবনে এম ডি বালসাম্মা অংশগ্রহণ করেছিলেন: ওয়র্ল্ড কাপ সাক্ষাৎ হয়: হাভানা, টোকিও, লন্ডন, এশিয়ান গেমসের ১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯০ এবং ১৯৯৪ প্রতিযোগিতা এবং সমস্ত এশিয়ান ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড সাক্ষাৎ এবং সাফ গেমস, এই প্রত্যেকটা প্রতিযোগিতায় তার পদাঙ্ক রেখেছিলেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহির্সংযোগসমূহ[সম্পাদনা]