আবু বকর আল-বাগদাদী
আবু বকর আল-বাগদাদী | |
---|---|
أبو بكر البغدادي | |
ইসলামিক স্টেটের খিলাফত | |
কাজের মেয়াদ ৭ এপ্রিল ২০১৩ – ২৭ অক্টোবর ২০১৯ | |
পূর্বসূরী | স্ব-প্রতিষ্ঠিত (আমীর হিসেবে) |
উত্তরসূরী | আবু ইব্রাহিম আল হাশিমি আল কুরাশি |
ইসলামিক স্টেট অব ইরাকের ২য় আমীর | |
কাজের মেয়াদ ১৮ এপ্রিল ২০১০ – ৭ এপ্রিল ২০১৩ | |
পূর্বসূরী | আবু উমর আল-বাগদাদী |
উত্তরসূরী | অবস্থান অবলুপ্ত |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ইব্রাহীম আওয়াদ ইব্রাহীম আল-বদ্রী আল-সামারাই (إبراهيم عواد إبراهيم علي محمد البدري السامرائي) ২৮ জুলাই ১৯৭১[১] সালাদিন প্রদেশ, ইরাক[২] |
মৃত্যু | ২৭ অক্টোবর ২০১৯ বারিশা, ইদলিব প্রদেশ, সিরিয়া | (বয়স ৪৮)
মৃত্যুর কারণ | আত্মহত্যা |
জাতীয়তা | ইরাকি |
ধর্ম | সুন্নী ইসলাম[৩][৪] |
ডাকনাম |
|
সামরিক কর্মজীবন | |
আনুগত্য | জামাত জইশ আহলে আল-সুন্নাহ ওয়া-ল-জামাহ্ (২০০৩-২০০৬) আল কায়দা (২০০৬-২০১৩)
(এপ্রিল ২০১৩ – অক্টোবর ২০১৯) |
কার্যকাল | ২০০৩–২০১৯ |
পদমর্যাদা | আইএসআইএল নেতা |
যুদ্ধ/সংগ্রাম | ওয়ার অন টেরর
সিরীয় গৃহযুদ্ধ
|
ইব্রাহিম আওয়াদ ইব্রাহিম আলী আল-বদরী আল-সামারাই (আরবি: ابراهيم عواد ابراهيم علي البدري السامرائي) যার আসল নাম ইবরাহিম শাহ মুহাম্মদ আউলিয়া, একজন জিহাদী নেতা ছিলেন যিনি আবু বকর আল-বাগদাদী (أبو بكر البغدادي)[৬] নামেই অধিক পরিচিত ছিলেন। পূর্বে তিনি ড. ইব্রাহিম ও আবু দুইয়া (أبو دعاء)[৭] নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি খলিফা ইব্রাহিম[৮] (الخليفة إبراهيم) নামধারণ করে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চল ও সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে একটি ইসলামিক রাষ্ট্র ঘোষণা করেছিলেন এবং নিজেকে উক্ত রাষ্ট্রের খলিফা ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি পূর্বে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট (আইএসআইএল)-এর নেতা ছিলেন যা ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইএসআইএস) নামেও পরিচিত।[৯]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]আল-বাগদাদী কর্তৃক ২০১৩ সালের ৮ই এপ্রিল প্রথম ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড লেভান্ত গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এটি হল ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক (আইএসআই) (ওরফে আল-কায়েদা ইন ইরাক বা একিউআই) জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্তরসূরী যা আন্তর্জাতিক ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদার ইরাকের একটি শাখা সংগঠন।[১০]
২০১১ সালের ৪ই অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট আল-বাগদাদীকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা করে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করেছিল এবং তাকে জীবিত বা মৃত গ্রেফতারের জন্য বা তথ্য দিয়ে সাহায্য করার জন্য $১০ মিলিয়ন পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।[১১] আল-কায়েদার বৈশ্বয়িক কমান্ডার আইমান আল জাওয়াহারি সম্পর্কে কোন তথ্যের জন্য $২৫ মিলিয়ন পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।[১২]
২০১৪ সালের ২৯শে জুন খিলাফত ঘোষণা করা হয়েছিল। আল-বাগদাদীকে খলিফা হিসেবে মনোনীত করা হয় এবং আরো বলা হয় এখন থেকে তিনি খলিফা ইব্রাহিম নামে অবহিত হবেন। ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ত-এর নাম পরিবর্তন করে শুধুমাত্র ইসলামিক স্টেট রাখা হয়।[৮] পন্থাটি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সরকার এবং অন্যান্য জিহাদী গোষ্ঠীগুলো কর্তৃক ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিল।[১৩]
নেপথ্য
[সম্পাদনা]এটা বিশ্বাস করা হয় আল-বাগদাদী ১৯৭১ সালে ইরাকের সামারাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা যায় ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র বাহিনীর ইরাক অভিযানের সময় তিনি ইমাম ছিলেন।[৬] তিনি বাগদাদের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক স্টাডিজে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন।[১৪]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]বাগদাদীর আস্তানায় মার্কিন বাহিনীর অভিযান চলাকালে মার্কিন সৈন্যরা ধাওয়া করলে একটি টানেলের শেষ প্রান্তে গিয়ে আটকা পড়েন৷ এক পর্যায়ে তার শরীরে বাধা বোমার বিস্ফোরণ ঘটান৷ এতে সাথে থাকা বাগদাদির তিন সন্তানেরও মৃত্যু ঘটে৷ বিস্ফোরণে বাগদাদীর দেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়েছিল তবে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত করেছেন একটি সূত্র। ২৭ অক্টোবর তার মৃত্যুর ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।[১৫]
সংশয়
[সম্পাদনা]`যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল ফোর্সের এক অভিযানে বাগদাদি নিহত হন' এ খবরের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে রাশিয়া। বাগদাদি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বলে ১ নভেম্বর ২০১৯ সালে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরোভ মন্তব্য করেছেন। মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় তার দাবি ছিলো ‘আমাদের সেনাবাহিনী অনেক বিষয় নিয়ে তদন্ত করছে এবং বাগদাদির মৃত্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দাবির সত্যতা আমরা এখনও নিশ্চিত করতে পারছি না [১৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Warrick, Joby (২৭ অক্টোবর ২০১৯)। "Abu Bakr al-Baghdadi, extremist leader of Islamic State, dies at 48"। The Washington Post। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Security Council Al-Qaida Sanctions Committee adds Ibrahim Awwad Ibrahim Ali al-Badri al-Samarrai to its Sanctions List" (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)। United Nations Security Council, SC/10405। ৫ অক্টোবর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "Profile: Abu Bakr al-Baghdadi"। BBC। ১৫ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ "The many names of Abu Bakr al-Baghdadi"। Al Monitor। ২৩ মার্চ ২০১৫। ২৮ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ "Baghdadi 'The Ghost': world jihad's low-profile boss"। Yahoo! News। ১৬ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৭।
- ↑ ক খ "BBC News - Profile: Abu Bakr al-Baghdadi"। BBC News। ১১ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৪।
- ↑ "Wanted: Abu Du'a; Up to $10 Million"। Rewards for Justice। ১১ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১১।
- ↑ ক খ "ISIS Spokesman Declares Caliphate, Rebrands Group as "Islamic State""। SITE Institute। ২৯ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৪।
- ↑ "Terrorist Designations of Groups Operating in Syria"। U.S. Department of State। ১৪ মে ২০১৪। ১৮ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৪।
- ↑ "ISI Confirms That Jabhat Al-Nusra Is Its Extension in Syria, Declares 'Islamic State of Iraq And Al-Sham' As New Name of Merged Group"। Memri। ৮ এপ্রিল ২০১৩। ৬ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৪।
- ↑ "Terrorist Designation of Ibrahim Awwad Ibrahim Ali al-Badri"। United States Department of State। ৪ অক্টোবর ২০১১। ৬ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১১।
- ↑ "IRAQ: U.S. offers $10-million reward for Al Qaeda in Iraq leader"। Los Angeles Times। ৭ অক্টোবর ২০১১। ৮ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১১।
- ↑ http://www.cbsnews.com/news/theyre-delusional-rivals-ridicule-isis-declaration-of-islamic-state।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ CNN: ISIS: The first terror group to build an Islamic state?
- ↑ "Statement from the President on the Death of Abu Bakr al-Baghdadi"। White House। ২৭ অক্টোবর ২০১৯। ১৬ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "বাগদাদি যুক্তরাষ্ট্রেরই তৈরি, দাবি রাশিয়ার | কালের কণ্ঠ"। Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-০৩।
- ১৯৭১-এ জন্ম
- আল-কায়েদার সদস্য
- ২০১৯-এ মৃত্যু
- পরিকল্পিত গণহত্যায় অপরাধী
- ২০১৯-এ আত্মহত্যা
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পলাতক
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর হাতে বন্দী ও আটক
- আল-কায়েদা নেতা
- শিয়া ইসলামের সমালোচক
- ইরাকি রাজনীতিবিদ
- ইরাকি বন্দী ও আটক
- ইসলামী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নেতা
- সালাফি জিহাদি
- বাগদাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- ২১শ শতাব্দীর খলিফা