বিষয়বস্তুতে চলুন

অমিত্রাক্ষর ছন্দ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কাব্যে যে ছন্দে চরণদ্বয়ের অন্ত্যবর্ণের মিল থাকে না, তাকে অমিত্রাক্ষর ছন্দ বলে। অমিত্রাক্ষর ছন্দ বাংলা কাব্যের একটি বিশেষ ছন্দরূপ যা ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রবর্তন করেন। ১৮৬০ সালে প্রকাশিত পদ্মাবতী নাটকের ২য় অঙ্কের ২য় গর্ভাঙ্কে মধুসূদন সর্বপ্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রয়োগ করেন।[]

চরণান্তিক মিল বাংলা পদ্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য; কিন্তু অমিত্রাক্ষর ছন্দে চরণান্তিক মিল থাকে না। এছাড়া অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত কবিতার প্রতিটি পঙক্তিতে চৌদ্দটি অক্ষর থাকা আবশ্যিক । কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত অমিত্রাক্ষর ছন্দে প্রথম যে কাব্যটি রচনা করেন তা হলো তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য; এটি ১৮৬০ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। অতঃপর তিনি অমিত্রাক্ষর ছন্দে মেঘনাদবধ কাব্য রচনা করেন যা ১৮৬১ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। মেঘনাদবধ কাব্যের ষষ্ঠ সর্গের অংশ বিশেষ যা “বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ” বা “মেঘনাদ ও বিভীষণ” নামে পরিচিত তা নিম্নরূপ। এ থেকে অমিত্রাক্ষর ছন্দের স্বরূপ বোঝা যায়:[][]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. অমিত্রাক্ষর ছন্দ ও মাইকেল মধুসূদন দত্ত
  2. আবু আফজাল সালেহ (২২ জানুয়ারি ২০২১)। "অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রয়োগে আধুনিক যুগের সূচনা"যায়যায়দিন। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  3. এনাম রাজু (৬ নভেম্বর ২০২০)। "অমিত্রাক্ষর ছন্দ ও মাইকেল মধুসূদন দত্ত"দৈনিক নয়াদিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১