২০২৪-এ মহাকাশ যাত্রা
কক্ষীয় উৎক্ষেপণ | |
---|---|
প্রথম | ১লা জানুয়ারি |
শেষ | ৩রা ডিসেম্বর |
মোট | ২৩২ |
সাফল্য | ২২৬ |
ব্যর্থতা | ৪ |
আংশিক ব্যর্থতা | ২ |
শ্রেণীবদ্ধ | ২২৬ |
জাতীয় পর্যায়ে প্রথম সাফল্য | |
কৃত্রিম উপগ্রহ | |
মহাকাশ ভ্রমণকারী | |
রকেট | |
প্রথম যাত্রা |
|
অব্যাহতি | |
মানববাহী যাত্রা | |
কক্ষীয় | ৯ |
কক্ষীয় ভ্রমণকারী | ২৮ |
উপকক্ষীয় | ৫ |
উপকক্ষীয় ভ্রমণকারী | ৩০ |
মোট ভ্রমণকারী | ৫৮ |
২০২৪-এ মহাকাশ যাত্রা | |||||
---|---|---|---|---|---|
----
|
২০২৪-এ মহাকাশ যাত্রাতে টানা চতুর্থ বছরের জন্য পৃথিবীর কক্ষপথে উৎক্ষেপণের প্রচেষ্টা এবং সফল উৎক্ষেপণের নতুন বিশ্বরেকর্ড স্থাপিত হয়। এ বছর ভালকান সেন্টর (Vulcan Centaur), গ্র্যাভিটি-১ (Gravity-1), আরিয়ান ৬ (Ariane 6; আংশিকভাবে সফল) রকেটগুলির সফল প্রথম উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হয়। এছাড়া স্পেসএক্স কোম্পানির স্টারশিপ মহাকাশযানগুলির একাধিক বিকাশমূলক উৎক্ষেপণও উল্লেখ্য, যার মধ্যে ৫নং উড়ানে প্রথমবারের মতো অবতরণের ঘটনাটি অন্তর্ভুক্ত। উপরন্তু ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে ডেল্টা রকেট পরিবারের ডেল্টা ৪ হেভি রকেটের চূড়ান্ত উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হয়। ২০২৪ সালের মে মাসে চীন ছাং-ও ৬ মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করে, যা চাঁদের দূরবর্তী পার্শ্ব থাকে নমুনা ফেরত আনা ইতিহাসের সর্বপ্রথম অভিযান। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর বাসে পোলারিস ডন অভিযানটিতে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক উদ্যোগে মহাকাশে হাঁটার কাজটি সফলভাবে পরিচালনা করা হয়।
জাতীয় পর্যায়ের অন্যান্য বৈজ্ঞানিক মহাকাশ অভিযানগুলির মধ্যে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার ইউরোপা ক্লিপার মহাকাশ সন্ধানী ও ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার হেরা মহাকাশ সন্ধানী ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে উৎক্ষিপ্ত হয়। নাসা-র ইনজেনুইটি হেলিকপ্টারটি ৭২তম উড়ানের সময় ঘূর্ণমান পাখার ফলাতে ক্ষতির শিকার হলে জানুয়ারি মাসে সেটির কার্যকলাপ বন্ধ করে দেয়া হয়। ২০২৪ সালে একাধিকবার চাঁদে অবতরণের প্রচেষ্টা চালানো হয়। জাক্সা-র স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন বা সংক্ষেপে স্লিম ("চাঁদে তদন্তের জন্য বুদ্ধিমান অবতরণ যান") এবং ইন্টুইটিভ মেশিনস-এর আইএম-১ চন্দ্রপৃষ্ঠে কোমল অবতরণে সক্ষম হলেও অবতরণের শেষ মুহূর্তে গিয়ে উলটে যায়।
২০২৪ সালে দুইটি মানববাহী মহাকাশ বিরতিকেন্দ্র (মহাকাশ স্টেশন) সক্রিয় ছিল; এগুলি হল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ও চীনের থিয়েনকুং মহাকাশ স্টেশন। মানববাহী অভিযানের মধ্যে ৭০নং যাত্রা, ৭১নং যাত্রা ও ৭২নং যাত্রা গুলি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন পরিদর্শন করে। অন্যদিকে শেনচৌ ১৮ ও শেনচৌ ১৯ থিয়েনকুং মহাকাশ স্টেশন পরিদর্শন করে। এছাড়া আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন অ্যাগজিওম ৩নং অভিযান-এর বেসরকারি যাত্রীদের স্বাগত জানায়।
২০২৪ সালে অ্যাগজিওম ৩নং অভিযানের একজন মানব যাত্রী হিসেবে আলপের গেজেরাভচি প্রথম তুর্কি মহাকাশচারীতে পরিণত হন। বেলারুসও স্বাধীনতার পরে তাদের প্রথম মহাকাশচারীকে সয়ুজ এমএস-২৫ মহাকাশযানে করে মহাকাশে প্রেরণ করে, যিনি হলেন মারিনা ভাসিলেউস্কায়া। তবে এর আগে পিওতর ক্লিমুক, ভ্লাদিমির কোভালিওনোক ও ওলেগ নোভিৎস্কি বেলারুশ-বংশোদ্ভূত রুশ বা সোভিয়েত হিসেবে মহাকাশ যাত্রা সম্পাদন করেছিলেন। উপরন্তু ব্রিটিশ নাগরিক নিকোলিনা এলরিক প্রথম নৃগোষ্ঠীয় সিঙ্গাপুরীয় হিসেবে মহাকাশে পৌঁছান, যখন তিনি ব্লু অরিজিন এনএস-২৬ মহাকাশযানে চড়ে ২০২৪ সালের ২৯শে আগস্ট কার্মান রেখা অতিক্রম করেন।