২০২২ ব্রাসেলস আন্দোলন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে কোভিড ১৯ সংক্রান্ত কঠোর নীতিমালার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। ৫০,০০০-এরও অধিক মানুষ সমবেত হলে শহরের নর্ড স্টেশনে থেকে বিক্ষোভ শুরু হয় এবং ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যালয়ের পাশে সাইকামোরেন্টার উদ্যানে গিয়ে শেষ হয়। এর পূর্বে ২৪ জানুয়ারি প্রশাসনের সাথে বিক্ষোভকারীরা দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রতিবাদ কর্মসূচির সময় স্থির করেছিল। কিন্তু বেলা ৩টা পর্যন্তও বিক্ষোভ শেষ না হওয়ায় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে তৎপরতা শুরু করে। ছত্রভঙ্গের আগে পুলিশ ২৫০ জনকে গ্রেফতার করে এবং হেফাজতে নিয়ে যায়। বিক্ষোভের শেষ পর্যায়ে পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়, যেখানে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস এবং জল কামান ব্যবহার করে।[১][২][৩]

কিছুসংখ্যক প্রতিবাদকারী আশেপাশের রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে এবং সেখান থেকে গাড়ি, মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগসহ সরকারি ভবনে আক্রমণ চালায়। এমনকি প্লাস শুমাখারে অবস্থিত ইউরোপীয় পররাষ্ট্র বিষয়ক ইইএএস ভবনও আক্রান্ত হয়।[৪]

ফলাফল[সম্পাদনা]

ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিস টুইটারে তাদের ভবনে হামলার প্রতিবাদ জানায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রধান জোসেফ বারেল-ও ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেন।[৫]

প্রতিক্রিয়া[সম্পাদনা]

রাজধানী ব্রাসেলসের বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং এ ধরনের ঘটনাকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অধীনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেন।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. EFE, Source: Clement Lanot; AP (জানুয়ারি ২৪, ২০২২)। "Police use water cannon at Brussels protest against Covid rules – video"The Guardian – www.theguardian.com-এর মাধ্যমে। 
  2. "Police fire water cannon, tear gas at Brussels COVID protest"www.aljazeera.com 
  3. "Video shows police using water cannons on protesters in Brussels - CNN Video" – www.cnn.com-এর মাধ্যমে। 
  4. "Rioters fight Brussels police, smash headquarters of EU foreign service"POLITICO। ২৩ জানুয়ারি ২০২২। 
  5. https://twitter.com/eu_eeas?lang=en টেমপ্লেট:Bare URL inline
  6. Cotton, Johnny (জানুয়ারি ২৩, ২০২২)। "Belgian police fire water cannon, tear gas during COVID curbs protest"Reuters – www.reuters.com-এর মাধ্যমে।