২০১৮-এ গুজরাতে হিন্দিভাষী অভিবাসীদের উপর আক্রমণ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
২০১৮-এ গুজরাতে হিন্দিভাষী অভিবাসীদের উপর আক্রমণ
তারিখ২৮ সেপ্টেম্বর – ৮ অক্টোবর ২০১৮ (২০১৮-০৯-২৮ – ২০১৮-১০-০৮)
অবস্থানগুজরাতের বেশ কয়েকটি জেলা
কারণধর্ষণের ঘটনা, বেকারত্ব
ফলাফলগুজরাত থেকে অভিবাসীদের রাজ্যত্যাগ
গ্রেপ্তার৪৩১

ভারতের উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও মধ্যপ্রদেশ থেকে আগত হিন্দিভাষী অভিবাসীদের উপর ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এটি গুজরাতের হিম্মতনগরের নিকটবর্তী একটি গ্রামে ১৪ মাস বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটেছিল।

পটভূমি[সম্পাদনা]

ঠাকুর সম্প্রদায়ের একটি ১৪ মাস বয়সী মেয়েকে ২০১৮ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর বিহারের একজন মুসলিম অভিবাসী শ্রমিকের দ্বারা ধর্ষণ করা হয়েছিল।[১][২] তিনি উত্তর গুজরাতের সবরকাঁথা জেলার হিম্মতনগরের কাছে ধুন্ধর গ্রামে সিরামিক কারখানায় কাজ করতেন, যেখানে ঘটনাটি ঘটেছিল।[১][৩] পরদিন তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এটি ঠাকুর সম্প্রদায়কে ক্ষুব্ধ করে, যারা গুজরাত জুড়ে বিক্ষোভ করেছিল।[১][৩]

আক্রমণ ও বহির্গমন[সম্পাদনা]

ক্ষত্রিয় ঠাকুর সেনা সদস্যদের নেতৃত্বে ২রা অক্টোবর একটি ভিড় মেহসানা জেলার ভাদনগরের কাছে একটি কারখানায় অভিবাসী শ্রমিকদের উপর হামলা চালায়।[৪] পুলিশ দাঙ্গার অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল।[৫] পরের দিন, কলি ঠাকুর সেনার একজন নেতা ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের বিধায়ক আলপেশ ঠাকুর[৬] ধর্ষিতার বিচারের দাবিতে ৮ অক্টোবর থেকে অনশনের ঘোষণা দেন।[৭][৫] প্রতিবাদে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি রাজ্যের শিল্পে চাকরিতে স্থানীয় লোকদের অগ্রাধিকার দাবি করেছিলেন বলে জানা যায়।[৮][৫] তিনি সরকারের বিরুদ্ধে তার সম্প্রদায়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগও তুলেছিলেন এবং তাদের মুক্তি দাবি করেছিলেন।[৫][৯]

সরকারী পদক্ষেপ[সম্পাদনা]

মোট ৫৫ টি এফআইআর ৮ই অক্টোবরের মধ্যে দায়ের করা হয়েছিল এবং ৪৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।[১০] সামাজিক মাধ্যমে গুজব ও ঘৃণা ছড়ানোর অপরাধে দশজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।[১১] গুজরাত সরকার শতাধিক কারখানার নিরাপত্তা প্রদান করেছিল।[১] রাজ্য পুলিশ ছাড়াও, সতেরো কোম্পানি রাজ্য রিজার্ভ পুলিশ (এসআরপি) ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছিল।[৯]

গুজরাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (জিসিসিআই) শিল্পগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় শান্তি পুনরুদ্ধার করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Sharon, Meghdoot (২০১৮-১০-০৭)। "UP, Bihar Migrants Flee Gujarat After 'Rape Backlash' Triggers Attacks; 342 Arrested"News18। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০২৩ 
  2. "Gujarat rape backlash: Fearing for lives after mob attacks, UP, MP and Bihar migrants flee"The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১০-০৭। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০২৩ 
  3. "Violence intensifies in Gujarat, migrants flee for lives"The Times of India। ২০১৮-১০-০৬। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০২৩ 
  4. "Gujarat toddler rape: All Indians safe in state, says Congress MLA Alpesh Thakor following reports of mob attack"Zee News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১০-০৭। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০২৩ 
  5. "Alpesh Thakor To Sit On Fast Over Rape Of 14-Month-Old Girl In Gujarat"NDTV.com। ২০১৮-১০-০৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০২৩ 
  6. Lobo, Lancy (১৯৯৫)। The Thakors of North Gujarat: A Caste in the Village and the Region (ইংরেজি ভাষায়)। Hindustan Publishing Corporation। আইএসবিএন 978-81-7075-035-2 
  7. "Congress MLA Alpesh Thakor denies involvement in violence over Sabarkantha rape"The New Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০২৩ 
  8. "342 arrested for attacks on non-Gujaratis, security beefed up"Moneycontrol (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০২৩ 
  9. "Gujarat: 342 arrested for attacking migrants from Uttar Pradesh, Bihar after 14-month-old girl's rape in Sabarkantha"ফ্রি প্রেস জার্নাল (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১০-০৮। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০২৩ 
  10. "Gujarat government appeals to migrants to return, says 431 arrested for attacks on them"দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০২৩ 
  11. "Why Gujarat has turned against migrants from UP, Bihar: What we know so far"ইন্ডিয়া টুডে (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০২৩