হ্যাপি টু ব্লীড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

হ্যাপি টু ব্লীড (রক্তক্ষরণে খুশী) হল একটি সামাজিক আন্দোলন। ভারতে ঋতুস্রাব সংক্রান্ত সব কিছু নিষিদ্ধ মনে করা এবং যে এই নিয়ে আলোচনা করে তাকে চিহ্নিত করে দেওয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এই আন্দোলনের সৃষ্টি।[১][২] এটি শুরু করেছিলেন নিকিতা আজাদ। তিনি মূলত ভারতের জলন্ধরের বাসিন্দা। তিনি একজন নারী অধিকার কর্মী এবং পাতিয়ালার পাঞ্জাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি মহিলা কলেজের সাম্মানিক ইংরেজির একজন স্নাতক ছাত্রী।[৩] আজাদের আসল নাম নিকিতা অরোরা। তিনি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-২০২০ বর্ষের রোডস বৃত্তিধারী একজন ছাত্রী। সেখানে তাঁর পড়ার সময়সূচী হল এমএসটি ইন উইমেনস স্টাডিজ (২০১৯) এবং বিজ্ঞান, মেডিসিন ও টেকনোলজির ইতিহাসে (২০২০) এমএসসি।[৪]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

২০১৫ সালের ১৩ই নভেম্বর, কেরালার সবরীমালা মন্দিরের দেবস্বম প্রধান পেরিয়ার গোপালকৃষ্ণন বলেন যে, একজন মহিলার পবিত্রতা খুঁটিয়ে দেখা এবং বিচার করার জন্য একটি মেশিন উদ্ভাবিত হওয়ার পরে মহিলাদের সবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে। মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশ করা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এটি বলেছিলেন।[৫] তিনি বলেছিলেন, "এমন একটি সময় আসবে যখন লোকেরা জিজ্ঞাসা করবে যে সমস্ত মহিলাদের সারা বছর মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা উচিত কিনা। আজকাল এমন মেশিন রয়েছে যা শরীর খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতে পারে এবং অস্ত্র পরীক্ষা করতে পারে। এমন একটি দিন আসবে যখন এমন মেশিন আবিষ্কৃত হবে যেটি কোনও মহিলার মন্দিরে প্রবেশের 'সঠিক সময়' (ঋতুস্রাবী নয়) নির্ণয় করে দেবে। সেই যন্ত্রটি যখন উদ্ভাবিত হবে, তখন আমরা নারীদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়ার কথা বলব।"[৬]

তাঁর বক্তব্য সমালোচনার মুখে পড়েছিল।[৬] এই বক্তব্যের অরিপ্রেক্ষিতে, ২০ বছর বয়সী নিকিতা আজাদ ২০১৫ সালের ২১শে নভেম্বর হ্যাপি টু ব্লীড প্রচারণা শুরু করেছিলেন।[৭] আজাদ এবং তাঁর বন্ধুরা একটি সামাজিক মাধ্যম প্রচারণা শুরু করেন। তাঁরা একটি স্যানিটারি প্যাড সহ নিজেদের ছবি পোস্ট করেন যাতে হ্যাপি টু ব্লীড লেখা ছিল।[৫] প্রচারণার ফেসবুক পাতায় এই আন্দোলনকে এইভাবে বর্ণনা করা হয়েছিল, "ঋতুস্রাবী মহিলাদের নিষিদ্ধকরণের বিরুদ্ধে এবং মহিলাদের রজঃস্রাবসংক্রান্ত স্বাস্থ্যের পণ্যকরণের বিরুদ্ধে একটি প্রচারাভিযান।"[৮] তিনি গোপালকৃষ্ণনকে একটি খোলা চিঠি লিখেছিলেন। সেখানে তিনি মহিলাদের সবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে না দেওয়ার বিষয়ে তাঁর যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।[৯]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Sharma, Kalpana। "The open discussion on menstruation is #Happy To Bleed's biggest achievement"Scroll.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-১৯ 
  2. "Why are Indian women 'Happy to Bleed'?" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-১১-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-১৯ 
  3. "Indian women launch 'happy to bleed' campaign to protest against a 'sexist' religious rule"The Independent (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-১১-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-১৯ 
  4. "Rhodes House: Home of the Rhodes Scholarships" 
  5. "Women are #HappyToBleed, then what's the problem?"The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-১১-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-১৯ 
  6. www.thenewsminute.com https://www.thenewsminute.com/article/let-machine-scan-purity-come-will-think-about-women-entering-sabarimala-devaswom-chief-35998। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-১৯  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  7. "#HappyToBleed: An Initiative Against Sexism"www.countercurrents.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-১৯ 
  8. "Happy To Bleed"www.facebook.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-১৯ 
  9. "'A Young Bleeding Woman' Pens An Open Letter To The 'Keepers' Of Sabarimala Temple"Youth Ki Awaaz (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-১১-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-১৯